তাহারাত/পবিত্রতা

তাক্বদীর সম্পর্কে ধারনা

ভূমিকা : যে ব্যক্তি তাক্বদীর সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করেছে, সে কখনও হতাশ, নিরাশ ও অসন্তুষ্ট হবে না, আর জীবন নিয়ে আফসোসও করবে না। হিংসুক ব্যক্তির অন্তরে তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে। হিংসা না করে, তাক্বদীর বিষয়ে জ্ঞানার্জন করুন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ’’আমার উম্মাতের মধ্যে যারা তাক্বদীর অস্বীকারকারী তাদের মধ্যে ভূমি ধ্বস ও চেহারা বিকৃতি ঘটবে’’(মিশকাত হা/১০৬) । জীব সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাযার বছর পূর্বে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,كَتَبَ اللهُ […]

তাক্বদীর সম্পর্কে ধারনা বিস্তারিত পডুন »

কা‘বা চত্বরে শ্বেত পাথরের রহস্য

কা‘বাব চারপাশে তাওয়াফ করার সময় পায়ে গরম লাগেনা কেন, রহস্য কি? যারা হজ্জ বা উমরায় গেছেন তারা সবাই নিশ্চয়ই একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছেন চামড়া পোড়ানো সেই তীব্র গরমে ও খোলা আকাশে সূর্যের কশকশা রোদের নীচে, কাবার চারপাশে তাওয়াফ এর স্থান “মাতাফ” এ পায়ের নীচ পুড়ে যায়না বরং বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। এর পেছনে রহস্য কি ? মিশরীয় জিওলজিষ্ট ড.যাগলুল আল-নাজ্জার ইতিহাস থেকে প্রায় হারিয়ে যাওয়া এই মূল্যবান অংশ টি তুলে ধরেছেন। ড.যাগলুল আল- নাজ্জার এর ভাষায়—- ” যিনি এই মহান কাজের কারিগর ও উদ্যোক্তা -তিনি

কা‘বা চত্বরে শ্বেত পাথরের রহস্য বিস্তারিত পডুন »

জিহ্বার হেফাযত করুন !

❝জিহ্বা পরিস্কার রাখুন! মিথ্যা কথা বলা ও হারাম ভক্ষণ থেকে বিরত থেকে সর্বদা আল্লাহর ভয়ে যিকির ও ইস্তেগফার পাঠ করুন❞। জিহ্বা দ্বারা মানুষ নানা প্রকার পাপ করে থাকে। যেমন মিথ্যা কথা বলা, হারাম ভক্ষণ করা, গীবত করা, অপবাদ দেয়া, অশালীন বাক্য বলে, মানুষকে মুখের কথায় কষ্ট দেয় ইত্যাদি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا یَسۡخَرۡ قَوۡمٌ مِّنۡ قَوۡمٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُوۡنُوۡا خَیۡرًا مِّنۡهُمۡ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنۡ نِّسَآءٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُنَّ خَیۡرًا مِّنۡهُنَّ ۚ وَ لَا تَلۡمِزُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ وَ لَا تَنَابَزُوۡا بِالۡاَلۡقَابِ ؕ بِئۡسَ

জিহ্বার হেফাযত করুন ! বিস্তারিত পডুন »

লজ্জা হ’ল কল্যাণ

লজ্জা ঈমানের এক অপরিহার্য গুণ। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য এবং কল্যাণপ্রাপ্ত মানুষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গুণ হল লজ্জাশীলতা। এটা মানুষকে অন্যায় ও অপরাধমুক্ত থাকতে সহায়তা করে। যার লজ্জা-শরম কম, তার আল্লাহভীতি কম। আর যার আল্লাহভীতি কম তার অন্তর নিস্প্রাণ ফসলহীন বিরাণ মাঠের মত। সে কোন ভাল কাজ করার আগ্রহ পায় না ফলে সে কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়। অপরদিকে লজ্জাশীল ব্যক্তির কাছে কল্যাণ আগমন করে উপর থেকে পানির স্রোতধারা দ্রুত নিচে নেমে আসার মতো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, الْحَيَاءُ لاَ يَأْتِي إِلاَّ بِخَيْرٍ ’লজ্জশীলতা কল্যাণ বৈ

লজ্জা হ’ল কল্যাণ বিস্তারিত পডুন »

