শিক্ষা ও সংস্কৃতি

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৬ষ্ঠ কিস্তি)

(লেখক : ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব)….. তাহক্বীক্ব ও তাখরীজ বিষয়ক রচনাবলী ৪. ছহীহ ও যঈফ আদাবুল মুফরাদ : ইমাম বুখারী (রহঃ) সংকলিত আল-আদাবুল মুফরাদ থেকে যঈফ হাদীছগুলো[1] বাদ দিয়ে কেবল ছহীহগুলো নিয়ে তিনি উক্ত সংকলনটি রচনা করেন। অতঃপর যঈফগুলো নিয়ে পৃথক একটি গ্রন্থ সংকলন করেন। উক্ত সংকলনে তিনি কেবল ছাহাবীর নাম উল্লেখ করেছেন, প্রত্যেক হাদীছের নীচে হাদীছের হুকুম সংক্ষেপে পেশ করেছেন এবং প্রখ্যাত মিসরীয় বিদ্বান ফুয়াদ আব্দুল বাক্বী[2] কৃত তাখরীজ ও তা‘লীক্বসমূহ ইলমী গুরুত্বের বিবেচনায় রেখে দিয়েছেন। হাদীছ এবং আছার মিলে মোট ৯৯৩টি বর্ণনা নিয়ে ‘ছহীহুল আদাবিল মুফরাদ’ এবং […]

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৬ষ্ঠ কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৫ম কিস্তি)

(লেখক : ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব)….. বিদ্বানদের নিকটে শায়খ আলবানীর গ্রহণযোগ্যতা : ইলমে হাদীছের ময়দানে শায়খ আলবানী (রহঃ) যে অবদান রেখেছেন, সমকালীন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুহাদ্দিছ, ফক্বীহ ও অন্যান্য বিদ্বানগণ একবাক্যে তার স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁর অবদান মূল্যায়ন করেছেন। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্তব্য নিম্নে তুলে ধরা হ’ল।- (১) সঊদী আরবের সাবেক গ্রান্ড মুফতী শায়খ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (১৯১৩-১৯৯৯ খ্রি.) বলেন, لا أعلم تحت قبة الفلك في هذا العصر أعلم من الشيخ ناصر ‘আসমানের নীচে এই যুগে শায়খ নাছের-এর চেয়ে

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৫ম কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৪র্থ কিস্তি)

(লেখক : ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব)….. চরিত্র-মাধুর্য : শায়খ আলবানী ছিলেন বিনয়ী, পরহেযগার, সচ্চরিত্রবান, সহনশীল ও প্রশস্ত হৃদয়ের অধিকারী। যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ হওয়া সত্বেও জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি নিজেকে একজন ‘তালিবুল ইলম’ হিসাবেই গণ্য করতেন। ছোট-বড়, শিক্ষিত-অশিক্ষিত সব শ্রেণীর মানুষের নিকট থেকে উপদেশ গ্রহণ করতেন। কারো সাথে বড়ত্ব প্রদর্শন করতেন না। বিনয়-নম্রতা ও তাক্বওয়া-পরহেযগারিতায় তিনি ছিলেন সালাফে ছালেহীনের একনিষ্ঠ অনুসারী। নিম্নে তাঁর চরিত্রের কয়েকটি দিক সম্পর্কে আলোকপাত করা হ’ল : পরহেযগারিতা : জীবনের সর্বক্ষেত্রে তিনি ছহীহ সুন্নাহর পূর্ণ অনুসরণের প্রতি ছিলেন তীব্র আকাঙ্ক্ষী। যেকোন আমলের সঠিক

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৪র্থ কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৩য় কিস্তি)

(লেখক : ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব)…..আম্মানে হিজরত : নানাবিধ নির্যাতন-নিপীড়নের মুখোমুখি হওয়ার পর ১৪০০ হিজরীর ১লা রামাযানে তিনি সপরিবারে দামেশক হ’তে জর্দানের রাজধানী আম্মানে হিজরত করেন এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য একখন্ড জমি ক্রয় করে গৃহ নির্মাণ শুরু করেন। নির্মাণকাজে ব্যাপক পরিশ্রমের কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিকে দামেশকে অবস্থিত তাঁর সমৃদ্ধ লাইব্রেরীর অনেককিছুই নানা জটিলতার কারণে আম্মানে স্থানান্তর সম্ভব হয়নি। ফলে এসময় তাঁর অনেক পান্ডুলিপি হারিয়ে যায়। যাইহোক কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তিনি পুনরায় দারস-তাদরীস ও তাহক্বীক্ব-তা’লীফে আত্মনিয়োগ করেন।  তবে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জর্দানে

