মনীষী চরিত

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (১০ম কিস্তি)

(লেখক : ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব)….. ১৫. হাদীছের অন্তর্নিহিত ফিক্বহ সম্পর্কে আলোকপাত : শায়খ আলবানী স্বীয় গবেষণাকর্ম কেবল হাদীছ তাখরীজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেননি বরং হাদীছের বিশুদ্ধতা সাব্যস্তের পর উক্ত হাদীছ থেকে উদ্ভূত শারঈ বিধান সম্পর্কেও আলোকপাত করেছেন। একই সাথে মতভেদপূর্ণ বিষয়গুলোতে বিশুদ্ধ দলীলের আলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়াস পেয়েছেন। ফলে তাঁর গ্রন্থসমূহ ফিক্বহুল হাদীছ তথা হাদীছ ভিত্তিক ফিক্বহের ক্ষেত্রে গুরুতবপূর্ণ সংযোজন হিসাবে গৃহীত হয়। যেমন আলী (রাঃ) বর্ণিত একটি হাদীছকে[1] ছহীহ সাব্যস্ত করার পর তিনি এর তিনটি ফায়েদা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছেন। যার মূল বক্তব্য হ’ল- (১) […]

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (১০ম কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৯ম কিস্তি)

(লেখক : ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব)….. ৯. ব্যাপক ভিত্তিক গবেষণা : তাখরীজের ক্ষেত্রে আলবানীর অনন্য কৃতিত্ব হ’ল বিপুল পরিমাণ হাদীছের উপর বিস্তারিত তথ্যভিত্তিক গবেষণা। যুগে যুগে যেসব মুহাদ্দিছ ইলমুত তাখরীজের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিসরে অবদান রেখেছেন, তাদের অধিকাংশই সংক্ষিপ্তভাবে তা সম্পন্ন করেছেন। স্বল্প কয়েকজন মুহাদ্দিছ যেমন পূর্ববর্তীদের মধ্যে হাফেয জামালুদ্দীন মিযযী, ইমাম যায়লাঈ, হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী এবং পরবর্তীদের মধ্যে আহমাদ শাকির, শু‘আইব আরনাঊত্ব প্রমুখ বিদ্বানগণ হাদীছের মূল উৎস সমূহ এবং শাওয়াহেদ ও মুতাবা‘আতসহ বিস্তারিত তাখরীজ সম্পন্ন করেছেন। আলবানী ব্যাপকতর হাদীছ গবেষণায় কতটা অগ্রগামী ছিলেন একটি তুলনামূলক

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৯ম কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৮ম কিস্তি)

(লেখক : ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব)….. হাদীছের বিশুদ্ধতা নিরূপণে শায়খ আলবানীর অবদান হাদীছের বিশুদ্ধতা নিরূপণে মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহ.) গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আধুনিক যুগে তিনি হাদীছ শাস্ত্রে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছেন। সমসাময়িকদের মধ্যে তিনি সর্বাধিক সংখ্যক হাদীছের তাখরীজ করেছেন। ইলমে হাদীছের ময়দানে বিশেষত তাখরীজুল হাদীছের ক্ষেত্রে তিনি যে তথ্য সমৃদ্ধ, প্রজ্ঞাপূর্ণ ও বিস্তৃত গবেষণা উপস্থাপন করেছেন, তা ইবনু হাজার আসক্বালানী (৮৫২ হি.) পরবর্তী আর কোন বিদ্বানের রচনায় পাওয়া যায় না। তিনি হাদীছ সমালোচনা পদ্ধতিকে নতুনভাবে তুলে ধরেছেন, হাযার হাযার রেওয়ায়াতের হুকুম নির্ধারণ করেছেন এবং মুহাদ্দিছগণের হাদীছ

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৮ম কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৭ম কিস্তি)

(লেখক : ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব)….. বিধি-বিধান সংশ্লিষ্ট রচনাবলী ১. ছিফাতু ছালাতিন্নবী (ছাঃ) : এটি ছালাতের উপর বিশুদ্ধ হাদীছ ভিত্তিক রচিত বহুল প্রচারিত একটি গ্রন্থ। গ্রন্থটি তিনটি সংস্করণে প্রকাশিত হয়। প্রথমটি হ’ল- আছলু ছিফাতি ছালাতিন্নবী (ছাঃ) মিনাত তাকবীরে ইলাত তাসলীমে কাআন্নাকা তারাহা। ১২১৮ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থটি আলবানী (রহঃ) ১৯৫১ সালে রচনা করেন। এখানে তিনি আলোচনাকে দু’ভাগে ভাগ করেছেন। উপরাংশে কেবল হাদীছের মূল মতন এবং আলোচনা ধারাবাহিকভাবে বিন্যাসের জন্য কিছু বাক্য উল্লেখ করেছেন। আর নিম্নাংশটি মূল আলোচনার ব্যাখ্যা হিসাবে এনেছেন। এখানে তিনি বিস্তারিত তাখরীজ উপস্থাপন করে তা থেকে গ্রহণযোগ্য

