সকল কাজ নিয়াতের উপর নির্ভরশীল

নিয়াত অর্থ মনন করা, মনে মনে সংকল্প বা ইচ্ছা পোষণ করা। ইহা এমন একটি অদৃশ্য বিষয় যা কেবল কোন ব্যক্তির ক্বলব বা অন্তরের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে। মানুষ যেমন ইচ্ছা করবে তার প্রতিদানও অনুরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা যখন বিচারের মাঠে বান্দার আমলের বিচার করবেন, তখন তিনি এই নিয়াতের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিচার কার্য পরিচালনা করবেন। নিয়াত হ’ল কর্মের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে,  إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّةِ، وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى اللهِ وَرَسُولِهِ […]

সকল কাজ নিয়াতের উপর নির্ভরশীল বিস্তারিত পডুন »

মৃত্যু, প্রত্যেক জীবের অপ্রতিরোধ্য সঙ্গী

মানুষের জন্য উচিত নয় যে, সবচেয়ে বড় উপদেশের স্মরণ হতে উদাসীন থাকা আর তা হল মৃত্যু তথা মৃত্যুর স্মরণ। দুনিয়ার ভোগবিলাসের সুখময় স্বাদ বিনষ্টকারী জিনিস হলো মৃত্যু। তাই মৃত্যুকে বেশী বেশী স্মরণ করা উচিৎ। কেননা মৃত্যু প্রত্যেক জীবের জীবনে একটি অপ্রতিরোধ্য বন্ধু। মৃত্যুকে রোধ করার মত কোন বস্তু দুনিয়াতে নেই। জন্মিলে মরিতে হবে, চিরন্তন সত্য এ ভূবনে, সময় থাকতে আখের গোছাও সুধারনা পোষণ করো মরণে। মু’মিন ব্যক্তি দুনিয়াতে অবস্থান করবে বিদেশীর অবস্থানের মতো। সুতরাং তার অন্তরকে সম্পর্ক রাখবে না দূরবর্তী দেশের কোন কিছুর সাথে বরং

মৃত্যু, প্রত্যেক জীবের অপ্রতিরোধ্য সঙ্গী বিস্তারিত পডুন »

আল্লাহর জন্য তাকবীর দেয়ার বিধান

তাকবীর দেয়া সওয়াবের কাজ। আমরা প্রত্যেক দলের শ্লোগান যখন বলি, তখন ইসলাম পন্থী দলগুলোও একটি শ্লোগান ঠিক করেছেন। কেহ নারায়ে তাকবীর, লিল্লাহে তাকবীর ইত্যাদি। নারায়ে (نعره) শব্দটি উর্দূ। অর্থ: ধ্বনী বা উচ্চ আওয়াজ। তাকবীর শব্দটি আরবী। যার অর্থ: আল্লাহর বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। আর লিল্লাহে আরবী শব্দ। যার অর্থ আল্লাহর জন্য। তবে জন সন্মুখে উচ্চস্বরে তাকবীর দেয়ার বিধান রয়েছে। তবে রাসূল (ছাঃ) এটাকে থামিয়েও দিয়ে ছিলেন। যেমন – আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খায়বার যুদ্ধের জন্য বের হলেন কিংবা

আল্লাহর জন্য তাকবীর দেয়ার বিধান বিস্তারিত পডুন »

জ্ঞানীদের উপদেশ আমাদের দিক-নির্দেশনা

(১) ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (১৬৪-২৪১ হি.) একদিন বাগদাদের বাজারে এলেন। অতঃপর এক বোঝা কাঠ খরিদ করে কাঁধে নিয়ে চলতে শুরু করলেন। অতঃপর যখন লোকেরা তাকে চিনে ফেলল, তখন ব্যবসায়ীরা ব্যবসা ছেড়ে, দোকানদাররা দোকান ছেড়ে, পথিকরা পথ চলা বন্ধ করে তাঁর কাছে ছুটে এলো ও সালাম দিয়ে বলতে লাগল, আমরা আপনার বোঝা বহন করব। তখন তাঁর হাত কেঁপে উঠল, চেহারা লাল হয়ে গেল, দু’চক্ষু বেয়ে অশ্রু ঝরতে লাগল। অতঃপর তিনি বারবার বলতে থাকলেন, আমরা মিসকীন। যদি আল্লাহ আমাদের পাপ ঢেকে না দেন, আমরা অবশ্যই সেদিন

জ্ঞানীদের উপদেশ আমাদের দিক-নির্দেশনা বিস্তারিত পডুন »

গোঁড়ামি পরিহার করুন !

