আত্নশুদ্ধি

তায়াম্মুম করার পদ্ধতি

তায়াম্মুম-এর শাব্দিক অর্থ হলো ইচ্ছা করা। পারিভাষিক অর্থে, আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট নিয়মে পবিত্র মাটি দ্বারা মুখমন্ডল ও উভয় হাত মাসাহ করার নাম তায়াম্মুম। [ফিকহুল মুয়াস্সার, পৃঃ ৩২] ক. পবিত্রতা অর্জনে পানির বিকল্প মাটি : ওযূর মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করে যে সকল কাজ করা যাবে, তায়াম্মুম করেও সে সকল কাজ করা যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যদি পানি না পাও, তাহ’লে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর’ (নিসা ৪/৪৩)। অত্র আয়াতে আল্লাহ্ পানির বিকল্প হিসাবে পবিত্র মাটির কথা উল্লেখ করেছেন। পবিত্রতা অর্জনে পানির বিকল্প মাটি এসম্পর্কে […]

তায়াম্মুম করার পদ্ধতি বিস্তারিত পডুন »

গালমন্দ ও উপহাসকারী ব্যক্তি ফাসিক্ব

ফাসিক (فاسق‎‎) একটি আরবী শব্দ, যার দ্বারা শারঈ বিধান লঙ্ঘিত হয়। তাছাড়া ইসলামী আইন ভঙ্গকারী ব্যক্তিকে বোঝানো হয়। একজন ফাসিক ব্যক্তিকে অবিশ্বাসযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ইসলামিক আদালতে একজন ফাসিক ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় না। গালমন্দ করা : একজন মুসলিম ভাইকে গাল দেওয়াকে ফাসেকী বলা হয়েছে। আর ফাসেকী হলো আল্লাহর আনুগত্য থেকে বের হয়ে যাওয়া। আর যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইকে হত্যা করে সে অবশ্যই কাফির হয়ে যাবে এবং মুসলিম হওয়া থেকে বের হয়ে যাবে যদি সে হত্যা করাকে বৈধ বলে বিশ্বাস করে। আর যদি কোন

গালমন্দ ও উপহাসকারী ব্যক্তি ফাসিক্ব বিস্তারিত পডুন »

শিরক

শিরক হ’ল সবচেয়ে জঘন্যতম পাপ। এটা কবীরা গুণাহ যা তাওবাহ ব্যতীত ক্ষমা হয় না। শিরকারীর উপর আল্লাহ তা‘আলা ভিষণ রাগান্বিত হোন। শিরক সবচেয়ে বড় পাপ হওয়ার মূল কারণ হল এটা সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর অস্তিত্ব ও সত্তার প্রতি প্রভাব ফেলে। যা মহান আল্লাহ বরদাশত করতে পারেন না। এই পৃথিবীতে হযরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ) পর্যন্ত যে এক লক্ষ চবিবশ হাযার নবী ও রাসূল এসেছেন, তাঁদের মৌলিক প্রধান কাজ ছিল শিরক উৎখাত করতঃ তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করা। তাঁরা প্রত্যেকেই আজীবন সর্বশক্তি প্রয়োগ

শিরক বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ভালবাসা উচিৎ

যাকে ভালোবাসবেন তাকে জানিয়ে দিতে হবে :আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন, এক লোক রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট উপস্থিত ছিল। এ সময় অন্য এক ব্যক্তি সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। লোকটি বলল, ‘হে আল্লাহ্র রাসূল! আমি অবশ্যই এ ব্যক্তিকে ভালবাসি। রাসূল (ছাঃ) বললেন, أَعْلَمْتَهُ. ‘তুমি কি তাকে তোমার ভালবাসার কথা জানিয়েছ’? সে বললো, না। তিনি বললেন, أَعْلِمْهُ. ‘তুমি তাকে জানিয়ে দাও’। বর্ণনাকারী বলেন, সুতরাং সে ঐ ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাত করে বললেন, إِنِّى أُحِبُّكَ فِى اللهِ. أَحَبَّكَ الَّذِى أَحْبَبْتَنِى لَهُ. ‘আমি আপনাকে আল্লাহ্র জন্য ভালবাসি। জওয়াবে লোকটি বলল, যাঁর উদ্দেশ্যে

দরসে হাদীস : আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ভালবাসা উচিৎ বিস্তারিত পডুন »

