কুরআন-সুন্নাহ ও বিজ্ঞান

শা‘বে আবূ তালেবের দলিল ছিন্ন হওয়ার ঘটনা

ইসলামের প্রচারের প্রাথমিক কালে মক্কার পৌত্তলিকরা দিন দিন অস্থির হয়ে উঠলো। অস্থির হবে না কেন? তারা বুঝতে পেরেছিলযে, এখন যদি মুহাম্মদকে হত্যা করার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, তা হলে তাঁকে রক্ষা করার জন্য যে রক্তপাত হবে এতে মক্কা পান্তর লালে রন্জিত হয় যাবে। তাদের নিজেদের গোষ্ঠির মধ্যে ধ্বংশ হয়ে যাবার সম্ভাবনা ছিল। এ কারনে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কে হত্যা করার পরিকল্পনা পরিত্যাগ করে পৌত্তলিকরা অমানুষিক অত্যাচার নির্যাতনের নতুন পথ আবিষ্কার করল। আর এই পরিকল্পনা ছিল ইতোপূর্বে গৃহিত সকর পদক্ষেপের চেয়ে আরও বেশী মারাত্মক। সর্বাত্মক বয়কট […]

শা‘বে আবূ তালেবের দলিল ছিন্ন হওয়ার ঘটনা বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : ধনাঢ্যতা ও দরিদ্রতা বান্দার জন্য পরীক্ষা

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ قَطَّعۡنٰهُمۡ فِی الۡاَرۡضِ اُمَمًا ۚ مِنۡهُمُ الصّٰلِحُوۡنَ وَ مِنۡهُمۡ دُوۡنَ ذٰلِکَ ۫ وَ بَلَوۡنٰهُمۡ بِالۡحَسَنٰتِ وَ السَّیِّاٰتِ لَعَلَّهُمۡ یَرۡجِعُوۡنَ ‘আর যমীনে আমি তাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতিতে। তাদের কেউ নেককার আর কেউ অন্যরূপ এবং আমি তাদেরকে পরীক্ষা করেছি ভাল ও মন্দ দ্বারা, হয়তো তারা ফিরে আসবে’ (আরাফ ৭/১৬৮)।.ব্যাখ্যা : আয়াতের শেষাংশে বলা হয়েছে, ‘আমি ভাল-মন্দ অবস্থার দ্বারা তাদের পরীক্ষা করেছি যেন তারা নিজেদের গহিত আচার-আচরণ থেকে ফিরে আসে।’ ‘ভাল অবস্থার দ্বারা’-এর অর্থ হল এই যে, তাদেরকে ধন-সম্পদের প্রাচুর্য ও ভোগবিলাসের উপকরণ

দরসে কুরআন : ধনাঢ্যতা ও দরিদ্রতা বান্দার জন্য পরীক্ষা বিস্তারিত পডুন »

উসূলুল হাদীস

হাদীস কাকে বলে? হাদীস কত প্রকার ও কি কি? সর্বোচ্চ সংখ্যক হাদীস বর্ণনাকারী কয়েকজন সাহাবি এবং প্রধান প্রধান হাদীসগ্রন্থগুলো। প্রাককথন: হাদীসের উপরে বিস্তারিত আলোচনার জন্য বৃহত আকারের পুস্তকের প্রয়োজন। আর একথা জ্ঞানী ব্যক্তি মাত্রেরই জানা রয়েছে যে, শুধুমাত্র হাদীস এবং উসূলে হাদীস বিষয়ের উপরে অসংখ্য বহু মূল্যবান কিতাব বিগত প্রায় দেড় হাজার বছরে পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন ভাষায় রচিত, পঠিত এবং সমাদৃত হয়ে আসছে। আলহামদুলিল্লাহ, কলেবর বৃদ্ধি না হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে অত্র নিবন্ধে শুধু হাদীস বিষয়ক মৌলিক ধারণা তুলে ধরারই চেষ্টা করা হবে ইনশাআল্লাহু তাআ’লা। প্রথমেই

উসূলুল হাদীস বিস্তারিত পডুন »

