শিক্ষা ও সংস্কৃতি

ইস্তেখারার বিধি-বিধান

ইস্তেখারা শব্দের অর্থ: ইস্তেখারা শব্দটি আরবি। আভিধানিক অর্থ: কল্যাণ প্রার্থনা করা বা এমন কিছু প্রার্থনা করা যাতে কল্যাণ রয়েছে।ইসলামি পরিভাষায়: দু রাকাআত সালাত ও ইস্তেখারার দুআর মাধ্যমে বিশেষ কোন কাজে আল্লাহর নিকট কল্যাণ প্রার্থনা করাকেই ইস্তেখারা বলা হয়।ইস্তেখারা করার হুকুম: এটি সুন্নত-যা সহীহ বুখারির হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।🔸 ইস্তিখারা কখন করতে হয়?মানুষ বিভিন্ন সময় একাধিক বিষয়ের মধ্যে কোনটিকে গ্রহণ করবে সে ব্যাপারে দ্বিধা-ধন্ধে পড়ে যায়। কারণ, কোথায় তার কল্যাণ নিহিত আছে সে ব্যাপারে কারো জ্ঞান নাই। তাই সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য আসমান জমিনের সৃষ্টিকর্তা, অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ […]

ইস্তেখারার বিধি-বিধান বিস্তারিত পডুন »

আযানের ইতিহাস সার-সংক্ষেপ

আযান (আরবি: أَذَان আযান্‌) হচ্ছে মসজিদে জামাতে সালাত আদায়ের জন্য ইসলামি আহ্বান বা ডাকধ্বনি। দিনের নির্ধারিত সময়ে একজন মুয়াজ্জিন আযান পাঠ করেন।ʾআযান শব্দের মূল অর্থ দাড়ায় أَذِنَ ডাকা, আহবান করা। যার মূল উদ্দেশ্য হলো অবগত করানো। এই শব্দের আরেকটি ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল ʾআজুন। (أُذُن), যার অর্থ হলো “শোনা”। কুরআনে মোট পাঁচ স্থানে আজুন শব্দটি এসেছে। পারিভাষিক অর্থে, শরিয়ত নির্ধারিত আরবি বাক্যসমূহের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে উচ্চকণ্ঠে সালাতের আহবান করাকে আযান বলা হয়।মক্কায় অবস্থানকালে মহানবী (ﷺ) তথা মুসলিমগণ বিনা আযানে নামায পড়েছেন। অতঃপর মদ্বীনায় হিজরত করলে হিজরী

আযানের ইতিহাস সার-সংক্ষেপ বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : মেহমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে আল্লাহ খুশি হোন

আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক লোক রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, আমি চরম অনাহারে ভুগছি। তিনি তার কোন এক সহধর্মিণীর নিকট লোক প্রেরণ করলে তিনি বললেন, যে স্রষ্টা আপনাকে সঠিক দীনসহ পাঠিয়েছেন তার কসম! আমার নিকট পানি ব্যতীত আর কিছু নেই। তিনি অপর এক স্ত্রীর নিকট লোক প্রেরণ করলে তিনিও অনুরূপ কথা বললেন। এভাবে তারা সবাই একই কথা বললেন যে, সে সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্য দীনসহ প্রেরণ করেছেন, আমার কাছে পানি ব্যতীত আর কিছু নেই। তখন তিনি বললেন,

দরসে হাদীস : মেহমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে আল্লাহ খুশি হোন বিস্তারিত পডুন »

কাফের-মুশরিক ব্যক্তির জন্য ক্ষমা নয়, হেদায়েত কামনা করা জায়েজ

একজন মুমিন কখনও কাফের মুশরেক বেদ্বীন সম্পর্কে ক্ষমা প্রার্থণা করতে পারবে না। বরং তাদের হেদায়েত কামনা করতে পারবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, مَا کَانَ لِلنَّبِیِّ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَنۡ یَّسۡتَغۡفِرُوۡا لِلۡمُشۡرِکِیۡنَ وَ لَوۡ کَانُوۡۤا اُولِیۡ قُرۡبٰی مِنۡۢ بَعۡدِ مَا تَبَیَّنَ لَهُمۡ اَنَّهُمۡ اَصۡحٰبُ الۡجَحِیۡمِ ‘নবী ও মুমিনদের জন্য উচিত নয় যে, তারা মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। যদিও তারা আত্মীয় হয়। তাদের নিকট এটা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর যে, নিশ্চয় তারা প্রজ্বলিত আগুনের অধিবাসী’ (তাওবাহ ৯/১১৩)।  আলী (রাঃ) বলেছেন, سَمِعْتُ رَجُلًا يَسْتَغْفِرُ لِأَبَوَيْهِ وَهُمَا مُشْرِكَانِ،

