আল্লাহর সামনে ঝগড়া

আল্লাহ বলেন, ‘..মানুষ হ’ল সবচেয়ে বেশী ঝগড়া প্রিয়’ (কাহফ ১৮/৫৪)। তিনি বলেন, ‘যদি তোমার প্রতিপালক চাইতেন, তবে সকল মানুষকে একই দলভুক্ত করতেন। কিন্তু তারা সর্বদা মতভেদ করতেই থাকবে’। ‘কেবল তারা ব্যতীত যাদের উপর তোমার পালনকর্তা অনুগ্রহ করেন..’ (হূদ ১১/১১৮-১৯)। মানুষ কেবল দুনিয়াতেই ঝগড়া করবে না, ক্বিয়ামতের দিনও আল্লাহর সামনে ঝগড়া করবে। যেমন তিনি বলেন, ‘অতঃপর ক্বিয়ামতের দিন তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের সামনে আপোষে ঝগড়া করবে’ (যুমার ৩৯/৩১)। এর দ্বারা কাফির-মুমিন ও যালেম-মযলূম সবাইকে বুঝানো হয়েছে। কেননা দুনিয়াতে এদের ঝগড়া মিটবে না। আল্লাহর সামনে গিয়েও এরা ঝগড়া করবে এবং প্রত্যেকে […]

আল্লাহর সামনে ঝগড়া বিস্তারিত পডুন »

আশূরায়ে মুহাররমের ফযীলত

১. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيْضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ- ‘রামাযানের পরে সর্বোত্তম ছিয়াম হ’ল মুহাররম মাসের ছিয়াম অর্থাৎ আশূরার ছিয়াম এবং ফরয ছালাতের পরে সর্বোত্তম ছালাত হ’ল রাতের নফল ছালাত’ অর্থাৎ তাহাজ্জুদের ছালাত।[1] ২. আবু ক্বাতাদাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, وصِيَامُ يَوْمِ عَاشُوْرَاءَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ أَنْ يُّكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِىْ قَبْلَهُ، ‘আশূরা বা ১০ই মুহাররমের ছিয়াম আমি আশা করি আল্লাহর নিকটে বান্দার বিগত এক বছরের (ছগীরা) গোনাহের কাফফারা হিসাবে গণ্য হবে’।[2]

আশূরায়ে মুহাররমের ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

রুগ্ন বন্ধুকে দেখতে যাওয়া

মানব জীবনে বিপদ-আপদের যতগুলো ক্ষেত্র আছে, তার মধ্যে অসুস্থতা অন্যতম। দুনিয়াবী জীবনে মানুষ যে কত বড় অসহায়, তার বাস্তব উপলব্ধি ঘটে অসুস্থ অবস্থায়। এমত পরিস্থিতিতে কোন শত্রুও যদি দেখা করতে আসে বা তার সাহায্যে এগিয়ে আসে, তবে সে তাকে আর শত্রু মনে করে না। সে তখন তার নিকটে পরম বন্ধুতে পরিণত হয় এবং তার অন্তরে ঐ শত্রুর জন্য আলাদা একটা স্থানও তৈরী হয়ে যায়। তাই রুগ্ন ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া বা সাধ্যমত তার দেখ-ভাল করা ভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধির একটা বড় উপায়। রুগ্ন ব্যক্তির দেখা-শোনার বিষয়টি ইসলামী শরী‘আত

রুগ্ন বন্ধুকে দেখতে যাওয়া বিস্তারিত পডুন »

মুহাররম মাসের বিদ‘আত সমূহ

——————– লিলবর আল-বারাদী (১) শাহাদতে হুসাইনের শোক পালনের উদ্দেশ্যে ছিয়াম পালন করা :  অত্যাচারী শাসক ফেরাউনের কবল থেকে মূসা (আঃ)-এর নাজাতের শুকরিয়া স্বরূপ ৯ ও ১০ই মুহাররম অথবা ১০ ও ১১ই মুহাররম ছিয়াম পালন করা। বর্তমান সমাজে উক্ত দু’টি ছিয়াম পালনের প্রচলন রয়েছে। তবে তা শাহাদতে হুসাইনের শোক পালনের উদ্দেশ্যেই পালিত হয়ে থাকে। যা সম্পূর্ণরূপে ছহীহ হাদীছ বিরোধী এবং স্পষ্ট বিদ‘আত। কেননা এই ছিয়ামের সূচনা হয়েছে মূসা (আঃ)-এর সময় থেকে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর জীবদ্দশাতেই মুহাররমের ছিয়াম পালন করেছেন। আর কারবালার ঘটনা ঘটেছে রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর ৫০

