আক্বীদাহ বা বিশ্বাস

আল্লাহর জন্য তাকবীর দেয়ার বিধান

তাকবীর দেয়া সওয়াবের কাজ। আমরা প্রত্যেক দলের শ্লোগান যখন বলি, তখন ইসলাম পন্থী দলগুলোও একটি শ্লোগান ঠিক করেছেন। কেহ নারায়ে তাকবীর, লিল্লাহে তাকবীর ইত্যাদি। নারায়ে (نعره) শব্দটি উর্দূ। অর্থ: ধ্বনী বা উচ্চ আওয়াজ। তাকবীর শব্দটি আরবী। যার অর্থ: আল্লাহর বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। আর লিল্লাহে আরবী শব্দ। যার অর্থ আল্লাহর জন্য। তবে জন সন্মুখে উচ্চস্বরে তাকবীর দেয়ার বিধান রয়েছে। তবে রাসূল (ছাঃ) এটাকে থামিয়েও দিয়ে ছিলেন। যেমন – আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খায়বার যুদ্ধের জন্য বের হলেন কিংবা […]

আল্লাহর জন্য তাকবীর দেয়ার বিধান বিস্তারিত পডুন »

গোঁড়ামি পরিহার করুন !

গোঁড়ামি কখনো ধর্মতত্ত্ব নয়, ধর্মে (দ্বীনে) কভু গোঁড়ামী নাই। মানুষ নিজের বুঝের উপরে অটল থাকতে চায়। সে যা ভাল মনে করে তাই করে। তার এই গোঁড়ামি তাকে হক্ব গ্রহণে বাঁধাগ্রস্ত করে। গোঁড়ামি ঈমান-আমল ও দ্বীনের জন্য অনেক ক্ষতিকর। ‘গোঁড়ামি’ (Bigotry, Oorthodoxy, Narrowness) শব্দটি বিশেষ্য পদ, যার আভিধানিক অর্থ- অন্ধবিশ্বাস, একান্ত রক্ষণশীলতা, অপ্রশস্ততা, সংকীর্ণতা প্রভৃতি। পারিভাষিক অর্থে, শরীয়তের মধ্যে কিংবা বাহিরে বিনা দলিলে কোন কথা ও কাজে অন্ধবিশ্বাস রেখে অন্তরে ইলমের সংকীর্ণতা গড়ে তোলাকে গোঁড়ামী বলে। সকলের উচিত গোঁড়ামি ছেড়ে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী

গোঁড়ামি পরিহার করুন ! বিস্তারিত পডুন »

ছালাতের মধ্যে সূরা ফাতিহা পাঠের বিধান : একটি আলোচনা

কুরআন পাঠের সময় চুপ থাকার আয়াত দ্বারা ইমামের পেছনে  সূরা ফাতিহা তেলাওয়া করার বিপক্ষে এবং চুপ থাকার পক্ষে নিম্নোক্ত আয়াত দলিল হিসেবে তুলে ধরেন তাদের জ্ঞাতার্থে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।  আল্লাহ বলেন, وَ اِذَا قُرِیٴَ الۡقُرۡاٰنُ فَاسۡتَمِعُوۡا لَ وَ اَنۡصِتُوۡا لَعَلَّكُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ ‘আর যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোন এবং চুপ থাক, যাতে তোমরা রহমত লাভ কর’ (আরাফ ৭/২০৪)। উপরোক্ত আয়াতের প্রেক্ষাপট ছিল ঐ সকল কাফেরদের সম্পর্কে, যারা কুরআন তিলাওয়াতের সময় চেঁচামেচি করত।  আর কাফেরেরা তাদের সঙ্গী-সাথীদের বলত, চেঁচামেচি কর, তালি বাজাও,

ছালাতের মধ্যে সূরা ফাতিহা পাঠের বিধান : একটি আলোচনা বিস্তারিত পডুন »

তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি

আল্লাহভীতি মানুষের জীবনের মূল ভিত্তি। অধিক কুরআন হাদীস জানাতে কোন বাহাদুরী নেই, বরং তাক্বওয়াশীল মানুষ হলো সর্বোত্তম মর্যাদাপূর্ণ। তাই সদা সকল কাজে আল্লাহকে ভয় করে চলতে হবে। আল্লাহর তাক্বওয়া অর্জনের হক্ক আদায় করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ তাকওয়ার ঐ স্তর অর্জন কর, যা তাক্বওয়ার হক। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, তাকওয়ার হক হল, প্রত্যেক কাজে আল্লাহর আনুগত্য করা, আনুগত্যের বিপরীতে কোন কাজ না করা, আল্লাহকে সর্বদা স্মরণে রাখা- কখনো বিস্মৃত না হওয়া এবং সর্বদা তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা- অকৃতজ্ঞ না হওয়া। [ইবন কাসীর] তাক্বওয়া অর্থ

তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : তওবার শেষ মূহূর্ত কোনটি (?)

