সমাজিক ঐক্য ও সংহতি

সালাফী দাওয়াতে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধের পদ্ধতি

সালাফীগণ মাঠে ময়দানে দাওয়াত দেয় তাদের দায়িত্ববোধ থেকে। আর সালাফী আলেম সমাজ সঠিক হক্বটা প্রচার করেন এবং যা সহীহ নয়, তা প্রচার থেকে বিরত থাকেন। কেননা এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, «بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً وَحَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا حَرَجَ وَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ» ‘আমার পক্ষ হতে (মানুষের কাছে) একটি বাক্য হলেও পৌঁছিয়ে দাও। বনী ইসরাঈল হতে শোনা কথা বলতে পারো, এতে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করবে, সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে প্রস্তুত করে নেয় […]

সালাফী দাওয়াতে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধের পদ্ধতি বিস্তারিত পডুন »

কিয়ামতের পূর্বের আলামত

✍️ শায়খ আব্দুল্লাহ শাহেদ আল মাদানী। কিয়ামতের পূর্বে অনেক ফিতনার আবির্ভাব হবে। কিন্তু বর্তমানে এসকল ফিতনা খুব দ্রুতই পেতে চলেছে। ফিতনা শব্দটি বিপদাপদ, বিশৃংখলা, পরীক্ষা করা ইত্যাদি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়ে থাকে। অতঃপর শব্দটি প্রত্যেক অপছন্দনীয় বস্তু ও বিষয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে।নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ‘‘এই উম্মতের প্রথম যুগের মুমিনদেরকে ফিতনা থেকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। আখেরী যামানায় এই উম্মতকে বিভিন্ন ধরণের ফিতনায় ও বিপদে ফেলে পরীক্ষা করা হবে। প্রবৃত্তির অনুসরণ ফির্কাবন্দী এবং দলাদলির কারণে ফিতনার সূচনা হবে। এতে সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্য করা

কিয়ামতের পূর্বের আলামত বিস্তারিত পডুন »

নারীর ফেৎনা

নারীর ফেৎনা মানুষকে বিবেকশূন্য, হিতাহিত জ্ঞান শূন্য, জ্ঞানীকে মূর্খ করে, জ্ঞানীর প্রজ্ঞা কেড়ে নেয়।  বনী ইসরাঈলদের আমলে নারীর ফেৎনার সূচনা হয় এবং এই নারীর ফেৎনার কারণে তাদের মধ্যে মহামারী ব্যাপকভাবে দেখা দেয়। বনী ইসরাঈলদের আমলে এক নারী জনৈক আলেমকে ডেকে যেনায় লিপ্ত হতে বলেন। কিন্তু তিনি তাতে রাজী হোন নাই। তখন নারীটি ছলনা করে ভয় দেখিয়ে বলে, তুমি মদ পান করো অথবা ঐ শিশুটিকে হত্যা করো অথবা আমার সাথে ব্যাভিচারে লিপ্ত হও। আলেম মদ পানে রাজি হলো এবং পান করার সাথে সাথে মতিভ্রম হয়ে শিশুটিকে

নারীর ফেৎনা বিস্তারিত পডুন »

অযথা অন্যের দোষ-ত্রুটি তালাশকারী মুমিন নয়

মানুষের দোষ-ত্রুটি তালাশ করা গর্হিত কাজ। সর্বদা অন্যের নয়, নিজের দোষ-ত্রুটি তালাশ করা উচিৎ। রাসূল (ছাঃ) মানুষের দোষ ও ছিদ্রান্বেষণ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি মানুষকে স্ব-স্ব দোষত্রুটি সংশোধনে আত্মনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেছেন। আল্লাহ্র কাছে যেসব কথাবার্তা-ধ্যানধারণার মূল্য নেই তা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সর্বোপরি মুসলিম ভাইয়ের প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন ও তাদের ছিদ্রান্বেষণকারীর অন্তরে ঈমান থাকে না। আবূ বারযাহ আল-আসলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, يَا مَعْشَرَ مَنْ آمَنَ بِلِسَانِهِ وَلَمْ يَدْخُلِ الإِيمَانُ قَلْبَهُ لاَ تَغْتَابُوا الْمُسْلِمِينَ وَلاَ تَتَّبِعُوا عَوْرَاتِهِمْ فَإِنَّهُ مَنِ اتَّبَعَ عَوْرَاتِهِمْ

অযথা অন্যের দোষ-ত্রুটি তালাশকারী মুমিন নয় বিস্তারিত পডুন »

