শিক্ষা ও সংস্কৃতি

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর তাৎপর্য

লেখক : নাফিয আল-মাহমূদ(‘আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী’-এর দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র)সম্পাদনা : লিলবর আল-বারাদী ভূমিকা : আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতীকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর একত্ববাদে সাক্ষ্য দেয়া ও ইবাদত করা জন্য। আমলের পূর্বে ঈমানের মজবুতি সুদৃঢ় করা উচিৎ। আর সেই ঈমানের প্রধান শাখা হ’ল لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ. অর্থাৎ- ‘নেই কোন ইলাহ্ (সত্য উপাস্য) আল্লাহ ব্যতীত’। এই বাক্যটির তাৎপর্য অপরিসীম। যা নিচে তুলে ধরা হ’ল- ১. নবী-রাসূলগণের দাওয়াতের প্রথম ধাপ :প্রত্যেক যুগের মানুষ যখনই তাওহীদ থেকে দীরে গিয়ে শিরকের ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে, তখনই আল্লাহ […]

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর তাৎপর্য বিস্তারিত পডুন »

মুসলমানের মান-সম্মানের প্রতি হস্তক্ষেপ করার বিধান

মানুষ আল্লাহর কাংখিত সৃষ্টির সেরা জীব। সুতরাং একজন আরেকজনকে তুচ্ছজ্ঞান বা হেয় প্রতিপন্ন করতে পারে না। যখন কোন ব্যক্তি কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে তখন স্বভাবতই সে নিজেকে তার চেয়ে শ্রেয় মনে করে,যা অহংকারের পর্যায়ভুক্ত। আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত একটি হাদীছে জনৈক ছাহাবীর এক প্রশ্নের উত্তরে অহংকারের ব্যাখ্যা দিয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেন, اَلْكِبْرُ بَطَرُ الْحَقِّ وَ غَمْطُ النَّاسِ. ‘অহংকার হচ্ছে সত্যকে অস্বীকার করা এবং লোকদের নীচুজ্ঞান করা’(মুসলিম, মিশকাত হা/৫১০৮)। এজন্য কথা, কর্ম বা আচরণের মাধ্যমে কাউকে তুচ্ছজ্ঞান করা বা হেয় প্রতিপন্ন করা নিষেধ। আবু

মুসলমানের মান-সম্মানের প্রতি হস্তক্ষেপ করার বিধান বিস্তারিত পডুন »

খিযির (আঃ) সম্পর্কে জ্ঞাতব্য

কুরআনে তাঁকে عَبْداً مِّنْ عِبَادِنَا ‘আমাদের বান্দাদের একজন’ (কাহফ ১৮/৬৫) বলা হয়েছে। বুখারী শরীফে তাঁর নাম খিযির (خضر) বলে উল্লেখ করা হয়েছে’। সেখানে তাঁকে নবী বলা হয়নি। জনশ্রুতি মতে তিনি একজন ওলী ছিলেন এবং মৃত্যু হয়ে গেলেও এখনও মানুষের বেশ ধরে যেকোন সময় যেকোন মানুষের উপকার করেন। ফলে জঙ্গলে ও সাগর বক্ষে বিপদাপদ থেকে বাঁচার জন্য আজও অনেকে খিযিরের অসীলা পাবার জন্য তার উদ্দেশ্যে মানত করে থাকে। এসব ধারণার প্রসার ঘটেছে মূলতঃ বড় বড় প্রাচীন মনীষীদের নামে বিভিন্ন তাফসীরের কেতাবে উল্লেখিত কিছু কিছু ভিত্তিহীন কল্পকথার

খিযির (আঃ) সম্পর্কে জ্ঞাতব্য বিস্তারিত পডুন »

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-৪)

৮. শিশু বক্তাদের নিকট থেকে জ্ঞান আহরণে বিরত থাকা : জ্ঞান কার নিকট হ’তে গ্রহণ করা হচ্ছে, তা অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা ইলম বা জ্ঞান হ’ল দ্বীনের স্বরূপ। যেখানে দ্বীন নেই, সেখানে জ্ঞানও নেই। মুহাম্মাদ বিন সিরীন (রাঃ) বলেন, إِنَّ هَذَا الْعِلْمَ دِيْنٌ فَانْظُرُوْا عَمَّنْ تَأْخُذُوْنَ دِيْنَكُمْ ‘নিশ্চয়ই এ জ্ঞান দ্বীন স্বরূপ। সুতরাং তোমরা লক্ষ্য রাখবে কার নিকট হ’তে তোমাদের দ্বীন গ্রহণ করছ’।[1] দ্বীনের নছীহত কাদের থেকে গ্রহণীয় সে সম্পর্কে আব্দুল্ললাহ ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, ‘দ্বীন ইসলাম তখন নষ্ট হয়ে যাবে, যখন মানুষ ছোটদের নিকট

