উপদেশ

ঘুমানোর পূর্বে করণীয় এবং দো‘আ ও যিকির

ঘুম মানবদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরের পুনরুদ্ধার, মস্তিষ্কের কার্যক্রম এবং সার্বিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু, আপনি কি জানেন যে, কত ঘণ্টা ঘুমানো উচিত? এই প্রশ্নের উত্তর আপনার বয়স, জীবনযাত্রার ধরন এবং শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। শিশুদের শরীর দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং তাদের শারীরিক এবং মানসিক উন্নয়ন ঘটে। এজন্য তাদের অধিক সময় ঘুমানো দরকার। (ক) ১ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ১০-১৩ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। এই বয়সে ঘুম তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ এবং শরীরের বৃদ্ধিতে সহায়ক। (খ) ৬ থেকে ১৩ বছর বয়সী […]

ঘুমানোর পূর্বে করণীয় এবং দো‘আ ও যিকির বিস্তারিত পডুন »

মুমিন ব্যতীত অপর মুমিনের চরিত্রের সাক্ষ্য গ্রহণীয় নয়

একজন মানুষকে পূর্ণ মু’মিন হতে হলে তাকে অবশ্যই উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। কিয়ামতের দিন উত্তম চরিত্র হবে সবচেয়ে ওযনদার ‘আমল। এজন্যই অত্র হাদীসে বলা হয়েছে, পরিপূর্ণ মু’মিন হলো ঐ ব্যক্তি যে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী চরিত্র ব্যাপক শব্দ। যার মধ্যে রয়েছে- সত্যবাদিতা, আমানতদারিতা, নম্রতা প্রভৃতি। রাসূলুল্লাহ (সা.) নবুওত প্রাপ্তির পূবেই এসকল গুণে গুণান্বিত হয়েছিলেন। অনুরূপ আমরা প্রকৃত মুমিন বা চরিত্রবান হতে চাইলে তা রপ্ত করার সাথে সাথে আমল বর্ধিত করতঃ মুমিনের সকল গুণাবলী রপ্ত করতে হবে। মু’মিনের আরো কিছু গুণ হলো সে হবে সহানুভূতিশীল, দয়ার্দ্র, কোমল

মুমিন ব্যতীত অপর মুমিনের চরিত্রের সাক্ষ্য গ্রহণীয় নয় বিস্তারিত পডুন »

প্রতিশোধের চেয়ে ক্ষমা শ্রেয়

দুনিয়াতে যুগে যুগে যালেম অত্যাচার করেছে, মযলুম তা সহ্য করেছেন। কিন্তু মযলুম ব্যক্তি যদি প্রতিশোধ না নিয়ে ধৈর্য ধারণ করে, তবে সে সফলকাম। ইউসুফ (আঃ) শত নির্যাতন ও যুলুমের স্বীকার হয়ে এবং প্রতিশোধ গ্রহণের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তার ভাইদেরকে ক্ষমা করে দিয়ে বলেছিলেন,لَا تَثْرِيبَ عَلَيْكُمُ الْيَوْمَ يَغْفِرُ اللهُ لَكُمْ وَهُوَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِيْنَ ‘আজ তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই। আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করুন। তিনি মেহেরবানদের চেয়ে অধিক মেহেরবান’ (ইউসুফ ১২/৯২)।  ইউসুফ আলাইহিস সালাম ভ্রাতাদের নিজেদের অপরাধ স্বীকার ও ইউসুফ আলাইহিস সালাম-এর শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নেয়া ছাড়া উপায়

প্রতিশোধের চেয়ে ক্ষমা শ্রেয় বিস্তারিত পডুন »

কুরআন মুমিনের জন্য সাদাকাহ

দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞানার্জন। এর কোন বয়স বা সময়সীমা নেই। জীবনের দীর্ঘ সময় এ পথে ব্যয় করতে হবে। জ্ঞান হওয়ার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জ্ঞানার্জন করতে হবে। তবেই জ্ঞানের সকল শাখায় বিচরণ করা সম্ভব হবে এবং পরিপক্ক জ্ঞানী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে। হাসান বিন মানছূর আল-জাসসাস বলেন, আমি ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কত বছর পর্যন্ত একজন মানুষ লেখা পড়া শিখবে? তিনি বললেন, মৃত্যু পর্যন্ত’।(ত্বাবাকাতুল হানাবিলাহ ১/১৪০ পৃ.।) আর সমাজে নেতৃত্ব দিতে হ’লে সর্বপ্রথম জ্ঞানার্জন করা আবশ্যক। ওমর (রাঃ) বলেন, تَفَقَّهُوْا

কুরআন মুমিনের জন্য সাদাকাহ বিস্তারিত পডুন »