মুহাররম মাসের বিদ‘আত সমূহ বিস্তারিত পডুন »

ভালোবাসা

দু’টি মনের অভিন্ন মিলনকে ভালোবাসা বলে।বিয়ের পরে স্বামী-স্ত্রির মধ্যে যে ভালবাসা সৃষ্টি হয় এর মধ্যে অনেক চিরন্তন কল্যাণ রয়েছে । এসম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِنْ أَنْفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُمْ مَوَدَّةً وَرَحْمَةً إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ ‘তোমাদের নিজেদের মধ্য থেকেই তোমাদের স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি লাভ কর এবং তোমাদের পরস্পরের মাঝে হৃদ্যতা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন’ (রুম: ৩০/২১)। দাম্পত্য জীবনের জন্য রোমান্টিক প্রেমের পরিবর্তে বাস্তব প্রেম ও পরস্পরের প্রতি দয়া, সহমর্মিতা ও সহনশীলতাপূর্ণ

ভালোবাসা বিস্তারিত পডুন »

আরাফাহ দিবস : গুরুত্ব ও ফযীলত

নাফীসা বিনতু জালাল যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাহ ময়দানে চিহ্নিত সীমানার মধ্যে অবস্থান করা হজ্জের প্রধান রুকন। এই দিনকেই আরাফার দিন বলা হয়। এ দিনটি অত্যন্ত গুরুত্ববহ ও মর্যাদাপূর্ণ। এ দিনের গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে নিম্নে নাতিদীর্ঘ আলোচনা করা হ’ল।- আরাফাহ দিবসের মর্যাদা : এ দিবসটি অনেক ফযীলত সম্পন্ন দিবসের চেয়ে অধিক মর্যাদার অধিকারী। যে সকল কারণে এ দিবসটির এত মর্যাদা তার কয়েকটি নিম্নে উল্লেখ করা হ’ল।- (১) এ দিন ইসলাম ধর্মের পূর্ণতা লাভ ও বিশ্ব মুসলিমের প্রতি আল্লাহর নে‘মতের

আরাফাহ দিবস : গুরুত্ব ও ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

কুরবানীর মাসায়েল

(১) চুল-নখ না কাটা : উম্মে সালামাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী দেওয়ার এরাদা রাখে, তারা যেন যিলহজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর হ’তে কুরবানী সম্পন্ন করা পর্যন্ত স্ব স্ব চুল ও নখ কর্তন করা হ’তে বিরত থাকে’।[1](২) কুরবানীর পশু : এটা তিন প্রকার- উট, গরু ও ছাগল। দুম্বা ও ভেড়া ছাগলের মধ্যে গণ্য। প্রত্যেকটির নর ও মাদি। এগুলির বাইরে অন্য পশু দিয়ে কুরবানী করার প্রমাণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে পাওয়া যায় না। তবে অনেক বিদ্বান গরুর উপরে

কুরবানীর মাসায়েল বিস্তারিত পডুন »

হিংসা

প্রফেসার ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব মানব মনের রোগসমূহের মধ্যে একটি কঠিন রোগের নাম হ’ল ‘হিংসা’। যা মানুষকে পশুর চাইতে নীচে নামিয়ে দেয়। হিংসার পারিভাষিক অর্থ تَمَنَّى زَوَالَ نِعْمَةِ الْمَحْسُوْدِ ‘হিংসাকৃত ব্যক্তির নে‘মতের ধ্বংস কামনা করা’। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, لاَ حَسَدَ إِلاَّ فِى اثْنَتَيْنِ رَجُلٌ آتَاهُ اللهُ مَالاً فَسُلِّطَ عَلَى هَلَكَتِهِ فِى الْحَقِّ ، وَرَجُلٌ آتَاهُ اللهُ الْحِكْمَةَ ، فَهْوَ يَقْضِى بِهَا وَيُعَلِّمُهَا ‘দু’টি বস্ত্ত ভিন্ন অন্য কিছুতে হিংসা সিদ্ধ নয়। ১. আল্লাহ যাকে মাল দিয়েছেন। অতঃপর সে তা হক-এর পথে ব্যয় করে।

হিংসা বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top