কুরবানীর গোশত বন্টনের নিয়ম

কুরবানী করা ওয়াজেব নয়; সুন্নাতে মুআক্কাদাহ্। ঠিক অনুরূপ লোক দেখানোর জন্য বেশ কয়েকটি কুরবানী করাও সুন্নাহর পরিপন্থী। যেহেতু হাদীসানুসারে একটি পরিবারের সকলের তরফ হতে কেবল একটি পশুই যথেষ্ট। সাহাবাদের আমলও অনুরূপ ছিল। গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তু’ হল উট, গরু, ছাগল ও ভেড়াকে বুঝানো হয়েছে। এদের উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করার অর্থ, এদের যবেহ করা, যা আল্লাহর নাম নিয়েই করা হয়। আর ‘বিদিত দিনগুলি’ বলতে যবেহর দিনগুলি; অর্থাৎ তাশরীকের দিনসমূহকে বুঝানো হয়েছে। সুতরাং যবেহর দিন হল, কুরবানীর দিন (১০ম যুলহজ্জ) ও তার পরের তিন দিন (১১, ১২ ও

কুরবানীর গোশত বন্টনের নিয়ম বিস্তারিত পডুন »

কোমলতা ও সদাচরণ

সদাচরণ মানব চরিত্রের এক অমূল্য অর্জন। সদাচরণ এমন একটি গুণ যাতে লুকিয়ে আছে ধৈর্য, বিনয়-নম্রতা, আত্মীয়তার সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখা, প্রতিবেশীর অধিকার রক্ষা, পরিবার, প্রতিষ্ঠান ও সমাজ চালানোর যোগ্যতা, সর্বোপরি আত্মিক মযবুতির বড় উপকরণ। রাসূল (ছাঃ) বলেন,إِنَّ اللهَ رَفِيقٌ يُحِبُّ الرِّفْقَ وَيُعْطِى عَلَى الرِّفْقِ مَا لاَ يُعْطِى عَلَى الْعُنْفِ وَمَا لاَ يُعْطِى عَلَى مَا سِوَاهُ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোমল। তিনি কোমলতাকে ভালবাসেন। কোমলতার উপর তিনি যা দেন, কঠোরতা ও অন্য জিনিসের উপর তা দেন না’।[মুসলিম হা/২৫৯৩] আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন,  এক বেদুঈন মসজিদের ভিতর প্রস্রাব করে দিলে

কোমলতা ও সদাচরণ বিস্তারিত পডুন »

ক্ষুধার্তকে না খাওয়ানোর শাস্তি

দুনিয়াতে জীবনোপকরণের স্বাচ্ছন্দ সৎ ও আল্লাহর প্ৰিয়পাত্র হওয়ার আলামত নয়। পক্ষান্তরে অভাব-অনটন ও দারিদ্রতা কারু জন্য প্রত্যাখ্যাত ও লাঞ্ছিত হওয়ার দলীল নয়। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যাপার সম্পূর্ণ উল্টো হয়ে থাকে। সীরাতুন নাবী অধ্যায়ন করলে অবগত হওয়া যায় যে, কোন কোন নবী-রাসূলগণ জীবন-যাপনে কঠিন ক্ষুধা ও দুঃখ-কষ্ট ভোগ করেছেন। আবার কোনও কোনও আল্লাহদ্রোহী আরাম-আয়েশে জীবন অতিবাহিত করে দিয়েছেন। [ইবন কাসীর] অতএব, ধন-সম্পদ যেমন বান্দার জন্য পরীক্ষা। অনুরূপ অভাব-অনটন ও দারিদ্রতাও বান্দার জন্য পরীক্ষা মাত্র। রাসূল (ছা.) পেট ভর্তি করে খেতেন না। অনাহার অর্ধাহারে জীভন-যাপন করতেন। আয়িশাহ্

ক্ষুধার্তকে না খাওয়ানোর শাস্তি বিস্তারিত পডুন »

গীবত থেকে নিজেকে রক্ষা করুন !

গীবত অর্থ হ’ল পরচর্চা, দোষচর্চা, পরনিন্দা এবং তোহমত অর্থ হ’ল মিথ্যা অপবাদ আরোপ করা। এ বিষয় দুটির কারণে সমাজে নানা বিশৃঙ্ক্ষলা সৃষ্টির হয়। অথচ উভয়টিই কবীরা গোনাহ ও বান্দার সাথে সংশ্লিষ্ট। বান্দা ক্ষমা না করলে আল্লাহ এ গোনাহ মাফ করবেন না। কারণ এর মাধ্যমে মানুষের ইয্যত-সম্মান নষ্ট হয়, তার হক্ব বিনষ্ট হয়। অনেকে দোষচর্চা করে মনে করেন তিনি সঠিক কথাইতো বলেছেন। সুতরাং তার দোষের হবে কেন? অথচ কারো মধ্যে থাকা দোষ-ত্রুটি তার অবর্তমানে আলোচনা করাই গীবত। গীবত বা দোষচর্চা থেকে আল্লাহ নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন,وَلَا

গীবত থেকে নিজেকে রক্ষা করুন ! বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top