সকল কাজ নিয়াতের উপর নির্ভরশীল

নিয়াত অর্থ মনন করা, মনে মনে সংকল্প বা ইচ্ছা পোষণ করা। ইহা এমন একটি অদৃশ্য বিষয় যা কেবল কোন ব্যক্তির ক্বলব বা অন্তরের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে। মানুষ যেমন ইচ্ছা করবে তার প্রতিদানও অনুরূপ হবে। আল্লাহ তা‘আলা যখন বিচারের মাঠে বান্দার আমলের বিচার করবেন, তখন তিনি এই নিয়াতের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিচার কার্য পরিচালনা করবেন। নিয়াত হ’ল কর্মের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে,  إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّةِ، وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى اللهِ وَرَسُولِهِ […]

সকল কাজ নিয়াতের উপর নির্ভরশীল বিস্তারিত পডুন »

সৎ ব্যক্তির উপর বিপদাপদের কারণ ও করণীয়

বিপদ বান্দার উপর দুভাবে আসে। এক. দুষ্ট লোকের জন্য আযাব হিসেবে দ্বীনে ফেরানোর জন্য। দুই. সৎ ব্যক্তিকে ঈমানের দৃঢ়তার পরীক্ষা স্বরূপ। আর উভয়ের জন্যই পাপ মোচন হয়ে থাকে। প্রশ্ন হ’তে পারে যে, পৃথিবীতে নবী-রাসূল ও সৎ লোকদের উপর যেসব বালা-মুছীবত আসে, সেগুলি কি আল্লাহর গযব হিসাবে গণ্য হবে? যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে প্রশ্ন করা হয়, أىُّ الناسِ أشدُّ بلاءً ؟ قال: الأنبياءُ ثمَّ الأمثلُ فالأمثلُ، يُبتلَى الرَّجلُ على حسب دينيه فإن كانَ صُلباً في دينيه اشتدَّ بلاءُه، وإن كانَ فى دينيه رِقَّةٌ هُوِّنَ عليه، فمازال كذلك

সৎ ব্যক্তির উপর বিপদাপদের কারণ ও করণীয় বিস্তারিত পডুন »

বদ নজর এবং এর কুপ্রভাব ও প্রতিকার

 বদ নজর বলতে সাধারণত হিংসা, ঈর্ষা বা অতিরিক্ত প্রশংসার মাধ্যমে অন্যের প্রতি কুদৃষ্টি নিক্ষেপ করাকে বোঝানো হয়, যা ক্ষতিকারক হতে পারে।  প্রভাবশালী শক্তি নির্গত হয়, যার উপর ক্ষতি হয়, এবং বদ নজর বাস্তব, যেমন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, এবং যদি ভাগ্যের আগে কিছু থাকত, তাহলে বদ নজর তার আগে আসত। এই বিষয়ে মানুষ হয় অতিরিক্ত, অথবা অতিরিক্ত, এবং এই ক্ষেত্রে মধ্যপন্থী খুব কম। আপনি এমন কিছু লোক খুঁজে পাবেন যারা অতিরিক্ত, অর্থাৎ তারা যাদের সাথে দেখা হয় তাদের সবাইকে আল্লাহকে স্মরণ করতে, আল্লাহকে স্মরণ

বদ নজর এবং এর কুপ্রভাব ও প্রতিকার বিস্তারিত পডুন »

যাকাত ও সাদাকার মধ্যে পার্থক্য এবং ফযীলত

যাকাত একটি বাধ্যতামূলক দান যা নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ নির্দিষ্ট সময় ধরে থাকলে প্রদান করতে হয়, যেখানে সাদাকা একটি ঐচ্ছিক দান যা যেকোনো ভালো কাজ বা সম্পদ দিয়ে করা যায়। যাকাত হলো ফরয বা আবশ্যিক, আর সাদাকা হলো নফল বা ঐচ্ছিক। الزكاة (যাকাত)-এর শাব্দিক অর্থ: বৃদ্ধি, লাভ, বরকত ও পবিত্র করা। (লিসানুল আরাব ১৪/৩৫৮ ও ফাতহুল কাদীর ২/৩৯৯)। আর الصدقة (সাদাকা) শব্দটি الصِّدق (আস্‌-সিদক বা সত্য) থেকে গৃহীত। যেহেতু সাদাকা করা সাদাকাকারীর ঈমানের সত্যতার দলীল (ফাতহুল কাদীর (২/৩৯৯)। শারঈ পারিভাষিক সংজ্ঞা: যাকাত হচ্ছে: বিভিন্ন শ্রেণীর সম্পদে

যাকাত ও সাদাকার মধ্যে পার্থক্য এবং ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

ঈমানের দৃঢ়তার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ব্যক্তি সফল

আল্লাহর পরীক্ষায় ঈমান সুদৃঢ় হয়। ঈমান আনয়নের পরে ঈমানের দৃঢ়তার পরীক্ষা নিয়ে থাকেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা। এমনকি প্রত্যেক নবী-রাসূল অগ্নিপরীক্ষা দিয়েছেন যুগে যুগে। বলা বাহুল্য, যার ঈমানের যতবেশী তীক্ষ্ণতা, তার ততবেশী পরীক্ষা। অধিকাংশ দুর্বল মুমিন বান্দা জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে এটাকে আযাব মনে করে বিপথগামী হয়। সুতরাং আল্লাহ পরীক্ষা ব্যতীত কাউকেই জান্নাতে ঢুকাবেন না। তাই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষ কি মনে করেছে যে, আমরা ঈমান এনেছি এ কথা বললেই তাদেরকে পরীক্ষা না করে অব্যাহতি দেয়া হবে?’(আনকাবুত ২৯/২)? অপর দিকে রাসূল (সা.) জান্নাতকে দুঃখ-কষ্টের এবং জাহান্নামকে

