সুন্নাত ও বিদ‘আত

দরসে কুরআন : আল্লাহর অলী যারা

আল্লাহু তা‘আলা বলেন, الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ کَانُوۡا یَتَّقُوۡنَ – اَلَاۤ اِنَّ اَوۡلِیَآءَ اللّٰهِ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡهِمۡ وَ لَا هُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ ‘শুনে রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহর বন্ধুদের কোন ভয় নেই, আর তারা পেরেশানও হবে না। তারা হচ্ছে সেই সকল লোক যারা ঈমান এনেছে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করে থাকে (ইউনুস ১০/৬২-৬৩)। আলোচ্য আয়াতসমূহে আল্লাহর অলীদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য, তাদের প্রশংসা ও পরিচয় বর্ণনার সাথে সাথে তাদের প্রতি আখেরাতের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে- যারা আল্লাহর অলী তাদের না থাকবে কোন অপছন্দনীয় বিষয়ের সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা, আর না থাকবে কোন […]

দরসে কুরআন : আল্লাহর অলী যারা বিস্তারিত পডুন »

দাবা, ক্যারাম, লুডু খেলার বিধান

দাবা, লুডু ও ক্যারাম (অথবা ক্যারোম) আমাদের সমাজে প্রচলিত তিনটি খেলার নাম। তিনটিই গুটি দিয়ে খেলা হয়। পাশা খেলা এগুলোর সমগোত্রীয় খেলা। এসকল খেলাগুলোর উৎপত্তি ভারতীয় উপমহাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ায়। এ সকল খেলাগুলো সম্পূর্ণ হারাম। চাই তা জুয়ার দ্বারা হোক কিংবা জুয়া ছাড়া এমনিই হোক না কেন। সর্বাবস্থায় হারাম। হাদীসে কঠোরভাবে এ খেলাগুলো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ এসেছে। আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدِ فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ ‘যে ব্যক্তি পাশা বা দাবা খেললো, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের

দাবা, ক্যারাম, লুডু খেলার বিধান বিস্তারিত পডুন »

তর্ক- বিতর্ক

মানুষ তর্ক প্রিয় জীব। এরা বিতর্ক বুঝে না। কেননা, তর্কবাগীশ মূর্খতার বশ্যতা স্বীকার করে, কিন্তু বিতর্ক মানুষকে জ্ঞানী করে। আর তর্ক-বিতর্ক এড়িয়ে চললে তার জন্য জান্নাত রয়েছে। এটা রাসূল (ছাঃ), সালাফীদের মূলনীতির অন্তর্ভুক্ত নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,مِنْ حُسْنِ إِسْلاَمِ الْمَرْءِ تَرْكُهُ مَا لاَ يَعْنِيهِ، ‘মানুষের জন্য ইসলামের সৌন্দর্য হচ্ছে তার অনর্থক কথাবার্তা পরিহার করা’(মুসলিম হা/১৫৯৯; তিরমিযী হা/২৩১৭; ইবনু মাজাহ হা/৩৯৭৬।)। যারা তর্ক-বিতর্কে সব সময় জড়িয়ে পড়ে তাদেরকে এড়িয়ে চলতে হবে। কেননা হিশাম হাসান (রহঃ) ইবনু সীরীন (রহঃ) হ’তে বর্ণনা করেন তারা উভয়ে বলতেন,لاَ تُجَالِسُوا أَصْحَابَ

তর্ক- বিতর্ক বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীছ : মিরাজের রাতের ঘটনাবলী

সামুরাহ্ ইবনু জুনদুব (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অভ্যাস ছিল তিনি ফজরের সালাত শেষে প্রায়ই আমাদের দিকে মুখ করে বসতেন এবং জিজ্ঞেস করতেন, তোমাদের কেউ আজ রাতে কোন স্বপ্ন দেখেছ কি? রাবী বলেন, আমাদের কেউ কোন স্বপ্ন দেখে থাকলে তাঁর নিকট বলত। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর হুকুম মোতাবেক তার তা’বীর করতেন। যথারীতি একদিন সকালে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের কেউ (আজ রাতে) কোন স্বপ্ন দেখেছ কি? আমরা বললাম, না। অতঃপর তিনি বললেন, কিন্তু আমি দেখেছি, আজ রাতে দু’ ব্যক্তি আমার নিকট এলো এবং তারা উভয়ে

