দুনিয়া ও আখিরাত/ আখেরাত

দরসে হাদীস : কা’ব ইবনু মালেক (রাঃ)-এর তাওবাহ

কা’ব ইবনু মালেকের পুত্র আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, এই আব্দুল্লাহ কা’ব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর ছেলেদের মধ্যে তাঁর পরিচালক ছিলেন, যখন তিনি অন্ধ হয়ে যান। তিনি (আব্দুল্লাহ) বলেন, আমি (আমার পিতা) কা’ব ইবনু মালেককে ঐ ঘটনা বর্ণনা করতে শুনেছি, যখন তিনি তাবূকের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে থেকে যান। তিনি বলেন, ’আমি তাবূক যুদ্ধ ছাড়া যে যুদ্ধই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছেন তাতে কখনোই তাঁর পিছনে থাকিনি। অবশ্য বদরের যুদ্ধ থেকে আমি পিছনে রয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু বদরের যুদ্ধে যে অংশগ্রহণ করেনি, তাকে ভৎর্সনা করা হয়নি। আসল ব্যাপার […]

দরসে হাদীস : কা’ব ইবনু মালেক (রাঃ)-এর তাওবাহ বিস্তারিত পডুন »

ছালাতে গুণাহ ক্ষমা হয়

সালাত আল্লাহর পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ্য ইবাদত। ছালাত আদায়ের সময় আল্লাহ তা‘আলা বান্দার গুণাহ ক্ষমা করে থাকেন। মূলত সারা ছালাতই দোআ। আর দোআর মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করে ক্ষমার প্রত্যাশা করে মুছল্লী। তিন স্থানে ক্ষমা হয় মূলত। যথা- আমীন বলার সময় : ইমাম, মুছল্লী ও ফেরেশতাদের আমীন একত্রে হলে বান্দার গুণাহ ক্ষমা করা হয়। আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, إِذَا أَمَّنَ الإِمَامُ فَأَمِّنُوا فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ. ‘ইমাম যখন আমীন বলেন, তখন তোমরাও আমীন বলো। কেননা

ছালাতে গুণাহ ক্ষমা হয় বিস্তারিত পডুন »

ছালাতে ক্ষমা চাওয়ার স্থান

যার আমল নামায় সবচেয়ে বেশী ইস্তেগফার যোগ হবে, কেবল সেই ব্যক্তিই দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হবেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দিনে রাতে ৭০ বার, অন্যত্র বলেন, ১০০ বার ক্ষমা প্রার্থনা করবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, وَاللهِ إِنِّيْ لَأَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ فِي الْيَوْمِ أَكْثَرَ مِنْ سبعيْنَ مرَّةً. ‘আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই আমি দিনে সত্তর বারেরও বেশী আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই এবং তাঁর নিকট তওবা করি’ (বুখারী, মিশকাত হা/২৩২৩)। অন্যত্র এসেছে, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, تُوْبُوْا إِلَى اللهِ فَإِنِّيْ أَتُوْبُ إِلَيْهِ فِى الْيَوْمِ مِائَةَ مَرَّةٍ- ‘তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর। কেননা

ছালাতে ক্ষমা চাওয়ার স্থান বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীছ : দান-ছাদাক্বাহ কখনও বিফলে যায় না

দান-ছাদাক্বাহ আল্লাহর ক্রোধকে নিভিয়ে দেয়। স্বচ্ছল-অস্বচ্ছল সর্বাবস্থায় কম-বেশী দান-ছাদাক্বাহ করা উচিৎ। আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «قال رجل لأَتَصَدَّقَنَّ بصدقة، فخرج بصدقته فوضعها في يد سارق، فأصبحوا يتحدثون: تُصُدِّقَ على سارق! فقال: اللهم لك الحمد لأَتَصَدَّقَنَّ بصدقة، فخرج بصدقته فوضعها في يد زانية؛ فأصبحوا يتحدثون: تُصُدِّقَ الليلة على زانية! فقال: اللهم لك الحمد على زانية! لأَتَصَدَّقَنَّ بصدقة، فخرج بصدقته فوضعها في يد غني، فأصبحوا يتحدثون: تُصُدِّقَ على غني؟ فقال: اللهم لك الحمد على سارق وعلى زانية وعلى غني! فأتي فقيل

