দুনিয়া ও আখিরাত/ আখেরাত

অভাবী গভর্ণরের অনুপম দানশীলতা

ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর খেলাফতকাল ছিল ইসলামের ইতিহাসের এক সোনালী অধ্যায়। এ সময় খলীফা ও জনসাধারণের মাঝে ছিল গভীর সম্পর্ক। খলীফা তাদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি খুব বেশী দৃষ্টি রাখতেন। জনসাধারণও তাদের অভাব-অনটন ও দুঃখ-দুর্দশার কথা খলীফাকে বলার সুযোগ পেত। এমনকি সাধারণ মানুষ খলীফার নিকটে তাদের স্থানীয় আমীরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেও কোন ভয় পেত না। ওমর (রাঃ)-এর খেলাফতকালে বিভিন্ন স্থান জয় লাভের ফলে ইসলামী রাষ্ট্রের পরিধি ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছিল।  বিজয়ী অঞ্চল সমূহে গভর্ণর নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতেন। আল­াহভীরু ও যোগ্যতা সম্পন্ন লোকদেরকেই […]

অভাবী গভর্ণরের অনুপম দানশীলতা বিস্তারিত পডুন »

আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কথা বলুন !

মানুষ অনেক সময় মুখে এমন কথা উচ্চারণ করে যা খুবই কল্যাণকর কথা এবং আল্লাহর কাছে অতীব পছন্দনীয় বাক্য। কিন্তু সে জানে না আল্লাহ তার ঐ কথার কি মূল্য ও মর্যাদা। উচ্চারণকারী তাকে ক্ষীণ বা ছোট করেই দেখেছে, কিন্তু আল্লাহর নিকট ঐ কথার সাওয়াব তার জন্য দীর্ঘায়িত করে দেন এবং আল্লাহর সাথে তার সাক্ষাত পর্যন্ত স্বীয় সন্তষ্টি তার জন্য অবধারিত করে নেন। পক্ষান্তরে আল্লাহর অতীব অপছন্দনীয় এবং অসন্তুষ্টির কিছু কথা রয়েছে, যা তার বান্দা উচ্চারণ করে থাকে। উচ্চারণকারী সে নিজেও জানে না যে ঐ কথা আল্লাহর

আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কথা বলুন ! বিস্তারিত পডুন »

মুমিনের গুণাবলী

পবিত্র কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর আলোকে মুমিনের ১৬টি গুণাবলী বর্ণনা করা হয়েছে। তন্মধ্যে কুরআনে ১০টি মুমিনের গুণাবলী বর্ণিত হয়েছে। প্রকৃত মুমিন হতে গেলে যে দু’টি গুণাবলী অপরিহার্য সেই সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, إِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ الَّذِيْنَ آمَنُوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوْا وَجَاهَدُوْا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ فِي سَبِيْلِ اللهِ أُولَئِكَ هُمُ الصَّادِقُوْنَ- (سورت الحجرات ১৫)- ‘প্রকৃত মুমিন তারাই, ১. যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে। অতঃপর তাতে কোনরূপ সন্দেহ পোষণ করে না এবং ২. তাদের মাল ও জান দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে। বস্তুতঃপক্ষে

মুমিনের গুণাবলী বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : কিয়ামত দিবসে জান্নাতীদের মৃত্যুকে যবেহ করা হবে

আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) দিবসে মৃত্যুকে একটি ধূসর রঙের মেষের আকারে আনা হবে। তখন একজন সম্বোধনকারী ডাক দিয়ে বলবেন, হে জান্নাতবাসী! তখন তাঁরা ঘাড়-মাথা উঁচু করে দেখতে থাকবে। সম্বোধনকারী বলবে, তোমরা কি একে চিন? তারা বলবেন হ্যাঁ, এ হল মৃত্যু। কেননা সকলেই তাকে দেখেছে। তারপর সম্বোধনকারী আবার ডেকে বলবেন, হে জাহান্নামবাসী! জাহান্নামীরা মাথা উঁচু করে দেখতে থাকবে, তখন সম্বোধনকারী বলবে তোমরা কি একে চিন? তারা বলবে, হ্যাঁ, এ তো মৃত্যু। কেননা তারা সকলেই তাকে দেখেছে। তারপর

দরসে হাদীস : কিয়ামত দিবসে জান্নাতীদের মৃত্যুকে যবেহ করা হবে বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : দুর্বলদের মাঝে রাসূল (ছা.)-কে সন্ধান করো

আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, «ابْغُونِي فِي ضُعَفَائِكُمْ فَإِنَّمَا تُرْزَقُونَ – أَوْ تُنْصَرُونَ – بِضُعَفَائِكُمْ» “তোমাদের দুর্বলদের মধ্যে আমাকে খোঁজ করো। কেননা তোমাদের দুর্বলদের ওয়াসীলায় তোমাদেরকে রিযিক দান করা হয়, বা সাহায্য করা হয়’’। (আবু দাউদ হা/২৩৩৫, মিশকাত হা/৫২৪৬, ছহীহুল জামি‘ হা/৪১)। ব্যাখ্যা : ‘তোমরা দুর্বলদের মাঝে আমাকে সন্ধান কর’-এর অর্থ হ’ল- তাদের ভালোবাসার মাধ্যমে আমার সন্তুষ্টি সন্ধান কর। এখানে  (ضُعَفَاء) দ্বারা উদ্দেশ্য দুস্থ, অসহায়, ফকীর, মিসকীন, ইয়াতিম; তাদের মাঝে’ মানে, তাদের প্রতি ইহসানের মাধ্যমে।‘তোমরা দুর্বলদের কারণে সাহায্যপ্রাপ্ত হও’, এর অর্থ হ’ল- শত্রুদের

দরসে হাদীস : দুর্বলদের মাঝে রাসূল (ছা.)-কে সন্ধান করো বিস্তারিত পডুন »

তাদের কেউ হতভাগ্য, কেউ সৌভাগ্যবান

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেন, فَمِنۡهُمۡ شَقِیٌّ وَّ سَعِیۡدٌ “তাদের মধ্যে কেউ হবে হতভাগ্য এবং কেউ হবে ভাগ্যবান” (হুদ ১১/১০৫), এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর নবী। তাহলে আমরা কিসের উপর আমল করব, এমন জিনিসের উপর যে প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে অথবা এমন কোন জিনিসের উপর যে প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি? তিনি বললেনঃ হে উমার! না, বরং এমন জিনিসের উপর যা পূর্বেই চূড়ান্ত হয়ে আছে এবং যার সাথে কলম জারী হয়ে গিয়েছে। তবে প্রত্যেকের করণীয়

তাদের কেউ হতভাগ্য, কেউ সৌভাগ্যবান বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : আল্লাহর রহমত সর্বদা গজবের উপর অগ্রগামী

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى كَتَبَ كِتَابًا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ الْخَلْقَ: إِنَّ رَحْمَتِي سَبَقَتْ غَضَبِي فَهُوَ مَكْتُوب عِنْده فَوق الْعَرْش  ‘আল্লাহ তা’আলা সমস্ত সৃষ্টজীব সৃষ্টি করার পূর্বে এটা লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন যে, আমার রহমত আমার গজবের উপর সর্বদাই অগ্রগামী। আর এ বাক্যটি তাঁর কাছে আরশের উপরে লিখিতভাবে রয়েছে’। (বুখারী হা/৭৪২২, মুসলিম হা/২৭৫১, মিশকাত হা/৫৭০০) ব্যাখ্যা: (إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى كَتَبَ كِتَابًا) “আল্লাহ তা’আলা একটি কিতাব লিখেন মাখলুক সৃষ্টির পূর্বে।” এই কিতাব বা লিখনি দ্বারা লাওহে মাহফুয উদ্দেশ্য। অর্থাৎ

দরসে হাদীস : আল্লাহর রহমত সর্বদা গজবের উপর অগ্রগামী বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : বিপদে ধর্য্যধারণ করা চরিত্রের মহৎ গুণের অন্যতম

তোমাদেরকে যদি গুনাহর দিকে ডাকা হয় তবে সেখান থেকে অন্যত্র চলে যাও, কেননা আল্লাহর যমীন প্রশস্ত, সংকীর্ণ নয়। সুতরাং যারা দুনিয়াতে বিপদাপদ ও দুঃখ-কষ্টে সবর করে এবং পাপ কাজ থেকে সংযম অবলম্বন করে, আল্লাহর কাছে দাবী ব্যতিরেকেই সবরকারীরা তাদের সওয়াব পাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, قُلۡ یٰعِبَادِ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوۡا رَبَّکُمۡ ؕ لِلَّذِیۡنَ اَحۡسَنُوۡا فِیۡ هٰذِهِ الدُّنۡیَا حَسَنَۃٌ ؕ وَ اَرۡضُ اللّٰهِ وَاسِعَۃٌ ؕ اِنَّمَا یُوَفَّی الصّٰبِرُوۡنَ اَجۡرَهُمۡ بِغَیۡرِ حِسَابٍ ‘বল, ‘হে আমার মুমিন বান্দারা যারা ঈমান এনেছ, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর। যারা এ দুনিয়ায়

দরসে কুরআন : বিপদে ধর্য্যধারণ করা চরিত্রের মহৎ গুণের অন্যতম বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top