দরসে কুরআন

দরসে কুরআন : আল্লাহর অলী যারা

আল্লাহু তা‘আলা বলেন, الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ کَانُوۡا یَتَّقُوۡنَ – اَلَاۤ اِنَّ اَوۡلِیَآءَ اللّٰهِ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡهِمۡ وَ لَا هُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ ‘শুনে রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহর বন্ধুদের কোন ভয় নেই, আর তারা পেরেশানও হবে না। তারা হচ্ছে সেই সকল লোক যারা ঈমান এনেছে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করে থাকে (ইউনুস ১০/৬২-৬৩)। আলোচ্য আয়াতসমূহে আল্লাহর অলীদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য, তাদের প্রশংসা ও পরিচয় বর্ণনার সাথে সাথে তাদের প্রতি আখেরাতের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে- যারা আল্লাহর অলী তাদের না থাকবে কোন অপছন্দনীয় বিষয়ের সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা, আর না থাকবে কোন […]

দরসে কুরআন : আল্লাহর অলী যারা বিস্তারিত পডুন »

সূরা তাকাছুরের মৌলিক শিক্ষা

সূরা তাকাছুর বা অধিক পাওয়ার আকাংখা।أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ- حَتَّى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ- كَلاَّ سَوْفَ تَعْلَمُونَ- ثُمَّ كَلاَّ سَوْفَ تَعْلَمُونَ- كَلاَّ لَوْ تَعْلَمُونَ عِلْمَ الْيَقِينِ- لَتَرَوُنَّ الْجَحِيمَ- ثُمَّ لَتَرَوُنَّهَا عَيْنَ الْيَقِينِ- ثُمَّ لَتُسْأَلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيمِ-অনুবাদ : (১) অধিক পাওয়ার আকাংখা তোমাদের (পরকাল থেকে) গাফেল রাখে, (২) যতক্ষণ না তোমরা কবরে উপনীত হও। (৩) কখনই না। শীঘ্র তোমরা জানতে পারবে। (৪) অতঃপর কখনই না। শীঘ্র তোমরা জানতে পারবে (৫) কখনই না। যদি তোমরা নিশ্চিত জ্ঞান রাখতে (তাহ’লে কখনো তোমরা পরকাল থেকে গাফেল হ’তে না)। (৬) তোমরা অবশ্যই জাহান্নাম

সূরা তাকাছুরের মৌলিক শিক্ষা বিস্তারিত পডুন »

সূরা আছরের মৌলিক শিক্ষা

অধিকাংশ মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, وَالْعَصْرِ. إِنَّ الْإِنْسَانَ لَفِي خُسْرٍ. ‘কালের শপথ! নিশ্চয়ই সকল মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে’ (আছর ১০৩/১-২)। আল্লাহ তা‘আলা কালের শপথ এই জন্য বলেছেন যে, মানুষের কৃতকর্মের সময়কাল অতীব স্বল্প পরিসরে। আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত যতটুকু সময় ঠিক ততটুকু সময় মানুষের জীবনে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতকাল সম্পর্কিত যা বান্দার ভাল-মন্দ সকল কর্মই শামিল হবে।তাছাড়া আছরের ওয়াক্ত হ’তে কুরায়েশ নেতারা ‘দারুন নাদওয়াতে’ পরামর্শসভায় বসত এবং বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে ভাল-মন্দ সিদ্ধান্ত

সূরা আছরের মৌলিক শিক্ষা বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : ধনাঢ্যতা ও দরিদ্রতা বান্দার জন্য পরীক্ষা

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ قَطَّعۡنٰهُمۡ فِی الۡاَرۡضِ اُمَمًا ۚ مِنۡهُمُ الصّٰلِحُوۡنَ وَ مِنۡهُمۡ دُوۡنَ ذٰلِکَ ۫ وَ بَلَوۡنٰهُمۡ بِالۡحَسَنٰتِ وَ السَّیِّاٰتِ لَعَلَّهُمۡ یَرۡجِعُوۡنَ ‘আর যমীনে আমি তাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতিতে। তাদের কেউ নেককার আর কেউ অন্যরূপ এবং আমি তাদেরকে পরীক্ষা করেছি ভাল ও মন্দ দ্বারা, হয়তো তারা ফিরে আসবে’ (আরাফ ৭/১৬৮)।.ব্যাখ্যা : আয়াতের শেষাংশে বলা হয়েছে, ‘আমি ভাল-মন্দ অবস্থার দ্বারা তাদের পরীক্ষা করেছি যেন তারা নিজেদের গহিত আচার-আচরণ থেকে ফিরে আসে।’ ‘ভাল অবস্থার দ্বারা’-এর অর্থ হল এই যে, তাদেরকে ধন-সম্পদের প্রাচুর্য ও ভোগবিলাসের উপকরণ