দরসে হাদীছ : দান-ছাদাক্বাহ কখনও বিফলে যায় না বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : ইবরাহীম (আঃ)-এর অনিন্দিত মিথ্যা

’’ইবরাহীম (আঃ) কেবল তিনটি মিথ্যা বলেছেন। দু’টি আল্লাহ তা’আলার সত্তার ক্ষেত্রে আর একটি তার স্ত্রী সারার ক্ষেত্রে”। এর অর্থ হলো, আলোচ্য মিথ্যা সম্বোধিত ব্যক্তি ও শ্রোতার বুঝার উপর নির্ভর করে। কেননা শ্রোতার কাছে এগুলো সাধারণত মিথ্যা। কিন্তু বাস্তবতার আলোকে এগুলো নিন্দিত মিথ্যার আওতায় পড়ে না। বরং এগুলো অনিন্দিত মিথ্যা। যা দ্বীনের বিশ্লেষণে হক্বের চিরন্তন দিক-নির্দেশনা বুঝানো হয়েছে। আবূ হুরায়রাহ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ইবরাহীম আলায়হিস সালাম তিনবার ছাড়া আর কখনো মিথ্যা বলেননি। এর মধ্যে দু’বার ছিল শুধু আল্লাহ তা’আলার (সত্তার ক্ষেত্রে)

দরসে হাদীস : ইবরাহীম (আঃ)-এর অনিন্দিত মিথ্যা বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : খলীফা

সূরা আল-বাকারাহর ৩০ নং আয়াতে আল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা মানুষকে খলীফাহ বলে আখ্যায়িত করে বলছেন, وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً ۖ قَالُوا أَتَجْعَلُ فِيهَا مَنْ يُفْسِدُ فِيهَا وَيَسْفِكُ الدِّمَاءَ وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَ ۖ قَالَ إِنِّي أَعْلَمُ مَا لَا تَعْلَمُونَ “যখন তোমার রব্ব ফেরেশতাদেরকে বললেন: নিশ্চয়ই আমি পৃথিবীতে খলীফাহ সৃষ্টি করব; তারা বলল: আপনি কি যমীনে এমন কেহকে সৃষ্টি করবেন যারা তন্মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত করবে? এবং আমরাইতো আপনার গুণগান করছি এবং আপনারই পবিত্রতা বর্ণনা করে থাকি। তিনি

দরসে কুরআন : খলীফা বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : কিয়ামতের নিদর্শনাবলী 

নাওয়াস ইবনে সামআন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সকালে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তাতে তিনি একবার নিম্ন স্বরে এবং একবার উচ্চ স্বরে বাক ভঙ্গিমা অবলম্বন করলেন। শেষ পর্যন্ত আমরা [প্রভাবিত হয়ে] মনে মনে ভাবলাম যে, সে যেন সামনের এই খেজুর বাগানের মধ্যেই রয়েছে। তারপর আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলাম, তখন তিনি আমাদের উদ্বিগ্নতা দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, ’’তোমাদের কি হয়েছে?’’ আমরা বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আপনি আজ সকালে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে এমন নিম্ন ও উচ্চ কণ্ঠে বর্ণনা করলেন, যার

দরসে হাদীস : কিয়ামতের নিদর্শনাবলী  বিস্তারিত পডুন »

নিয়াত বনাম রিয়া

নিয়ত হ’ল আরবী শব্দ। যার বাংলা অর্থ- ইচ্ছা করা, মনস্ত করা, এরাদা করা, সংকল্প করা। [মুনজিদ, ৮৪৯/ফতহুল বারী, ১/১৭] ইবনুল কাইয়ুম (রহিঃ) বলেনঃ “নিয়ত হচ্ছে, কোন কিছু করার ইচ্ছা পোষণ ও সংকল্প করা। নিয়ত নির্ধারণের স্থান হচ্ছে অন্তরে, মুখে উচ্চারণের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। এ কারণে না তো রাসূল (ছাঃ) হতে আর না কোন ছাহাবী হতে নিয়তের শব্দ বর্ণিত হয়েছে”। [ইগাসাতুল্ লাহ্ফান, ১/২১৪] ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, «إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوٰى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ

নিয়াত বনাম রিয়া বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top