’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘বান্দার প্রাণ (রূহ) ওষ্ঠাগত না হওয়া পর্যন্ত অবশ্যই আল্লাহ তার তওবা কবূল করেন। [ইবনু মাজাহ হা/৪২৫৩, সহীহ আল জামি‘ হা/১৯০৩, মিশকাত হা/২৩৪৩] ব্যাখ্যা: (إِنَّ اللّٰهَ يَقْبَلُ تَوْبَةَ الْعَبْدِ) কারী বলেন, বাহ্যিক দৃষ্টিতে হাদীসাংশে তাওবাহ্ কবূলের ব্যাপারটি মুত্বলাক বা সাধারণভাবে, আর কতিপয় হানাফী একে কাফিরের সাথে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছেন। আমাদের শায়খ বলেন, বাহ্যিকদৃষ্টিতে প্রথমটি নির্ভরযোগ্য। (مَا لَمْ يُغَرْغِرْ) অর্থাৎ- যতক্ষণ পর্যন্ত তার আত্মা কণ্ঠনালীতে না পৌঁছবে, অতঃপর তা ঐ বস্ত্তর স্থানে পরিণত না হবে

দরসে হাদীস : তওবার শেষ মূহূর্ত কোনটি (?) বিস্তারিত পডুন »

আক্বীদার জিরক্স কপি নয়, মূলকপি চায়-২

তাওহীদে বিশ্বাসী সালাফী মুমিন সদা আল্লাহরই সাহায্য প্রার্থনা করেন। তাঁরই নিকটে আশ্রয় ভিক্ষা করেন। তাঁরই ‘তাক্বদীরের’ ভাল-মন্দের উপর বিশ্বাস রেখে যথাসাধ্য ‘তদবীর’ করে চলেন। পরকালীন মুক্তির জন্য তারা শিরক ও বিদ‘আতমুক্ত এবং শরী‘আত অনুমোদিত নেক আমলকেই একমাত্র ‘অসীলা’ হিসাবে মনে করেন। যে সকল কথায় ও কর্মে শিরক ও বিদ‘আতের সামান্যতম ছিটে-ফোঁটা থাকে, তা হ’তে তারা দূরে থাকেন। কোন মানুষকে ‘ইলমে গায়েব’ বা অদৃশ্য জ্ঞানের অধিকারী বলে তারা বিশ্বাস করেন না। নবী ব্যতীত অন্য কাউকে তারা মা‘ছূম বা নিষ্পাপ বলে মনে করেন না। শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে

আক্বীদার জিরক্স কপি নয়, মূলকপি চায়-২ বিস্তারিত পডুন »

আক্বীদার জিরক্স কপি নয়, মূলকপি চায়-১

আহলেহাদীস বা সালাফীদের আক্বীদার জিরক্স কপি তৈরী করা উচিৎ নয়। নানা ভাবে সালাফী আক্বীদাকে বিকৃত করে প্রকৃত দ্বীন থেকে সরে যাচ্ছেন হাজারো মুসলিম। এটা মোটেও কাম্য নয় একজন প্রকৃত ঈমানের দাবীদার বান্দার পক্ষে। মানুষ দ্বীনের হুকুমাত প্রতিষ্ঠার অর্থ তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করা। অথচ যারা এর অর্থ রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম করা বলে মনে করেন। এরা আক্বীদা থেকে বিচ্যুত হয়ে তথাকতিথ পশ্চিমাদের গণতন্ত্র রাজনীতিতে বিশ্বাসী। একজন বক্তা, আলোচক, লেখক কিংবা শিক্ষক যে ব্যক্তিই হোক না কেন, উনাদের কথা, লেখা গ্রহণের পূর্বে জেনে নিন তাদের আক্বীদা কী (?)আবূ জাহেলের

আক্বীদার জিরক্স কপি নয়, মূলকপি চায়-১ বিস্তারিত পডুন »

ফিৎরাত, ঈমানদার, মুত্তাক্বী ও মুসলিম

ফিৎরাত : ফিৎরাত দ্বারা স্বভাবগত দ্বীন ইসলামকে বোঝানো হয়েছে। উদ্দেশ্য হ’ল আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষকে প্রকৃতিগতভাবে মুসলিম ফিৎরাতের ওপর সৃষ্টি করেছেন। যদি পারিবারিক ও সামাজিক পরিবেশগত কোন কিছুর মন্দ প্রভাব না পড়ে,তবে প্রতিটি জন্মগ্রহণকারী শিশু ভবিষ্যতে মুমিন মুসলমান হবে। কিন্তু পারিবারিক অভ্যাসগতভাবেই পিতা-মাতা তাকে ইসলাম বিরোধী বিষয়াদি শিক্ষা দেয়। ফলে ফিৎরাতের স্বভাব পরিবর্তন হয় এবং সে ইসলামের উপর কায়েম হ’তে পারে না। হেদায়াত বা ইসলাম গ্রহণের স্বাভাবিক যোগ্যতা আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের মধ্যে দান করেছেন। যেমন তিনি বলেন, فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّيْنِ حَنِيفًا فِطْرَتَ اللهِ الَّتِي فَطَرَ

ফিৎরাত, ঈমানদার, মুত্তাক্বী ও মুসলিম বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top