ঈমানের দৃঢ়তার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ব্যক্তি সফল বিস্তারিত পডুন »

রাসূলুল্লাহ (ছা.) সম্পর্কে কটূক্তিকারী নাস্তিকদের শারঈ বিধান

বিশ্ববাসীর জন্য সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছেন বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)। তিনি মাত্র ২৩ বছরের প্রচেষ্টায় আরবের চেহারা পাল্টে দিয়েছিলেন। তৎকালীন পৃথিবীর মানুষ অবাক দৃষ্টিতে অবলোকন করেছিল সমাজ পরিবর্তনের এই দৃশ্য। বহু দোষে দুষ্ট মানুষগুলিকে মুহূর্তের মধ্যে সোনার মানুষে রূপান্তরিত করার চমৎকার পদ্ধতি। এমন একজন মহান ব্যক্তির চরিত্রকে দু’চার কথায় কলমের অাঁচড়ে তুলে ধরা সম্ভব নয়। যাঁর সম্পর্কে স্বয়ং মহান আল্লাহ বলেছেন, وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلاَّ رَحْمَةً لِلْعَالَمِيْنَ ‘(হে মুহাম্মাদ) তোমাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি’ (আম্বিয়া ১০৭)। তাঁকে আল্লাহ তা‘আলা উত্তম চরিত্রের নমুনা হিসাবে পাঠিয়েছেন। তিনি

রাসূলুল্লাহ (ছা.) সম্পর্কে কটূক্তিকারী নাস্তিকদের শারঈ বিধান বিস্তারিত পডুন »

সমাজ সংশোধনের পূর্বে নিজেকে সংশোধন করুন!

সমাজকে শুধু দোষ দিয়ে নয়, নিজেকে দোষারোপ করুন। নিজেদের সংশোধনের মাধ্যমে সমাজ প্রতিস্থাপন হতে বাধ্য। ধোঁকাব্যঞ্জকের যুগে মানুষ আজ গুপ্ত শিরকে লিপ্ত এবং নানা রকম অপরাধে অভ্যস্ত। কেননা মানব জীবনে নানা ঘাত-প্রতিঘাত জীবনকে প্রতিনিয়ত যেমনি শোধরিয়ে দেয় তেমনি আবার কলুষিতও করে থাকে। পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রাণীর মধ্যে মানুষই সর্বশ্রেষ্ঠ। এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পেছনে যে বিষয়গুলো সদা ক্রিয়াশীল তা হ’ল তার বিবেক, বুদ্ধি, বিচক্ষণতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা। ক. বিবেক হ’ল মানুষের অন্তর্নিহীত শক্তি যার দ্বারা ন্যায়, অন্যায়, ভালমন্দ, ধর্মাধর্ম বিচার-বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জিত হয়। খ. বুদ্ধি হ’ল

সমাজ সংশোধনের পূর্বে নিজেকে সংশোধন করুন! বিস্তারিত পডুন »

কিয়ামতের মাঠে আল্লাহ জ্বিনদের ভর্ৎসনা করবেন

কিয়ামতের মাঠে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা জ্বিন জাতিকে উদ্দেশ্য করে বলবেন,  وَ یَوۡمَ یَحۡشُرُهُمۡ جَمِیۡعًا ۚ یٰمَعۡشَرَ الۡجِنِّ قَدِ اسۡتَكۡثَرۡتُمۡ مِّنَ الۡاِنۡسِ ۚ وَ قَالَ اَوۡلِیٰٓؤُهُمۡ مِّنَ الۡاِنۡسِ رَبَّنَا اسۡتَمۡتَعَ بَعۡضُنَا بِبَعۡضٍ وَّ بَلَغۡنَاۤ اَجَلَنَا الَّذِیۡۤ اَجَّلۡتَ لَنَا ؕ قَالَ النَّارُ مَثۡوٰىكُمۡ خٰلِدِیۡنَ فِیۡهَاۤ اِلَّا مَا شَآءَ اللّٰهُ ؕ اِنَّ رَبَّكَ حَكِیۡمٌ عَلِیۡمٌ আর যেদিন তিনি তাদের সবাইকে একত্র করবেন এবং বলবেন, হে জিন সম্প্রদায়! তোমরা তো অনেক লোককে পথভ্রষ্ট করেছিলে এবং মানুষের মধ্য থেকে তাদের বন্ধুরা বলবে, হে আমাদের রব! আমাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক

কিয়ামতের মাঠে আল্লাহ জ্বিনদের ভর্ৎসনা করবেন বিস্তারিত পডুন »

মুখলেস বান্দাদের সাথে বেয়াদবীর পরিণাম

মানুষ আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠ। তবে মানুষের মর্যাদা নির্ভর করে তার চরিত্র, আমল এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্কের উপর। যারা আল্লাহর জন্য নিজেদের জীবন পরিচালনা করে, খাঁটি নিয়তে ইবাদত করে এবং স্বার্থপরতা, অহংকার ও কপটতা থেকে দূরে থাকে—তাদেরকে বলা হয় মুখলেস বান্দা। এরা আল্লাহর নেক বান্দা, যাদের অন্তর পরিশুদ্ধ এবং আমল শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একমাত্র তাঁরই ইবাদত করে, দুনিয়ার স্বার্থ থেকে মুক্ত থাকে, তাদেরকে বলা হয় মুখলেস বান্দা। এরা আল্লাহর প্রিয় বান্দা বা ওলী। তাই তাদের সাথে বেয়াদবি করা আসলে আল্লাহর

মুখলেস বান্দাদের সাথে বেয়াদবীর পরিণাম বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top