লাঠিতে ভর দিয়ে বক্তব্য প্রদানের বিধান

ভালো সত্য কথা বলা উচিৎ এবং মিথ্যা বানোয়াট কথা বলা থেকে বিরত থাকা অতিব জরুরী। তাছাড়া তর্ক সম্পূর্ণ ভাবে এড়িয়ে চলা উচিৎ যদিও আপনি সত্যবাদী তথা হক্বের উপর অবিচল রয়েছেন। যদিও মানুষ তর্ক প্রিয় জীব। এরা বিতর্ক বুঝে না। কেননা, তর্কবাগীশ মূর্খতার বশ্যতা স্বীকার করে, কিন্তু বিতর্ক মানুষকে জ্ঞানী করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,  ‏وَكَانَ الإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَىْءٍ جَدَلاً‏ ‘মানুষ অধিকাংশ ব্যাপারেই বিতর্ক প্রিয়’ (ক্বাহাফ : ৫৪)। রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ইলম শিখে এজন্য যে, তার দ্বারা সে আলেমদের সাথে বিতর্ক করবে ও মূর্খদের সঙ্গে ঝগড়া করবে কিংবা

লাঠিতে ভর দিয়ে বক্তব্য প্রদানের বিধান বিস্তারিত পডুন »

আত্ম-সম্মানবোধ

আত্মসম্মানবোধ বলতে বোঝায় আপনি নিজেকে যে সম্মানটা দেন সেটা। একজন মানুষ হিসেবে আপনি আবশ্যই সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত থাকবেন যে কোন বিষয়গুলো ঠিক আর কোনগুলো ভুল এবং কোন বিষয়গুলো করার মাধ্যমে আপনি সকলের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হবেন। সেক্ষেত্রে সেসকল ভালো কাজ করার মাধ্যমে সকলের সামনে নিজের সুস্থ মানসিকতার পরিচয় দেওয়া, নিজের সুরুচিগুলো অন্যের কাছে তুলে (অবশ্যই সেটা একান্তই কাজের মাধ্যমে, কোনো কথা বা অন্যকে ছোট করার মাধ্যমে নয়) ধরা এবং সকল ধরনের অন্যায়, খারাপ ও অসম্মানজনক কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখার নামই আত্মসম্মানবোধ। অপরদিকে, আপনার

আত্ম-সম্মানবোধ বিস্তারিত পডুন »

আল্লাহর জন্য তাকবীর দেয়ার বিধান

তাকবীর দেয়া সওয়াবের কাজ। আমরা প্রত্যেক দলের শ্লোগান যখন বলি, তখন ইসলাম পন্থী দলগুলোও একটি শ্লোগান ঠিক করেছেন। কেহ নারায়ে তাকবীর, লিল্লাহে তাকবীর ইত্যাদি। নারায়ে (نعره) শব্দটি উর্দূ। অর্থ: ধ্বনী বা উচ্চ আওয়াজ। তাকবীর শব্দটি আরবী। যার অর্থ: আল্লাহর বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। আর লিল্লাহে আরবী শব্দ। যার অর্থ আল্লাহর জন্য। তবে জন সন্মুখে উচ্চস্বরে তাকবীর দেয়ার বিধান রয়েছে। তবে রাসূল (ছাঃ) এটাকে থামিয়েও দিয়ে ছিলেন। যেমন – আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খায়বার যুদ্ধের জন্য বের হলেন কিংবা

আল্লাহর জন্য তাকবীর দেয়ার বিধান বিস্তারিত পডুন »

বিবাহ : বর ও কনের সমতা অপরিহার্য

আল্লাহ তা‘আলা পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদম (আঃ)-কে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন। পরবর্তী বংশ বৃদ্ধির জন্য হাওয়া (আঃ)-কে সৃষ্টি করে আদম (আঃ)-এর সাথে বিবাহের ব্যবস্থা করেন। মানব জীবন প্রণালী পরিবর্তনের সাথে সাথে বিবাহের নিয়মেও পরিবর্তন ঘটেছে। প্রত্যেক অভিভাবককে তাদের অধীনস্থদের বিবাহের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, وَأَنْكِحُوا الْأَيَامَى مِنْكُمْ وَالصَّالِحِيْنَ مِنْ عِبَادِكُمْ ‘তোমাদের মধ্যে যারা স্বামীহীন তাদের বিবাহ সম্পাদন কর এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরও’ (নূর ২৪/৩২)। বিবাহের গুরুত্ব : বিবাহের মাধ্যমে মানুষ তার দৃষ্টিকে সংযত করে যৌনাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষার মাধ্যমে জান্নাতের পথ

বিবাহ : বর ও কনের সমতা অপরিহার্য বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top