নিয়াত/নিয়ত

রুকু পেলে রাক‘আত পাওয়া হয় কি-না

কেউ কোনো সালাতের একটি রাকাত জামা‘আতের সাথে পেলেই সে পুরো জামা‘আত পেয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে। তবে রুকু’ পেলেই কোনো রাকাত পেয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। নতুবা নয়: আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنْ الصَّلَاةِ فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلَاةَ». “যে ব্যক্তি কোনো সালাতের একটি রাকাত (ইমামের সাথে) পেলো সে যেন পুরো সালাতই ইমামের সাথে পেলো”। (বুখারী হা/৫৮০ মুসলিম হা/৬০৭)। আবু বাকরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনি একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রুকু অবস্থায় […]

রুকু পেলে রাক‘আত পাওয়া হয় কি-না বিস্তারিত পডুন »

দান-ছাদাক্বাহর গুরুত্ব ও ফযীলত

মানুষের সৃষ্টিগত একটি অভ্যাস হলো কৃপণতা এবং ক্রোধ ও প্রতিশোধপ্রবণ হয়ে ওঠা, এ সবই শায়ত্বনী কর্মকান্ডের অন্তর্গত। তাই যাতে করে ঐ মানুষটি তার এই খারাপ অভ্যাস থেকে পুরোপুরি বিরত থেকে বদান্যতা ও সৌহার্দ্যের গুণে গুণান্বিত হয়। ছাদাক্বাহ এমনই এক ইবাদত যার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য হাছিল হয় এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,لِيَقِ أَحَدُكُمْ وَجْهَهُ النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ ‘তোমরা একটি খেজুরের টুকরা দান করে হ’লেও জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচো’ (তিরমিযী হা/২৯৫৩, ছহীহুল জামে‘ হা/৮১৪৭)। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা দান প্রকাশ্যে

দান-ছাদাক্বাহর গুরুত্ব ও ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

গোঁড়ামি পরিহার করুন !

গোঁড়ামি কখনো ধর্মতত্ত্ব নয়, ধর্মে (দ্বীনে) কভু গোঁড়ামী নাই। মানুষ নিজের বুঝের উপরে অটল থাকতে চায়। সে যা ভাল মনে করে তাই করে। তার এই গোঁড়ামি তাকে হক্ব গ্রহণে বাঁধাগ্রস্ত করে। গোঁড়ামি ঈমান-আমল ও দ্বীনের জন্য অনেক ক্ষতিকর। ‘গোঁড়ামি’ (Bigotry, Oorthodoxy, Narrowness) শব্দটি বিশেষ্য পদ, যার আভিধানিক অর্থ- অন্ধবিশ্বাস, একান্ত রক্ষণশীলতা, অপ্রশস্ততা, সংকীর্ণতা প্রভৃতি। পারিভাষিক অর্থে, শরীয়তের মধ্যে কিংবা বাহিরে বিনা দলিলে কোন কথা ও কাজে অন্ধবিশ্বাস রেখে অন্তরে ইলমের সংকীর্ণতা গড়ে তোলাকে গোঁড়ামী বলে। সকলের উচিত গোঁড়ামি ছেড়ে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী

গোঁড়ামি পরিহার করুন ! বিস্তারিত পডুন »

ঈমানের নূর বৃদ্ধির উপায়

ঈমানের আভিধানিক অর্থ : ‘ঈমান’ অর্থ নিশ্চিন্ত বিশ্বাস, নিরাপত্তা দেওয়া, যা ভীতির বিপরীত। রাগেব আল-ইছফাহানী (রহঃ) বলেন, ঈমানের মূল অর্থ হচ্ছে আত্মার প্রশান্তি এবং ভয়-ভীতি দূর হয়ে যাওয়া (আল-মুফরাদাত, পৃঃ ৩৫)। সন্তান যেমন পিতা-মাতার কোলে নিশ্চিন্ত হয়, মুমিন তেমনি আল্লাহ্র উপরে ভরসা করে নিশ্চিন্ত হয়। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন, ঈমানের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হচ্ছে স্বীকারোক্তি এবং আত্মার প্রশান্তি। আর সেটা অর্জিত হবে অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ ও আমলের মাধ্যমে (আছ-ছারিম আল-মাসলূল, পৃঃ ৫১৯)। ঈমানের পারিভাষিক অর্থ : আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের মতে, ‘ঈমান’

