নারী অঙ্গন

আল্লাহ তা‘আলা পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদম (আঃ)-কে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন। পরবর্তী বংশ বৃদ্ধির জন্য হাওয়া (আঃ)-কে সৃষ্টি করে আদম (আঃ)-এর সাথে বিবাহের ব্যবস্থা করেন। মানব জীবন প্রণালী পরিবর্তনের সাথে সাথে বিবাহের নিয়মেও পরিবর্তন ঘটেছে। প্রত্যেক অভিভাবককে তাদের অধীনস্থদের বিবাহের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, وَأَنْكِحُوا الْأَيَامَى مِنْكُمْ وَالصَّالِحِيْنَ مِنْ عِبَادِكُمْ ‘তোমাদের মধ্যে যারা স্বামীহীন তাদের বিবাহ সম্পাদন কর এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরও’ (নূর ২৪/৩২)। বিবাহের গুরুত্ব : বিবাহের মাধ্যমে মানুষ তার দৃষ্টিকে সংযত করে যৌনাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষার মাধ্যমে জান্নাতের পথ […]

’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বহুদিন ধরে উৎসুক ছিলাম যে, আমি ’উমার ইব্নু খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞেস করব, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের মধ্যে কোন্ দু’জনের ব্যাপারে আল্লাহ্ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেছেনঃ ’’তোমরা দু’জন যদি অনুশোচনাভরে আল্লাহর দিকে ফিরে আস (তবে তা তোমাদের জন্য উত্তম), তোমাদের অন্তর (অন্যায়ের দিকে) ঝুঁকে পড়েছে।’’ (সূরাহ আত-তাহরীম ৬৬ঃ ৪) এরপর একবার তিনি [’উমার (রাঃ)] হাজ্জের জন্য রওয়ানা হলেন এবং আমিও তাঁর সঙ্গে হাজ্জে গেলাম। (ফিরে আসার পথে) তিনি ইস্তিনজার জন্য রাস্তা থেকে সরে গেলেন।

কা’বা চত্বরে ইসমাঈল (আঃ) ও তাঁর মায়ের জীবন যাত্রা যখন শুরু হয়, তখন থেকে এই হাদীছের কাহিনী শুরু। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, নারী জাতি সর্বপ্রথম কোমরবন্দ বানানো শিখেছে ইসমাঈল (আঃ)-এর মায়ের নিকট থেকে। হাযেরা (আঃ) কোমরবন্দ লাগাতেন সারাহ (আঃ) থেকে নিজের মর্যাদা গোপন রাখার জন্য। অতঃপর ইবরাহীম (আঃ) হাযেরা (আঃ) এবং তাঁর শিশু ছেলে ইসমাঈল (আঃ)-কে সঙ্গে নিয়ে বের হলেন এ অবস্থায় যে, হাযেরা (আঃ) শিশুকে দুধ পান করাতেন। অবশেষে যেখানে কা’বার ঘর অবস্থিত, ইবরাহীম (আঃ) তাঁদের উভয়কে সেখানে নিয়ে এসে মসজিদের উঁচু অংশে যমযম

জান্নাতিদের বয়স হবে ৩০ অথবা ৩৩ বছর। সকলে হবেন যুবক-যুবতী। রাসূল (ছাঃ) বলেন, “‏ يَدْخُلُ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ جُرْدًا مُرْدًا مُكَحَّلِينَ أَبْنَاءَ ثَلاَثِينَ أَوْ ثَلاَثٍ وَثَلاَثِينَ سَنَةً ‏”‏ ‏ ‘জান্নাতীরা জান্নাতে প্রবেশের সময় তাদের শরীরে লোম থাকবে না, দাঁড়ি-গোফও থাকবে না এবং চোখে সুরমা লাগানো থাকবে। তারা হবে ত্রিশ অথবা তেত্রিশ বছরের যুবক’ (তিরমিযী হা/২৫৪৫)। হূর সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা পাওয়া যায় না। তবুও সংক্ষেপে আলোচনা করা হ’ল- প্রশ্ন : জান্নাতে পুরুষ পাবেন হুর, কিন্তু নারীরা কী পাবেন (?)‘হূর’ (حُوْرٌ) শব্দটি স্ত্রীলিঙ্গ। এটি জান্নাতী পুরুষদের জন্য

