দরসে হাদীছ/হাদীস

দরসে হাদীস : সৃষ্টি, স্রষ্টার লাভ বা ক্ষতি কোন কিছুই করার ক্ষমতা রাখে না

আবূ যার গিফারী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা’আলার নাম করে যেসব হাদীস বর্ণনা করেছেন তার একটি হলো, তিনি বলেন যে, আল্লাহ তাবারক ওয়াতা’আলা বলেন, (১) হে আমার বান্দাগণ! আমি আমার ওপর যুলুম করাকে হারাম করে দিয়েছি। আমি তোমাদের জন্যও যুলুম করা হারাম করে দিয়েছি। অতঃপর তোমরা পরস্পরের প্রতি যুলম করো না। (২) হে আমার বান্দাগণ! তোমাদের প্রত্যেকেই পথভ্রষ্ট। কিন্তু আমি যাকে পথ দেখাই সে-ই পথের সন্ধান পায়। সুতরাং তোমরা আমার নিকট পথের সন্ধান কামনা কর, তাহলে আমি তোমাদেরকে পথের সন্ধান দেবো। (৩) […]

দরসে হাদীস : সৃষ্টি, স্রষ্টার লাভ বা ক্ষতি কোন কিছুই করার ক্ষমতা রাখে না বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : দুর্বলদের মাঝে রাসূল (ছা.)-কে সন্ধান করো

আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, «ابْغُونِي فِي ضُعَفَائِكُمْ فَإِنَّمَا تُرْزَقُونَ – أَوْ تُنْصَرُونَ – بِضُعَفَائِكُمْ» “তোমাদের দুর্বলদের মধ্যে আমাকে খোঁজ করো। কেননা তোমাদের দুর্বলদের ওয়াসীলায় তোমাদেরকে রিযিক দান করা হয়, বা সাহায্য করা হয়’’। (আবু দাউদ হা/২৩৩৫, মিশকাত হা/৫২৪৬, ছহীহুল জামি‘ হা/৪১)। ব্যাখ্যা : ‘তোমরা দুর্বলদের মাঝে আমাকে সন্ধান কর’-এর অর্থ হ’ল- তাদের ভালোবাসার মাধ্যমে আমার সন্তুষ্টি সন্ধান কর। এখানে  (ضُعَفَاء) দ্বারা উদ্দেশ্য দুস্থ, অসহায়, ফকীর, মিসকীন, ইয়াতিম; তাদের মাঝে’ মানে, তাদের প্রতি ইহসানের মাধ্যমে।‘তোমরা দুর্বলদের কারণে সাহায্যপ্রাপ্ত হও’, এর অর্থ হ’ল- শত্রুদের

দরসে হাদীস : দুর্বলদের মাঝে রাসূল (ছা.)-কে সন্ধান করো বিস্তারিত পডুন »

মুহাম্মাদ (ছা.)-এর উম্মত মর্যাদায় প্রথম

উম্মতে মুহাম্মাদ (ছা.)-এর ঐ সকল মানুষকে বুঝানো হয়েছে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। দ্বীনের বিধি-বিধানে আদেশ মেনে চলে এবং নিষেধ পরিত্যাগ করে । (১) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, نحن آخر الأمم و أول من يحاسب يقال : أين الأمة الأمية و نبيها ؟ فنحن الآخرون الأولون . “আমরা হলাম জাতিসমূহের সর্বশেষ। কিন্তু কেয়ামতে আমাদের হিসাব সর্ব প্রথম করা হবে। তখন বলা হবে: উম্মী (আসল) জাতি ও তাদের নবী কোথায়? তাই আমরা সর্বশেষ অথচ মর্যাদায় প্রথম”। (ইবনু মাজাহ হা/৪২৯০, ছহীহুল জামি‘ হা/৬৭৪৯) আমরা সৌভাগ্যবান

মুহাম্মাদ (ছা.)-এর উম্মত মর্যাদায় প্রথম বিস্তারিত পডুন »

তাদের কেউ হতভাগ্য, কেউ সৌভাগ্যবান

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেন, فَمِنۡهُمۡ شَقِیٌّ وَّ سَعِیۡدٌ “তাদের মধ্যে কেউ হবে হতভাগ্য এবং কেউ হবে ভাগ্যবান” (হুদ ১১/১০৫), এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর নবী। তাহলে আমরা কিসের উপর আমল করব, এমন জিনিসের উপর যে প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে অথবা এমন কোন জিনিসের উপর যে প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি? তিনি বললেনঃ হে উমার! না, বরং এমন জিনিসের উপর যা পূর্বেই চূড়ান্ত হয়ে আছে এবং যার সাথে কলম জারী হয়ে গিয়েছে। তবে প্রত্যেকের করণীয়

