সীরাতুর রাসূল (ছাঃ)

রাসূলুল্লাহ (ছা.) সম্পর্কে কটূক্তিকারী নাস্তিকদের শারঈ বিধান

বিশ্ববাসীর জন্য সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছেন বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)। তিনি মাত্র ২৩ বছরের প্রচেষ্টায় আরবের চেহারা পাল্টে দিয়েছিলেন। তৎকালীন পৃথিবীর মানুষ অবাক দৃষ্টিতে অবলোকন করেছিল সমাজ পরিবর্তনের এই দৃশ্য। বহু দোষে দুষ্ট মানুষগুলিকে মুহূর্তের মধ্যে সোনার মানুষে রূপান্তরিত করার চমৎকার পদ্ধতি। এমন একজন মহান ব্যক্তির চরিত্রকে দু’চার কথায় কলমের অাঁচড়ে তুলে ধরা সম্ভব নয়। যাঁর সম্পর্কে স্বয়ং মহান আল্লাহ বলেছেন, وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلاَّ رَحْمَةً لِلْعَالَمِيْنَ ‘(হে মুহাম্মাদ) তোমাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি’ (আম্বিয়া ১০৭)। তাঁকে আল্লাহ তা‘আলা উত্তম চরিত্রের নমুনা হিসাবে পাঠিয়েছেন। তিনি […]

রাসূলুল্লাহ (ছা.) সম্পর্কে কটূক্তিকারী নাস্তিকদের শারঈ বিধান বিস্তারিত পডুন »

মুহাম্মাদ (ছা.)-এর উম্মত মর্যাদায় প্রথম

উম্মতে মুহাম্মাদ (ছা.)-এর ঐ সকল মানুষকে বুঝানো হয়েছে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। দ্বীনের বিধি-বিধানে আদেশ মেনে চলে এবং নিষেধ পরিত্যাগ করে । (১) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, نحن آخر الأمم و أول من يحاسب يقال : أين الأمة الأمية و نبيها ؟ فنحن الآخرون الأولون . “আমরা হলাম জাতিসমূহের সর্বশেষ। কিন্তু কেয়ামতে আমাদের হিসাব সর্ব প্রথম করা হবে। তখন বলা হবে: উম্মী (আসল) জাতি ও তাদের নবী কোথায়? তাই আমরা সর্বশেষ অথচ মর্যাদায় প্রথম”। (ইবনু মাজাহ হা/৪২৯০, ছহীহুল জামি‘ হা/৬৭৪৯) আমরা সৌভাগ্যবান

মুহাম্মাদ (ছা.)-এর উম্মত মর্যাদায় প্রথম বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : নবী (সা.)-এর জীবন-যাপন, মুমিনের জন্য শিক্ষা

’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুহাম্মাদ (সা.) -এর পরিবারবর্গ লাগাতার দু’দিন যবের রুটি খেয়ে পরিতৃপ্ত হননি এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর মৃত্যু হয়েছে। (বুখারী হা/ ৫৪১৬, মুসলিম হা/২৯৭০, মিশকাত হা/৫২৩৭) ব্যাখ্যা : রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর পরিবার হলো তার পূতপবিত্র স্ত্রীগণ এবং তাদের খাদিমগণ। যব গমের তুলনায় কম মূল্যমানের, যবের রুটিই যেহেতু পাননি তাহলে গমের রুটির তো প্রশ্নই ওঠে না। রাসূলুল্লাহ (সা.) দু’দিন একাধারে পেট পুরে খেতে পাননি, একদিন পেটপুরে খেলে অন্যদিনে উপোষ থাকতেন। এটা এজন্য যে, আল্লাহ তা’আলা জমিনের ধনভাণ্ডারের চাবি তার কাছে পেশ করেছিলেন

দরসে হাদীস : নবী (সা.)-এর জীবন-যাপন, মুমিনের জন্য শিক্ষা বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : সৎ কাজের আদেশের উদ্দেশ্য হবে কল্যাণকামিতা

উত্তম আচরণের মাধ্যমে হক্ব জানিয়ে দেয়া বা উপদেশ প্রদান করা হ’ল কল্যাণকামিতা। কেননা, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,  وَ لَا تَسۡتَوِی الۡحَسَنَۃُ وَ لَا السَّیِّئَۃُ ؕ اِدۡفَعۡ بِالَّتِیۡ هِیَ اَحۡسَنُ فَاِذَا الَّذِیۡ بَیۡنَکَ وَ بَیۡنَهٗ عَدَاوَۃٌ کَاَنَّهٗ وَلِیٌّ حَمِیۡمٌ ‘ভাল আর মন্দ সমান নয়। উৎকৃষ্ট দিয়ে মন্দকে দূর কর। তখন দেখবে, তোমার আর যার মধ্যে শত্রুতা আছে সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু’ (হা-মিম-সাজদা ৪১/৩৪)। এখানে অতীব গুরুত্বপূর্ণ এক চারিত্রিক শিক্ষা যে, মন্দকে দূরীভূত কর ভাল দ্বারা। যা উৎকৃষ্ট তা দিয়ে নিকৃষ্ট প্রতিহত কর। অর্থাৎ, অন্যায়ের বদলা নাও ন্যায়