ভূমিকা : বিবাহ নারী-পুরুষ দু‘জন অচেনা মানুষের মধ্যে গড়ে তোলে আত্মিক সম্পর্ক। মধুর এক সম্পর্কে দু’টি দেহ মন মিলে-মিশে একই সত্ত্বা ও অনুভূতির অনবদ্য বন্ধনে বাঁধা পড়ে। পবিত্র এ বন্ধনে স্বামী-স্ত্রী অকৃত্রিম ভালবাসা, অগাধ বিশ্বাস, অপ্রতিম শ্রদ্ধাবোধ আর পাহাড়সম দায়িত্বের বোঝা নিয়ে জীবনের নতুন এক অধ্যায় শুরু করে। স্বামী চায় সারাদিন ঘামঝরা পরিশ্রম করে এসে স্ত্রীর মিষ্টভাষা আর ভালোবাসার পরশে সিক্ত হ’তে। আবার স্ত্রীও চায় পরিবারের দায়িত্বের বোঝা সামাল দিয়ে স্বামীর স্নেহের প্রশস্ত ছায়ায় সুখের নীড় খুঁজে পেতে। কিন্তু বর্তমান সময়ে কিছু কিছু স্বামী-স্ত্রীর কারণে

’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বহুদিন ধরে উৎসুক ছিলাম যে, আমি ’উমার ইব্নু খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞেস করব, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের মধ্যে কোন্ দু’জনের ব্যাপারে আল্লাহ্ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেছেনঃ ’’তোমরা দু’জন যদি অনুশোচনাভরে আল্লাহর দিকে ফিরে আস (তবে তা তোমাদের জন্য উত্তম), তোমাদের অন্তর (অন্যায়ের দিকে) ঝুঁকে পড়েছে।’’ (সূরাহ আত-তাহরীম ৬৬ঃ ৪) এরপর একবার তিনি [’উমার (রাঃ)] হাজ্জের জন্য রওয়ানা হলেন এবং আমিও তাঁর সঙ্গে হাজ্জে গেলাম। (ফিরে আসার পথে) তিনি ইস্তিনজার জন্য রাস্তা থেকে সরে গেলেন।

— লিলবর আল-বারাদী ৯. সন্তানের দো‘আ পিতা-মাতার নাজাতের অসীলা : আল্লাহর ইবাদত যেমন বান্দার উপর অপরিহার্য, পিতা-মাতার সেবাও তেমনি সন্তানের উপর অপরিহার্য। পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার ও দো‘আ করার জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, وَقَضَى رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِنْدَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُلْ لَهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُلْ لَهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا- وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُلْ رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا – رَبُّكُمْ أَعْلَمُ بِمَا فِي نُفُوسِكُمْ إِنْ تَكُونُوا صَالِحِينَ فَإِنَّهُ كَانَ لِلْأَوَّابِينَ غَفُورًا ‘আর

— লিলবর আল-বারাদী  ইসলামে কন্যা সন্তানের মর্যাদা : প্রাক-ইসলামী যুগে আরবে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করলে অসম্মানের মনে করা হতো এবং অকল্যাণ মনে করে জীবিত প্রোথিত করা হতো। অথচ ইসলাম এসে দুনিয়ার বুকে অবহেলিত নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করলেন। কন্যা সন্তান জাহান্নামের অন্তরাল এবং জান্নাতে যাওয়ার অসীলা বা মাধ্যম। অথচ পুত্র সন্তানের ক্ষেত্রে এমন মর্যাদার কথা ইসলাম বলা হয়নি। ক. কন্যা সন্তান জাহান্নামের অন্তরায় : কন্যা সন্তানের মাধ্যমে পিতামাতা জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাবেন। কন্যা সন্তান জাহান্নামের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে যদি সেই পিতামাতা তাদের কন্যাদের সাথে সদ্ব্যবহার করে