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৭ম কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৬ষ্ঠ কিস্তি)

(লেখক : ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব)….. তাহক্বীক্ব ও তাখরীজ বিষয়ক রচনাবলী ৪. ছহীহ ও যঈফ আদাবুল মুফরাদ : ইমাম বুখারী (রহঃ) সংকলিত আল-আদাবুল মুফরাদ থেকে যঈফ হাদীছগুলো[1] বাদ দিয়ে কেবল ছহীহগুলো নিয়ে তিনি উক্ত সংকলনটি রচনা করেন। অতঃপর যঈফগুলো নিয়ে পৃথক একটি গ্রন্থ সংকলন করেন। উক্ত সংকলনে তিনি কেবল ছাহাবীর নাম উল্লেখ করেছেন, প্রত্যেক হাদীছের নীচে হাদীছের হুকুম সংক্ষেপে পেশ করেছেন এবং প্রখ্যাত মিসরীয় বিদ্বান ফুয়াদ আব্দুল বাক্বী[2] কৃত তাখরীজ ও তা‘লীক্বসমূহ ইলমী গুরুত্বের বিবেচনায় রেখে দিয়েছেন। হাদীছ এবং আছার মিলে মোট ৯৯৩টি বর্ণনা নিয়ে ‘ছহীহুল আদাবিল মুফরাদ’ এবং

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৬ষ্ঠ কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৫ম কিস্তি)

(লেখক : ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব)….. বিদ্বানদের নিকটে শায়খ আলবানীর গ্রহণযোগ্যতা : ইলমে হাদীছের ময়দানে শায়খ আলবানী (রহঃ) যে অবদান রেখেছেন, সমকালীন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুহাদ্দিছ, ফক্বীহ ও অন্যান্য বিদ্বানগণ একবাক্যে তার স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁর অবদান মূল্যায়ন করেছেন। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্তব্য নিম্নে তুলে ধরা হ’ল।- (১) সঊদী আরবের সাবেক গ্রান্ড মুফতী শায়খ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (১৯১৩-১৯৯৯ খ্রি.) বলেন, لا أعلم تحت قبة الفلك في هذا العصر أعلم من الشيخ ناصر ‘আসমানের নীচে এই যুগে শায়খ নাছের-এর চেয়ে

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৫ম কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৪র্থ কিস্তি)

(লেখক : ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব)….. চরিত্র-মাধুর্য : শায়খ আলবানী ছিলেন বিনয়ী, পরহেযগার, সচ্চরিত্রবান, সহনশীল ও প্রশস্ত হৃদয়ের অধিকারী। যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ হওয়া সত্বেও জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি নিজেকে একজন ‘তালিবুল ইলম’ হিসাবেই গণ্য করতেন। ছোট-বড়, শিক্ষিত-অশিক্ষিত সব শ্রেণীর মানুষের নিকট থেকে উপদেশ গ্রহণ করতেন। কারো সাথে বড়ত্ব প্রদর্শন করতেন না। বিনয়-নম্রতা ও তাক্বওয়া-পরহেযগারিতায় তিনি ছিলেন সালাফে ছালেহীনের একনিষ্ঠ অনুসারী। নিম্নে তাঁর চরিত্রের কয়েকটি দিক সম্পর্কে আলোকপাত করা হ’ল : পরহেযগারিতা : জীবনের সর্বক্ষেত্রে তিনি ছহীহ সুন্নাহর পূর্ণ অনুসরণের প্রতি ছিলেন তীব্র আকাঙ্ক্ষী। যেকোন আমলের সঠিক

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৪র্থ কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৩য় কিস্তি)

(লেখক : ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব)…..আম্মানে হিজরত : নানাবিধ নির্যাতন-নিপীড়নের মুখোমুখি হওয়ার পর ১৪০০ হিজরীর ১লা রামাযানে তিনি সপরিবারে দামেশক হ’তে জর্দানের রাজধানী আম্মানে হিজরত করেন এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য একখন্ড জমি ক্রয় করে গৃহ নির্মাণ শুরু করেন। নির্মাণকাজে ব্যাপক পরিশ্রমের কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিকে দামেশকে অবস্থিত তাঁর সমৃদ্ধ লাইব্রেরীর অনেককিছুই নানা জটিলতার কারণে আম্মানে স্থানান্তর সম্ভব হয়নি। ফলে এসময় তাঁর অনেক পান্ডুলিপি হারিয়ে যায়। যাইহোক কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তিনি পুনরায় দারস-তাদরীস ও তাহক্বীক্ব-তা’লীফে আত্মনিয়োগ করেন।  তবে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জর্দানে

যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) (৩য় কিস্তি) বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top