Author name: লিলবর আল-বারাদী

কুরবানীর ইতিহাস ও ভাগা কুরবানীর পর্যালোচনা

কুরবানী আমাদের আদি পিতা আদম (আঃ) ও তদীয় পুত্র হাবিল-কাবীল এবং মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহীম (আঃ) ও তদীয় পুত্র ইসমাঈল (আঃ)-এর সুমহান আত্মত্যাগ এবং আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা-ভরসা ও জীবনের সর্বস্ব সমর্পণের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য লাভের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সমন্বয়। কুরবানী করা ওয়াজিব নয়; সুন্নাতে মুআক্কাদাহ্। ঠিক অনুরূপ লোক দেখানোর জন্য বেশ কয়েকটি কুরবানী করাও সুন্নাহর পরিপন্থী। যেহেতু হাদীসানুসারে একটি পরিবারের সকলের তরফ হতে কেবল একটি পশুই যথেষ্ট। সাহাবাদের আমলও অনুরূপ ছিল। গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তু’ হল উট, গরু, ছাগল ও ভেড়াকে বুঝানো হয়েছে। এদের উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করার […]

কুরবানীর ইতিহাস ও ভাগা কুরবানীর পর্যালোচনা বিস্তারিত পডুন »

জাহান্নামে নিক্ষেপের অন্যতম কারণ : জিহবা

মানুষ যে সকল কথাবার্তা বলে তা শস্য বা ফসলের সাথে তুলনা করা যায়। কেননা তা কাঁচি দ্বারা কাটা হয়। কাঁচি যেমন কোন পার্থক্য না করে কাঁচা-পাকা, ভালো-মন্দ সব কর্তন করে ঠিক তেমনি কিছু মানুষের জিহবা ভালো-মন্দ পার্থক্য না করেই সকল ধরনের কথা বলে থাকে। যার কারণে অধিকাংশ মানুষকে তার জিহবা দ্বারা অর্জিত ফসল (পাপ) তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে। আর তা হতে পারে কুফরী, শির্ক, আল্লাহ সম্পর্কে না জেনে অভ্রান্ত কথা বলা, মিথ্যা বলা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, যাদু করা, অপবাদ দেয়া, গালি দেয়া, গীবত করা, চোগলখোরী

জাহান্নামে নিক্ষেপের অন্যতম কারণ : জিহবা বিস্তারিত পডুন »

উপকারী ইলম অর্জন করুন

আল্লাহ তাআলা বলেন, يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ – ‘যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে বহু মর্যাদায় উন্নত করবেন’ (মুজাদালা ১১)। তিনি অন্যত্র বলেন, قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ   ‘বল, যারা জানে এবং যারা জানে না তারা কি সমান? (যুমার ৯)। সুতরাং অজ্ঞতাকে না বলতে জ্ঞানার্জন করতে হবে। কেননা অজ্ঞতার ওষুধ হ’ল জানা। তাই আল্লাহর নিকটে উপকারী জ্ঞানার্জনের জন্য প্রার্থনা করতে হবে। দ্বীনের বুঝের সাথে অল্প আমল উপকারী, অজ্ঞতার সাথে বেশী আমল উপকারী নয়। আর সঠিক পদ্ধতিতে সম্পাদন করা

উপকারী ইলম অর্জন করুন বিস্তারিত পডুন »

মানুষের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি যারা

আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‏كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ ‘তোমরাই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি, তোমাদেরকে মানবজাতির কল্যাণের জন্য বের করা হয়েছে। (আলে ইমরান  ১১০) কিয়ামতের মাঠে মুমিন বান্দা তথা নাজি ফির্কার লোক প্রতি হাযারে একজন হবে এবং জান্নাতের একশত বিশ কাতারে আশি কাতার হবেন মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর জান্নাতি উম্মত। মুসলিম উম্মতকে ‘শ্রেষ্ঠতম সম্প্রদায়’ হওয়ার কারণ হলো যে, মানব জাতির উপকারার্থে সমুত্থিত হয়েছে। মানব জাতি তাদের নিজেদের আধ্যাত্মিক ও চারিত্রিক সংশোধনের চেষ্টা করাই প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। পূর্ববর্তী সম্প্রদায়সমূহের তুলনায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মাধ্যমে সৎকাজে আদেশ দান এবং অসৎকাজে নিষেধ করার দায়িত্ব

মানুষের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি যারা বিস্তারিত পডুন »

