আত্নশুদ্ধি

শয়তান বন্ধু নয়, সে প্রকাশ্য শত্রু

শয়তান মানব জাতিকে সর্বদা ধ্বংসের পথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকে। শয়তান আল্লাহর সাথে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ঘোষনা করেছে এবং বাস্তববায়নের জন্য মরিয়া। তার ওয়াদা সে আল্লাহর বান্দাদের পথভ্রষ্ট করবে, কিন্তু তারা ব্যতীত যারা আল্লাহর প্রকৃত বান্দা। সে ছালাতের মাঝেও মানুষকে কুমন্ত্রণা দেওয়ার চেষ্টা করে। ফলে মানুষের ঈমান কমে যায়। তাই মানব জাতির উচিত আল্লাহর নিকট সর্বদা শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বেঁচে থাকার জন্য পানাহ চাওয়া। কারণ শয়তান মানুষকে জাহান্নামের পথে নিয়ে যায়। মহান আল্লাহ বলেন,إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوْهُ عَدُوًّا إِنَّمَا يَدْعُوْ حِزْبَهُ لِيَكُوْنُوْا مِنْ أَصْحَابِ […]

শয়তান বন্ধু নয়, সে প্রকাশ্য শত্রু বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীছ : পাপ না করলে এ মানব জাতি ধ্বংস করে দিতেন

সাধারণ অযাচিত পাপের কারণে নিরাশ হবেন না। তবে কর্মে স্বেচ্ছাচারিতার ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করা হয়নি। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ لَمْ تُذْنِبُوا لَذَهَبَ اللَّهُ بِكُمْ وَلَجَاءَ بِقَوْمٍ يُذْنِبُونَ فَيَسْتَغْفِرُونَ اللَّهَ فَيَغْفِرُ لَهُمْ ‏”‏ ‏.‏ ‘যে সত্তার হাতে আমার জীবন, আমি তার কসম করে বলছি, তোমরা যদি পাপ না করতে তবে অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের নিশ্চিহ্ন করে এমন সম্প্রদায় বানাতেন যারা পাপ করে ক্ষমা চাইতো এবং তিনি তাদের মাফ করে দিতেন’ (মুসলিম হা/২৭৪৯; মিশকাত হা/২৩২৮)। ব্যাখ্যা : আল্লাহ তা‘আলা ফেরেশতাকে

দরসে হাদীছ : পাপ না করলে এ মানব জাতি ধ্বংস করে দিতেন বিস্তারিত পডুন »

তাহাজ্জুদ ছালাত ও ফযীলত

(ফযীলতপূর্ণ দো‘আ ও যিকির’ বই থেকে নেয়া) মানুষ খুব দ্রুতই তার আমলনামার সাথে মিলিত হবে। সুতরাং সময় থাকতে আমলের বোঝা বাড়ানোর প্রচেষ্টা করুন। তাহাজ্জুদের ছালাত শ্রেষ্ঠ্য আমলগুলোর অন্যতম। এ ছালাত সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, قُمِ اللَّيْلَ إِلَّا قَلِيلًا () نِصْفَهُ أَوِ انْقُصْ مِنْهُ قَلِيلًا () أَوْ زِدْ عَلَيْهِ وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا ‘রাত জাগরণ কর কিছু অংশ ব্যতীত । রাতের অর্ধেক কিংবা তার চেয়ে কিছুটা কম। অথবা তদপেক্ষা বেশী। আর কুরআন আবৃত্তি কর ধীরে ধীরে স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে’ (মুযযাম্মিল : ৭৩/২-৪)। ১. তাহাজ্জুদ ছালাত

তাহাজ্জুদ ছালাত ও ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : অভিভাবক

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, اللهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا أَوْلِيَاؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُمْ مِنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ أُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ – ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তিনি তাদেরকে অন্ধকার হ’তে আলোর দিকে বের করে আনেন। আর যারা অবিশ্বাস করেছে, শয়তান তাদের অভিভাবক। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। ওরা হ’ল জাহান্নামের অধিবাসী। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে’ (বাক্বারাহ ২/২৫৭)। ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, অত্র আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের খবর দিচ্ছেন যে, তার সন্তুষ্টির

দরসে কুরআন : অভিভাবক বিস্তারিত পডুন »

