ফযীলতপূর্ণ দো‘আ ও যিকির

ইস্তেখারার বিধি-বিধান

ইস্তেখারা শব্দের অর্থ: ইস্তেখারা শব্দটি আরবি। আভিধানিক অর্থ: কল্যাণ প্রার্থনা করা বা এমন কিছু প্রার্থনা করা যাতে কল্যাণ রয়েছে।ইসলামি পরিভাষায়: দু রাকাআত সালাত ও ইস্তেখারার দুআর মাধ্যমে বিশেষ কোন কাজে আল্লাহর নিকট কল্যাণ প্রার্থনা করাকেই ইস্তেখারা বলা হয়।ইস্তেখারা করার হুকুম: এটি সুন্নত-যা সহীহ বুখারির হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।🔸 ইস্তিখারা কখন করতে হয়?মানুষ বিভিন্ন সময় একাধিক বিষয়ের মধ্যে কোনটিকে গ্রহণ করবে সে ব্যাপারে দ্বিধা-ধন্ধে পড়ে যায়। কারণ, কোথায় তার কল্যাণ নিহিত আছে সে ব্যাপারে কারো জ্ঞান নাই। তাই সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য আসমান জমিনের সৃষ্টিকর্তা, অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ […]

ইস্তেখারার বিধি-বিধান বিস্তারিত পডুন »

কাফের-মুশরিক ব্যক্তির জন্য ক্ষমা নয়, হেদায়েত কামনা করা জায়েজ

একজন মুমিন কখনও কাফের মুশরেক বেদ্বীন সম্পর্কে ক্ষমা প্রার্থণা করতে পারবে না। বরং তাদের হেদায়েত কামনা করতে পারবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, مَا کَانَ لِلنَّبِیِّ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَنۡ یَّسۡتَغۡفِرُوۡا لِلۡمُشۡرِکِیۡنَ وَ لَوۡ کَانُوۡۤا اُولِیۡ قُرۡبٰی مِنۡۢ بَعۡدِ مَا تَبَیَّنَ لَهُمۡ اَنَّهُمۡ اَصۡحٰبُ الۡجَحِیۡمِ ‘নবী ও মুমিনদের জন্য উচিত নয় যে, তারা মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। যদিও তারা আত্মীয় হয়। তাদের নিকট এটা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর যে, নিশ্চয় তারা প্রজ্বলিত আগুনের অধিবাসী’ (তাওবাহ ৯/১১৩)।  আলী (রাঃ) বলেছেন, سَمِعْتُ رَجُلًا يَسْتَغْفِرُ لِأَبَوَيْهِ وَهُمَا مُشْرِكَانِ،

কাফের-মুশরিক ব্যক্তির জন্য ক্ষমা নয়, হেদায়েত কামনা করা জায়েজ বিস্তারিত পডুন »

ছালাতে গুণাহ ক্ষমা হয়

সালাত আল্লাহর পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ্য ইবাদত। ছালাত আদায়ের সময় আল্লাহ তা‘আলা বান্দার গুণাহ ক্ষমা করে থাকেন। মূলত সারা ছালাতই দোআ। আর দোআর মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করে ক্ষমার প্রত্যাশা করে মুছল্লী। তিন স্থানে ক্ষমা হয় মূলত। যথা- আমীন বলার সময় : ইমাম, মুছল্লী ও ফেরেশতাদের আমীন একত্রে হলে বান্দার গুণাহ ক্ষমা করা হয়। আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, إِذَا أَمَّنَ الإِمَامُ فَأَمِّنُوا فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ. ‘ইমাম যখন আমীন বলেন, তখন তোমরাও আমীন বলো। কেননা

ছালাতে গুণাহ ক্ষমা হয় বিস্তারিত পডুন »

ছালাতে ক্ষমা চাওয়ার স্থান

যার আমল নামায় সবচেয়ে বেশী ইস্তেগফার যোগ হবে, কেবল সেই ব্যক্তিই দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হবেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দিনে রাতে ৭০ বার, অন্যত্র বলেন, ১০০ বার ক্ষমা প্রার্থনা করবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, وَاللهِ إِنِّيْ لَأَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ فِي الْيَوْمِ أَكْثَرَ مِنْ سبعيْنَ مرَّةً. ‘আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই আমি দিনে সত্তর বারেরও বেশী আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই এবং তাঁর নিকট তওবা করি’ (বুখারী, মিশকাত হা/২৩২৩)। অন্যত্র এসেছে, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, تُوْبُوْا إِلَى اللهِ فَإِنِّيْ أَتُوْبُ إِلَيْهِ فِى الْيَوْمِ مِائَةَ مَرَّةٍ- ‘তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর। কেননা

