দরসে হাদীছ/হাদীস

দরসে হাদীস : মেহমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে আল্লাহ খুশি হোন

আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক লোক রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, আমি চরম অনাহারে ভুগছি। তিনি তার কোন এক সহধর্মিণীর নিকট লোক প্রেরণ করলে তিনি বললেন, যে স্রষ্টা আপনাকে সঠিক দীনসহ পাঠিয়েছেন তার কসম! আমার নিকট পানি ব্যতীত আর কিছু নেই। তিনি অপর এক স্ত্রীর নিকট লোক প্রেরণ করলে তিনিও অনুরূপ কথা বললেন। এভাবে তারা সবাই একই কথা বললেন যে, সে সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্য দীনসহ প্রেরণ করেছেন, আমার কাছে পানি ব্যতীত আর কিছু নেই। তখন তিনি বললেন, […]

দরসে হাদীস : মেহমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে আল্লাহ খুশি হোন বিস্তারিত পডুন »

মানুষের মধ্যে পরিবর্তন, কিয়ামতের লক্ষণ

মিশকাত হা/৫৩৬০- ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: মানুষ উটের মতো, যাদের একশ’টির মধ্যে সওয়ারীর উপযোগী একটিও পাওয়া কঠিন হয়।  বুখারী ৬৪৯৮, মুসলিম ২৩২-(২৫৪৭), মুসনাদে আহমাদ ৬০৩০, ব্যাখ্যা: (إِنَّمَا النَّاسُ كَالْإِبِلِ الْمِائَةِ) মানুষের বিভিন্ন অবস্থা ও গুণাবলির দৃষ্টিকোণ থেকে একশত উটের সাথে তুলনা দেয়া যায়। উক্ত একশত উটের মধ্যে খুব কম এমন উট পাওয়া যাবে যারা শক্তিশালী, জোয়ান এবং আরোহণের উপযোগী। ঠিক তেমনি মানুষের মধ্যে খুব কম লোকই পাওয়া যায় যারা বন্ধু হওয়ার উপযোগী ও ভালোবাসা রাখার উপযুক্ত। যারা তাদের বন্ধুকে সহযোগিতা করবে

মানুষের মধ্যে পরিবর্তন, কিয়ামতের লক্ষণ বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : কা’ব ইবনু মালেক (রাঃ)-এর তাওবাহ

কা’ব ইবনু মালেকের পুত্র আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, এই আব্দুল্লাহ কা’ব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর ছেলেদের মধ্যে তাঁর পরিচালক ছিলেন, যখন তিনি অন্ধ হয়ে যান। তিনি (আব্দুল্লাহ) বলেন, আমি (আমার পিতা) কা’ব ইবনু মালেককে ঐ ঘটনা বর্ণনা করতে শুনেছি, যখন তিনি তাবূকের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে থেকে যান। তিনি বলেন, ’আমি তাবূক যুদ্ধ ছাড়া যে যুদ্ধই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছেন তাতে কখনোই তাঁর পিছনে থাকিনি। অবশ্য বদরের যুদ্ধ থেকে আমি পিছনে রয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু বদরের যুদ্ধে যে অংশগ্রহণ করেনি, তাকে ভৎর্সনা করা হয়নি। আসল ব্যাপার

দরসে হাদীস : কা’ব ইবনু মালেক (রাঃ)-এর তাওবাহ বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীছ : দান-ছাদাক্বাহ কখনও বিফলে যায় না

দান-ছাদাক্বাহ আল্লাহর ক্রোধকে নিভিয়ে দেয়। স্বচ্ছল-অস্বচ্ছল সর্বাবস্থায় কম-বেশী দান-ছাদাক্বাহ করা উচিৎ। আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «قال رجل لأَتَصَدَّقَنَّ بصدقة، فخرج بصدقته فوضعها في يد سارق، فأصبحوا يتحدثون: تُصُدِّقَ على سارق! فقال: اللهم لك الحمد لأَتَصَدَّقَنَّ بصدقة، فخرج بصدقته فوضعها في يد زانية؛ فأصبحوا يتحدثون: تُصُدِّقَ الليلة على زانية! فقال: اللهم لك الحمد على زانية! لأَتَصَدَّقَنَّ بصدقة، فخرج بصدقته فوضعها في يد غني، فأصبحوا يتحدثون: تُصُدِّقَ على غني؟ فقال: اللهم لك الحمد على سارق وعلى زانية وعلى غني! فأتي فقيل

দরসে হাদীছ : দান-ছাদাক্বাহ কখনও বিফলে যায় না বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : ইবরাহীম (আঃ)-এর অনিন্দিত মিথ্যা

