উপদেশ

সংস্কারমূলক প্রতিষ্ঠান : কল্যাণকর

প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় প্রতিযোগীতা নয়, বরং মান-সম্মত  পরিবেশ ও শিক্ষা চাই। সালাফী বা আহলুল হাদীছদের সমাজ সংস্কারমূলক যে কার্যক্রম ও বিশ্বাস তা হ’ল- ‘আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ ‘অহি’ পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ হ’ল অভ্রান্ত সত্যের চূড়ান্ত মানদন্ড। উক্ত অহি-র সত্যকে মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগে প্রতিষ্ঠা করা ও সেই আলোকে সমাজের আমূল সংস্কার সাধন করা। আর সেই লক্ষ্যে শিক্ষা সংস্কার অতিব জরুরী। কেননা জান্নাতের সে-ই মানুষ হতে হলে নৈতিক তথা দ্বীনের তথা কুরআন-সুন্নাহর শিক্ষা অপরিহার্য। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে যে কাজটির প্রতি বেশী জোর দেয়া […]

সংস্কারমূলক প্রতিষ্ঠান : কল্যাণকর বিস্তারিত পডুন »

দান-ছাদাক্বাহর গুরুত্ব ও ফযীলত

মানুষের সৃষ্টিগত একটি অভ্যাস হলো কৃপণতা এবং ক্রোধ ও প্রতিশোধপ্রবণ হয়ে ওঠা, এ সবই শায়ত্বনী কর্মকান্ডের অন্তর্গত। তাই যাতে করে ঐ মানুষটি তার এই খারাপ অভ্যাস থেকে পুরোপুরি বিরত থেকে বদান্যতা ও সৌহার্দ্যের গুণে গুণান্বিত হয়। ছাদাক্বাহ এমনই এক ইবাদত যার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য হাছিল হয় এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,لِيَقِ أَحَدُكُمْ وَجْهَهُ النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ ‘তোমরা একটি খেজুরের টুকরা দান করে হ’লেও জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচো’ (তিরমিযী হা/২৯৫৩, ছহীহুল জামে‘ হা/৮১৪৭)। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা দান প্রকাশ্যে

দান-ছাদাক্বাহর গুরুত্ব ও ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

মৃত্যু, প্রত্যেক জীবের অপ্রতিরোধ্য সঙ্গী

মানুষের জন্য উচিত নয় যে, সবচেয়ে বড় উপদেশের স্মরণ হতে উদাসীন থাকা আর তা হল মৃত্যু তথা মৃত্যুর স্মরণ। দুনিয়ার ভোগবিলাসের সুখময় স্বাদ বিনষ্টকারী জিনিস হলো মৃত্যু। তাই মৃত্যুকে বেশী বেশী স্মরণ করা উচিৎ। কেননা মৃত্যু প্রত্যেক জীবের জীবনে একটি অপ্রতিরোধ্য বন্ধু। মৃত্যুকে রোধ করার মত কোন বস্তু দুনিয়াতে নেই। জন্মিলে মরিতে হবে, চিরন্তন সত্য এ ভূবনে, সময় থাকতে আখের গোছাও সুধারনা পোষণ করো মরণে। মু’মিন ব্যক্তি দুনিয়াতে অবস্থান করবে বিদেশীর অবস্থানের মতো। সুতরাং তার অন্তরকে সম্পর্ক রাখবে না দূরবর্তী দেশের কোন কিছুর সাথে বরং

মৃত্যু, প্রত্যেক জীবের অপ্রতিরোধ্য সঙ্গী বিস্তারিত পডুন »

আল্লাহর জন্য তাকবীর দেয়ার বিধান

তাকবীর দেয়া সওয়াবের কাজ। আমরা প্রত্যেক দলের শ্লোগান যখন বলি, তখন ইসলাম পন্থী দলগুলোও একটি শ্লোগান ঠিক করেছেন। কেহ নারায়ে তাকবীর, লিল্লাহে তাকবীর ইত্যাদি। নারায়ে (نعره) শব্দটি উর্দূ। অর্থ: ধ্বনী বা উচ্চ আওয়াজ। তাকবীর শব্দটি আরবী। যার অর্থ: আল্লাহর বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। আর লিল্লাহে আরবী শব্দ। যার অর্থ আল্লাহর জন্য। তবে জন সন্মুখে উচ্চস্বরে তাকবীর দেয়ার বিধান রয়েছে। তবে রাসূল (ছাঃ) এটাকে থামিয়েও দিয়ে ছিলেন। যেমন – আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খায়বার যুদ্ধের জন্য বের হলেন কিংবা

আল্লাহর জন্য তাকবীর দেয়ার বিধান বিস্তারিত পডুন »

