মুসলমানদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য

সততা ও ক্ষমাশীলতার বিরল দৃষ্টান্ত

আল্লাহ ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমাশীলতাকে পসন্দ করেন। পৃথিবীতে যারা ক্ষমাশীলতা ও উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। তাদেরই একজন হ’লেন আববাসীয় খলীফা  মুক্তাফী লি-আমরিল্লাহ ও তাঁর পুত্র মুস্তানজিদের সময়ের সফল মন্ত্রী ইবনু হুবায়রাহ। আলোচ্য নিবন্ধে তাঁর মন্ত্রীত্ব লাভের ইতিহাস এবং সততা ও ক্ষমাশীলতার কিছু নমুনা তুলে ধরা হ’ল।- তাঁর পুরো নাম আইনুদ্দীন আবুল মুযাফফর ইয়াহইয়া বিন মুহাম্মাদ বিন সাঈদ হুবায়রাহ আশ-শায়বানী। তিনি বাগদাদের নিকটবর্তী ‘আদ-দূর’ মতান্তরে ‘সাওয়াদ’ গ্রামে ৪৯৯ হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন। অত্যন্ত নিরীহ ও দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন তিনি। তাঁর […]

সততা ও ক্ষমাশীলতার বিরল দৃষ্টান্ত বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রা.)-এর ইসলাম গ্রহণ

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর মদীনায় আগমনের সংবাদ শুনতে পেলেন। এ সময় তিনি নিজের এক বাগানে খেজুর পাড়ছিলেন। অতঃপর নবী (সা.) -এর কাছে এসে বললেন, আমি আপনাকে এমন তিনটি প্রশ্ন করব, যা নবী  ছাড়া আর কেউই জানে না।১. কিয়ামতের সর্বপ্রথম আলামত কি?২. জান্নাতবাসীদের সর্বপ্রথম খাদ্য কি?৩. কিসের কারণে সন্তান (আকৃতিতে) কখনো তার পিতার মতো হয়, আবার কখনো তার মায়ের মতো হয়?নবী (সা.) বললেন, এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জিবরীল আলায়হিস সালাম এইমাত্র আমাকে অবহিত করে গেলেন। কিয়ামতের সর্বপ্রথম আলামাত হলো

দরসে হাদীস : আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রা.)-এর ইসলাম গ্রহণ বিস্তারিত পডুন »

নেতৃত্বের চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়

অজ্ঞ, অক্ষম, যালেম, খেয়ানতকারী, অযোগ্য নেতার নেতৃত্বের চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়। নেতৃত্ব গ্রহণের পূর্বে আল্লাহ তা‘আলাকে যথাযথ ভয় করা উচিৎ। নেতা হয়ে যা ইচ্ছে তাই করার চেয়ে বা যথাযথ দায়িত্ব পালণে অক্ষম হলে এর চেয়ে মৃত্যু কাম্য। কেননা দায়িত্ব যেমন শ্রেষ্ঠ্যত্ব প্রকাশ করে, তেমনি দায়িত্ব সম্পর্কে ছোট বড় সকল হিসেব আল্লাহ বিচার দিবসে গ্রহণ করবেন। নিজের দায়িত্ব নেয়া সহজ, কিন্তু অন্যের দায়িত্ব নেয়া বেশ কঠিন। কেননা আল্লাহ তা‘আলা মানুষের হাতে নেতৃত্বের ক্ষমতা দিয়ে চেয়ে থাকেন বান্দা কী আমলটা করে। অতএব সাবধান! নেতৃত্ব পেয়ে দায়িত্ব যথাসাধ্য পালনে

নেতৃত্বের চেয়ে মৃত্যু শ্রেয় বিস্তারিত পডুন »

অভাবী গভর্ণরের অনুপম দানশীলতা

ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর খেলাফতকাল ছিল ইসলামের ইতিহাসের এক সোনালী অধ্যায়। এ সময় খলীফা ও জনসাধারণের মাঝে ছিল গভীর সম্পর্ক। খলীফা তাদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি খুব বেশী দৃষ্টি রাখতেন। জনসাধারণও তাদের অভাব-অনটন ও দুঃখ-দুর্দশার কথা খলীফাকে বলার সুযোগ পেত। এমনকি সাধারণ মানুষ খলীফার নিকটে তাদের স্থানীয় আমীরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেও কোন ভয় পেত না। ওমর (রাঃ)-এর খেলাফতকালে বিভিন্ন স্থান জয় লাভের ফলে ইসলামী রাষ্ট্রের পরিধি ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছিল।  বিজয়ী অঞ্চল সমূহে গভর্ণর নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতেন। আল­াহভীরু ও যোগ্যতা সম্পন্ন লোকদেরকেই

