ছালাত/সালাত

ছালাতের মধ্যে সূরা ফাতিহা পাঠের বিধান : একটি আলোচনা

কুরআন পাঠের সময় চুপ থাকার আয়াত দ্বারা ইমামের পেছনে  সূরা ফাতিহা তেলাওয়া করার বিপক্ষে এবং চুপ থাকার পক্ষে নিম্নোক্ত আয়াত দলিল হিসেবে তুলে ধরেন তাদের জ্ঞাতার্থে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।  আল্লাহ বলেন, وَ اِذَا قُرِیٴَ الۡقُرۡاٰنُ فَاسۡتَمِعُوۡا لَ وَ اَنۡصِتُوۡا لَعَلَّكُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ ‘আর যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোন এবং চুপ থাক, যাতে তোমরা রহমত লাভ কর’ (আরাফ ৭/২০৪)। উপরোক্ত আয়াতের প্রেক্ষাপট ছিল ঐ সকল কাফেরদের সম্পর্কে, যারা কুরআন তিলাওয়াতের সময় চেঁচামেচি করত।  আর কাফেরেরা তাদের সঙ্গী-সাথীদের বলত, চেঁচামেচি কর, তালি বাজাও, […]

ছালাতের মধ্যে সূরা ফাতিহা পাঠের বিধান : একটি আলোচনা বিস্তারিত পডুন »

সালাত মুমিন বান্দা ও শিরকের মধ্যে পার্থক্যকারী

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছা.) বলেন, “‏ لَيْسَ بَيْنَ الْعَبْدِ وَالشِّرْكِ إِلاَّ تَرْكُ الصَّلاَةِ فَإِذَا تَرَكَهَا فَقَدْ أَشْرَكَ ‏” ‘(মুমিন) বান্দা ও শিরকের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত বর্জন করা। সুতরাং যে ব্যক্তি সালাত ত্যাগ করলো, সে অবশ্যই শিরক করলো’ (ইবনু মাজাহ হা/১০৮০)। অন্যত্র জাবির (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, بَيْنَ الْكُفْرِ وَالإِيمَانِ تَرْكُ الصَّلاَةِ  ‘কুফর ও ঈমানের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত ত্যাগ করা’ (তিরমিযী হা/২৬১৮, ইবনু মাজাহ হা/১০৭৮)। এখানে উল্লেখ্য যে, তাওহীদ তথা কালেমা পাঠের মাধ্যমে সাক্ষ্য দিয়ে মুমিন হয়। এটা

সালাত মুমিন বান্দা ও শিরকের মধ্যে পার্থক্যকারী বিস্তারিত পডুন »

ই‘তিক্বাফ

ই‘তিকাফ তাক্বওয়া অর্জনের একটি বড় মাধ্যম। এতে লায়লাতুল ক্বদর অনুসন্ধানের সুযোগ হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মসজিদে নববীতে রামাযানের শেষ দশকে নিয়মিত ই‘তিকাফ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর স্ত্রীগণও ই‘তিকাফ করেছেন’।[1] নারীদের জন্য বাড়ীর নিকটস্থ জুম‘আ মসজিদে ই‘তিকাফ করা উত্তম।[2] ই‘তিকাফের জন্য জুম‘আ মসজিদ হওয়াই উত্তম। তবে নিয়মিত জামা‘আত হয় এরূপ ওয়াক্তিয়া মসজিদে ই‘তিকাফ করাও জায়েয। কারণ এ মর্মে আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত হাদীছটি একটি বর্ণনায় ‘জামে মসজিদ ব্যতীত ই‘তিকাফ হবে না’[3] আসলেও অন্য বর্ণনায় ‘জামা‘আত হয় এরূপ মসজিদে ই‘তিকাফ হবে’ এসেছে।[4] এছাড়া আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস এবং হাসান

ই‘তিক্বাফ বিস্তারিত পডুন »

সূরা ফাতিহার ফযীলত

(‘ফযীলতপূর্ণ দো‘আ ও যিকির’ বই থেকে নেয়)সূরা ফাতিহা (মুখবন্ধ) সূরা-১, মাক্কী :بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِاَلْحَمْدُ لِلہِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَﭐﺫ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِﭑﺫ مٰلِکِ یَوْمِ الدِّیْنِﭒﺚ اِیَّاکَ نَعْبُدُ وَاِیَّاکَ نَسْتَعِیْنُﭓﺚ اِھْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَﭔﺫ صِرَاطَ الَّذِیْنَ اَنْعَمْتَ عَلَیْھِمْﺃ غَیْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَیْھِمْ وَلَا الضَّا۬لِّیْنَﭖﺟউচ্চারণ : (১) আল হামদু লিল্লা-হি রাব্বিল আলামীন (২) আর রাহমা-নির রাহীম (৩) মা-লিকি ইয়াওমিদ্দ্বীন (৪) ইয়্যাকা না‘আবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাঈন (৫) ‘ইহ্দিনাছ ছিরা-ত্বাল মুস্তাক্বীম (৬) ছীরা-তাল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলাইহিম (৭) গাইরিল মাগযূবি ‘আলাইহিম ওয়ালায্যল্লীন’।পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্র নামে (শুরু করছি)অনুবাদ : (১) ‘যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য,