গোঁড়ামি কখনো ধর্মতত্ত্ব নয়, ধর্মে (দ্বীনে) কভু গোঁড়ামী নাই। মানুষ নিজের বুঝের উপরে অটল থাকতে চায়। সে যা ভাল মনে করে তাই করে। তার এই গোঁড়ামি তাকে হক্ব গ্রহণে বাঁধাগ্রস্ত করে। গোঁড়ামি ঈমান-আমল ও দ্বীনের জন্য অনেক ক্ষতিকর। ‘গোঁড়ামি’ (Bigotry, Oorthodoxy, Narrowness) শব্দটি বিশেষ্য পদ, যার আভিধানিক অর্থ- অন্ধবিশ্বাস, একান্ত রক্ষণশীলতা, অপ্রশস্ততা, সংকীর্ণতা প্রভৃতি। পারিভাষিক অর্থে, শরীয়তের মধ্যে কিংবা বাহিরে বিনা দলিলে কোন কথা ও কাজে অন্ধবিশ্বাস রেখে অন্তরে ইলমের সংকীর্ণতা গড়ে তোলাকে গোঁড়ামী বলে। সকলের উচিত গোঁড়ামি ছেড়ে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী

গোঁড়ামি পরিহার করুন ! বিস্তারিত পডুন »

ছালাতের মধ্যে সূরা ফাতিহা পাঠের বিধান : একটি আলোচনা

কুরআন পাঠের সময় চুপ থাকার আয়াত দ্বারা ইমামের পেছনে  সূরা ফাতিহা তেলাওয়া করার বিপক্ষে এবং চুপ থাকার পক্ষে নিম্নোক্ত আয়াত দলিল হিসেবে তুলে ধরেন তাদের জ্ঞাতার্থে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।  আল্লাহ বলেন, وَ اِذَا قُرِیٴَ الۡقُرۡاٰنُ فَاسۡتَمِعُوۡا لَ وَ اَنۡصِتُوۡا لَعَلَّكُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ ‘আর যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোন এবং চুপ থাক, যাতে তোমরা রহমত লাভ কর’ (আরাফ ৭/২০৪)। উপরোক্ত আয়াতের প্রেক্ষাপট ছিল ঐ সকল কাফেরদের সম্পর্কে, যারা কুরআন তিলাওয়াতের সময় চেঁচামেচি করত।  আর কাফেরেরা তাদের সঙ্গী-সাথীদের বলত, চেঁচামেচি কর, তালি বাজাও,

ছালাতের মধ্যে সূরা ফাতিহা পাঠের বিধান : একটি আলোচনা বিস্তারিত পডুন »

স্বামীকে কষ্ট দিয়ো না

মুমিন স্বামীর অবাধ্য হওয়া কুফরী। স্বামী তার স্ত্রীর পরিচালক এবং অভিভাবক, সে যে কোনো কাজে তাকে আহবান করে সে আহবানে তাকে সাড়া দেয়া আবশ্যক, বিশেষ করে তার জৈবিক চাহিদা পূরণের আহবানে তাকে অবশ্যই সাড়া দিতে হবে। অত্র হাদীস সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। সে যদি চুলায় রুটি তৈরিতেও লিপ্ত থাকে আর সে ছাড়া বিকল্প কোনো লোক না থাকে তবু তা মূলতবী রেখে স্বামীর আহবানে সাড়া দিবে। ইবনুল মালিক বলেন, এ রুটি যদি স্বামীর হয় তবেই এ হুকুম। কারণ স্বামী জানছে যে, সে রুটি তৈরিতে ব্যস্ত, এ সময়

স্বামীকে কষ্ট দিয়ো না বিস্তারিত পডুন »

আল্লাহর পথে দাওয়াত দেওয়ার পদ্ধতি

ইসলামে দাওয়াতের গুরুত্ব অপরিসীম। দুনিয়াতে নবী-রাসূলগণ তাওহীদ তথা আল্লাহর দ্বীনকে সমুন্বত করার জন্য দাওয়াত প্রদান করেছেন। নবী-রাসূলগণ সকল প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে স্ব স্ব কওমের নিকটে তাওহীদের দাওয়াত পৌঁছানোর জন্য যে পথ ও পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন তা সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছা.) বলেন, بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً ِ ‘আমার পক্ষ হতে (মানুষের কাছে) একটি বাক্য হলেও পৌঁছিয়ে দাও’ (মিশকাত হা/১৯৮)আমাদের প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জাহেলী যুগে জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, يَا أَيُّهَا النَّاسُ قُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ تُفْلِحُوْا، ‘হে লোক সকল! তোমরা বল,

আল্লাহর পথে দাওয়াত দেওয়ার পদ্ধতি বিস্তারিত পডুন »

ধৈর্য মু’মিন বান্দার জন্য অপরিহার্য

বিপদে হতাশ বা অধৈর্য হয়ে পড়া একদিকে যেমন ঈমানের পরিপন্থী, অপরদিকে তা মানবীয় ব্যক্তিতেরব চরম পরাজয়। হতাশা, অস্থিরতা বা উৎকণ্ঠা বিপদ দূর করেনা, বিপদের কষ্ট কমায় না বা বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার পথ দেখায় না। সর্বোপরি হতাশা বা ধৈর্যহীনতা স্বয়ং একটি কঠিন বিপদ যা মানুষকে আরো অনেক কঠিন বিপদের মধ্যে নিপতিত করে। পক্ষান্তরে ধৈর্য বিপদ দূর না করলেও তা বিপদ নিয়ন্ত্রণ করে, বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য শান্তভাবে চিন্তা করার সুযোগ দেয় এবং অস্থিরতা জনিত অন্যান্য বিপদের পথরোধ করে। সর্বোপরি বিপদে কষ্টে ধৈর্যের মাধ্যমে মুমিন আল্লাহর

ধৈর্য মু’মিন বান্দার জন্য অপরিহার্য বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top