কৃপণতা

কৃপণতা মালের প্রতি লোভী করে তোলে এবং অবৈধ ও হারাম পথে উপার্জনে প্ররোচিত করে। এটাকে الشُّحُّ বা কৃপণতা বলে। যা নিন্দনীয়। একদল বিদ্বান বলেন, الشُّحُّ বা কৃপণতা হ’ল الحرص الشديد ‘কঠিন লোভ’। যা তাকে বৈধ অধিকার ছাড়াই তা নিতে প্ররোচিত করে। যেমন অন্যের মাল অবৈধ ভাবে নেওয়া, অন্যের অধিকারে অবৈধ হস্তক্ষেপ করা এবং যুলুম ও শত্রুতার মাধ্যমে অন্যের মাল বা অন্য কিছু গ্রাস করা। সমাজের মুমিন ব্যক্তি কৃপণ হতে পারে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেছেন, لاَ يَجْتَمِعُ الشُّحُّ وَالإِيمَانُ فِى جَوْفِ رَجُلٍ مُسْلِمٍ ‘মুমিনের হৃদয়ে

কৃপণতা বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : আল্লাহর রাস্তায় খরচ করার ফযীলত

(১) কল্যাণ চিরদিন কল্যাণ বয়ে আনে। কখনও অকল্যাণ নেই। আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে দাঁড়ালেন এবং বললেন, আমি আমার পর তোমাদের জন্য ভয় করি এ ব্যাপারে যে, তোমাদের জন্য দুনিয়ার কল্যাণের (মঙ্গলের) দরজা খুলে দেয়া হবে। তারপর তিনি দুনিয়ার নিয়ামতের উল্লেখ করেন। এতে তিনি প্রথমে একটির কথা বলেন, পরে দ্বিতীয়টির বর্ণনা করেন। এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করল, ’ইয়া রাসূলাল্লাহ! কল্যাণও কি অকল্যাণ বয়ে আনবে? ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নীরব রইলেন, আমরা বললাম, তাঁর উপর ওহী নাযিল হচ্ছে। সমস্ত

দরসে হাদীস : আল্লাহর রাস্তায় খরচ করার ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : ইলাহী গযব নাযিলের বিধি, কারণ ও করণীয়

—- প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব —– ظَهَرَ الْفَسَادُ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِي النَّاسِ لِيُذِيقَهُم بَعْضَ الَّذِي عَمِلُوا لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ- অনুবাদ: ‘স্থলে ও জলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের কৃতকর্মের দরুন। এর দ্বারা আল্লাহ তাদের কিছু কিছু কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা (সরল পথে) ফিরে আসে’ (রূম ৩০/৪১)। সূরা রূম মাক্কী সূরা। আলোচ্য আয়াতটিও মক্কাতে নাযিল হয়েছে। বর্ণনাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যেন ঐ সময়েই কেবল সারা পৃথিবীতে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছিল। যেজন্য কুরআন নাযিল করে মানুষকে ছিরাতে মুস্তাক্বীমের দিকে আহবান জানানো হয়েছে। বিষয়টি মূলতঃ

দরসে কুরআন : ইলাহী গযব নাযিলের বিধি, কারণ ও করণীয় বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীছ : স্বামী সম্পর্কে এগারো জন নারীর মন্তব্য

স্বামী/স্ত্রীর একান্ত গোপনীয় কথা অন্যদের সামনে প্রকাশ করা ঘৃণিত ও গর্হিত কাজ। কিয়ামতের মাঠে এসব মানুষ খিয়ানতকারী হিসাবে লাঞ্চিত হবে। কারণ প্রত্যেক খিয়ানতকারী ব্যক্তির জন্য এক একটি পাতাকা থাকবে। তাই লাঞ্চিত হওয়ার পূর্বে সংশোধিত হই। তবে সৎ ও মহৎ গুণের কথা অন্যদের নিকটে বলা যাবে। এতে স্বামীর প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করার নামান্তরও বটে। চলুন হাদীছটি পাঠ করি……….. আসমা বিনতে ইয়াযিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কিছু পুরুষ আছে যারা নিজ স্ত্রীর সাথে কৃত আচরণের কথা বলে বেড়ায়, তদ্রুপ কিছু নারীও আছে যারা আপন স্বামীর

দরসে হাদীছ : স্বামী সম্পর্কে এগারো জন নারীর মন্তব্য বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top