’আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা নবী (সা.) -এর নিকট বসা ছিলাম।
(১) তখন তিনি (সা.) নানাবিধ ফিতনাহ্ সম্পর্কে আলোচনা করলেন, এমনকি ’ফিতনায়ে আহলাস’-এরও উল্লেখ করলেন। জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, ’ফিতনায়ে আহলাস’ কি? তিনি (সা.) বললেন, তাতে পলায়নপর হবে (পরস্পরের মধ্যে শত্রুতার দরুন একে অন্য থেকে পলায়ন করবে) এবং ছিনতাই হবে।
(২) অতঃপর দেখা দেবে ’ফিতনাতুস্ সারা’ (ধনের প্রাচুর্যের বিলাসিতায় লিপ্ত হয়ে হওয়ার ফিতনাহ্), উক্ত ফিতনার ধোঁয়া আমার পরিবারস্থ এক ব্যক্তির পায়ের নিচ হতে উৎপত্তি লাভ করবে। সে আমার বংশের লোক বলে দাবি করবে, অথচ প্রকৃতপক্ষে সে আমার আপনজনদের মধ্যে হবে না। মূলত পরহেজগার লোকই হলেন আমার বন্ধু।
(৩) অতঃপর লোকেরা এমন ব্যক্তির ওপর ক্ষমতা হস্তান্তরে একমত হবে, যে পাঁজরের হাড়ের উপর নিতম্বের মতো হবে (অনভিজ্ঞ ও অযোগ্য ব্যক্তিই হবে তাদের অধিনায়ক)।
(৪) তারপর শুরু হবে অন্ধকারাচ্ছন্ন ফিতনাহ্ তা কাউকেও ছাড়বে না, বরং প্রত্যেক ব্যক্তিকে এক একটি চপেটাঘাত লাগাবেই (অর্থাৎ ফিতনার শিকার হয়ে পড়বে)।
(৫) আর যখন বলা হবে ফিতনার পরিসমাপ্তি ঘটেছে, তখন তা এত প্রসারিত হবে যে, মানুষ ভোরে ঈমানদার হয়ে উঠবে, কিন্তু সন্ধ্যায় সে কাফির হয়ে যাবে।
(৬) পরিশেষে সকল মানুষ দুটি তাবুতে (দলে) বিভক্ত হয়ে যাবে। এক দল হবে ঈমানের, এখানে মুনাফিকী থাকবে না। আর অপর দল হবে মুনাফিক্বীর, যার মধ্যে ঈমান থাকবে না। যখন অবস্থা এ সীমায় পৌছবে, তখন তোমরা দাজ্জালের আগমনের প্রতীক্ষা কর, সে ঐ দিনই অথবা পরের দিন আবির্ভূত হবে। (আবূ দাউদ)।
ছহীহ : আবূ দাউদ হা/৪২৪৩, সিলসিলাতুস সহীহাহ হা/৯৭২, মুসনাদে আহমাদ হা/৬১৬৮, মিশকাত হা/৫৪০৩।