দরসে হাদীছ/হাদীস

দ্বীনী ইলমে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

‘আক্বীদাহ ও দ্বীনী বিষয়ের ‘ইলম ছাড়াই সংস্কৃতি, সাংবাদিকতা ও রাজনৈতিক কাজ-কর্মে লিপ্ত হওয়ার দ্বারা ব্যক্তির কোনো উপকার হয় না। বরং অহেতুক কাজে সময় অপচয় করা হয় মাত্র। সে হক্ব ও বাতিলের মাঝে পার্থক্য নিরূপণ করতে পারে না। অনেক ‘আক্বীদাহ জ্ঞানহীন ব্যক্তি এসকল কাজে লিপ্ত হয়ে নিজে পথভ্রষ্ট হয় এবং অন্যকেও পথভ্রষ্ট করে। তাদের নিকট সুস্পষ্ট কোনো ‘ইলম না থাকার কারণে তারা মানুষকে সংশয়ে ফেলে দেয়। এটা বিশেষ করে রাজনৈতিক আন্দোলনকারী দলবাদীরা যারা তাদের আলোচনা, বক্তৃতায়, বাণী ও লিখনিতে বিভিন্ন মুসলিম সমাজে রাজনৈতিক গোলযোগ সৃষ্টি করে। […]

দ্বীনী ইলমে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিস্তারিত পডুন »

কিয়ামতের পূর্বে ফিৎনা

’আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা নবী (সা.) -এর নিকট বসা ছিলাম। (১) তখন তিনি (সা.) নানাবিধ ফিতনাহ্ সম্পর্কে আলোচনা করলেন, এমনকি ’ফিতনায়ে আহলাস’-এরও উল্লেখ করলেন। জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, ’ফিতনায়ে আহলাস’ কি? তিনি (সা.) বললেন, তাতে পলায়নপর হবে (পরস্পরের মধ্যে শত্রুতার দরুন একে অন্য থেকে পলায়ন করবে) এবং ছিনতাই হবে। (২) অতঃপর দেখা দেবে ’ফিতনাতুস্ সারা’ (ধনের প্রাচুর্যের বিলাসিতায় লিপ্ত হয়ে হওয়ার ফিতনাহ্), উক্ত ফিতনার ধোঁয়া আমার পরিবারস্থ এক ব্যক্তির পায়ের নিচ হতে উৎপত্তি লাভ করবে। সে আমার বংশের লোক

কিয়ামতের পূর্বে ফিৎনা বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীছ : আখিরাতে আল্লাহর বিচার ফয়সালা

আল্লাহ তা‘আলা যখন বিচারের মাঠে বান্দার আমলের বিচার করবেন, তখন তিনি এই নিয়াতের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিচার কার্য পরিচালনা করবেন। কেননা ইহা এমন একটি অদৃশ্য বিষয় যা কেবল কোন ব্যক্তির ক্বলব বা অন্তরের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে। মানুষ যেমন ইচ্ছা করবে তার প্রতিদানও অনুরূপ হবে। আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে কতিপয় সাহাবী তাঁকে বলেছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! কিয়ামত দিবসে আমরা কি আমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাব? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি আরো বললেনঃ দুপূরে মেঘমুক্ত

দরসে হাদীছ : আখিরাতে আল্লাহর বিচার ফয়সালা বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : সর্বশেষ জান্নাতি ব্যক্তি

তাওহীদের ঘোষনাকারী ও সিজদাকারী ব্যক্তি যে আল্লাহ্র সন্মূখে নিজেই নিজের সুপারিশ করবে এবং সবার শেষে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, ছাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা কি ক্বিয়ামতের দিন আমাদের রবকে দেখতে পাব? তিনি বললেন, ‘মেঘমুক্ত পূর্ণিমার রাতের চাঁদকে দেখার ব্যাপারে তোমরা কি সন্দেহ পোষণ করো?’ তাঁরা বললেন, না ইয়া রাসূলুল্লাহ! তিনি বললেন, ‘মেঘমুক্ত আকাশে সূর্য দেখার ব্যাপারে কি তোমাদের কোন সন্দেহ আছে?’ সবাই বললেন, না। তখন তিনি বললেন, ‘নিঃসন্দেহে তোমাদেরকে আল্লাহ্ তা‘আলা বলবেন, যে যার উপাসনা করত সে যেন

দরসে হাদীস : সর্বশেষ জান্নাতি ব্যক্তি বিস্তারিত পডুন »