মৃত্যু অপ্রিয় সত্য

মৃত্যু অবধারিত এর কোন ছাড় নেই। এই পেয়ালা সকল প্রাণীকে পান করতে হবে। রাতের আধারে বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে একটি বার চিন্তা করুন, গত হয়েগেছে কত শত প্রিয় আপনজন পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, নানা-নানী, ভাই-ভগ্নী, কত বন্ধুবর ইত্যাদি। আমাকে আপনাকেও চলে যেতে হবে বিনা নোটিশে দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে নতুন জীবনে। সুতরাং মৃত্যু থেকে কেহ রেহায় পাবে না। আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় নবীকে বলেন, إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ ‘নিশ্চয়ই তুমি মরবে এবং তারাও মরবে’ (যুমার ৩৯/৩০)। মৃত্যুকে বেশী বেশী স্মরণ করা উচিৎ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,أَكْثِرُوا ذِكْرَ هَاذِمِ

মৃত্যু অপ্রিয় সত্য বিস্তারিত পডুন »

দাজ্জাল কি জীবিত (?)

দাজ্জাল : আরবী শব্দ المسيح الدجّال‎, প্রতিবর্ণী. al-Masīḥ ad-Dajjāl‎; প্রতিবর্ণী. মসিহা দগ্গাল) ইসলামি বিধান অনুসারে একটি অশুভ চরিত্র। বিভিন্ন স্থান থেকে—সাধারণত পূর্বাঞ্চল, খোরাসান বা সিরিয়া ও ইরানের মধ্যবর্তী কোনো এলাকা থেকে—তার আগমন ঘটবে বলে ধারণা করা। দাজ্জাল চরিত্রটি খ্রিষ্টান পরলোকতত্ত্বে বর্ণিত খ্রিষ্টারি চরিত্রের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। দাজ্জাল পূর্ব থেকেই জীবিত রয়েছে এবং বিখ্যাত ছাহাবী তামীম দারী (রাঃ) ও তার ত্রিশজন সাথী সাগরে পথ হারিয়ে এক দ্বীপে গিয়ে ওঠেন। সেখানে পানির খোঁজে বের হ’লে একজন ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়। যে তার চুল টেনে নিয়ে চলছিল। অতঃপর তিনি দাজ্জালের কাহিনী বর্ণনা করেন। যেখানে দাজ্জালের বক্তব্য এসেছে এভাবে যে, যদি আমাকে এখান থেকে বের হওয়ার

দাজ্জাল কি জীবিত (?) বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : আল্লাহর অলী যারা

আল্লাহু তা‘আলা বলেন, الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ کَانُوۡا یَتَّقُوۡنَ – اَلَاۤ اِنَّ اَوۡلِیَآءَ اللّٰهِ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡهِمۡ وَ لَا هُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ ‘শুনে রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহর বন্ধুদের কোন ভয় নেই, আর তারা পেরেশানও হবে না। তারা হচ্ছে সেই সকল লোক যারা ঈমান এনেছে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করে থাকে (ইউনুস ১০/৬২-৬৩)। আলোচ্য আয়াতসমূহে আল্লাহর অলীদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য, তাদের প্রশংসা ও পরিচয় বর্ণনার সাথে সাথে তাদের প্রতি আখেরাতের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে- যারা আল্লাহর অলী তাদের না থাকবে কোন অপছন্দনীয় বিষয়ের সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা, আর না থাকবে কোন

দরসে কুরআন : আল্লাহর অলী যারা বিস্তারিত পডুন »

ইখলাছের গুরুত্ব

আল্লাহ মানুষকে তার ইখলাছের উপর সম্মানিত অথবা লাঞ্চিত করেন। ইখলাছ সঠিক করুন সম্মানিত হবেন, ইনশাআল্লাহ। যারা নিজেদের ঈমান-বিশবাস, ইবাদত-বন্দেগীকে আল্লাহর জন্য বিশুদ্ধ করে নিবে, সবকিছু যখন শুধু আল্লাহর জন্যই নিবেদন করবে, তখন তাদের বিভ্রান্ত করতে শয়তান কোন পথ খুঁজে পাবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, قَالَ رَبِّ بِمَا أَغْوَيْتَنِيْ لَأُزَيِّنَنَّ لَهُمْ فِي الْأَرْضِ وَلَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِيْنَ، إِلاَّ عِبَادَكَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِيْنَ- ‘শয়তান বলল, হে আমার প্রতিপালক! আপনি যে আমাকে বিপথগামী করলেন সেজন্য আমি পৃথিবীতে মানুষের নিকট পাপকর্মকে অবশ্যই শোভন করে দিব এবং আমি তাদের সকলকে বিপথগামী করব, তবে

ইখলাছের গুরুত্ব বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top