সমাজিক ঐক্য ও সংহতি

জামা‘আতবদ্ধ জীবন-যাপনের সুফল (২য় কিস্তি)

—লিলবর আল-বারাদী ৪. ইসলামী পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত হওয়া : পারিবারিক জীবন ব্যাতিরেকে মানব সভ্যতা কল্পনা করা যায় না। মানুষের অস্তিত্বের জন্য পারিবারিক জীবন অপরিহার্য। সমাজের শান্তি-শৃংঙ্খলা, স্থিতিশীলতা, উন্নতি-অগ্রগতি ইত্যাদি সুষ্ঠু পারিবারিক ব্যবস্থার উপরে অনেকাংশে নির্ভরশীল। পারিবারিক জীবন অশান্ত ও নড়বড়ে হ’লে, তাতে ভাঙ্গন ও বিপর্যয় দেখা দিলে সমাজ জীবনে নানা অশান্তি ও বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি হ’তে বাধ্য। তাই বলা হয়, পরিবার মানব সমাজের মূল ভিত্তি। উত্তম পরিবারের জন্য চাই উত্তম পরিবার প্রধান। ইসলামী পরিবারে পিতা হ’লেন পরিবার-প্রধান এবং মাতা হ’লেন গৃহকত্রী। সন্তানরা বড় হ’লে তারা হবে পিতা-মাতার […]

জামা‘আতবদ্ধ জীবন-যাপনের সুফল (২য় কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

জামা‘আতবদ্ধ জীবন-যাপনের সুফল (প্রথম কিস্তি)

— লিলবর আল-বারাদী ভূমিকা : মানুষ সামাজিক জীব। তাই সমাজ ও সামাজিকতার বলয়ে বসবাসে মানুষ অভ্যস্ত। ফলে জামা‘আতী যিন্দেগীর বাস্তব ও অকৃত্রিম বন্ধনে পরস্পর পরস্পরে জড়িয়ে রয়েছে। জামা‘আতের শাব্দিক উৎস সম্পর্কে শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, الْجَمَاعَةُ هِيَ الِاجْتِمَاعُ وَضِدُّهَا الْفُرْقَةُ؛ وَإِنْ كَانَ لَفْظُ الْجَمَاعَةِ قَدْ صَارَ اسْمًا لِنَفْسِ الْقَوْمِ الْمُجْتَمِعِينَ ‘জামা‘আত হ’ল সমাজবদ্ধতা। এর বিপরীত হ’ল বিচ্ছিন্নতা। যদিও জামা‘আত শব্দটি স্বয়ং ঐক্যবদ্ধ জাতির নামে পরিণত হয়েছে’।[1] ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেছেন, وَتَفْسِيرُ الْجَمَاعَةِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ هُمْ أَهْلُ الْفِقْهِ وَالْعِلْمِ وَالْحَدِيثِ ‘বিদ্বানগণের নিকটে জামা‘আতের ব্যাখ্যা

জামা‘আতবদ্ধ জীবন-যাপনের সুফল (প্রথম কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

তিনটি প্রশ্নের জবাব

ভূমিকা : মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আর এই সেরা হবার পেছনে যার অবদান তা হলো বিবেক। যার বিবেক নেই, সে মানব সমাজে মানুষের মত চলাফেরা করলেও প্রকৃতপক্ষে সে মানুষ নয়। তাই মানুষ মাত্রই হবে বিবেক সম্পন্ন। কারো বিবেক থাকে জাগ্রত, আবার কারো হয় মৃত। সেই জন্যে মনীষীরা বলেন, ‘বিবেক যেখানে উপস্থিত, সুখ সেখানে তিরোহিত’। ‘সুখ যেখানে উপস্থিত, বিবেক সেখানে তিরোহিত’। আর বিবেক আছে বলেই মানব মনে নানা ধরনের প্রশ্নের অবতারণা হবে এটাই স্বাভাবিক। অনুরূপভাবে আমাদের তিনটি প্রশ্নের জবাব জেনে রাখা অতিব জরুরী। প্রশ্নগুলো হলো- ১.

তিনটি প্রশ্নের জবাব বিস্তারিত পডুন »

ষড় রিপু সমাচার : ক্রোধ রিপু

ক্রোধ মানবজীবনের অবিচ্ছেদ্য ষড়রিপুর অন্যতম। ক্রোধ শব্দের প্রতিশব্দ হলো রাগ বা রোষ। কেবল মানুষই নয় প্রাণী মাত্রই ক্রোধ আছে। ক্রোধ শক্তি একজন মানুষকে অন্যজন থেকে আলাদা হতে সহায়তা করে। তবে ক্রোধের রয়েছে বহুবিধ চেহারা ও প্রকৃতি। ‘কুল লক্ষণ’ বলে একটি কথা আছে। কুল লক্ষণ অর্থাৎ সৎকুলের ন’টি গুণ রয়েছে। গুণগুলো হলো-আচার, বিনয়, বিদ্যা, প্রতিষ্ঠা, তীর্থদর্শন, নিষ্ঠা, আবৃত্তি, তপস্যা ও দান। আসলে ক্রোধান্ধ একজন মানুষের পক্ষে বোধকরি উপরে বর্ণিত ন’টি গুণের একটিতেও সফল হওয়া সম্ভব নয়। কারও মধ্যে এ গুণগুলো অনুপস্থিত থাকলে প্রকৃত প্রস্তাবেই সে আসল