ছালাতে ক্ষমা চাওয়ার স্থান বিস্তারিত পডুন »

তাহাজ্জুদ ছালাত ও ফযীলত

(ফযীলতপূর্ণ দো‘আ ও যিকির’ বই থেকে নেয়া) মানুষ খুব দ্রুতই তার আমলনামার সাথে মিলিত হবে। সুতরাং সময় থাকতে আমলের বোঝা বাড়ানোর প্রচেষ্টা করুন। তাহাজ্জুদের ছালাত শ্রেষ্ঠ্য আমলগুলোর অন্যতম। এ ছালাত সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, قُمِ اللَّيْلَ إِلَّا قَلِيلًا () نِصْفَهُ أَوِ انْقُصْ مِنْهُ قَلِيلًا () أَوْ زِدْ عَلَيْهِ وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا ‘রাত জাগরণ কর কিছু অংশ ব্যতীত । রাতের অর্ধেক কিংবা তার চেয়ে কিছুটা কম। অথবা তদপেক্ষা বেশী। আর কুরআন আবৃত্তি কর ধীরে ধীরে স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে’ (মুযযাম্মিল : ৭৩/২-৪)। ১. তাহাজ্জুদ ছালাত

তাহাজ্জুদ ছালাত ও ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

যিকিরকারীকে আল্লাহ পুরস্কৃত করেন

যিকিরের মজলিশ নিয়ে আল্লাহ ফেরেশতাদের সামনে গর্ববোধ করেন। আল্লাহ্কে স্মরণ করা হয় যে মজলিসে তা জান্নাতের সাথে তুলনা করে রাসূল (ছাঃ) বলেন, إِذَا مَرَرْتُمْ بِرِيَاضِ الْجَنَّةِ فَارْتَعُوا ‘যখন তোমরা জান্নাতের বাগানে পৌঁছবে তখন উহার ফল খাবে। ছাহাবীগণ বলেন, জান্নাতের বাগান কি? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, সেটা হ’ল- حِلَقُ الذِّكْرِ ‘যিকিরের মজলিস’ (তিরমিযী হা/৩৫১০; মিশকাত হা/২২৭১)। (حِلَقُ الذِّكْرِ) দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ‘ইলম অন্বেষণের স্থান যেখানে বসে বসে মানুষ দীনী ‘ইলম শিক্ষা করতে পারে। হাসান বসরী (রহঃ) বলেন, ‘দুনিয়া পুরোটাই অন্ধকার; শুধু জ্ঞানীদের মাজলিস ব্যতীত’ (জামিয়ু বায়ানিল ইলমি

যিকিরকারীকে আল্লাহ পুরস্কৃত করেন বিস্তারিত পডুন »

কবীরা গুণাহ

কবীরা গুনাহ হ’ল যে সকল গুনাহের ব্যাপারে অভিসম্পাত করা হয়েছে এবং পরকালীন শাস্তি কিংবা দুনিয়ায় হদ্দের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কবীরা গোনাহ অর্থ মহাপাপ বা বড় পাপ। শরীয়তের পরিভাষায়, কবীরা গুনাহ্ বলতে সে সকল গুনাহ্কে বুঝানো হয় যে সকল গুনাহ্’র ব্যাপারে কুর‘আন বা ছহীহ হাদীসে নির্দিষ্ট শাস্তির বিধান দুনিয়া ও আখিরাতে রাখা হয়েছে সে সকল গুণাহকে কবীরা বা মারাত্মক গুণাহ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন: «إِنْ تَجْتَنِبُوْا كَبَائِرَ مَا تُنْهَوْنَ عَنْهُ نُكَفِّرْ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ، وَنُدْخِلْكُمْ مُّدْخَلًا كَرِيْمًا» ‘‘তোমরা যদি সকল মহাপাপ থেকে বিরত থাকো

কবীরা গুণাহ বিস্তারিত পডুন »

দুনিয়া ও আখিরাতে নিরাপত্তা কামনা করে দো‘আ

দো‘আ : اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْمُعَافَاةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ ‏ ‏. উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল মুআফাতা ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরাহ। অর্থ : ’’হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে দুনিয়া ও আখিরাতে নিরাপত্তা কামনা করি’’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৮৫১; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১১৩৮)। ফযীলত : আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, বান্দা যত রকম দোআ করে তার মধ্যে اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْمُعَافَاةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ অর্থাৎ- ’’হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতের নিরাপত্তা কামনা করি’’ এ দোআর চেয়ে উত্তম কোন দোআ নাই’’(ইবনু মাজাহ হা/৩৮৫১; সিলসিলা

দুনিয়া ও আখিরাতে নিরাপত্তা কামনা করে দো‘আ বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top