সমাজিক ঐক্য ও সংহতি

ফিলিস্তীনে ইহুদীবাদের জন্ম ও তাদের দাবীর যথার্থতা

বিশ্ব মানচিত্রে ফিলিস্তীন রাষ্ট্রের অবস্থান মুসলিম বিশ্বের নিকটে এক জাতিগত প্রাণস্পন্দন স্বরূপ। কেননা সেখানে অসংখ্য নবী ও রাসূলের আগমন ঘটেছে। বিশেষ করে মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর আগমন ফিলিস্তীনের প্রতি সমগ্র মুসলিম জাতির এক বিরাট হৃদ্যতার কারণ। কিন্তু খ্রিষ্টান ও ইহুদী সাম্রাজ্যবাদ মুসলিম বিশ্বকে বিমূঢ় ও হতবাক করে ১৯১৮ সালে ফিলিস্তীন ভূখন্ডের একাংশকে ইহুদীদের ‘স্বাধীন আবাসভূমি’ হিসাবে ঘোষণা করে। শুরু হয় মুসলিমদের উপর অত্যাচারের স্টীমরোলার। ঘোষিত হয় ফিলিস্তীনে মুসলমান উজাড়ের পরিকল্পনা। অবশেষে জোটবদ্ধ হয় পাশ্চাত্যের সকল দেশ ও জাতি। নিম্নে ফিলিস্তীনে ইহুদীবাদের জন্ম ও তাদের দাবীর যথার্থতা কতটুকু তা বিশ্লেষণ করা হ’ল। ইহুদীবাদের পরিচয়: ইহুদী সম্প্রদায় বিভিন্ন খেতাবে পরিচিত। মহান আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে তাদেরকে বনী ইসরাঈল, আহলে কিতাব ও ইহুদী বলে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন- ‘হে […]

ফিলিস্তীনে ইহুদীবাদের জন্ম ও তাদের দাবীর যথার্থতা বিস্তারিত পডুন »

মুমিন ব্যক্তির স্বপ্ন

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়ই তাঁর সাহাবীদেরকে বলতেন, তোমাদের কেউ কোন স্বপ্ন দেখেছ কি? রাবী বলেন, যাদের ক্ষেত্রে আল্লাহর ইচ্ছা, তারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে স্বপ্ন বর্ণনা করত। তিনি একদিন সকালে আমাদেরকে বললেনঃ গত রাতে আমার কাছে দু’জন আগন্তুক আসল। তারা আমাকে উঠাল। আর আমাকে বলল, চলুন। আমি তাদের সঙ্গে চললাম। আমরা কাত হয়ে শুয়ে থাকা এক লোকের কাছে আসলাম। দেখলাম, অন্য এক লোক তার নিকট পাথর নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সে তার মাথায় পাথর নিক্ষেপ করছে। ফলে তার মাথা ফেটে যাচ্ছে। আর পাথর নিচে

মুমিন ব্যক্তির স্বপ্ন বিস্তারিত পডুন »

সূরা আছরের মৌলিক শিক্ষা

অধিকাংশ মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, وَالْعَصْرِ. إِنَّ الْإِنْسَانَ لَفِي خُسْرٍ. ‘কালের শপথ! নিশ্চয়ই সকল মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে’ (আছর ১০৩/১-২)। আল্লাহ তা‘আলা কালের শপথ এই জন্য বলেছেন যে, মানুষের কৃতকর্মের সময়কাল অতীব স্বল্প পরিসরে। আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত যতটুকু সময় ঠিক ততটুকু সময় মানুষের জীবনে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতকাল সম্পর্কিত যা বান্দার ভাল-মন্দ সকল কর্মই শামিল হবে।তাছাড়া আছরের ওয়াক্ত হ’তে কুরায়েশ নেতারা ‘দারুন নাদওয়াতে’ পরামর্শসভায় বসত এবং বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে ভাল-মন্দ সিদ্ধান্ত

সূরা আছরের মৌলিক শিক্ষা বিস্তারিত পডুন »

ইখলাছের গুরুত্ব

আল্লাহ মানুষকে তার ইখলাছের উপর সম্মানিত অথবা লাঞ্চিত করেন। ইখলাছ সঠিক করুন সম্মানিত হবেন, ইনশাআল্লাহ। যারা নিজেদের ঈমান-বিশবাস, ইবাদত-বন্দেগীকে আল্লাহর জন্য বিশুদ্ধ করে নিবে, সবকিছু যখন শুধু আল্লাহর জন্যই নিবেদন করবে, তখন তাদের বিভ্রান্ত করতে শয়তান কোন পথ খুঁজে পাবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, قَالَ رَبِّ بِمَا أَغْوَيْتَنِيْ لَأُزَيِّنَنَّ لَهُمْ فِي الْأَرْضِ وَلَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِيْنَ، إِلاَّ عِبَادَكَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِيْنَ- ‘শয়তান বলল, হে আমার প্রতিপালক! আপনি যে আমাকে বিপথগামী করলেন সেজন্য আমি পৃথিবীতে মানুষের নিকট পাপকর্মকে অবশ্যই শোভন করে দিব এবং আমি তাদের সকলকে বিপথগামী করব, তবে

