শিক্ষা ও সংস্কৃতি

দরসে কুরআন : অভিভাবক

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, اللهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا أَوْلِيَاؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُمْ مِنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ أُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ – ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তিনি তাদেরকে অন্ধকার হ’তে আলোর দিকে বের করে আনেন। আর যারা অবিশ্বাস করেছে, শয়তান তাদের অভিভাবক। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। ওরা হ’ল জাহান্নামের অধিবাসী। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে’ (বাক্বারাহ ২/২৫৭)। ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, অত্র আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের খবর দিচ্ছেন যে, তার সন্তুষ্টির […]

দরসে কুরআন : অভিভাবক বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : ধোঁকাব্যঞ্জকের যুগে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন!

আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) বলেন, একদিন নবী (ছাঃ) আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, (হে ’আবদুল্লাহ!) তখন তোমার কিরূপ হবে? যখন তুমি নিকৃষ্ট ও ইতর লোকদের মধ্যে যাবে, তাদের (দ্বীনের ব্যাপারে) অস্বীকার ও আমানতের মাঝে ভেজাল এসে যাবে এবং পরস্পরে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে পড়বে। তাদের অবস্থা হবে এরূপ এবং (এ কথা বলে) উভয় হাতের অঙ্গুলিসমূহকে পরস্পরের মধ্যে ঢুকালেন। ’আবদুল্লাহ বললেন, ফেৎনার সময় আমার কর্তব্য কি হবে? আপনিই আমাকে নির্দেশ করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, عَلَيْكَ بِمَا تَعْرِفُ وَدَعْ مَا تُنْكِرُ وَعَلَيْكَ بِخَاصَّةِ نَفْسِكَ وَإِيَّاكَ وَعَوَامِّهِمْ

দরসে হাদীস : ধোঁকাব্যঞ্জকের যুগে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন! বিস্তারিত পডুন »

মৃত্যু অপ্রিয় সত্য

মৃত্যু অবধারিত এর কোন ছাড় নেই। এই পেয়ালা সকল প্রাণীকে পান করতে হবে। রাতের আধারে বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে একটি বার চিন্তা করুন, গত হয়েগেছে কত শত প্রিয় আপনজন পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, নানা-নানী, ভাই-ভগ্নী, কত বন্ধুবর ইত্যাদি। আমাকে আপনাকেও চলে যেতে হবে বিনা নোটিশে দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে নতুন জীবনে। সুতরাং মৃত্যু থেকে কেহ রেহায় পাবে না। আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় নবীকে বলেন, إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ ‘নিশ্চয়ই তুমি মরবে এবং তারাও মরবে’ (যুমার ৩৯/৩০)। মৃত্যুকে বেশী বেশী স্মরণ করা উচিৎ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,أَكْثِرُوا ذِكْرَ هَاذِمِ

মৃত্যু অপ্রিয় সত্য বিস্তারিত পডুন »

দাজ্জাল কি জীবিত (?)

দাজ্জাল : আরবী শব্দ المسيح الدجّال‎, প্রতিবর্ণী. al-Masīḥ ad-Dajjāl‎; প্রতিবর্ণী. মসিহা দগ্গাল) ইসলামি বিধান অনুসারে একটি অশুভ চরিত্র। বিভিন্ন স্থান থেকে—সাধারণত পূর্বাঞ্চল, খোরাসান বা সিরিয়া ও ইরানের মধ্যবর্তী কোনো এলাকা থেকে—তার আগমন ঘটবে বলে ধারণা করা। দাজ্জাল চরিত্রটি খ্রিষ্টান পরলোকতত্ত্বে বর্ণিত খ্রিষ্টারি চরিত্রের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। দাজ্জাল পূর্ব থেকেই জীবিত রয়েছে এবং বিখ্যাত ছাহাবী তামীম দারী (রাঃ) ও তার ত্রিশজন সাথী সাগরে পথ হারিয়ে এক দ্বীপে গিয়ে ওঠেন। সেখানে পানির খোঁজে বের হ’লে একজন ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়। যে তার চুল টেনে নিয়ে চলছিল। অতঃপর তিনি দাজ্জালের কাহিনী বর্ণনা করেন। যেখানে দাজ্জালের বক্তব্য এসেছে এভাবে যে, যদি আমাকে এখান থেকে বের হওয়ার

দাজ্জাল কি জীবিত (?) বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : আল্লাহর অলী যারা

আল্লাহু তা‘আলা বলেন, الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ کَانُوۡا یَتَّقُوۡنَ – اَلَاۤ اِنَّ اَوۡلِیَآءَ اللّٰهِ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡهِمۡ وَ لَا هُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ ‘শুনে রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহর বন্ধুদের কোন ভয় নেই, আর তারা পেরেশানও হবে না। তারা হচ্ছে সেই সকল লোক যারা ঈমান এনেছে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করে থাকে (ইউনুস ১০/৬২-৬৩)। আলোচ্য আয়াতসমূহে আল্লাহর অলীদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য, তাদের প্রশংসা ও পরিচয় বর্ণনার সাথে সাথে তাদের প্রতি আখেরাতের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে- যারা আল্লাহর অলী তাদের না থাকবে কোন অপছন্দনীয় বিষয়ের সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা, আর না থাকবে কোন

