সুন্নাত ও বিদ‘আত

সূরা ফাতিহার ফযীলত

(‘ফযীলতপূর্ণ দো‘আ ও যিকির’ বই থেকে নেয়)সূরা ফাতিহা (মুখবন্ধ) সূরা-১, মাক্কী :بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِاَلْحَمْدُ لِلہِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَﭐﺫ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِﭑﺫ مٰلِکِ یَوْمِ الدِّیْنِﭒﺚ اِیَّاکَ نَعْبُدُ وَاِیَّاکَ نَسْتَعِیْنُﭓﺚ اِھْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَﭔﺫ صِرَاطَ الَّذِیْنَ اَنْعَمْتَ عَلَیْھِمْﺃ غَیْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَیْھِمْ وَلَا الضَّا۬لِّیْنَﭖﺟউচ্চারণ : (১) আল হামদু লিল্লা-হি রাব্বিল আলামীন (২) আর রাহমা-নির রাহীম (৩) মা-লিকি ইয়াওমিদ্দ্বীন (৪) ইয়্যাকা না‘আবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাঈন (৫) ‘ইহ্দিনাছ ছিরা-ত্বাল মুস্তাক্বীম (৬) ছীরা-তাল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলাইহিম (৭) গাইরিল মাগযূবি ‘আলাইহিম ওয়ালায্যল্লীন’।পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্র নামে (শুরু করছি)অনুবাদ : (১) ‘যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য, […]

সূরা ফাতিহার ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

দাজ্জাল ও এর ভ্রান্তির পর্যালোচনা

ক্বিয়ামতের আলামত সমূহের অন্যতম হ’ল দাজ্জালের আবির্ভাব। সে ক্বিয়ামতের পূর্বে বের হয়ে আসবে। হাদীছে তার সম্পর্কে সবিস্তার বিবরণ উল্লিখিত হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে কেউ কেউ দাজ্জালের আবির্ভাবের কথা ফলাও করে প্রচার করছে। আবার তাদের দাবীর পক্ষে কুরআন-হাদীছের দলীলও পেশ করছে। যা সর্বৈব মিথ্যা। এসব মিথ্যা প্রচারের ফলে জনমনে সৃষ্ট ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে এবং দাজ্জাল সম্পর্কে সঠিক বিষয় তুলে ধরার জন্যই এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। দাজ্জালের পরিচয় : দাজ্জালের পুরো নাম ‘মাসীহুদ দাজ্জাল’। মাসীহ : এর অর্থ সম্পর্কে হাফেয ইবনে হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, يُقَالُ إِنَّهُ سُمِّيَ

দাজ্জাল ও এর ভ্রান্তির পর্যালোচনা বিস্তারিত পডুন »

আযানের ইতিহাস সার-সংক্ষেপ

আযান (আরবি: أَذَان আযান্‌) হচ্ছে মসজিদে জামাতে সালাত আদায়ের জন্য ইসলামি আহ্বান বা ডাকধ্বনি। দিনের নির্ধারিত সময়ে একজন মুয়াজ্জিন আযান পাঠ করেন।ʾআযান শব্দের মূল অর্থ দাড়ায় أَذِنَ ডাকা, আহবান করা। যার মূল উদ্দেশ্য হলো অবগত করানো। এই শব্দের আরেকটি ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল ʾআজুন। (أُذُن), যার অর্থ হলো “শোনা”। কুরআনে মোট পাঁচ স্থানে আজুন শব্দটি এসেছে। পারিভাষিক অর্থে, শরিয়ত নির্ধারিত আরবি বাক্যসমূহের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে উচ্চকণ্ঠে সালাতের আহবান করাকে আযান বলা হয়।মক্কায় অবস্থানকালে মহানবী (ﷺ) তথা মুসলিমগণ বিনা আযানে নামায পড়েছেন। অতঃপর মদ্বীনায় হিজরত করলে হিজরী

আযানের ইতিহাস সার-সংক্ষেপ বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : আল্লাহর অলী যারা

আল্লাহু তা‘আলা বলেন, الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ کَانُوۡا یَتَّقُوۡنَ – اَلَاۤ اِنَّ اَوۡلِیَآءَ اللّٰهِ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡهِمۡ وَ لَا هُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ ‘শুনে রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহর বন্ধুদের কোন ভয় নেই, আর তারা পেরেশানও হবে না। তারা হচ্ছে সেই সকল লোক যারা ঈমান এনেছে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করে থাকে (ইউনুস ১০/৬২-৬৩)। আলোচ্য আয়াতসমূহে আল্লাহর অলীদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য, তাদের প্রশংসা ও পরিচয় বর্ণনার সাথে সাথে তাদের প্রতি আখেরাতের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে- যারা আল্লাহর অলী তাদের না থাকবে কোন অপছন্দনীয় বিষয়ের সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা, আর না থাকবে কোন