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-৪) বিস্তারিত পডুন »

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-৩)

দ্বীনী জ্ঞানার্জনে কিছু দিক-নির্দেশনা তাক্বওয়ার সাথে ইলম অর্জন করতে হয়। কেননা তাক্বওয়া প্রকৃত ইলমের বাহক। তাক্বওয়াবিহীন ইলম মূলত ফলবিহীন একটি পুষ্ট গাছের মত যা মালিকের বিশেষ কোন কাজে আসেনা। ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে একজন জ্ঞান আহরণকারীর জন্য অবশ্য পালনীয় চারটি ধাপ রয়েছে। বিখ্যাত তাবেঈ সুফিয়ান ছাওরী (রহঃ) বলেন, ইলমের প্রথম ধাপ হ’ল চুপ থাকা। দ্বিতীয় ধাপ হ’ল মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করা এবং শ্রবণকৃত বিষয়সমূহ মুখস্থ রাখা। তৃতীয় ধাপ হ’ল ইলম অনুযায়ী যথাসাধ্য আমল করা। চতুর্থ ধাপ হ’ল ইলমের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করা এবং অন্যকে তা শিক্ষা দেয়া’।[1] ইলম অর্জনের আগে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ছালিহ

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-৩) বিস্তারিত পডুন »

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-২)

জ্ঞানার্জনকারীর মর্যাদা : আল্লাহ তা‘আলাকে চেনার প্রথম স্তর হ’ল জ্ঞানার্জন করা। আল্লাহর নিকট থেকে যে অহির বিধান এসেছে তা হ’ল কিতাবুল্লাহ ও সুন্নাতে রাসূল অর্থাৎ পবিত্র কুরআন মাজীদ ও রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাহ। এই দুই কিতাবের জ্ঞানকে দ্বীনী জ্ঞান বা ইলম বলা হয়। এই ইলম অর্জনকারী সম্পর্কে অনেক ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় সমুন্নত করবেন। আর তোমরা

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-২) বিস্তারিত পডুন »

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-১)

সুশিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। সুশিক্ষা ব্যতীত বৈধ পন্থায় কোন জাতি উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারেনা। শিক্ষা বা জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক জাতির জন্যে বাধ্যতামূলক। কারণ আল্লাহ তা‘আলা আদি পিতা আদম (আঃ)-কে সৃষ্টির পরে সর্বপ্রথম বিশেষ পন্থায় শিক্ষা দেন। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, وَعَلَّمَ آدَمَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلَائِكَةِ فَقَالَ أَنْبِئُونِي بِأَسْمَاءِ هَؤُلَاءِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ. ‘অনন্তর আল্লাহ আদমকে সকল বস্ত্তর নাম শিক্ষা দিলেন। অতঃপর সেগুলিকে ফেরেশতাদের সম্মুখে পেশ করলেন এবং বললেন, তোমরা আমাকে এগুলির নাম বলে দাও, যদি তোমরা (তোমাদের কথায়) সত্যবাদী হও’ (বাক্বারাহ ২/৩১)। এই

দ্বীনী জ্ঞান এবং জ্ঞানীর মর্যাদা ও নীতিমালা (পর্ব-১) বিস্তারিত পডুন »

তিনটি প্রশ্নের জবাব

ভূমিকা : মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আর এই সেরা হবার পেছনে যার অবদান তা হলো বিবেক। যার বিবেক নেই, সে মানব সমাজে মানুষের মত চলাফেরা করলেও প্রকৃতপক্ষে সে মানুষ নয়। তাই মানুষ মাত্রই হবে বিবেক সম্পন্ন। কারো বিবেক থাকে জাগ্রত, আবার কারো হয় মৃত। সেই জন্যে মনীষীরা বলেন, ‘বিবেক যেখানে উপস্থিত, সুখ সেখানে তিরোহিত’। ‘সুখ যেখানে উপস্থিত, বিবেক সেখানে তিরোহিত’। আর বিবেক আছে বলেই মানব মনে নানা ধরনের প্রশ্নের অবতারণা হবে এটাই স্বাভাবিক। অনুরূপভাবে আমাদের তিনটি প্রশ্নের জবাব জেনে রাখা অতিব জরুরী। প্রশ্নগুলো হলো- ১.

তিনটি প্রশ্নের জবাব বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top