শিক্ষা ও সংস্কৃতি

যিকিরকারী ব্যক্তিদের নিয়ে আল্লাহর আলোচনা

আল্লাহ তায়ালার স্মরণে কিছু সময় ব্যয় করুন! হাদীছটি পাঠ করলে মনে হয় আমি সেই শেষের বঞ্চিত ব্যক্তিটি নই তো (?) তবুও আল্লাহ কত মহান ও পরম দয়ালু। আবূ হুরাইরাহ অথবা আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষের আমলনামা লিপিবদ্ধকারী ফেরেশতাগণ ছাড়া আল্লাহ তা’আলার আরও কিছু ফেরেশতা আছেন যারা দুনিয়াতে ঘুরে বেড়ান। তারা আল্লাহ তা’আলার যিকরেরত ব্যক্তিদের পেয়ে গেলে একে অন্যকে ডেকে বলেন, নিজেদের উদ্দেশে তোমরা এদিকে চলে এসো। অতএব তারা সেদিকে ছুটে আসেন এবং যিকরেরত লোকদের পৃথিবীর […]

যিকিরকারী ব্যক্তিদের নিয়ে আল্লাহর আলোচনা বিস্তারিত পডুন »

আশুরায়ে মুহাররমের ফযীলত

ইসলামের নামে প্রচলিত অনৈসলামী পর্ব সমূহের মধ্যে একটি হ’ল ১০ই মুহাররম তারিখে প্রচলিত আশূরা পর্ব। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ পর্বের কোন অস্তিত্ব ছিল না। আল্লাহর নিকটে বছরের চারটি মাস হ’ল ‘হারাম’ বা মহা সম্মানিত (তওবা ৯/৩৬)। যুল-ক্বা‘দাহ, যুলহিজ্জাহ ও মুহাররম একটানা তিন মাস এবং তার পাঁচ মাস পর ‘রজব’, যা শা‘বানের পূর্ববর্তী মাস’।(বুখারী হা/৫৫৫০; মুসলিম হা/১৬৭৯; মিশকাত হা/২৬৫৯।)  জাহেলী যুগের আরবরা এই চার মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ করত না।(বুখারী হা/৫৩; মুসলিম হা/১৭; মিশকাত হা/১৭।) দুর্ভাগ্য যে, মুসলমান হয়েও আমরা অতটুকু করতে পারি না। আশূরার গুরুত্ব ও

আশুরায়ে মুহাররমের ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

হাদীছের প্রতি আনুগত্য, রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি আনুগত্যের শামীল

মুমিন সেই ব্যক্তি, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি আনুগত্য রাখে। রাসূল (ছাঃ)-এর আনুগত্য করলে সে ব্যক্তি আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে আনুগত্য করবে না, তাকে পিটিয়ে দ্বীনে ভেড়ানো হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে বিমুখ হল, তবে আমি তোমাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক করে প্রেরণ করিনি’  (নিসা ৪/৮০)। তিনি অন্যত্র বলেন, ‘আর তোমরা আল্লাহর  আনুগত্য  কর এবং আনুগত্য কর রাসূলের আর সাবধান হও। তারপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তবে জেনে রাখ যে, আমার রাসূলের

হাদীছের প্রতি আনুগত্য, রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি আনুগত্যের শামীল বিস্তারিত পডুন »

ইয়াযীদ ইবনে মু‘আবিয়া ও কারবালার ঘটনার সার-সংক্ষেপ

ইয়াযীদ বিন মু‘আবিয়া (২৭-৬৪ হিঃ) তাবেঈ ছিলেন। কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার জন্য ইয়াযীদ দায়ী নন। এজন্য মূলতঃ দায়ী বিশ্বাসঘাতক কূফাবাসী ও নিষ্ঠুর গভর্ণর ওবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদ নিজে। কেননা ইয়াযীদ কেবল হুসায়েন (রাঃ)-এর আনুগত্য চেয়েছিলেন, তাঁর খুন চাননি। হুসায়েন (রাঃ) সে আনুগত্য দিতেও প্রস্ত্তত ছিলেন। ইয়াযীদ স্বীয় পিতার অছিয়ত অনুযায়ী হুসায়েনকে সর্বদা সম্মান করেছেন এবং তখনও করতেন। হুসায়েন (রাঃ)-এর ছিন্ন মস্তক ইয়াযীদের সামনে রাখা হ’লে তিনি কেঁদে বলে ওঠেন, ‘ওবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদের উপর আল্লাহ লা‘নত করুন। আল্লাহর কসম! যদি হুসায়েনের সাথে ওর রক্তের সম্পর্ক থাকত, তাহ’লে সে

ইয়াযীদ ইবনে মু‘আবিয়া ও কারবালার ঘটনার সার-সংক্ষেপ বিস্তারিত পডুন »

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (১০ম কিস্তি)

