উপদেশ

সমাজ সংশোধনের পূর্বে নিজেকে সংশোধন করুন!

সমাজকে শুধু দোষ দিয়ে নয়, নিজেকে দোষারোপ করুন। নিজেদের সংশোধনের মাধ্যমে সমাজ প্রতিস্থাপন হতে বাধ্য। ধোঁকাব্যঞ্জকের যুগে মানুষ আজ গুপ্ত শিরকে লিপ্ত এবং নানা রকম অপরাধে অভ্যস্ত। কেননা মানব জীবনে নানা ঘাত-প্রতিঘাত জীবনকে প্রতিনিয়ত যেমনি শোধরিয়ে দেয় তেমনি আবার কলুষিতও করে থাকে। পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রাণীর মধ্যে মানুষই সর্বশ্রেষ্ঠ। এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পেছনে যে বিষয়গুলো সদা ক্রিয়াশীল তা হ’ল তার বিবেক, বুদ্ধি, বিচক্ষণতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা। ক. বিবেক হ’ল মানুষের অন্তর্নিহীত শক্তি যার দ্বারা ন্যায়, অন্যায়, ভালমন্দ, ধর্মাধর্ম বিচার-বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জিত হয়। খ. বুদ্ধি হ’ল […]

সমাজ সংশোধনের পূর্বে নিজেকে সংশোধন করুন! বিস্তারিত পডুন »

কিয়ামতের মাঠে আল্লাহ জ্বিনদের ভর্ৎসনা করবেন

কিয়ামতের মাঠে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা জ্বিন জাতিকে উদ্দেশ্য করে বলবেন,  وَ یَوۡمَ یَحۡشُرُهُمۡ جَمِیۡعًا ۚ یٰمَعۡشَرَ الۡجِنِّ قَدِ اسۡتَكۡثَرۡتُمۡ مِّنَ الۡاِنۡسِ ۚ وَ قَالَ اَوۡلِیٰٓؤُهُمۡ مِّنَ الۡاِنۡسِ رَبَّنَا اسۡتَمۡتَعَ بَعۡضُنَا بِبَعۡضٍ وَّ بَلَغۡنَاۤ اَجَلَنَا الَّذِیۡۤ اَجَّلۡتَ لَنَا ؕ قَالَ النَّارُ مَثۡوٰىكُمۡ خٰلِدِیۡنَ فِیۡهَاۤ اِلَّا مَا شَآءَ اللّٰهُ ؕ اِنَّ رَبَّكَ حَكِیۡمٌ عَلِیۡمٌ আর যেদিন তিনি তাদের সবাইকে একত্র করবেন এবং বলবেন, হে জিন সম্প্রদায়! তোমরা তো অনেক লোককে পথভ্রষ্ট করেছিলে এবং মানুষের মধ্য থেকে তাদের বন্ধুরা বলবে, হে আমাদের রব! আমাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক

কিয়ামতের মাঠে আল্লাহ জ্বিনদের ভর্ৎসনা করবেন বিস্তারিত পডুন »

মুখলেস বান্দাদের সাথে বেয়াদবীর পরিণাম

মানুষ আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠ। তবে মানুষের মর্যাদা নির্ভর করে তার চরিত্র, আমল এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্কের উপর। যারা আল্লাহর জন্য নিজেদের জীবন পরিচালনা করে, খাঁটি নিয়তে ইবাদত করে এবং স্বার্থপরতা, অহংকার ও কপটতা থেকে দূরে থাকে—তাদেরকে বলা হয় মুখলেস বান্দা। এরা আল্লাহর নেক বান্দা, যাদের অন্তর পরিশুদ্ধ এবং আমল শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একমাত্র তাঁরই ইবাদত করে, দুনিয়ার স্বার্থ থেকে মুক্ত থাকে, তাদেরকে বলা হয় মুখলেস বান্দা। এরা আল্লাহর প্রিয় বান্দা বা ওলী। তাই তাদের সাথে বেয়াদবি করা আসলে আল্লাহর

মুখলেস বান্দাদের সাথে বেয়াদবীর পরিণাম বিস্তারিত পডুন »

রুকু পেলে রাক‘আত পাওয়া হয় কি-না

কেউ কোনো সালাতের একটি রাকাত জামা‘আতের সাথে পেলেই সে পুরো জামা‘আত পেয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে। তবে রুকু’ পেলেই কোনো রাকাত পেয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। নতুবা নয়: আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنْ الصَّلَاةِ فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلَاةَ». “যে ব্যক্তি কোনো সালাতের একটি রাকাত (ইমামের সাথে) পেলো সে যেন পুরো সালাতই ইমামের সাথে পেলো”। (বুখারী হা/৫৮০ মুসলিম হা/৬০৭)। আবু বাকরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনি একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রুকু অবস্থায়

রুকু পেলে রাক‘আত পাওয়া হয় কি-না বিস্তারিত পডুন »