আল্লাহর প্রিয় বান্দা হও, আল্লাহ তোমার হয়ে যাবে

 আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রিয় বান্দার সাথে কীরূপ ব্যবহার করেন সে সম্পর্কে বান্দার গুণাবলী ও তাঁর ভালবাসার রূপরেখা তুলে ধরেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোন প্রিয় বান্দার সাথে দুশমনী করল, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিলাম। আমি যেসব বিষয় ফরয করেছি, তার মাধ্যমে আমার নৈকট্য অনুসন্ধানের চাইতে প্রিয়তর অন্য কিছু আমার কাছে নেই। বান্দা বিভিন্ন নফল ইবাদতের মাধ্যমে সর্বদা আমার নৈকট্য হাছিলের চেষ্টায় থাকে, যতক্ষণ না আমি তাকে ভালবাসি। অতঃপর যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমিই তার কান হয়ে যাই

আল্লাহর প্রিয় বান্দা হও, আল্লাহ তোমার হয়ে যাবে বিস্তারিত পডুন »

একদা স্বপ্নের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাঁধে আল্লাহ স্বয়ং তাঁর হাত রাখেন

মু’আয ইবনু জাবাল (রাযিঃ) বলেন, একদিন প্রত্যুষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাথে ফজরের নামায আদায় করতে আসতে বাধাপ্রাপ্ত হন। এমনকি আমরা সূর্য উদিত হয়ে যাওয়ার আশংকা করলাম। তিনি তাড়াতাড়ি বের হয়ে এলে সালাতের জন্য ইকামাত দেয়া হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংক্ষেপে সালাত আদায় করলেন। তিনি সালাম ফিরানোর পর উচ্চস্বরে আমাদেরকে ডেকে বললেনঃ তোমরা যেভাবে সারিবদ্ধ অবস্থায় আছ সেভাবেই থাক। তারপর তিনি আমাদের দিকে ফিরে বসলেন অতঃপর বললেনঃ সকালে তোমাদের নিকট আসতে আমাকে কিসে বাধাগ্রস্ত করেছে তা এখনই তোমাদেরকে বলছি। আমি রাত্রে উঠে উযূ

একদা স্বপ্নের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাঁধে আল্লাহ স্বয়ং তাঁর হাত রাখেন বিস্তারিত পডুন »

যিকিরকারী ব্যক্তিদের নিয়ে আল্লাহর আলোচনা

আল্লাহ তায়ালার স্মরণে কিছু সময় ব্যয় করুন! হাদীছটি পাঠ করলে মনে হয় আমি সেই শেষের বঞ্চিত ব্যক্তিটি নই তো (?) তবুও আল্লাহ কত মহান ও পরম দয়ালু। আবূ হুরাইরাহ অথবা আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষের আমলনামা লিপিবদ্ধকারী ফেরেশতাগণ ছাড়া আল্লাহ তা’আলার আরও কিছু ফেরেশতা আছেন যারা দুনিয়াতে ঘুরে বেড়ান। তারা আল্লাহ তা’আলার যিকরেরত ব্যক্তিদের পেয়ে গেলে একে অন্যকে ডেকে বলেন, নিজেদের উদ্দেশে তোমরা এদিকে চলে এসো। অতএব তারা সেদিকে ছুটে আসেন এবং যিকরেরত লোকদের পৃথিবীর

যিকিরকারী ব্যক্তিদের নিয়ে আল্লাহর আলোচনা বিস্তারিত পডুন »

উপকার ভোগীদের প্রতি উপকারকারীর স্মৃতিচারণ

দুনিয়াতে উপকারকারীর প্রতি সদা কৃতজ্ঞতাবোধ রাখা উচিৎ। উসমান (রাঃ)-এর মত উপকারী ব্যক্তির অবশেষে যে পরিণতি হয়েছিল তা ইসলামের ইতিহাসকে কলংকিত করে। এ কৃতঘ্ন জাতির তবুও শিক্ষা গ্রহণ করেনি সেদিন। তাই সেদিন তিনি জনতার সামনে আফসোস করে কিছু স্মৃতিচারণ করেন সবার সামনে। যাতে করে জাতি অনুধাবন করে যে উসমান (রাঃ)-কে ছিলেন? সেই স্মৃতিচারণ গুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো- আবু সালামা বিন আবদুর রহমান বলেন, উসমান (রাঃ) যখন অবরুদ্ধ, তখন প্রাসাদ থেকে নিচের দিকে তাকালেন। তারপর বললেন, আমি আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করি, হেরার দিনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি

উপকার ভোগীদের প্রতি উপকারকারীর স্মৃতিচারণ বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top