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৩য় কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (২য় কিস্তি)

(লেখক : ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব ) ….. কর্মজীবন : শায়খ আলবানীর পিতা নূহ নাজাতী সিরিয়ার বিশিষ্ট আলেম হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষকতা ও গবেষণার পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের জন্য ঘড়ি মেরামত করতেন। তাই স্বীয় রীতি অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষাকালেই তিনি দ্বীন শিক্ষার সাথে সাথে জীবিকা অর্জনের জন্য আলবানীকে কাঠমিস্ত্রির কাজ শেখার ব্যবস্থা করেন। ৪ বছর তিনি এর উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।[1] পরবর্তীতে কাজটি কষ্টসাধ্য হওয়ায় পিতার পরামর্শে ও তত্ত্বাবধানে তিনি ঘড়ি মেরামতের কাজ শেখেন। অতঃপর নিজের জন্য পৃথক দোকান নির্মাণ করে কাজ শুরু করেন এবং এটাকেই মূল পেশা হিসাবে

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (২য় কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (১ম কিস্তি)

(লেখক : ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব) …..ভূমিকা : বিংশ শতাব্দীতে যে সকল মুহাদ্দিছ ইলমে হাদীছের ময়দানে অবদান রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছেন মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ)। যাঁর অনন্য সাধারণ অবদানের ফলে সারা বিশ্বে ছহীহ হাদীছ অনুসরণের গুরুত্ব এবং হাদীছ যাচাই-বাছাইয়ের প্রতি আগ্রহ বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। যাতে হাদীছ থেকে সরাসরি দলীল গ্রহণের পথকে আরো সুগম করেছে। বিশেষত আধুনিক যুগে হাদীছ গবেষণায় তিনি এক নতুন জোয়ার সৃষ্টি করেছেন। তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে ইলমে হাদীছের বহু ছাত্র এখন ইলমুত তাখরীজের ময়দানে বিচরণ করছেন এবং

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (১ম কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর তাৎপর্য

লেখক : নাফিয আল-মাহমূদ(‘আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী’-এর দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র)সম্পাদনা : লিলবর আল-বারাদী ভূমিকা : আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতীকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর একত্ববাদে সাক্ষ্য দেয়া ও ইবাদত করা জন্য। আমলের পূর্বে ঈমানের মজবুতি সুদৃঢ় করা উচিৎ। আর সেই ঈমানের প্রধান শাখা হ’ল لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ. অর্থাৎ- ‘নেই কোন ইলাহ্ (সত্য উপাস্য) আল্লাহ ব্যতীত’। এই বাক্যটির তাৎপর্য অপরিসীম। যা নিচে তুলে ধরা হ’ল- ১. নবী-রাসূলগণের দাওয়াতের প্রথম ধাপ :প্রত্যেক যুগের মানুষ যখনই তাওহীদ থেকে দীরে গিয়ে শিরকের ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে, তখনই আল্লাহ

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর তাৎপর্য বিস্তারিত পডুন »

মুসলমানের মান-সম্মানের প্রতি হস্তক্ষেপ করার বিধান

মানুষ আল্লাহর কাংখিত সৃষ্টির সেরা জীব। সুতরাং একজন আরেকজনকে তুচ্ছজ্ঞান বা হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে না। যখন কোন ব্যক্তি কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে তখন স্বভাবতই সে নিজেকে তার চেয়ে শ্রেয় মনে করে,যা অহংকারের পর্যায়ভুক্ত। আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত একটি হাদীছে জনৈক ছাহাবীর এক প্রশ্নের উত্তরে অহংকারের ব্যাখ্যা দিয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেন, اَلْكِبْرُ بَطَرُ الْحَقِّ وَ غَمْطُ النَّاسِ. ‘অহংকার হচ্ছে সত্যকে অস্বীকার করা এবং লোকদের নীচুজ্ঞান করা’(মুসলিম, মিশকাত হা/৫১০৮)। এজন্য কথা, কর্ম বা আচরণের মাধ্যমে কাউকে তুচ্ছজ্ঞান করা বা হেয় প্রতিপন্ন করা নিষেধ। আবু

মুসলমানের মান-সম্মানের প্রতি হস্তক্ষেপ করার বিধান বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top