নিয়াত/নিয়ত

দরসে হাদীছ : দান-ছাদাক্বাহ কখনও বিফলে যায় না

দান-ছাদাক্বাহ আল্লাহর ক্রোধকে নিভিয়ে দেয়। স্বচ্ছল-অস্বচ্ছল সর্বাবস্থায় কম-বেশী দান-ছাদাক্বাহ করা উচিৎ। আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «قال رجل لأَتَصَدَّقَنَّ بصدقة، فخرج بصدقته فوضعها في يد سارق، فأصبحوا يتحدثون: تُصُدِّقَ على سارق! فقال: اللهم لك الحمد لأَتَصَدَّقَنَّ بصدقة، فخرج بصدقته فوضعها في يد زانية؛ فأصبحوا يتحدثون: تُصُدِّقَ الليلة على زانية! فقال: اللهم لك الحمد على زانية! لأَتَصَدَّقَنَّ بصدقة، فخرج بصدقته فوضعها في يد غني، فأصبحوا يتحدثون: تُصُدِّقَ على غني؟ فقال: اللهم لك الحمد على سارق وعلى زانية وعلى غني! فأتي فقيل […]

দরসে হাদীছ : দান-ছাদাক্বাহ কখনও বিফলে যায় না বিস্তারিত পডুন »

নিয়াত বনাম রিয়া

নিয়ত হ’ল আরবী শব্দ। যার বাংলা অর্থ- ইচ্ছা করা, মনস্ত করা, এরাদা করা, সংকল্প করা। [মুনজিদ, ৮৪৯/ফতহুল বারী, ১/১৭] ইবনুল কাইয়ুম (রহিঃ) বলেনঃ “নিয়ত হচ্ছে, কোন কিছু করার ইচ্ছা পোষণ ও সংকল্প করা। নিয়ত নির্ধারণের স্থান হচ্ছে অন্তরে, মুখে উচ্চারণের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। এ কারণে না তো রাসূল (ছাঃ) হতে আর না কোন ছাহাবী হতে নিয়তের শব্দ বর্ণিত হয়েছে”। [ইগাসাতুল্ লাহ্ফান, ১/২১৪] ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, «إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوٰى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ

নিয়াত বনাম রিয়া বিস্তারিত পডুন »

ইখলাছের গুরুত্ব

আল্লাহ মানুষকে তার ইখলাছের উপর সম্মানিত অথবা লাঞ্চিত করেন। ইখলাছ সঠিক করুন সম্মানিত হবেন, ইনশাআল্লাহ। যারা নিজেদের ঈমান-বিশবাস, ইবাদত-বন্দেগীকে আল্লাহর জন্য বিশুদ্ধ করে নিবে, সবকিছু যখন শুধু আল্লাহর জন্যই নিবেদন করবে, তখন তাদের বিভ্রান্ত করতে শয়তান কোন পথ খুঁজে পাবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, قَالَ رَبِّ بِمَا أَغْوَيْتَنِيْ لَأُزَيِّنَنَّ لَهُمْ فِي الْأَرْضِ وَلَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِيْنَ، إِلاَّ عِبَادَكَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِيْنَ- ‘শয়তান বলল, হে আমার প্রতিপালক! আপনি যে আমাকে বিপথগামী করলেন সেজন্য আমি পৃথিবীতে মানুষের নিকট পাপকর্মকে অবশ্যই শোভন করে দিব এবং আমি তাদের সকলকে বিপথগামী করব, তবে

ইখলাছের গুরুত্ব বিস্তারিত পডুন »

ঠোঁটের নিচের দাড়ি কাটার বিধান

দাড়ি পুরুষের বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্যের প্রতীক। দাড়ি রাখার যেমন দুনিয়াবী উপকারিতা রয়েছে তেমনি এটি রেখে সুন্নাত পালনের মাধ্যমে জান্নাত লাভ করা যায়। সেজন্য রাসূল (ছাঃ) বা তাঁর লক্ষ লক্ষ ছাহাবীর কেউ দাড়ি মুন্ডন বা শেভ করেছেন এমন প্রমাণ পাওয়া যায় না। দাড়ি রাখার নির্দেশ দিয়ে রাসূল (ছাঃ) থেকে বিশটিরও অধিক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে।  তিনি দাঁড়ি ছাটতেন বা কাটতেন মর্মে কোন দলীল নেই। বরং উম্মতের উদ্দেশ্যে তিনি বলে গেছেন, ‘তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর। দাড়ি লম্বা কর, গোঁফ ছোট কর’ (বুখারী হা/৫৮৯২; মিশকাত হা/৪৪২১)। ঠোটের নিচের দাড়ি রাসূল