সূরা ফাতিহার ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

ছালাত পরবর্তী দো‘আ ও যিকির সমূহ

ফরজ ছালাত সমাপান্তে ইমাম-মুক্তাদী সবার জন্য পঠিতব্য দো‘আ ও যিকির সমূহ তুলে ধরা হ’ল – (1) اَللهُ أَكْبَرُ، أَسْتَغْفِرُ اللهَ، اَسْتَغْفِرُ اللهَ، اَسْتَغْفِرُ اللهَ- উচ্চারণ : ১. আল্লা-হু আকবার (একবার সরবে)। আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ (তিনবার)। অর্থ : আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। আমি আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।[1] (2) اَللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَ الْإِكْرَامِ. ২. আল্লা-হুম্মা আন্তাস্ সালা-মু ওয়া মিন্কাস্ সালা-মু, তাবা-রক্তা ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল ইকরাম। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনিই শান্তি, আপনার থেকেই আসে শান্তি। বরকতময় আপনি, হে

ছালাত পরবর্তী দো‘আ ও যিকির সমূহ বিস্তারিত পডুন »

সর্বোত্তম আমল হ’ল সালাত

হিজরতের পূর্বে মি’রাজ রজনীতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হয়েছে। এর পূর্বে দু’ ওয়াক্ত সালাত ফরয ছিল। সূর্যোদয়ের পূর্বে অর্থাৎ- ফজরের সালাত। আর সূর্যাস্তের পূর্বে অর্থাৎ- ’আসরের সালাত। আল্লাহ তা’আলা বলেন, وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ بِالْعَشِيِّ وَالْإِبْكَارِ ’’সকাল ও সন্ধ্যায় তোমার প্রভুর প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা বর্ণনা করো’’- (সূরাহ্ আল গাফির/মু’মিন ৪০: ৫৫)। সর্বোত্তম আমল সালাত : মানুষ সালাত-সিয়াম পালন করার সাথে সাথে যদি কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ হতে বাঁচতে পারে তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তার সগীরাহ্ গুনাহগুলো সালাত-সিয়ামের মাধ্যমে ক্ষমা করে দিবেন। আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণনা

সর্বোত্তম আমল হ’ল সালাত বিস্তারিত পডুন »

ইস্তেখারার বিধি-বিধান

ইস্তেখারা শব্দের অর্থ: ইস্তেখারা শব্দটি আরবি। আভিধানিক অর্থ: কল্যাণ প্রার্থনা করা বা এমন কিছু প্রার্থনা করা যাতে কল্যাণ রয়েছে।ইসলামি পরিভাষায়: দু রাকাআত সালাত ও ইস্তেখারার দুআর মাধ্যমে বিশেষ কোন কাজে আল্লাহর নিকট কল্যাণ প্রার্থনা করাকেই ইস্তেখারা বলা হয়।ইস্তেখারা করার হুকুম: এটি সুন্নত-যা সহীহ বুখারির হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।🔸 ইস্তিখারা কখন করতে হয়?মানুষ বিভিন্ন সময় একাধিক বিষয়ের মধ্যে কোনটিকে গ্রহণ করবে সে ব্যাপারে দ্বিধা-ধন্ধে পড়ে যায়। কারণ, কোথায় তার কল্যাণ নিহিত আছে সে ব্যাপারে কারো জ্ঞান নাই। তাই সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য আসমান জমিনের সৃষ্টিকর্তা, অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ

ইস্তেখারার বিধি-বিধান বিস্তারিত পডুন »

আযানের ইতিহাস সার-সংক্ষেপ

আযান (আরবি: أَذَان আযান্‌) হচ্ছে মসজিদে জামাতে সালাত আদায়ের জন্য ইসলামি আহ্বান বা ডাকধ্বনি। দিনের নির্ধারিত সময়ে একজন মুয়াজ্জিন আযান পাঠ করেন।ʾআযান শব্দের মূল অর্থ দাড়ায় أَذِنَ ডাকা, আহবান করা। যার মূল উদ্দেশ্য হলো অবগত করানো। এই শব্দের আরেকটি ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল ʾআজুন। (أُذُن), যার অর্থ হলো “শোনা”। কুরআনে মোট পাঁচ স্থানে আজুন শব্দটি এসেছে। পারিভাষিক অর্থে, শরিয়ত নির্ধারিত আরবি বাক্যসমূহের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে উচ্চকণ্ঠে সালাতের আহবান করাকে আযান বলা হয়।মক্কায় অবস্থানকালে মহানবী (ﷺ) তথা মুসলিমগণ বিনা আযানে নামায পড়েছেন। অতঃপর মদ্বীনায় হিজরত করলে হিজরী

আযানের ইতিহাস সার-সংক্ষেপ বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top