সংস্কারমূলক প্রতিষ্ঠান : কল্যাণকর

প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় প্রতিযোগীতা নয়, বরং মান-সম্মত  পরিবেশ ও শিক্ষা চাই। সালাফী বা আহলুল হাদীছদের সমাজ সংস্কারমূলক যে কার্যক্রম ও বিশ্বাস তা হ’ল- ‘আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ ‘অহি’ পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ হ’ল অভ্রান্ত সত্যের চূড়ান্ত মানদন্ড। উক্ত অহি-র সত্যকে মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগে প্রতিষ্ঠা করা ও সেই আলোকে সমাজের আমূল সংস্কার সাধন করা। আর সেই লক্ষ্যে শিক্ষা সংস্কার অতিব জরুরী। কেননা জান্নাতের সে-ই মানুষ হতে হলে নৈতিক তথা দ্বীনের তথা কুরআন-সুন্নাহর শিক্ষা অপরিহার্য। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে যে কাজটির প্রতি বেশী জোর দেয়া

সংস্কারমূলক প্রতিষ্ঠান : কল্যাণকর বিস্তারিত পডুন »

দান-ছাদাক্বাহর গুরুত্ব ও ফযীলত

মানুষের সৃষ্টিগত একটি অভ্যাস হলো কৃপণতা এবং ক্রোধ ও প্রতিশোধপ্রবণ হয়ে ওঠা, এ সবই শায়ত্বনী কর্মকান্ডের অন্তর্গত। তাই যাতে করে ঐ মানুষটি তার এই খারাপ অভ্যাস থেকে পুরোপুরি বিরত থেকে বদান্যতা ও সৌহার্দ্যের গুণে গুণান্বিত হয়। ছাদাক্বাহ এমনই এক ইবাদত যার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য হাছিল হয় এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,لِيَقِ أَحَدُكُمْ وَجْهَهُ النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ ‘তোমরা একটি খেজুরের টুকরা দান করে হ’লেও জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচো’ (তিরমিযী হা/২৯৫৩, ছহীহুল জামে‘ হা/৮১৪৭)। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা দান প্রকাশ্যে

দান-ছাদাক্বাহর গুরুত্ব ও ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

মৃত্যু, প্রত্যেক জীবের অপ্রতিরোধ্য সঙ্গী

মানুষের জন্য উচিত নয় যে, সবচেয়ে বড় উপদেশের স্মরণ হতে উদাসীন থাকা আর তা হল মৃত্যু তথা মৃত্যুর স্মরণ। দুনিয়ার ভোগবিলাসের সুখময় স্বাদ বিনষ্টকারী জিনিস হলো মৃত্যু। তাই মৃত্যুকে বেশী বেশী স্মরণ করা উচিৎ। কেননা মৃত্যু প্রত্যেক জীবের জীবনে একটি অপ্রতিরোধ্য বন্ধু। মৃত্যুকে রোধ করার মত কোন বস্তু দুনিয়াতে নেই। জন্মিলে মরিতে হবে, চিরন্তন সত্য এ ভূবনে, সময় থাকতে আখের গোছাও সুধারনা পোষণ করো মরণে। মু’মিন ব্যক্তি দুনিয়াতে অবস্থান করবে বিদেশীর অবস্থানের মতো। সুতরাং তার অন্তরকে সম্পর্ক রাখবে না দূরবর্তী দেশের কোন কিছুর সাথে বরং

মৃত্যু, প্রত্যেক জীবের অপ্রতিরোধ্য সঙ্গী বিস্তারিত পডুন »

আল্লাহর জন্য তাকবীর দেয়ার বিধান

তাকবীর দেয়া সওয়াবের কাজ। আমরা প্রত্যেক দলের শ্লোগান যখন বলি, তখন ইসলাম পন্থী দলগুলোও একটি শ্লোগান ঠিক করেছেন। কেহ নারায়ে তাকবীর, লিল্লাহে তাকবীর ইত্যাদি। নারায়ে (نعره) শব্দটি উর্দূ। অর্থ: ধ্বনী বা উচ্চ আওয়াজ। তাকবীর শব্দটি আরবী। যার অর্থ: আল্লাহর বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। আর লিল্লাহে আরবী শব্দ। যার অর্থ আল্লাহর জন্য। তবে জন সন্মুখে উচ্চস্বরে তাকবীর দেয়ার বিধান রয়েছে। তবে রাসূল (ছাঃ) এটাকে থামিয়েও দিয়ে ছিলেন। যেমন – আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খায়বার যুদ্ধের জন্য বের হলেন কিংবা

আল্লাহর জন্য তাকবীর দেয়ার বিধান বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top