কাফের-মুশরিক ব্যক্তির জন্য ক্ষমা নয়, হেদায়েত কামনা করা জায়েজ বিস্তারিত পডুন »

মানুষের মধ্যে পরিবর্তন, কিয়ামতের লক্ষণ

মিশকাত হা/৫৩৬০- ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: মানুষ উটের মতো, যাদের একশ’টির মধ্যে সওয়ারীর উপযোগী একটিও পাওয়া কঠিন হয়।  বুখারী ৬৪৯৮, মুসলিম ২৩২-(২৫৪৭), মুসনাদে আহমাদ ৬০৩০, ব্যাখ্যা: (إِنَّمَا النَّاسُ كَالْإِبِلِ الْمِائَةِ) মানুষের বিভিন্ন অবস্থা ও গুণাবলির দৃষ্টিকোণ থেকে একশত উটের সাথে তুলনা দেয়া যায়। উক্ত একশত উটের মধ্যে খুব কম এমন উট পাওয়া যাবে যারা শক্তিশালী, জোয়ান এবং আরোহণের উপযোগী। ঠিক তেমনি মানুষের মধ্যে খুব কম লোকই পাওয়া যায় যারা বন্ধু হওয়ার উপযোগী ও ভালোবাসা রাখার উপযুক্ত। যারা তাদের বন্ধুকে সহযোগিতা করবে

মানুষের মধ্যে পরিবর্তন, কিয়ামতের লক্ষণ বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : কা’ব ইবনু মালেক (রাঃ)-এর তাওবাহ

কা’ব ইবনু মালেকের পুত্র আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, এই আব্দুল্লাহ কা’ব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর ছেলেদের মধ্যে তাঁর পরিচালক ছিলেন, যখন তিনি অন্ধ হয়ে যান। তিনি (আব্দুল্লাহ) বলেন, আমি (আমার পিতা) কা’ব ইবনু মালেককে ঐ ঘটনা বর্ণনা করতে শুনেছি, যখন তিনি তাবূকের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে থেকে যান। তিনি বলেন, ’আমি তাবূক যুদ্ধ ছাড়া যে যুদ্ধই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছেন তাতে কখনোই তাঁর পিছনে থাকিনি। অবশ্য বদরের যুদ্ধ থেকে আমি পিছনে রয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু বদরের যুদ্ধে যে অংশগ্রহণ করেনি, তাকে ভৎর্সনা করা হয়নি। আসল ব্যাপার

দরসে হাদীস : কা’ব ইবনু মালেক (রাঃ)-এর তাওবাহ বিস্তারিত পডুন »

ছালাতে গুণাহ ক্ষমা হয়

সালাত আল্লাহর পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ্য ইবাদত। ছালাত আদায়ের সময় আল্লাহ তা‘আলা বান্দার গুণাহ ক্ষমা করে থাকেন। মূলত সারা ছালাতই দোআ। আর দোআর মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করে ক্ষমার প্রত্যাশা করে মুছল্লী। তিন স্থানে ক্ষমা হয় মূলত। যথা- আমীন বলার সময় : ইমাম, মুছল্লী ও ফেরেশতাদের আমীন একত্রে হলে বান্দার গুণাহ ক্ষমা করা হয়। আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, إِذَا أَمَّنَ الإِمَامُ فَأَمِّنُوا فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ. ‘ইমাম যখন আমীন বলেন, তখন তোমরাও আমীন বলো। কেননা

ছালাতে গুণাহ ক্ষমা হয় বিস্তারিত পডুন »

ছালাতে ক্ষমা চাওয়ার স্থান

যার আমল নামায় সবচেয়ে বেশী ইস্তেগফার যোগ হবে, কেবল সেই ব্যক্তিই দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হবেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দিনে রাতে ৭০ বার, অন্যত্র বলেন, ১০০ বার ক্ষমা প্রার্থনা করবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, وَاللهِ إِنِّيْ لَأَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ فِي الْيَوْمِ أَكْثَرَ مِنْ سبعيْنَ مرَّةً. ‘আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই আমি দিনে সত্তর বারেরও বেশী আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই এবং তাঁর নিকট তওবা করি’ (বুখারী, মিশকাত হা/২৩২৩)। অন্যত্র এসেছে, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, تُوْبُوْا إِلَى اللهِ فَإِنِّيْ أَتُوْبُ إِلَيْهِ فِى الْيَوْمِ مِائَةَ مَرَّةٍ- ‘তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর। কেননা

ছালাতে ক্ষমা চাওয়ার স্থান বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top