তাদের কেউ হতভাগ্য, কেউ সৌভাগ্যবান বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : নবী (সা.)-এর জীবন-যাপন, মুমিনের জন্য শিক্ষা

’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুহাম্মাদ (সা.) -এর পরিবারবর্গ লাগাতার দু’দিন যবের রুটি খেয়ে পরিতৃপ্ত হননি এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর মৃত্যু হয়েছে। (বুখারী হা/ ৫৪১৬, মুসলিম হা/২৯৭০, মিশকাত হা/৫২৩৭) ব্যাখ্যা : রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর পরিবার হলো তার পূতপবিত্র স্ত্রীগণ এবং তাদের খাদিমগণ। যব গমের তুলনায় কম মূল্যমানের, যবের রুটিই যেহেতু পাননি তাহলে গমের রুটির তো প্রশ্নই ওঠে না। রাসূলুল্লাহ (সা.) দু’দিন একাধারে পেট পুরে খেতে পাননি, একদিন পেটপুরে খেলে অন্যদিনে উপোষ থাকতেন। এটা এজন্য যে, আল্লাহ তা’আলা জমিনের ধনভাণ্ডারের চাবি তার কাছে পেশ করেছিলেন

দরসে হাদীস : নবী (সা.)-এর জীবন-যাপন, মুমিনের জন্য শিক্ষা বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : স্বজ্ঞানে, একাগ্রতা ও একনিষ্ঠতার সাথে ঈমান রাখুন! (পর্ব-২)

 আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাত দান করবেন, তার আমল যাই হোক না কেন (?) অর্থাৎ যে ব্যক্তি এ সাক্ষ্য দিল যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন সত্য ইলাহ নেই। তিনি একক। তাঁর কোন শরিক নেই। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। ঈসা (আঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল, তিনি তাঁর এমন এক কালিমা, যা তিনি মারইয়াম (আঃ) এর প্রতি প্রেরণ করেছেন এবং তিনি তাঁরই পক্ষ থেকে প্রেরিত একটি রুহ। জান্নাত সত্য জাহান্নাম সত্য, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাত দান করবেন। তার আমল যাই হোক না কেন।

দরসে হাদীস : স্বজ্ঞানে, একাগ্রতা ও একনিষ্ঠতার সাথে ঈমান রাখুন! (পর্ব-২) বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : স্বজ্ঞানে, একাগ্রতা ও একনিষ্ঠতার সাথে ঈমান রাখুন! (পর্ব-১)

জান্নাতে তারাই যাবে, যারা স্বজ্ঞানে, একাগ্রতা ও একনিষ্ঠতার সাথে ঈমান রাখে এবং সৎ আমলের প্রতিযোগীতা করে ও হারাম থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখে। ’উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক (অন্তরের সাথে) এ ঘোষণা দিবে, شَهِدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُو لُهُ أَ ’’আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই, তাঁর কোন শরীক নেই, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও তাঁরই রসূল এবং মারইয়াম (আঃ)-এর ছেলেও [’ঈসা (আঃ)] আল্লাহর বান্দা

দরসে হাদীস : স্বজ্ঞানে, একাগ্রতা ও একনিষ্ঠতার সাথে ঈমান রাখুন! (পর্ব-১) বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : আল্লাহর রহমত সর্বদা গজবের উপর অগ্রগামী

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى كَتَبَ كِتَابًا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ الْخَلْقَ: إِنَّ رَحْمَتِي سَبَقَتْ غَضَبِي فَهُوَ مَكْتُوب عِنْده فَوق الْعَرْش  ‘আল্লাহ তা’আলা সমস্ত সৃষ্টজীব সৃষ্টি করার পূর্বে এটা লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন যে, আমার রহমত আমার গজবের উপর সর্বদাই অগ্রগামী। আর এ বাক্যটি তাঁর কাছে আরশের উপরে লিখিতভাবে রয়েছে’। (বুখারী হা/৭৪২২, মুসলিম হা/২৭৫১, মিশকাত হা/৫৭০০) ব্যাখ্যা: (إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى كَتَبَ كِتَابًا) “আল্লাহ তা’আলা একটি কিতাব লিখেন মাখলুক সৃষ্টির পূর্বে।” এই কিতাব বা লিখনি দ্বারা লাওহে মাহফুয উদ্দেশ্য। অর্থাৎ

দরসে হাদীস : আল্লাহর রহমত সর্বদা গজবের উপর অগ্রগামী বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top