ইখলাছের গুরুত্ব বিস্তারিত পডুন »

দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত হোন

দুনিয়া ভোগ বিলাসের স্থান নয়। এটা পরীক্ষাগার মাত্র। এখানে আমরা সবায় মুসাফীর। একজন মুসাফীরের জীবন যেমন হওয়া উচিৎ ঠিক তেমনি হতে হবে। আর দুনিয়ার কর্মফল ভোগ করব আখিরাতে। তাই সাবধান! দুনিয়া হলো একটি অভিশপ্ত স্থান। আবু হুরায়রাহ্ (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: সাবধান! নিশ্চয় দুনিয়া অভিশপ্ত, তন্মধ্যে আল্লাহর যিকির ও আল্লাহ যা কিছু ভালোবাসেন এবং জ্ঞানী ও জ্ঞান অনুসন্ধানকারী ব্যতীত সব কিছুই অভিশপ্ত। (হাসান : তিরমিযী ২৩২২)। .অন্যত্র এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘উদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী (সা.) একটি চাটাইয়ে ঘুমিয়েছিলেন, তা হতে উঠলে তাঁর

দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত হোন বিস্তারিত পডুন »

কবীরা গুণাহ

কবীরা গুনাহ হ’ল যে সকল গুনাহের ব্যাপারে অভিসম্পাত করা হয়েছে এবং পরকালীন শাস্তি কিংবা দুনিয়ায় হদ্দের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কবীরা গোনাহ অর্থ মহাপাপ বা বড় পাপ। শরীয়তের পরিভাষায়, কবীরা গুনাহ্ বলতে সে সকল গুনাহ্কে বুঝানো হয় যে সকল গুনাহ্’র ব্যাপারে কুর‘আন বা ছহীহ হাদীসে নির্দিষ্ট শাস্তির বিধান দুনিয়া ও আখিরাতে রাখা হয়েছে সে সকল গুণাহকে কবীরা বা মারাত্মক গুণাহ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন: «إِنْ تَجْتَنِبُوْا كَبَائِرَ مَا تُنْهَوْنَ عَنْهُ نُكَفِّرْ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ، وَنُدْخِلْكُمْ مُّدْخَلًا كَرِيْمًا» ‘‘তোমরা যদি সকল মহাপাপ থেকে বিরত থাকো

কবীরা গুণাহ বিস্তারিত পডুন »

মূর্তি পূজার উৎপত্তি ও এ বিষয়ে সর্তকতা

নূহ (আঃ)-এর জাতির সেই লোকেরা নিম্নোক্ত মূর্তিগুলোর ইবাদত করত। এঁরা এত প্রসিদ্ধি লাভ করেছিলেন যে, আরবেও তাঁদের পূজা শুরু হয়েছিল। তাই وَدٌّ (অদ্দ) ‘দূমাতুল জানদল’এর কালব গোত্রের, سُوَاعٌ (সুআ) সমুদ্র উপকুলবর্তী গোত্র ‘হুযায়েল’-এর, يَغُوْثَ (য়্যাগূস) ইয়ামানের সাবার সন্নিকটে ‘জুরুফ’ নামক স্থানের ‘মুরাদ’ এবং ‘বানী গুত্বায়েফ’ গোত্রের, يَعُوْقَ (য়্যাঊক) হামদান গোত্রের এবং نَسْرٌ (নাসর) হিম্‌য়্যার জাতির ‘যুল কিলাআ’ গোত্রের উপাস্য ছিলেন। (ইবনে কাসীর, ফাতহুল ক্বাদীর)।.আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ قَالُوۡا لَا تَذَرُنَّ اٰلِهَتَکُمۡ وَ لَا تَذَرُنَّ وَدًّا وَّ لَا سُوَاعًا ۬ۙ وَّ لَا یَغُوۡثَ وَ یَعُوۡقَ وَ

মূর্তি পূজার উৎপত্তি ও এ বিষয়ে সর্তকতা বিস্তারিত পডুন »

শা‘বে আবূ তালেবের দলিল ছিন্ন হওয়ার ঘটনা

ইসলামের প্রচারের প্রাথমিক কালে মক্কার পৌত্তলিকরা দিন দিন অস্থির হয়ে উঠলো। অস্থির হবে না কেন? তারা বুঝতে পেরেছিলযে, এখন যদি মুহাম্মদকে হত্যা করার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, তা হলে তাঁকে রক্ষা করার জন্য যে রক্তপাত হবে এতে মক্কা পান্তর লালে রন্জিত হয় যাবে। তাদের নিজেদের গোষ্ঠির মধ্যে ধ্বংশ হয়ে যাবার সম্ভাবনা ছিল। এ কারনে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কে হত্যা করার পরিকল্পনা পরিত্যাগ করে পৌত্তলিকরা অমানুষিক অত্যাচার নির্যাতনের নতুন পথ আবিষ্কার করল। আর এই পরিকল্পনা ছিল ইতোপূর্বে গৃহিত সকর পদক্ষেপের চেয়ে আরও বেশী মারাত্মক। সর্বাত্মক বয়কট

শা‘বে আবূ তালেবের দলিল ছিন্ন হওয়ার ঘটনা বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top