উপকারী ইলম অর্জন করুন

আল্লাহ তাআলা বলেন, يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ – ‘যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে বহু মর্যাদায় উন্নত করবেন’ (মুজাদালা ১১)। তিনি অন্যত্র বলেন, قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ   ‘বল, যারা জানে এবং যারা জানে না তারা কি সমান? (যুমার ৯)। সুতরাং অজ্ঞতাকে না বলতে জ্ঞানার্জন করতে হবে। কেননা অজ্ঞতার ওষুধ হ’ল জানা। তাই আল্লাহর নিকটে উপকারী জ্ঞানার্জনের জন্য প্রার্থনা করতে হবে। দ্বীনের বুঝের সাথে অল্প আমল উপকারী, অজ্ঞতার সাথে বেশী আমল উপকারী নয়। আর সঠিক পদ্ধতিতে সম্পাদন করা

উপকারী ইলম অর্জন করুন বিস্তারিত পডুন »

ইসলামে পোশাকের সঠিক নীতিমালা

পোশাক ব্যক্তিত্ব, আভিজাত্য, সভ্যতা ও লজ্জাশীলতার পরিচায়ক। মানুষ পোশাক পরিধানের তাগিদ অনুভব করেছিল সেই আদিম আমলেই। আদিম থেকে আধুনিক—সব যুগেই আছে পোশাকের কদর। হোক না তা গাছের পাতা কিংবা সুতায় বোনা কাপড়। তাই লাজুকতায় বশীভূত হয়ে লজ্জাস্থান ঢাকার প্রবণতা প্রাকৃতিক। মানুষ বিবস্ত্র হয়ে জন্মগ্রহণ করে; কিন্তু নগ্নতার চাদর ছুড়ে ফেলে খুব শিগগিরই সে নিজেকে পোশাকের আবরণে ঢেকে ফেলে। এ চেতনাবোধ স্বভাবজাত। ইসলাম মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম। ফিতরাতের চাহিদার বিপরীত কোনো নির্দেশনা ইসলামে নেই। স্বভাবধর্ম ইসলামে পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। পোশাককে আরবিতে ‘লিবাস’ বলা হয়।

ইসলামে পোশাকের সঠিক নীতিমালা বিস্তারিত পডুন »

গাজা দখল ও ইসরাইলের দাবানল সম্পর্কে মতামত

বর্তমানে ইসরাইলে দাবানল চলছে এবং চলছে বন্যা । আর ইসরাইলী বাহিনী দৃঢ় প্রতিজ্ঞা জ্ঞাপন করেছে যে, তারা গাজা দখল করেই ছাড়বে। আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার প্রাককালে দাজ্জালের আবাসন তৈরী হবে গাজাতে এবং পুড়ে যাওয়া বনভূমিতে রোপণ করা হবে ‘গারকাদ’ গাছ। এরপরেই শুরু হবে কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে এবং দাজ্জালের আত্মপ্রকাশের ছয় থেকে সাত বছর পূর্বে মুসলমান ও রোমানদের ঐক্যতে যুদ্ধ হবে যে যুদ্ধবে বলা হয়েছে আল-মালহামা আল-কুবরা ( الملحمة الكبرى)। এ যুদ্ধে এমন ভয়াবহতা নেমে আসবে যে, আকাশে পাখি উড়ে গন্তব্যে পৌছানোর পূর্বে শেষ

গাজা দখল ও ইসরাইলের দাবানল সম্পর্কে মতামত বিস্তারিত পডুন »

বিশুদ্ধ অন্তর দেহে স্থাপন করুন!

আল্লাহ তাআলা বলেন, اِلَّا مَنۡ اَتَی اللّٰهَ بِقَلۡبٍ سَلِیۡمٍ ‘কেবল (সাফল্য লাভ করবে) সে ব্যক্তি যে বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে আল্লাহর নিকট আসবে’ (শুআরা ২৬/৮৯)। বিশুদ্ধ অন্তর বলতে শিরক-বিদআত, হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, দম্ভ-অহংকার, এমনকি দুনিয়াপ্রীতি থেকে মুক্ত ও অল্পে তুষ্ট পাখিদের মত আত্মা এমন মুমিন ব্যক্তির অন্তরকে বুঝানো হয়েছে। কেননা কাফের ও মুনাফিকের অন্তর হয় অসুস্থ রোগাক্রান্ত ব্যাধীযুক্ত। আর এসবের মাধ্যমে পার্থিব ভোগ-বিলাসী হয়ে পড়ে এবং মূর্খতার অন্ধকার ও নৈতিক অধঃপতনে জড়িয়ে পড়ে। কারণ মু’মিনের অন্তর উক্ত সকল প্রকার রোগ-ব্যাধী ও নিফাক্বীর অপবিত্রতা থেকে মুক্ত থাকেন। মুমিন

বিশুদ্ধ অন্তর দেহে স্থাপন করুন! বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top