অভাবী গভর্ণরের অনুপম দানশীলতা বিস্তারিত পডুন »

পবিত্র কুরআন, ইলাহী সংরক্ষণ

আববাসীয় খলীফা মামূনুর রশীদের দরবারে মাঝে মাঝে শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হ’ত। এতে তৎকালীন বিভিন্ন বিষয়ে বিদগ্ধ পন্ডিতগণ অংশগ্রহণ করতেন। একদিন এমনি এক আলোচনা সভায় সুন্দর চেহারাধারী, সুগন্ধযুক্ত উত্তম পোষাক পরিহিত জনৈক ইহুদী পন্ডিত আগমন করলেন এবং অত্যন্ত প্রাঞ্জল, অলংকারপূর্ণ এবং জ্ঞানগর্ভ আলোচনা রাখলেন। বিস্মিত খলীফা সভা শেষে তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি ইহুদী? সে স্বীকার করল। মামূন তাকে বললেন, আপনি যদি মুসলমান হয়ে যান তবে আপনার সাথে উত্তম ব্যবহার করা হবে। তিনি উত্তরে বললেন, পৈত্রিক ধর্ম বিসর্জন দেওয়া আমার পক্ষে

পবিত্র কুরআন, ইলাহী সংরক্ষণ বিস্তারিত পডুন »

উসমান ইব্নু আফ্ফান (রাঃ)-এর খলিফা নির্বাচন ও বায়‘আত

‘আমর ইবনু মায়মূন (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-কে আহত হবার কিছুদিন পূর্বে মদিনা্য় দেখেছি যে তিনি হুযায়ফাহ ইবনু ইয়ামান (রাঃ) ও ‘উসমান ইবনু হুনায়ফ (রহ.)-এর নিকট দাঁড়িয়ে তাঁদেরকে লক্ষ্য করে বলছেন, তোমরা এটা কী করলে? তোমরা এটা কী করলে? তোমরা কি আশঙ্কা করছ যে, তোমরা ইরাক ভূমির উপর যে কর ধার্য করেছ তা বহনে ঐ ভূখন্ড অক্ষম? তারা বললেন, আমরা যে পরিমাণ কর ধার্য করেছি, ঐ ভূ-খন্ড তা বহনে সক্ষম। এতে বাড়তি কোন বোঝা চাপান হয়নি। তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন,

উসমান ইব্নু আফ্ফান (রাঃ)-এর খলিফা নির্বাচন ও বায়‘আত বিস্তারিত পডুন »

বিশ্ব ভালবাসা দিবস: প্রগতির আড়ালে অশ্লীলতার বিজ্ঞাপন

এক নোংরা ও জঘন্য ইতিহাসের স্মৃতিচারণের নাম বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এই দিবস প্রগতির নামে নব আবিষ্কৃত পশ্চিমা অপসাংস্কৃতি। এই ইতিহাসটি অনেক পুরোনো। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যে, যিশু খ্রীষ্ট আগমণের পূর্বে পৌত্তলিকরা দেবতার পূজা করতো এবং দেবতার নামে নানা রকমের আচার অনুষ্টানাদি পালন করতো। অনুষ্টানের কর্মসূচির মধ্যে ছিল যুবতিদের নামে লটারী করা হত। অর্থ্যাৎ লটারিতে যে যুবতির নাম যে যুবকের ভাগ্যে পড়তো, সে যুবক আগামী এক বছর ঐ দিন আসার আগ পর্যন্ত তার সাথে লিভ দুগেদার করবে। ঐদিনকে যুবতি বন্টনের দিনও বলা হতো। ১০ ফেব্রুয়ারি

বিশ্ব ভালবাসা দিবস: প্রগতির আড়ালে অশ্লীলতার বিজ্ঞাপন বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : পিতার ঋণ পুত্র কর্তৃক পরিশোধ

আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উষ্ট্র যুদ্ধের দিন যুবায়র (রাঃ) যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান গ্রহণ করে আমাকে ডাকলেন। আমি তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। তিনি আমাকে বললেন, হে বৎস! আজকের দিন যালিম অথবা মাযলূম ব্যতীত কেউ নিহত হবে না। আমার মনে হয়, আমি আজ মাযলূম হিসেবে নিহত হব। আর আমি আমার ঋণ সম্পর্কে অধিক চিন্তিত। তুমি কি মনে কর যে, আমার ঋণ আদায় করার পর আমার সম্পদের কিছু অবশিষ্ট থাকবে? অতঃপর তিনি বললেন, হে পুত্র! আমার সম্পদ বিক্রয় করে আমার ঋণ পরিশোধ করে দিও। তিনি

দরসে হাদীস : পিতার ঋণ পুত্র কর্তৃক পরিশোধ বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top