ঈমানের নূর বৃদ্ধির উপায় বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : অনুতপ্ত ব্যক্তির ক্ষমা অনিবার্য

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বনী ইসরাঈলের মধ্যে জনৈক ব্যক্তি নিরানব্বই জন মানুষ হত্যা করেছিল। তারপর সে শার’ঈ বিধান জানার জন্য একজন আল্লাহভীরুর কাছে জিজ্ঞেস করল, এ ধরনের মানুষের জন্য তাওবার কোন অবকাশ আছে কিনা? তিনি বললেন, নেই। তারপর সে তাকেও (’আলিমকেও) হত্যা করল। এভাবে সে লোকদেরকে অনবরত জিজ্ঞেস করতে থাকল। এক ব্যক্তি শুনে বলল, অমুক গ্রামে গিয়ে অমুককে জিজ্ঞেস করো। এমন সময়েই সে মৃত্যুমুখে পতিত হলো এবং মৃত্যুর সময় সে ওই গ্রামের দিকে নিজের সিনাকে বাড়িয়ে দিলো।

দরসে হাদীস : অনুতপ্ত ব্যক্তির ক্ষমা অনিবার্য বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : সর্বনিম্ন শিরক থেকেও বেঁচে থাকুন!

তারিক বিন শিহাব হতে বর্ণিত হাদীছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ «دخل الجنة رجل فى ذباب ودخل النار رجل فى ذباب قالوا وكيف ذلك يا رسول الله قال: مر رجلان على قوم لهم صنم لا يجوزه أحد حتى يقرب له شيئا فقالوا لاحدهما: قرب قال: ليس عندي شئ أقرب، قالوا له: قرب ولو ذباب فقرب ذباب فخلوا سبيله فدخل النار وقالوا للآخر: قرب، قال ما كنت أقرب شيئا دون الله عز وجل فضربوا عنقه فدخل الجنة» ‘‘এক ব্যক্তি একটি মাছির কারণে জান্নাতে প্রবেশ করেছে।

দরসে হাদীস : সর্বনিম্ন শিরক থেকেও বেঁচে থাকুন! বিস্তারিত পডুন »

আযানের ইতিহাস সার-সংক্ষেপ

আযান (আরবি: أَذَان আযান্‌) হচ্ছে মসজিদে জামাতে সালাত আদায়ের জন্য ইসলামি আহ্বান বা ডাকধ্বনি। দিনের নির্ধারিত সময়ে একজন মুয়াজ্জিন আযান পাঠ করেন।ʾআযান শব্দের মূল অর্থ দাড়ায় أَذِنَ ডাকা, আহবান করা। যার মূল উদ্দেশ্য হলো অবগত করানো। এই শব্দের আরেকটি ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল ʾআজুন। (أُذُن), যার অর্থ হলো “শোনা”। কুরআনে মোট পাঁচ স্থানে আজুন শব্দটি এসেছে। পারিভাষিক অর্থে, শরিয়ত নির্ধারিত আরবি বাক্যসমূহের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে উচ্চকণ্ঠে সালাতের আহবান করাকে আযান বলা হয়।মক্কায় অবস্থানকালে মহানবী (ﷺ) তথা মুসলিমগণ বিনা আযানে নামায পড়েছেন। অতঃপর মদ্বীনায় হিজরত করলে হিজরী

আযানের ইতিহাস সার-সংক্ষেপ বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : কা’ব ইবনু মালেক (রাঃ)-এর তাওবাহ

কা’ব ইবনু মালেকের পুত্র আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, এই আব্দুল্লাহ কা’ব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর ছেলেদের মধ্যে তাঁর পরিচালক ছিলেন, যখন তিনি অন্ধ হয়ে যান। তিনি (আব্দুল্লাহ) বলেন, আমি (আমার পিতা) কা’ব ইবনু মালেককে ঐ ঘটনা বর্ণনা করতে শুনেছি, যখন তিনি তাবূকের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে থেকে যান। তিনি বলেন, ’আমি তাবূক যুদ্ধ ছাড়া যে যুদ্ধই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছেন তাতে কখনোই তাঁর পিছনে থাকিনি। অবশ্য বদরের যুদ্ধ থেকে আমি পিছনে রয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু বদরের যুদ্ধে যে অংশগ্রহণ করেনি, তাকে ভৎর্সনা করা হয়নি। আসল ব্যাপার

দরসে হাদীস : কা’ব ইবনু মালেক (রাঃ)-এর তাওবাহ বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top