দরসে কুরআন : সৎ কাজের আদেশের উদ্দেশ্য হবে কল্যাণকামিতা বিস্তারিত পডুন »

শা‘বে তালেবের বয়কট দলিল ছিন্ন হওয়ার ঘটনা

ইসলামের প্রচারের প্রাথমিক কালে মক্কার পৌত্তলিকরা দিন দিন অস্থির হয়ে উঠলো। অস্থির হবে না কেন? তারা বুঝতে পেরেছিলযে, এখন যদি মুহাম্মদকে হত্যা করার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, তা হলে তাঁকে রক্ষা করার জন্য যে রক্তপাত হবে এতে মক্কা পান্তর লালে রন্জিত হয় যাবে। তাদের নিজেদের গোষ্ঠির মধ্যে ধ্বংশ হয়ে যাবার সম্ভাবনা ছিল। এ কারনে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কে হত্যা করার পরিকল্পনা পরিত্যাগ করে পৌত্তলিকরা অমানুষিক অত্যাচার নির্যাতনের নতুন পথ আবিষ্কার করল। আর এই পরিকল্পনা ছিল ইতোপূর্বে গৃহিত সকর পদক্ষেপের চেয়ে আরও বেশী মারাত্মক। সর্বাত্মক বয়কট

শা‘বে তালেবের বয়কট দলিল ছিন্ন হওয়ার ঘটনা বিস্তারিত পডুন »

সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) জেনে জীবনকে সঠিক পদ্ধতিতে সাজান

আরবি ভাষায় সীরাত বা সিরাত শব্দটি (আরবি: سيرة‎‎) সারা (বর্তমান কাল : ইয়াসিরু ) ক্রিয়াপদ থেকে এসেছে , যার অর্থ ভ্রমণ করা বা ভ্রমণ করে আসা। একজন ব্যক্তির সীরাত হল সেই ব্যক্তির জীবন, বা জীবনী, তার জন্ম, তার জীবনের বিভিন্ন ঘটনা, আচার-আচরণ, বৈশিষ্ট্য এবং তার মৃত্যু। আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (ছাঃ)-কে হেদায়াত ও সত্য দ্বীনসহ প্রেরণ করেছেন (ছাফফাত ৩৭/৯, ফাতহ ৪৮/২৮)। তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি তো তোমাকে সমগ্র মানব জাতির প্রতি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপে প্রেরণ করেছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না’

সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) জেনে জীবনকে সঠিক পদ্ধতিতে সাজান বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীছ : রাসূলুল্লাহ (ছা.)-এর মর্যাদাসমূহ

জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছা.) বলেছেন, ‘আমাকে এমন পাঁচটি জিনিস দেয়া হয়েছে, যা আমার আগে আর কাউকে দেয়া হয়নি।১. আমাকে এক মাসের দূরত্বের মধ্যে রু’ব (ভীতি) দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে।২. আমার জন্য মাটিকে মসজিদ ও পবিত্রতা অর্জনের উপকরণ বানানো হয়েছে। কাজেই আমার উম্মতের কোন লোক যেখানেই সালাতের সময় হয়ে যাবে, সে যেন সেখানেই সালাত আদায় করে নেয়।৩. আমার জন্য গনীমাতের সম্পদ বৈধ করা হয়েছে, যা ইতোপূর্বে কারো জন্য বৈধ ছিল না।৪. আমাকে শাফাআতের অধিকার দেয়া হয়েছে।৫. প্রত্যেক নবী প্রেরিত হয়েছেন কেবলমাত্র আপন আপন গোত্রের জন্য,

দরসে হাদীছ : রাসূলুল্লাহ (ছা.)-এর মর্যাদাসমূহ বিস্তারিত পডুন »

‘কুরায়েশ’

এ বিষয়ে একবার মু‘আবিয়া (রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন‘ একটি সামুদ্রিক প্রাণীর কারণে, যা সমুদ্রের সকল প্রাণীর চাইতে অধিক শক্তিশালী, যাকে ‘ক্বিরশ’ বলা হয়। যে অন্যকে ধরে খায়। কিন্তু তাকে কেউ খেতে পারে না। সে বিজয়ী হয়। কিন্তু পরাজিত হয় না’ (কুরতুবী)। উপমহাদেশের খ্যাতনামা জীবনীকার ও রাসূল (ছাঃ)-এর জীবনচরিত ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’-এর স্বনামধন্য লেখক ক্বাযী সুলায়মান বিন সালমান মানছূরপুরী (মৃ:১৩৪৯/১৯৩০ খৃ:) বলেন, ‘কুরায়েশ’ অর্থ সাগরের তিমি মাছ। ইয়ামনের বাদশাহ হাসসান একবার মক্কা আক্রমণ করে কা‘বা গৃহ উঠিয়ে নিজ দেশে নিয়ে যেতে

‘কুরায়েশ’ বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top