দরসে কুরআন : আল্লাহর অলী যারা বিস্তারিত পডুন »

মূর্তি পূজার উৎপত্তি এবং এ বিষয়ে সর্তকতা

নূহ (আঃ)-এর জাতির সেই লোকেরা নিম্নোক্ত মূর্তিগুলোর ইবাদত করত। এঁরা এত প্রসিদ্ধি লাভ করেছিলেন যে, আরবেও তাঁদের পূজা শুরু হয়েছিল। তাই وَدٌّ (অদ্দ) ‘দূমাতুল জানদল’এর কালব গোত্রের, سُوَاعٌ (সুআ) সমুদ্র উপকুলবর্তী গোত্র ‘হুযায়েল’-এর, يَغُوْثَ (য়্যাগূস) ইয়ামানের সাবার সন্নিকটে ‘জুরুফ’ নামক স্থানের ‘মুরাদ’ এবং ‘বানী গুত্বায়েফ’ গোত্রের, يَعُوْقَ (য়্যাঊক) হামদান গোত্রের এবং نَسْرٌ (নাসর) হিম্‌য়্যার জাতির ‘যুল কিলাআ’ গোত্রের উপাস্য ছিলেন। (ইবনে কাসীর, ফাতহুল ক্বাদীর)।আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ قَالُوۡا لَا تَذَرُنَّ اٰلِهَتَکُمۡ وَ لَا تَذَرُنَّ وَدًّا وَّ لَا سُوَاعًا ۬ۙ وَّ لَا یَغُوۡثَ وَ یَعُوۡقَ وَ

মূর্তি পূজার উৎপত্তি এবং এ বিষয়ে সর্তকতা বিস্তারিত পডুন »

ফিলিস্তীনে ইহুদীবাদের জন্ম ও তাদের দাবীর যথার্থতা

বিশ্ব মানচিত্রে ফিলিস্তীন রাষ্ট্রের অবস্থান মুসলিম বিশ্বের নিকটে এক জাতিগত প্রাণস্পন্দন স্বরূপ। কেননা সেখানে অসংখ্য নবী ও রাসূলের আগমন ঘটেছে। বিশেষ করে মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর আগমন ফিলিস্তীনের প্রতি সমগ্র মুসলিম জাতির এক বিরাট হৃদ্যতার কারণ। কিন্তু খ্রিষ্টান ও ইহুদী সাম্রাজ্যবাদ মুসলিম বিশ্বকে বিমূঢ় ও হতবাক করে ১৯১৮ সালে ফিলিস্তীন ভূখন্ডের একাংশকে ইহুদীদের ‘স্বাধীন আবাসভূমি’ হিসাবে ঘোষণা করে। শুরু হয় মুসলিমদের উপর অত্যাচারের স্টীমরোলার। ঘোষিত হয় ফিলিস্তীনে মুসলমান উজাড়ের পরিকল্পনা। অবশেষে জোটবদ্ধ হয় পাশ্চাত্যের সকল দেশ ও জাতি। নিম্নে ফিলিস্তীনে ইহুদীবাদের জন্ম ও তাদের দাবীর যথার্থতা কতটুকু তা বিশ্লেষণ করা হ’ল। ইহুদীবাদের পরিচয়: ইহুদী সম্প্রদায় বিভিন্ন খেতাবে পরিচিত। মহান আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে তাদেরকে বনী ইসরাঈল, আহলে কিতাব ও ইহুদী বলে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন- ‘হে

ফিলিস্তীনে ইহুদীবাদের জন্ম ও তাদের দাবীর যথার্থতা বিস্তারিত পডুন »

মুমিন ব্যক্তির স্বপ্ন

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়ই তাঁর সাহাবীদেরকে বলতেন, তোমাদের কেউ কোন স্বপ্ন দেখেছ কি? রাবী বলেন, যাদের ক্ষেত্রে আল্লাহর ইচ্ছা, তারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে স্বপ্ন বর্ণনা করত। তিনি একদিন সকালে আমাদেরকে বললেনঃ গত রাতে আমার কাছে দু’জন আগন্তুক আসল। তারা আমাকে উঠাল। আর আমাকে বলল, চলুন। আমি তাদের সঙ্গে চললাম। আমরা কাত হয়ে শুয়ে থাকা এক লোকের কাছে আসলাম। দেখলাম, অন্য এক লোক তার নিকট পাথর নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সে তার মাথায় পাথর নিক্ষেপ করছে। ফলে তার মাথা ফেটে যাচ্ছে। আর পাথর নিচে

মুমিন ব্যক্তির স্বপ্ন বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top