দরসে হাদীছ : মিরাজের রাতের ঘটনাবলী বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীছ : মৃত্যু ও তৎপরবর্তী সময়

মৃত্যুর পরে কী হবে আমাদের সাথে তা জেনে নিন। বারা ইবনু আযেব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে জনৈক আনসারির জানাজায় বের হলাম, আমরা তার কবরে পৌঁছলাম, তখনো কবর খোঁড়া হয়নি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবসলেন আমরা তার চারপাশে বসলাম, যেন আমাদের মাথার ওপর পাখি বসে আছে, তার হাতে একটি লাকড়ি ছিল তিনি মাটি খুড়তে ছিলেন, অতঃপর মাথা উঠিয়ে বললেন: “তোমরা আল্লাহর নিকট কবরের আযাব থেকে পানাহ চাও, দুইবার অথবা তিনবার (বললেন)”। অতঃপর বললেন: “নিশ্চয় মুমিন বান্দা যখন দুনিয়া প্রস্থান

দরসে হাদীছ : মৃত্যু ও তৎপরবর্তী সময় বিস্তারিত পডুন »

উসূলুল হাদীস

হাদীস কাকে বলে? হাদীস কত প্রকার ও কি কি? সর্বোচ্চ সংখ্যক হাদীস বর্ণনাকারী কয়েকজন সাহাবি এবং প্রধান প্রধান হাদীসগ্রন্থগুলো। প্রাককথন: হাদীসের উপরে বিস্তারিত আলোচনার জন্য বৃহত আকারের পুস্তকের প্রয়োজন। আর একথা জ্ঞানী ব্যক্তি মাত্রেরই জানা রয়েছে যে, শুধুমাত্র হাদীস এবং উসূলে হাদীস বিষয়ের উপরে অসংখ্য বহু মূল্যবান কিতাব বিগত প্রায় দেড় হাজার বছরে পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন ভাষায় রচিত, পঠিত এবং সমাদৃত হয়ে আসছে। আলহামদুলিল্লাহ, কলেবর বৃদ্ধি না হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে অত্র নিবন্ধে শুধু হাদীস বিষয়ক মৌলিক ধারণা তুলে ধরারই চেষ্টা করা হবে ইনশাআল্লাহু তাআ’লা। প্রথমেই

উসূলুল হাদীস বিস্তারিত পডুন »

শহীদের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য

শহীদের পরিচয় : শহীদ আরবী: شهيد‎‎ (šahīd) বহুবচনে: شُهَدَاء শুহাদাʾ ; শব্দটি হলো কুরআনের আরবী শব্দ। যার অর্থ হলো সাক্ষী। এছাড়াও এর অন্য অর্থ হলো আত্ম-উৎসর্গ করা। ইসলামী বিশ্বাসের সাক্ষ্যদানে যে সচেতনভাবে গ্রহণযোগ্য মৃত্যু কামনা করে এবং আত্ম-উৎসর্গ করে তার উপাধি স্বরূপ শহীদ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। মদ্দা কথা, যারা তাওহীদের কালেমাকে সমুন্নত করার খালেছ নিয়তে আল্লাহর পথে লড়াই করে মারা যাবে, তারাই হচ্ছে প্রকৃত শহীদ। আর শহীদের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য হবে এই যে, সে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে লড়াই করবে না, তাকে বাহাদুর বলা হবে এ উদ্দেশ্যে বা লোককে শুনানোর উদ্দেশ্যে

শহীদের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য বিস্তারিত পডুন »

পবিত্রতা অর্জনে ওযূ

আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য। ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত হিসাবে পবিত্রতা অর্জন করা অপরিহার্য। পবিত্রতা ছাড়া ইবাদত হয় না, এমন একটি ইবাদত হলো ছালাত। ছালাতে দাঁড়ানোর পূর্বেই ওযূর মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ ‘তোমার পোষাক-পরিচ্ছদ পবিত্র রাখ’ (মুদ্দাছছির ৪)। অন্যত্র তিনি বলেন, إِنَّ اللهَ يُحِبُّ التَّوَّابِيْنَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِيْنَ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী ও অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালবাসেন’ (বাক্বারাহ ২/২২২)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُوْرٍ وَلاَ صَدَقَةٌ مِنْ غُلُوْلٍ ‘পবিত্রতা অর্জন ব্যতীত কারো ছালাত

পবিত্রতা অর্জনে ওযূ বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top