দরসে কুরআন : ধনাঢ্যতা ও দরিদ্রতা বান্দার জন্য পরীক্ষা বিস্তারিত পডুন »

গালমন্দ ও উপহাসকারী ব্যক্তি ফাসিক্ব

ফাসিক (فاسق‎‎) একটি আরবী শব্দ, যার দ্বারা শারঈ বিধান লঙ্ঘিত হয়। তাছাড়া ইসলামী আইন ভঙ্গকারী ব্যক্তিকে বোঝানো হয়। একজন ফাসিক ব্যক্তিকে অবিশ্বাসযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ইসলামিক আদালতে একজন ফাসিক ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় না। গালমন্দ করা : একজন মুসলিম ভাইকে গাল দেওয়াকে ফাসেকী বলা হয়েছে। আর ফাসেকী হলো আল্লাহর আনুগত্য থেকে বের হয়ে যাওয়া। আর যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইকে হত্যা করে সে অবশ্যই কাফির হয়ে যাবে এবং মুসলিম হওয়া থেকে বের হয়ে যাবে যদি সে হত্যা করাকে বৈধ বলে বিশ্বাস করে। আর যদি কোন

গালমন্দ ও উপহাসকারী ব্যক্তি ফাসিক্ব বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : ইলাহী গযব নাযিলের বিধি, কারণ ও করণীয়

—- প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব —– ظَهَرَ الْفَسَادُ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِي النَّاسِ لِيُذِيقَهُم بَعْضَ الَّذِي عَمِلُوا لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ- অনুবাদ: ‘স্থলে ও জলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের কৃতকর্মের দরুন। এর দ্বারা আল্লাহ তাদের কিছু কিছু কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা (সরল পথে) ফিরে আসে’ (রূম ৩০/৪১)। সূরা রূম মাক্কী সূরা। আলোচ্য আয়াতটিও মক্কাতে নাযিল হয়েছে। বর্ণনাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যেন ঐ সময়েই কেবল সারা পৃথিবীতে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছিল। যেজন্য কুরআন নাযিল করে মানুষকে ছিরাতে মুস্তাক্বীমের দিকে আহবান জানানো হয়েছে। বিষয়টি মূলতঃ

দরসে কুরআন : ইলাহী গযব নাযিলের বিধি, কারণ ও করণীয় বিস্তারিত পডুন »

মুছীবতে মৃত্যু কামনা করার বিধান

মৃত্যু নিশ্চিত হবে। আর বান্দা যদি দু’টি শর্ত পূরণ করে তবেই জান্নাত অবধারিত হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘’প্রতিটি প্রাণ মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে, তারপর আমার কাছেই তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। আর যারা ঈমান আনে ও সৎ কর্ম করে, তাদেরকে অবশ্যই আমি জান্নাতে কক্ষ বানিয়ে দেব, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত হবে, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। কতইনা উত্তম আমলকারীদের প্রতিদান!’’ (আনকাবূত ২৯/৫৭-৫৮) বালা মুছীবত জীবনে আছে বলেই মানুষ সঠিক উপলব্ধি করতে শেখে। কিংবা মানুষ পথ ভুলে গেলে আল্লাহ তা‘আলা সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য বালা মুছীবত বান্দার

মুছীবতে মৃত্যু কামনা করার বিধান বিস্তারিত পডুন »

সাংগঠনিক বায়‘আত নিয়ে কিছু কথা

সংগঠন হারাম বলার পরে এখন আবার বায়‘আত হারাম মনে করছেন…… ‘বায়‘আত’ শব্দের শরীয়াতের পরিভাষায় অর্থ হলো: আনুগত্যের অঙ্গীকার করা, কথা পালন করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়া, দ্বীনের নির্দেশ যথাযথ প্রতিপালনে শপথ করা। রূহ জগতে প্রথম বায়‘আত :আল্লাহ নিজেই রূহ জগতে বান্দার নিকট থেকে বায়‘আত গ্রহণ করেছেন। আল্লাহ বলেন, وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِيْ آدَمَ مِنْ ظُهُوْرِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَأَشْهَدَهُمْ عَلَى أَنْفُسِهِمْ أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالُوْا بَلَى شَهِدْنَا أَنْ تَقُوْلُوْا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّا كُنَّا عَنْ هَذَا غَافِلِيْنَ ‘হে নবী! যখন তোমার প্রতিপালক বনী আদমের পৃষ্ঠদেশ হ’তে তাদের সন্তানদেরকে বের

সাংগঠনিক বায়‘আত নিয়ে কিছু কথা বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top