বেশী বেশী গাছ লাগান, নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাঁচান

দান-সাদাক্বাহ করলে মানুষ জাহান্নাম থেকে বাঁচতে পারে। আর গাছ লাগানো হ’ল সাদাক্বাহ। জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, : «ما من مسلم يَغرس غَرسا إلا كان ما أُكل منه له صدقة، وما سُرق منه له صدقة، ولا يَرْزَؤُهُ أحد إلا كان له صدقة». وفي رواية: «فلا يَغرس المسلم غَرسا فيأكلَ منه إنسان ولا دَابَة ولا طير إلا كان له صدقة إلى يوم القيامة»، وفي رواية: «لا يَغرس مسلم غرسا، ولا يزرع زرعًا، فيأكل منه إنسان ولا دَابَة ولا شيء، إلا كانت له صدقة».   “যে কোনো মুসলিম কোনো গাছ

বেশী বেশী গাছ লাগান, নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাঁচান বিস্তারিত পডুন »

চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে ছিয়াম সাধনা

পূর্বাভাষঃ ‘ছাওম’ আরবী শব্দ। এর অর্থ- বিরত থাকা, সংযম, নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি। মানব জাতির প্রতি আল্লাহ তা’আলার আদেশ সমূহের মধ্যে ‘ছিয়াম’ অন্যতম। ছিয়াম একটি আধ্যাত্মিক ইবাদত। সিয়ামের আধ্যাত্মিক গুরুত্ব হচ্ছে মানুষকে মুত্তাক্বী বা আল্লাহভীরু করা। হিজরী দ্বিতীয় সনে সিয়াম ফরয হয়। আল্লাহ তা’আলা বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ [٢:١٨٣] ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর ছিয়াম ফরয করা হয়েছে যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা তাক্বওয়া অর্জন করতে পার’[1]। ছিয়াম সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)

চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে ছিয়াম সাধনা বিস্তারিত পডুন »

চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে ছিয়াম সাধনা

— লিলবর আল-বারাদী  পূর্বাভাষঃ ‘ছাওম’ আরবী শব্দ। এর অর্থ- বিরত থাকা, সংযম, নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি। মানব জাতির প্রতি আল্লাহ তা’আলার আদেশ সমূহের মধ্যে ‘ছিয়াম’ অন্যতম। ছিয়াম একটি আধ্যাত্মিক ইবাদত। সিয়ামের আধ্যাত্মিক গুরুত্ব হচ্ছে মানুষকে মুত্তাক্বী বা আল্লাহভীরু করা। হিজরী দ্বিতীয় সনে সিয়াম ফরয হয়। আল্লাহ তা’আলা বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ [٢:١٨٣] ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর ছিয়াম ফরয করা হয়েছে যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা তাক্বওয়া অর্জন করতে পার’[1]।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে ছিয়াম সাধনা বিস্তারিত পডুন »

সুন্নাত উপেক্ষার পরিণাম

মানবতার হেদায়াতের জন্য মহান আল্লাহ যুগে যুগে নবী-রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ হ’লেন মুহাম্মাদ (ছাঃ)। তাঁর উম্মত তথা মুসলিম জাতিকে হেদায়াতের জন্য মহাগ্রন্থ আল-কুরআন দান করেছেন। হাদীছ বা সুন্নাত হচ্ছে কুরআনের নির্ভুল ব্যাখ্যা। কুরআন সঠিকভাবে বুঝে সে অনুযায়ী আমল করতে হ’লে হাদীছ বা সুন্নাহর কোন বিকল্প নেই। সুতরাং মুমিন জীবনে সুন্নাহর গুরুত্ব অপরিসীম। পক্ষান্তরে সুন্নাতকে উপেক্ষা করা, তাকে অবজ্ঞা-অবহেলা ভরে প্রত্যাখ্যান করা রাসূল (ছাঃ)-কে প্রত্যাখ্যান করার নামান্তর। এহেন গর্হিত কাজের পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। আলোচ্য নিবন্ধে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হ’ল। সুন্নাহর পরিচিতি

সুন্নাত উপেক্ষার পরিণাম বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top