সমাজিক ঐক্য ও সংহতি

শয়তান বন্ধু নয়, সে প্রকাশ্য শত্রু

শয়তান মানব জাতিকে সর্বদা ধ্বংসের পথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকে। শয়তান আল্লাহর সাথে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ঘোষনা করেছে এবং বাস্তববায়নের জন্য মরিয়া। তার ওয়াদা সে আল্লাহর বান্দাদের পথভ্রষ্ট করবে, কিন্তু তারা ব্যতীত যারা আল্লাহর প্রকৃত বান্দা। সে ছালাতের মাঝেও মানুষকে কুমন্ত্রণা দেওয়ার চেষ্টা করে। ফলে মানুষের ঈমান কমে যায়। তাই মানব জাতির উচিত আল্লাহর নিকট সর্বদা শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বেঁচে থাকার জন্য পানাহ চাওয়া। কারণ শয়তান মানুষকে জাহান্নামের পথে নিয়ে যায়। মহান আল্লাহ বলেন,إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوْهُ عَدُوًّا إِنَّمَا يَدْعُوْ حِزْبَهُ لِيَكُوْنُوْا مِنْ أَصْحَابِ […]

শয়তান বন্ধু নয়, সে প্রকাশ্য শত্রু বিস্তারিত পডুন »

তাহাজ্জুদ ছালাত ও ফযীলত

(ফযীলতপূর্ণ দো‘আ ও যিকির’ বই থেকে নেয়া) মানুষ খুব দ্রুতই তার আমলনামার সাথে মিলিত হবে। সুতরাং সময় থাকতে আমলের বোঝা বাড়ানোর প্রচেষ্টা করুন। তাহাজ্জুদের ছালাত শ্রেষ্ঠ্য আমলগুলোর অন্যতম। এ ছালাত সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, قُمِ اللَّيْلَ إِلَّا قَلِيلًا () نِصْفَهُ أَوِ انْقُصْ مِنْهُ قَلِيلًا () أَوْ زِدْ عَلَيْهِ وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا ‘রাত জাগরণ কর কিছু অংশ ব্যতীত । রাতের অর্ধেক কিংবা তার চেয়ে কিছুটা কম। অথবা তদপেক্ষা বেশী। আর কুরআন আবৃত্তি কর ধীরে ধীরে স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে’ (মুযযাম্মিল : ৭৩/২-৪)। ১. তাহাজ্জুদ ছালাত

তাহাজ্জুদ ছালাত ও ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : আল্লাহর আহ্বান

আমাদের উচিৎ ফিলিস্তিন মুসলিমদের আত্মচিৎকার শ্রবণ করা এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা। আর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ مَا لَکُمۡ لَا تُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ وَ الۡمُسۡتَضۡعَفِیۡنَ مِنَ الرِّجَالِ وَ النِّسَآءِ وَ الۡوِلۡدَانِ الَّذِیۡنَ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اَخۡرِجۡنَا مِنۡ هٰذِهِ الۡقَرۡیَۃِ الظَّالِمِ اَهۡلُهَا ۚ وَ اجۡعَلۡ لَّنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ وَلِیًّا ۚۙ وَّ اجۡعَلۡ لَّنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ نَصِیۡرًا ‘আর তোমাদের কী হ’ল যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছ না! অথচ দুর্বল পুরুষ, নারী ও শিশুরা বলছে, ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে যার অধিবাসীরা যালিম

দরসে কুরআন : আল্লাহর আহ্বান বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : অভিভাবক

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, اللهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا أَوْلِيَاؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُمْ مِنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ أُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ – ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তিনি তাদেরকে অন্ধকার হ’তে আলোর দিকে বের করে আনেন। আর যারা অবিশ্বাস করেছে, শয়তান তাদের অভিভাবক। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। ওরা হ’ল জাহান্নামের অধিবাসী। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে’ (বাক্বারাহ ২/২৫৭)। ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, অত্র আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের খবর দিচ্ছেন যে, তার সন্তুষ্টির

দরসে কুরআন : অভিভাবক বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : ধোঁকাব্যঞ্জকের যুগে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন!

আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) বলেন, একদিন নবী (ছাঃ) আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, (হে ’আবদুল্লাহ!) তখন তোমার কিরূপ হবে? যখন তুমি নিকৃষ্ট ও ইতর লোকদের মধ্যে যাবে, তাদের (দ্বীনের ব্যাপারে) অস্বীকার ও আমানতের মাঝে ভেজাল এসে যাবে এবং পরস্পরে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে পড়বে। তাদের অবস্থা হবে এরূপ এবং (এ কথা বলে) উভয় হাতের অঙ্গুলিসমূহকে পরস্পরের মধ্যে ঢুকালেন। ’আবদুল্লাহ বললেন, ফেৎনার সময় আমার কর্তব্য কি হবে? আপনিই আমাকে নির্দেশ করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, عَلَيْكَ بِمَا تَعْرِفُ وَدَعْ مَا تُنْكِرُ وَعَلَيْكَ بِخَاصَّةِ نَفْسِكَ وَإِيَّاكَ وَعَوَامِّهِمْ

দরসে হাদীস : ধোঁকাব্যঞ্জকের যুগে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন! বিস্তারিত পডুন »

দাজ্জাল কি জীবিত (?)

দাজ্জাল : আরবী শব্দ المسيح الدجّال‎, প্রতিবর্ণী. al-Masīḥ ad-Dajjāl‎; প্রতিবর্ণী. মসিহা দগ্গাল) ইসলামি বিধান অনুসারে একটি অশুভ চরিত্র। বিভিন্ন স্থান থেকে—সাধারণত পূর্বাঞ্চল, খোরাসান বা সিরিয়া ও ইরানের মধ্যবর্তী কোনো এলাকা থেকে—তার আগমন ঘটবে বলে ধারণা করা। দাজ্জাল চরিত্রটি খ্রিষ্টান পরলোকতত্ত্বে বর্ণিত খ্রিষ্টারি চরিত্রের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। দাজ্জাল পূর্ব থেকেই জীবিত রয়েছে এবং বিখ্যাত ছাহাবী তামীম দারী (রাঃ) ও তার ত্রিশজন সাথী সাগরে পথ হারিয়ে এক দ্বীপে গিয়ে ওঠেন। সেখানে পানির খোঁজে বের হ’লে একজন ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়। যে তার চুল টেনে নিয়ে চলছিল। অতঃপর তিনি দাজ্জালের কাহিনী বর্ণনা করেন। যেখানে দাজ্জালের বক্তব্য এসেছে এভাবে যে, যদি আমাকে এখান থেকে বের হওয়ার

দাজ্জাল কি জীবিত (?) বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : আল্লাহর অলী যারা

আল্লাহু তা‘আলা বলেন, الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ کَانُوۡا یَتَّقُوۡنَ – اَلَاۤ اِنَّ اَوۡلِیَآءَ اللّٰهِ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡهِمۡ وَ لَا هُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ ‘শুনে রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহর বন্ধুদের কোন ভয় নেই, আর তারা পেরেশানও হবে না। তারা হচ্ছে সেই সকল লোক যারা ঈমান এনেছে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করে থাকে (ইউনুস ১০/৬২-৬৩)। আলোচ্য আয়াতসমূহে আল্লাহর অলীদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য, তাদের প্রশংসা ও পরিচয় বর্ণনার সাথে সাথে তাদের প্রতি আখেরাতের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে- যারা আল্লাহর অলী তাদের না থাকবে কোন অপছন্দনীয় বিষয়ের সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা, আর না থাকবে কোন

দরসে কুরআন : আল্লাহর অলী যারা বিস্তারিত পডুন »

মূর্তি পূজার উৎপত্তি এবং এ বিষয়ে সর্তকতা

নূহ (আঃ)-এর জাতির সেই লোকেরা নিম্নোক্ত মূর্তিগুলোর ইবাদত করত। এঁরা এত প্রসিদ্ধি লাভ করেছিলেন যে, আরবেও তাঁদের পূজা শুরু হয়েছিল। তাই وَدٌّ (অদ্দ) ‘দূমাতুল জানদল’এর কালব গোত্রের, سُوَاعٌ (সুআ) সমুদ্র উপকুলবর্তী গোত্র ‘হুযায়েল’-এর, يَغُوْثَ (য়্যাগূস) ইয়ামানের সাবার সন্নিকটে ‘জুরুফ’ নামক স্থানের ‘মুরাদ’ এবং ‘বানী গুত্বায়েফ’ গোত্রের, يَعُوْقَ (য়্যাঊক) হামদান গোত্রের এবং نَسْرٌ (নাসর) হিম্‌য়্যার জাতির ‘যুল কিলাআ’ গোত্রের উপাস্য ছিলেন। (ইবনে কাসীর, ফাতহুল ক্বাদীর)।আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ قَالُوۡا لَا تَذَرُنَّ اٰلِهَتَکُمۡ وَ لَا تَذَرُنَّ وَدًّا وَّ لَا سُوَاعًا ۬ۙ وَّ لَا یَغُوۡثَ وَ یَعُوۡقَ وَ

মূর্তি পূজার উৎপত্তি এবং এ বিষয়ে সর্তকতা বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top