ঠোঁটের নিচের দাড়ি কাটার বিধান বিস্তারিত পডুন »

তর্ক- বিতর্ক

মানুষ তর্ক প্রিয় জীব। এরা বিতর্ক বুঝে না। কেননা, তর্কবাগীশ মূর্খতার বশ্যতা স্বীকার করে, কিন্তু বিতর্ক মানুষকে জ্ঞানী করে। আর তর্ক-বিতর্ক এড়িয়ে চললে তার জন্য জান্নাত রয়েছে। এটা রাসূল (ছাঃ), সালাফীদের মূলনীতির অন্তর্ভুক্ত নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,مِنْ حُسْنِ إِسْلاَمِ الْمَرْءِ تَرْكُهُ مَا لاَ يَعْنِيهِ، ‘মানুষের জন্য ইসলামের সৌন্দর্য হচ্ছে তার অনর্থক কথাবার্তা পরিহার করা’(মুসলিম হা/১৫৯৯; তিরমিযী হা/২৩১৭; ইবনু মাজাহ হা/৩৯৭৬।)। যারা তর্ক-বিতর্কে সব সময় জড়িয়ে পড়ে তাদেরকে এড়িয়ে চলতে হবে। কেননা হিশাম হাসান (রহঃ) ইবনু সীরীন (রহঃ) হ’তে বর্ণনা করেন তারা উভয়ে বলতেন,لاَ تُجَالِسُوا أَصْحَابَ

তর্ক- বিতর্ক বিস্তারিত পডুন »

সৃষ্টি প্রতি দয়া প্রদর্শনে, নিজের কষ্ট দূর হয়

আল্লাহ যে গুণাবলীগুলো বান্দার মধ্যে দেখলে খুশি হয়, তন্মধ্যে অন্যতম হ’ল দয়া, ক্ষমা, ধৈর্য্য ও সত্যবাদিতা। জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, لاَ يَرْحَمُ اللَّهُ مَنْ لا يَرْحَمُ النَّاسَ‏.‏ ‘যে লোক মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহ তার প্রতি দয়ালু হোন না’। মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৪৯৪৭। অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আর যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সাহায্যে থাকবে, আল্লাহ তার সাহায্যে থাকবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ তাকে ক্বিয়ামতের দিনের বিপদ সমূহের একটি বড় বিপদ দূর করে দিবেন’ (বুখারী হা/২৪৪২; মুসলিম

সৃষ্টি প্রতি দয়া প্রদর্শনে, নিজের কষ্ট দূর হয় বিস্তারিত পডুন »

হারাম অর্থ ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়নি কা‘বা ঘর

জাহেলী যুগেও হারাম অর্থ ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়নি কা‘বা বা আল্লাহর ঘর। কা‘বাগৃহ পুনঃর্নির্মাণের উদ্দেশ্যে কুরায়েশ নেতৃবৃন্দ বৈঠকে বসে স্থির করেন যে, এর নির্মাণ কাজে কারু কোনরূপ হারাম মাল ব্যয় করা হবে না। তারা বলেন, হে কুরায়েশগণ! তোমরা এর নির্মাণ কাজে তোমাদের পবিত্র উপার্জন থেকে ব্যয় কর। এর মধ্যে ব্যভিচারের অর্থ, সূদের অর্থ, কারু প্রতি যুলুমের অর্থ মিশ্রিত করোনা’ (ইবনু হিশাম ১/১৯৪)। হারাম অর্থ দিয়ে দুনিয়ার সমস্ত কিছু ক্রয় করা সম্ভব, কিন্তু জান্নাত নয়। মসজিদ জান্নাতের অংশ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য পঙ্গপালের

হারাম অর্থ ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়নি কা‘বা ঘর বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীছ : মিরাজের রাতের ঘটনাবলী

সামুরাহ্ ইবনু জুনদুব (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অভ্যাস ছিল তিনি ফজরের সালাত শেষে প্রায়ই আমাদের দিকে মুখ করে বসতেন এবং জিজ্ঞেস করতেন, তোমাদের কেউ আজ রাতে কোন স্বপ্ন দেখেছ কি? রাবী বলেন, আমাদের কেউ কোন স্বপ্ন দেখে থাকলে তাঁর নিকট বলত। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর হুকুম মোতাবেক তার তা’বীর করতেন। যথারীতি একদিন সকালে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের কেউ (আজ রাতে) কোন স্বপ্ন দেখেছ কি? আমরা বললাম, না। অতঃপর তিনি বললেন, কিন্তু আমি দেখেছি, আজ রাতে দু’ ব্যক্তি আমার নিকট এলো এবং তারা উভয়ে

দরসে হাদীছ : মিরাজের রাতের ঘটনাবলী বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top