ষড় রিপু সমাচার : ক্রোধ রিপু বিস্তারিত পডুন »

সালাফীবাদ নয় সালাফী পথ

ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব আমীর, আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ (সম্পাদকীয়, আত-তাহরীক, মে 2018 সংখ্যা) ‘সালাফী’ অর্থ পূর্বসূরীদের অনুসারী। ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের তরীকার অনুসারী। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ইহূদীরা ৭১ ফের্কায়, নাছারারা ৭২ ফের্কায় এবং আমার উম্মত ৭৩ ফের্কায় বিভক্ত হবে। তার মধ্যে মুক্তিপ্রাপ্ত দল হবে মাত্র একটি। যারা আমার ও আমার ছাহাবীগণের তরীকার উপরে চলবে’ (তিরমিযী হা/২৬৪১; ইবনু মাজাহ হা/৩৯৯২)। এক্ষণে সেই হকপন্থী জামা‘আত বা নাজী ফের্কা কোনটি, সে সম্পর্কে সালাফে ছালেহীন বিদ্বানগণ এক বাক্যে বলেছেন যে, তারা হ’ল আহলুল হাদীছ-এর

সালাফীবাদ নয় সালাফী পথ বিস্তারিত পডুন »

পিওর ও পপুলার

—ড. মুহাম্মাদ  আসাদুল্লাহ আল-গালিব সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি মাসিক আত-তাহরীক মানুষের সৃষ্টিকাল থেকেই পিওর ও পপুলারের দ্বন্দ্ব চলছে। জান্নাতে ইবলীস আদম ও হাওয়াকে নিষিদ্ধ বৃক্ষের প্রতি প্রলুব্ধ করেছিল সেখানে তাদের চিরস্থায়ী হওয়ার লোভ দেখিয়ে। সেদিন ইবলীসের পপুলার প্রস্তাবের কাছে পিওরের অনুসারী আদম ভুলক্রমে পরাজিত হন। ফলে তাদেরকে জান্নাত থেকে বেরিয়ে আসতে হয় (ত্বোয়াহা ২০/১২০-২৩)। এভাবে সেদিন পিওরের প্রতি প্রথম হিংসা করেছিল ইবলীস। অতঃপর দুনিয়াতে আদমপুত্র হাবীলের পিওর ঈমানের প্রতি প্রথম হিংসা করেছিল পপুলার বড় ভাই ক্বাবীল। হাবীল তার মেষপালের সেরাটি আল্লাহর জন্য কুরবানী দিয়েছিল। অন্যদিকে ক্বাবীল

পিওর ও পপুলার বিস্তারিত পডুন »

একজন কাঠমিস্ত্রীর অনুপ্রেরণা

_________________________________________ আল-আকসার ঘটনা শুরু হওয়ার পর নিজেকে নির্লিপ্ত রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। ইচ্ছে করেই পত্রিকা দেখছিলাম না। কারণ, ইহুদী কুত্তাদের হাতে ফিলিস্তিনি বোনদের নির্যাতনের ছবি দেখার সাহস খুঁজে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু আল আকসার এই ঘোরতর দুর্দিনে দু’কলম হলেও না লেখলে নিজেকে মুসলমান ভাবতে কষ্ট হচ্ছে। অন্তত নিজের মনকে শান্তনা দেয়ার জন্য হলেও কিছু লেখা দরকার। তাই এলোমেলোভাবে দুয়েকটি ভাবনা শেয়ার করছি। এক. ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে হযরত উমার রা এর খেলাফত আমলে আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ রা এর নেতৃত্বে মুসলমানরা কুদস জয় করে। ১০৯৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম ক্রুসেড

একজন কাঠমিস্ত্রীর অনুপ্রেরণা বিস্তারিত পডুন »

দ্বন্দ্ব নিরসন

—মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব وَإِنْ طَائِفَتَانِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ اقْتَتَلُوا فَأَصْلِحُوا بَيْنَهُمَا فَإِنْ بَغَتْ إِحْدَاهُمَا عَلَى الْأُخْرَى فَقَاتِلُوا الَّتِي تَبْغِي حَتَّى تَفِيءَ إِلَى أَمْرِ اللهِ فَإِنْ فَاءَتْ فَأَصْلِحُوا بَيْنَهُمَا بِالْعَدْلِ وَأَقْسِطُوا إِنَّ اللهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِينَ- إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ إِخْوَةٌ فَأَصْلِحُوا بَيْنَ أَخَوَيْكُمْ وَاتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ- (الحجرات ৯-১০)- ‘যদি মুমিনদের দুই দল পরস্পরে যুদ্ধে লিপ্ত হয়, তাহ’লে তোমরা তাদের মধ্যে সন্ধি করে দাও। অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর সীমালংঘন করে, তাহ’লে তোমরা ঐদলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, যে সীমালংঘন করে। যতক্ষণ না তারা আল্লাহর নির্দেশের (সন্ধির) দিকে

দ্বন্দ্ব নিরসন বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top