(লেখক : ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব)….. ১৫. হাদীছের অন্তর্নিহিত ফিক্বহ সম্পর্কে আলোকপাত : শায়খ আলবানী স্বীয় গবেষণাকর্ম কেবল হাদীছ তাখরীজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেননি বরং হাদীছের বিশুদ্ধতা সাব্যস্তের পর উক্ত হাদীছ থেকে উদ্ভূত শারঈ বিধান সম্পর্কেও আলোকপাত করেছেন। একই সাথে মতভেদপূর্ণ বিষয়গুলোতে বিশুদ্ধ দলীলের আলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়াস পেয়েছেন। ফলে তাঁর গ্রন্থসমূহ ফিক্বহুল হাদীছ তথা হাদীছ ভিত্তিক ফিক্বহের ক্ষেত্রে গুরুতবপূর্ণ সংযোজন হিসাবে গৃহীত হয়। যেমন আলী (রাঃ) বর্ণিত একটি হাদীছকে[1] ছহীহ সাব্যস্ত করার পর তিনি এর তিনটি ফায়েদা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছেন। যার মূল বক্তব্য হ’ল- (১)

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (১০ম কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৯ম কিস্তি)

(লেখক : ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব)….. ৯. ব্যাপক ভিত্তিক গবেষণা : তাখরীজের ক্ষেত্রে আলবানীর অনন্য কৃতিত্ব হ’ল বিপুল পরিমাণ হাদীছের উপর বিস্তারিত তথ্যভিত্তিক গবেষণা। যুগে যুগে যেসব মুহাদ্দিছ ইলমুত তাখরীজের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিসরে অবদান রেখেছেন, তাদের অধিকাংশই সংক্ষিপ্তভাবে তা সম্পন্ন করেছেন। স্বল্প কয়েকজন মুহাদ্দিছ যেমন পূর্ববর্তীদের মধ্যে হাফেয জামালুদ্দীন মিযযী, ইমাম যায়লাঈ, হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী এবং পরবর্তীদের মধ্যে আহমাদ শাকির, শু‘আইব আরনাঊত্ব প্রমুখ বিদ্বানগণ হাদীছের মূল উৎস সমূহ এবং শাওয়াহেদ ও মুতাবা‘আতসহ বিস্তারিত তাখরীজ সম্পন্ন করেছেন। আলবানী ব্যাপকতর হাদীছ গবেষণায় কতটা অগ্রগামী ছিলেন একটি তুলনামূলক

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৯ম কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৮ম কিস্তি)

(লেখক : ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব)….. হাদীছের বিশুদ্ধতা নিরূপণে শায়খ আলবানীর অবদান হাদীছের বিশুদ্ধতা নিরূপণে মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহ.) গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আধুনিক যুগে তিনি হাদীছ শাস্ত্রে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছেন। সমসাময়িকদের মধ্যে তিনি সর্বাধিক সংখ্যক হাদীছের তাখরীজ করেছেন। ইলমে হাদীছের ময়দানে বিশেষত তাখরীজুল হাদীছের ক্ষেত্রে তিনি যে তথ্য সমৃদ্ধ, প্রজ্ঞাপূর্ণ ও বিস্তৃত গবেষণা উপস্থাপন করেছেন, তা ইবনু হাজার আসক্বালানী (৮৫২ হি.) পরবর্তী আর কোন বিদ্বানের রচনায় পাওয়া যায় না। তিনি হাদীছ সমালোচনা পদ্ধতিকে নতুনভাবে তুলে ধরেছেন, হাযার হাযার রেওয়ায়াতের হুকুম নির্ধারণ করেছেন এবং মুহাদ্দিছগণের হাদীছ

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৮ম কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৭ম কিস্তি)

(লেখক : ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব)….. বিধি-বিধান সংশ্লিষ্ট রচনাবলী ১. ছিফাতু ছালাতিন্নবী (ছাঃ) : এটি ছালাতের উপর বিশুদ্ধ হাদীছ ভিত্তিক রচিত বহুল প্রচারিত একটি গ্রন্থ। গ্রন্থটি তিনটি সংস্করণে প্রকাশিত হয়। প্রথমটি হ’ল- আছলু ছিফাতি ছালাতিন্নবী (ছাঃ) মিনাত তাকবীরে ইলাত তাসলীমে কাআন্নাকা তারাহা। ১২১৮ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থটি আলবানী (রহঃ) ১৯৫১ সালে রচনা করেন। এখানে তিনি আলোচনাকে দু’ভাগে ভাগ করেছেন। উপরাংশে কেবল হাদীছের মূল মতন এবং আলোচনা ধারাবাহিকভাবে বিন্যাসের জন্য কিছু বাক্য উল্লেখ করেছেন। আর নিম্নাংশটি মূল আলোচনার ব্যাখ্যা হিসাবে এনেছেন। এখানে তিনি বিস্তারিত তাখরীজ উপস্থাপন করে তা থেকে গ্রহণযোগ্য

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৭ম কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top