ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে আখেরাত বিশ্বাসের ফলাফল

 — প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব মুহতারাম আমীর, আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَا لِي وَلِلدُّنْيَا؟ وَمَا أَنَا وَالدُّنْيَا إِلَّا كَرَاكِبٍ اسْتَظَلَّ تَحْتَ شَجَرَةٍ، ثُمَّ رَاحَ وَتَرَكَهَا- হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘দুনিয়ায় আমার কি? আমি ও দুনিয়া তো একজন পথিকের মত। যে একটি গাছের ছায়া তলে বসে আছে। ছায়া চলে যাবে এবং তাকে ছেড়ে যাবে’।[1] এর দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, দুনিয়া ও আখেরাতের তুলনা সেতুর এ প্রান্ত ও […]

ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে আখেরাত বিশ্বাসের ফলাফল বিস্তারিত পডুন »

নারীর তিনটি ভূমিকা (৩য় কিস্তি)

— লিলবর আল-বারাদী ৯. সন্তানের দো‘আ পিতা-মাতার নাজাতের অসীলা : আল্লাহর ইবাদত যেমন বান্দার উপর অপরিহার্য, পিতা-মাতার সেবাও তেমনি সন্তানের উপর অপরিহার্য। পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার ও দো‘আ করার জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, وَقَضَى رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِنْدَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُلْ لَهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُلْ لَهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا- وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُلْ رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا – رَبُّكُمْ أَعْلَمُ بِمَا فِي نُفُوسِكُمْ إِنْ تَكُونُوا صَالِحِينَ فَإِنَّهُ كَانَ لِلْأَوَّابِينَ غَفُورًا ‘আর

নারীর তিনটি ভূমিকা (৩য় কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

চেতনার সংঘাত (সম্পাদকীয়, জানুয়ারী ২০২১)

-প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব ————————————————–  তাওহীদের সাথে শিরকের সম্পর্ক যেমন ওযূর সাথে বায়ু নিঃসরণের সম্পর্ক। তাওহীদ থাকলে শিরক থাকবেনা, শিরক থাকলে তাওহীদ থাকবেনা। দু’টির মাঝে আপোষের কোন সুযোগ নেই। তাওহীদের চেতনা হ’ল সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর দাসত্বের অধীনে সকল মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা। আর শিরকের চেতনা হ’ল সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সাথে সৃষ্টির দাসত্ব করা। যেখানে শরীক হয় মুখ্য এবং আল্লাহ হন গৌণ। যেমন মক্কার মুশরিকরা কা‘বাগৃহ ত্বাওয়াফ করার সময় বলত, লাববাইকা লা শারীকা লাকা, ইল্লা শারীকান হুয়া লাক; তামলিকুহু ওয়া মা মালাক’ (আমি হাযির; তোমার কোন শরীক নেই, কেবল

চেতনার সংঘাত (সম্পাদকীয়, জানুয়ারী ২০২১) বিস্তারিত পডুন »

যে সমস্ত ব্যাপারে গীবত করা জায়েয

গীবত করা সাধারণভাবে হারাম হলেও কিছু ক্ষেত্রে গীবত করা কোন সময় জায়েয, আবার কোন সময় ওয়াজিবও হয়ে যায়। ১। মাযলুম ব্যক্তির জন্য গীবত করা জায়েয : এটা কুরআন মাজীদের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, “ কারো ব্যাপারে কোন খারাপ কথা প্রকাশ করা মহান আল্লাহ পছন্দ করেন না, তবে যে নির্যাতিত তাঁর কথা ভিন্ন। আর আল্লাহ তা‘আলা সব কিছুই শুনেন ও সব কিছুই জানেন ” (সুরা নিসা, আয়াত-১৪৮) ২। পরিচয় দানকারী : অনেক সময় কোন ব্যক্তির পরিচয় দিতে গিয়ে বাধ্য হয়ে তাঁর দোষ-গুণ

যে সমস্ত ব্যাপারে গীবত করা জায়েয বিস্তারিত পডুন »

নারীর তিনটি ভূমিকা (০২)