দরসে কুরআন : আল্লাহর অলী যারা বিস্তারিত পডুন »

দাবা, ক্যারাম, লুডু খেলার বিধান

দাবা, লুডু ও ক্যারাম (অথবা ক্যারোম) আমাদের সমাজে প্রচলিত তিনটি খেলার নাম। তিনটিই গুটি দিয়ে খেলা হয়। পাশা খেলা এগুলোর সমগোত্রীয় খেলা। এসকল খেলাগুলোর উৎপত্তি ভারতীয় উপমহাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ায়। এ সকল খেলাগুলো সম্পূর্ণ হারাম। চাই তা জুয়ার দ্বারা হোক কিংবা জুয়া ছাড়া এমনিই হোক না কেন। সর্বাবস্থায় হারাম। হাদীসে কঠোরভাবে এ খেলাগুলো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ এসেছে। আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدِ فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ ‘যে ব্যক্তি পাশা বা দাবা খেললো, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের

দাবা, ক্যারাম, লুডু খেলার বিধান বিস্তারিত পডুন »

তর্ক- বিতর্ক

মানুষ তর্ক প্রিয় জীব। এরা বিতর্ক বুঝে না। কেননা, তর্কবাগীশ মূর্খতার বশ্যতা স্বীকার করে, কিন্তু বিতর্ক মানুষকে জ্ঞানী করে। আর তর্ক-বিতর্ক এড়িয়ে চললে তার জন্য জান্নাত রয়েছে। এটা রাসূল (ছাঃ), সালাফীদের মূলনীতির অন্তর্ভুক্ত নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,مِنْ حُسْنِ إِسْلاَمِ الْمَرْءِ تَرْكُهُ مَا لاَ يَعْنِيهِ، ‘মানুষের জন্য ইসলামের সৌন্দর্য হচ্ছে তার অনর্থক কথাবার্তা পরিহার করা’(মুসলিম হা/১৫৯৯; তিরমিযী হা/২৩১৭; ইবনু মাজাহ হা/৩৯৭৬।)। যারা তর্ক-বিতর্কে সব সময় জড়িয়ে পড়ে তাদেরকে এড়িয়ে চলতে হবে। কেননা হিশাম হাসান (রহঃ) ইবনু সীরীন (রহঃ) হ’তে বর্ণনা করেন তারা উভয়ে বলতেন,لاَ تُجَالِسُوا أَصْحَابَ

তর্ক- বিতর্ক বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীছ : মিরাজের রাতের ঘটনাবলী

সামুরাহ্ ইবনু জুনদুব (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অভ্যাস ছিল তিনি ফজরের সালাত শেষে প্রায়ই আমাদের দিকে মুখ করে বসতেন এবং জিজ্ঞেস করতেন, তোমাদের কেউ আজ রাতে কোন স্বপ্ন দেখেছ কি? রাবী বলেন, আমাদের কেউ কোন স্বপ্ন দেখে থাকলে তাঁর নিকট বলত। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর হুকুম মোতাবেক তার তা’বীর করতেন। যথারীতি একদিন সকালে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের কেউ (আজ রাতে) কোন স্বপ্ন দেখেছ কি? আমরা বললাম, না। অতঃপর তিনি বললেন, কিন্তু আমি দেখেছি, আজ রাতে দু’ ব্যক্তি আমার নিকট এলো এবং তারা উভয়ে

দরসে হাদীছ : মিরাজের রাতের ঘটনাবলী বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীছ : মৃত্যু ও তৎপরবর্তী সময়

মৃত্যুর পরে কী হবে আমাদের সাথে তা জেনে নিন। বারা ইবনু আযেব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে জনৈক আনসারির জানাজায় বের হলাম, আমরা তার কবরে পৌঁছলাম, তখনো কবর খোঁড়া হয়নি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবসলেন আমরা তার চারপাশে বসলাম, যেন আমাদের মাথার ওপর পাখি বসে আছে, তার হাতে একটি লাকড়ি ছিল তিনি মাটি খুড়তে ছিলেন, অতঃপর মাথা উঠিয়ে বললেন: “তোমরা আল্লাহর নিকট কবরের আযাব থেকে পানাহ চাও, দুইবার অথবা তিনবার (বললেন)”। অতঃপর বললেন: “নিশ্চয় মুমিন বান্দা যখন দুনিয়া প্রস্থান

দরসে হাদীছ : মৃত্যু ও তৎপরবর্তী সময় বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top