ইসলামে পোশাকের সঠিক নীতিমালা

পোশাক ব্যক্তিত্ব, আভিজাত্য, সভ্যতা ও লজ্জাশীলতার পরিচায়ক। মানুষ পোশাক পরিধানের তাগিদ অনুভব করেছিল সেই আদিম আমলেই। আদিম থেকে আধুনিক—সব যুগেই আছে পোশাকের কদর। হোক না তা গাছের পাতা কিংবা সুতায় বোনা কাপড়। তাই লাজুকতায় বশীভূত হয়ে লজ্জাস্থান ঢাকার প্রবণতা প্রাকৃতিক। মানুষ বিবস্ত্র হয়ে জন্মগ্রহণ করে; কিন্তু নগ্নতার চাদর ছুড়ে ফেলে খুব শিগগিরই সে নিজেকে পোশাকের আবরণে ঢেকে ফেলে। এ চেতনাবোধ স্বভাবজাত। ইসলাম মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম। ফিতরাতের চাহিদার বিপরীত কোনো নির্দেশনা ইসলামে নেই। স্বভাবধর্ম ইসলামে পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। পোশাককে আরবিতে ‘লিবাস’ বলা হয়।

ইসলামে পোশাকের সঠিক নীতিমালা বিস্তারিত পডুন »

গাজা দখল ও ইসরাইলের দাবানল সম্পর্কে মতামত

বর্তমানে ইসরাইলে দাবানল চলছে এবং চলছে বন্যা । আর ইসরাইলী বাহিনী দৃঢ় প্রতিজ্ঞা জ্ঞাপন করেছে যে, তারা গাজা দখল করেই ছাড়বে। আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার প্রাককালে দাজ্জালের আবাসন তৈরী হবে গাজাতে এবং পুড়ে যাওয়া বনভূমিতে রোপণ করা হবে ‘গারকাদ’ গাছ। এরপরেই শুরু হবে কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে এবং দাজ্জালের আত্মপ্রকাশের ছয় থেকে সাত বছর পূর্বে মুসলমান ও রোমানদের ঐক্যতে যুদ্ধ হবে যে যুদ্ধবে বলা হয়েছে আল-মালহামা আল-কুবরা ( الملحمة الكبرى)। এ যুদ্ধে এমন ভয়াবহতা নেমে আসবে যে, আকাশে পাখি উড়ে গন্তব্যে পৌছানোর পূর্বে শেষ

গাজা দখল ও ইসরাইলের দাবানল সম্পর্কে মতামত বিস্তারিত পডুন »

বিশুদ্ধ অন্তর দেহে স্থাপন করুন!

আল্লাহ তাআলা বলেন, اِلَّا مَنۡ اَتَی اللّٰهَ بِقَلۡبٍ سَلِیۡمٍ ‘কেবল (সাফল্য লাভ করবে) সে ব্যক্তি যে বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে আল্লাহর নিকট আসবে’ (শুআরা ২৬/৮৯)। বিশুদ্ধ অন্তর বলতে শিরক-বিদআত, হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, দম্ভ-অহংকার, এমনকি দুনিয়াপ্রীতি থেকে মুক্ত ও অল্পে তুষ্ট পাখিদের মত আত্মা এমন মুমিন ব্যক্তির অন্তরকে বুঝানো হয়েছে। কেননা কাফের ও মুনাফিকের অন্তর হয় অসুস্থ রোগাক্রান্ত ব্যাধীযুক্ত। আর এসবের মাধ্যমে পার্থিব ভোগ-বিলাসী হয়ে পড়ে এবং মূর্খতার অন্ধকার ও নৈতিক অধঃপতনে জড়িয়ে পড়ে। কারণ মু’মিনের অন্তর উক্ত সকল প্রকার রোগ-ব্যাধী ও নিফাক্বীর অপবিত্রতা থেকে মুক্ত থাকেন। মুমিন

বিশুদ্ধ অন্তর দেহে স্থাপন করুন! বিস্তারিত পডুন »

বাহাঈ ধর্মের উৎপত্তি ও পরিচয়

উরোপীয় রেনেসাঁর অন্যতম মূল সুর ছিলো ইহজাগতিকতাবাদ। চার্চের অনাচার এবং ব্যক্তিজীবনে ধর্মগুরুর হস্তক্ষেপে অতিষ্ঠরা এই সুযোগে ছুড়ে ফেলে দেয় ধর্মকে। সেই ধারণায় প্রভাবিত হয় পূর্ব-পশ্চিম সর্বত্র। প্রচণ্ড ধার্মিকও ভাবতে থাকে নতুন করে। সত্যিই কি ফুরিয়ে গেছে ধর্মের প্রয়োজন? উত্তর দেবার জন্যই যেন আগমন ঘটলো নতুন এক বিশ্বাসের, বাহাই ধর্ম। প্রভুর একত্ববাদের পাশাপাশি যেখানে প্রাধান্য পেয়েছে মানবজাতির একত্ব ও ধর্মের সামঞ্জস্য। বাহাউল্লাহ বলেছেন- সকল মানুষ এবং সকল জাতি একটা মাত্র পরিবার। এক পিতার সন্তান। তাদের সেভাবেই থাকা উচিত, যেভাবে ভাইবোনেরা একে অপরের সাথে থাকে। বাহাই মতবাদ

বাহাঈ ধর্মের উৎপত্তি ও পরিচয় বিস্তারিত পডুন »

Scroll to Top