’’ইবরাহীম (আঃ) কেবল তিনটি মিথ্যা বলেছেন। দু’টি আল্লাহ তা’আলার সত্তার ক্ষেত্রে আর একটি তার স্ত্রী সারার ক্ষেত্রে”। এর অর্থ হলো, আলোচ্য মিথ্যা সম্বোধিত ব্যক্তি ও শ্রোতার বুঝার উপর নির্ভর করে। কেননা শ্রোতার কাছে এগুলো সাধারণত মিথ্যা। কিন্তু বাস্তবতার আলোকে এগুলো নিন্দিত মিথ্যার আওতায় পড়ে না। বরং এগুলো অনিন্দিত মিথ্যা। যা দ্বীনের বিশ্লেষণে হক্বের চিরন্তন দিক-নির্দেশনা বুঝানো হয়েছে। আবূ হুরায়রাহ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ইবরাহীম আলায়হিস সালাম তিনবার ছাড়া আর কখনো মিথ্যা বলেননি। এর মধ্যে দু’বার ছিল শুধু আল্লাহ তা’আলার (সত্তার ক্ষেত্রে)

দরসে হাদীস : ইবরাহীম (আঃ)-এর অনিন্দিত মিথ্যা বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীছ : পাপ না করলে এ মানব জাতি ধ্বংস করে দিতেন

সাধারণ অযাচিত পাপের কারণে নিরাশ হবেন না। তবে কর্মে স্বেচ্ছাচারিতার ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করা হয়নি। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ لَمْ تُذْنِبُوا لَذَهَبَ اللَّهُ بِكُمْ وَلَجَاءَ بِقَوْمٍ يُذْنِبُونَ فَيَسْتَغْفِرُونَ اللَّهَ فَيَغْفِرُ لَهُمْ ‏”‏ ‏.‏ ‘যে সত্তার হাতে আমার জীবন, আমি তার কসম করে বলছি, তোমরা যদি পাপ না করতে তবে অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের নিশ্চিহ্ন করে এমন সম্প্রদায় বানাতেন যারা পাপ করে ক্ষমা চাইতো এবং তিনি তাদের মাফ করে দিতেন’ (মুসলিম হা/২৭৪৯; মিশকাত হা/২৩২৮)। ব্যাখ্যা : আল্লাহ তা‘আলা ফেরেশতাকে

দরসে হাদীছ : পাপ না করলে এ মানব জাতি ধ্বংস করে দিতেন বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : ধোঁকাব্যঞ্জকের যুগে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন!

আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) বলেন, একদিন নবী (ছাঃ) আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, (হে ’আবদুল্লাহ!) তখন তোমার কিরূপ হবে? যখন তুমি নিকৃষ্ট ও ইতর লোকদের মধ্যে যাবে, তাদের (দ্বীনের ব্যাপারে) অস্বীকার ও আমানতের মাঝে ভেজাল এসে যাবে এবং পরস্পরে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে পড়বে। তাদের অবস্থা হবে এরূপ এবং (এ কথা বলে) উভয় হাতের অঙ্গুলিসমূহকে পরস্পরের মধ্যে ঢুকালেন। ’আবদুল্লাহ বললেন, ফেৎনার সময় আমার কর্তব্য কি হবে? আপনিই আমাকে নির্দেশ করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, عَلَيْكَ بِمَا تَعْرِفُ وَدَعْ مَا تُنْكِرُ وَعَلَيْكَ بِخَاصَّةِ نَفْسِكَ وَإِيَّاكَ وَعَوَامِّهِمْ

দরসে হাদীস : ধোঁকাব্যঞ্জকের যুগে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন! বিস্তারিত পডুন »

দাজ্জাল কি জীবিত (?)

দাজ্জাল : আরবী শব্দ المسيح الدجّال‎, প্রতিবর্ণী. al-Masīḥ ad-Dajjāl‎; প্রতিবর্ণী. মসিহা দগ্গাল) ইসলামি বিধান অনুসারে একটি অশুভ চরিত্র। বিভিন্ন স্থান থেকে—সাধারণত পূর্বাঞ্চল, খোরাসান বা সিরিয়া ও ইরানের মধ্যবর্তী কোনো এলাকা থেকে—তার আগমন ঘটবে বলে ধারণা করা। দাজ্জাল চরিত্রটি খ্রিষ্টান পরলোকতত্ত্বে বর্ণিত খ্রিষ্টারি চরিত্রের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। দাজ্জাল পূর্ব থেকেই জীবিত রয়েছে এবং বিখ্যাত ছাহাবী তামীম দারী (রাঃ) ও তার ত্রিশজন সাথী সাগরে পথ হারিয়ে এক দ্বীপে গিয়ে ওঠেন। সেখানে পানির খোঁজে বের হ’লে একজন ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়। যে তার চুল টেনে নিয়ে চলছিল। অতঃপর তিনি দাজ্জালের কাহিনী বর্ণনা করেন। যেখানে দাজ্জালের বক্তব্য এসেছে এভাবে যে, যদি আমাকে এখান থেকে বের হওয়ার

দাজ্জাল কি জীবিত (?) বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top