জ্ঞানীদের উপদেশ আমাদের দিক-নির্দেশনা

(১) ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (১৬৪-২৪১ হি.) একদিন বাগদাদের বাজারে এলেন। অতঃপর এক বোঝা কাঠ খরিদ করে কাঁধে নিয়ে চলতে শুরু করলেন। অতঃপর যখন লোকেরা তাকে চিনে ফেলল, তখন ব্যবসায়ীরা ব্যবসা ছেড়ে, দোকানদাররা দোকান ছেড়ে, পথিকরা পথ চলা বন্ধ করে তাঁর কাছে ছুটে এলো ও সালাম দিয়ে বলতে লাগল, আমরা আপনার বোঝা বহন করব। তখন তাঁর হাত কেঁপে উঠল, চেহারা লাল হয়ে গেল, দু’চক্ষু বেয়ে অশ্রু ঝরতে লাগল। অতঃপর তিনি বারবার বলতে থাকলেন, আমরা মিসকীন। যদি আল্লাহ আমাদের পাপ ঢেকে না দেন, আমরা অবশ্যই সেদিন

জ্ঞানীদের উপদেশ আমাদের দিক-নির্দেশনা বিস্তারিত পডুন »

গোঁড়ামি পরিহার করুন !

গোঁড়ামি কখনো ধর্মতত্ত্ব নয়, ধর্মে (দ্বীনে) কভু গোঁড়ামী নাই। মানুষ নিজের বুঝের উপরে অটল থাকতে চায়। সে যা ভাল মনে করে তাই করে। তার এই গোঁড়ামি তাকে হক্ব গ্রহণে বাঁধাগ্রস্ত করে। গোঁড়ামি ঈমান-আমল ও দ্বীনের জন্য অনেক ক্ষতিকর। ‘গোঁড়ামি’ (Bigotry, Oorthodoxy, Narrowness) শব্দটি বিশেষ্য পদ, যার আভিধানিক অর্থ- অন্ধবিশ্বাস, একান্ত রক্ষণশীলতা, অপ্রশস্ততা, সংকীর্ণতা প্রভৃতি। পারিভাষিক অর্থে, শরীয়তের মধ্যে কিংবা বাহিরে বিনা দলিলে কোন কথা ও কাজে অন্ধবিশ্বাস রেখে অন্তরে ইলমের সংকীর্ণতা গড়ে তোলাকে গোঁড়ামী বলে। সকলের উচিত গোঁড়ামি ছেড়ে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী

গোঁড়ামি পরিহার করুন ! বিস্তারিত পডুন »

স্বামীকে কষ্ট দিয়ো না

মুমিন স্বামীর অবাধ্য হওয়া কুফরী। স্বামী তার স্ত্রীর পরিচালক এবং অভিভাবক, সে যে কোনো কাজে তাকে আহবান করে সে আহবানে তাকে সাড়া দেয়া আবশ্যক, বিশেষ করে তার জৈবিক চাহিদা পূরণের আহবানে তাকে অবশ্যই সাড়া দিতে হবে। অত্র হাদীস সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। সে যদি চুলায় রুটি তৈরিতেও লিপ্ত থাকে আর সে ছাড়া বিকল্প কোনো লোক না থাকে তবু তা মূলতবী রেখে স্বামীর আহবানে সাড়া দিবে। ইবনুল মালিক বলেন, এ রুটি যদি স্বামীর হয় তবেই এ হুকুম। কারণ স্বামী জানছে যে, সে রুটি তৈরিতে ব্যস্ত, এ সময়

স্বামীকে কষ্ট দিয়ো না বিস্তারিত পডুন »

আল্লাহর পথে দাওয়াত দেওয়ার পদ্ধতি

ইসলামে দাওয়াতের গুরুত্ব অপরিসীম। দুনিয়াতে নবী-রাসূলগণ তাওহীদ তথা আল্লাহর দ্বীনকে সমুন্বত করার জন্য দাওয়াত প্রদান করেছেন। নবী-রাসূলগণ সকল প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে স্ব স্ব কওমের নিকটে তাওহীদের দাওয়াত পৌঁছানোর জন্য যে পথ ও পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন তা সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছা.) বলেন, بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً ِ ‘আমার পক্ষ হতে (মানুষের কাছে) একটি বাক্য হলেও পৌঁছিয়ে দাও’ (মিশকাত হা/১৯৮)আমাদের প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জাহেলী যুগে জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, يَا أَيُّهَا النَّاسُ قُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ تُفْلِحُوْا، ‘হে লোক সকল! তোমরা বল,

আল্লাহর পথে দাওয়াত দেওয়ার পদ্ধতি বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top