— লিলবর আল-বারাদী  ইসলামে কন্যা সন্তানের মর্যাদা : প্রাক-ইসলামী যুগে আরবে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করলে অসম্মানের মনে করা হতো এবং অকল্যাণ মনে করে জীবিত প্রোথিত করা হতো। অথচ ইসলাম এসে দুনিয়ার বুকে অবহেলিত নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করলেন। কন্যা সন্তান জাহান্নামের অন্তরাল এবং জান্নাতে যাওয়ার অসীলা বা মাধ্যম। অথচ পুত্র সন্তানের ক্ষেত্রে এমন মর্যাদার কথা ইসলাম বলা হয়নি। ক. কন্যা সন্তান জাহান্নামের অন্তরায় : কন্যা সন্তানের মাধ্যমে পিতামাতা জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাবেন। কন্যা সন্তান জাহান্নামের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে যদি সেই পিতামাতা তাদের কন্যাদের সাথে সদ্ব্যবহার করে

নারীর তিনটি ভূমিকা (০২) বিস্তারিত পডুন »

নারীর তিনটি ভূমিকা (পর্ব : ০১)

 দুনিয়াতে আল্লাহ্ তা‘আলা পুরুষ ও নারী জাতিকে আলাদাভাবে সৃষ্টি করেছেন। আবার নারী জাতির মধ্যে সাধারণত তিনটি ভূমিকা বিরাজমান। যথা- কন্যা, স্ত্রী ও মা। একজন সুশিক্ষিতা কন্যা সন্তান থেকে যেমন আদর্শবতী ও গুণবতী স্ত্রী হয়, তেমনি সময়ের প্রেক্ষাপটে সে মায়ের ভূমিকায় রূপান্তরিত হয়। ইসলাম নারী জাতির এই তিনটি ভূমিকাকে অতীব গুরুত্বের সাথে দেখেছে। ইসলামী সমাজে নারী জাতি বলতে কন্যা, বোন, স্ত্রী, মা, খালা, ফুফু, দাসী ইত্যাদি বুঝায়। কিন্তু মৌলিকভাবে তারা তিনটি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। আর এই তিন ভূমিকাকে আলাদাভাবে ইসলামে সম্মানিত করা হয়েছে। ‘একজন নারী যখন

নারীর তিনটি ভূমিকা (পর্ব : ০১) বিস্তারিত পডুন »

করোনা ভাইরাস ও মহামারী সম্পর্কে ইসলামী বিধি-বিধান

 — লিলবর আল-বারাদী ভুমিকা :  মুমিন ব্যক্তির জন্য করোনা ভাইরাস ঈমানী পরীক্ষা স্বরূপ। যার যেমন মজবুত ঈমান, ঠিক তার তেমন কঠিন পরীক্ষা। এসম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, জান-মালের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও ছবরকারীদেরকে। যখন তারা বিপদে পতিত হয় তখন বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর দিকেই আমরা প্রত্যাবর্তনকারী’ (বাক্বারাহ ২/১৫৩-১৫৬)। তবে যে কোন মুছিবতে ভীতু না হয়ে ছবর করা সর্বোত্তম যুক্তিযুক্ত। আর মুসলিম বান্দার কোন ভয় থাকে না। এই মর্মে আবু হুরায়রা (রাঃ)

করোনা ভাইরাস ও মহামারী সম্পর্কে ইসলামী বিধি-বিধান বিস্তারিত পডুন »

জামা‘আতবদ্ধ জীবন-যাপনের সুফল (শেষ পর্ব)

১২. ফেৎনা ও অকল্যাণ থেকে বেঁচে থাকা :  ফেৎনা ও অকল্যাণ কোন মানুষের কাম্য নয়। কিন্তু আমরা নিজেরাই অকল্যাণ ও মন্দ কামনা করি। এ বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,  إِنَّ اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّى يُغَيِّرُوا مَا بِأَنْفُسِهِمْ وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلَا مَرَدَّ لَهُ وَمَا لَهُمْ مِنْ دُونِهِ مِنْ وَالٍ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোন জাতির অবস্থার পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা নিজেরা পরিবর্তন করে। আর আল্লাহ যখন কোন জাতির প্রতি মন্দ কিছু ইচ্ছা করেন, তখন তাকে রদ করার কেউ নেই। আর আল্লাহ

জামা‘আতবদ্ধ জীবন-যাপনের সুফল (শেষ পর্ব) বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top