গাজা দখল ও ইসরাইলের দাবানল সম্পর্কে মতামত

বর্তমানে ইসরাইলে দাবানল চলছে এবং চলছে বন্যা । আর ইসরাইলী বাহিনী দৃঢ় প্রতিজ্ঞা জ্ঞাপন করেছে যে, তারা গাজা দখল করেই ছাড়বে। আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার প্রাককালে দাজ্জালের আবাসন তৈরী হবে গাজাতে এবং পুড়ে যাওয়া বনভূমিতে রোপণ করা হবে ‘গারকাদ’ গাছ। এরপরেই শুরু হবে কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে এবং দাজ্জালের আত্মপ্রকাশের ছয় থেকে সাত বছর পূর্বে মুসলমান ও রোমানদের ঐক্যতে যুদ্ধ হবে যে যুদ্ধবে বলা হয়েছে আল-মালহামা আল-কুবরা ( الملحمة الكبرى)। এ যুদ্ধে এমন ভয়াবহতা নেমে আসবে যে, আকাশে পাখি উড়ে গন্তব্যে পৌছানোর পূর্বে শেষ […]

গাজা দখল ও ইসরাইলের দাবানল সম্পর্কে মতামত বিস্তারিত পডুন »

বিশুদ্ধ অন্তর দেহে স্থাপন করুন!

আল্লাহ তাআলা বলেন, اِلَّا مَنۡ اَتَی اللّٰهَ بِقَلۡبٍ سَلِیۡمٍ ‘কেবল (সাফল্য লাভ করবে) সে ব্যক্তি যে বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে আল্লাহর নিকট আসবে’ (শুআরা ২৬/৮৯)। বিশুদ্ধ অন্তর বলতে শিরক-বিদআত, হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, দম্ভ-অহংকার, এমনকি দুনিয়াপ্রীতি থেকে মুক্ত ও অল্পে তুষ্ট পাখিদের মত আত্মা এমন মুমিন ব্যক্তির অন্তরকে বুঝানো হয়েছে। কেননা কাফের ও মুনাফিকের অন্তর হয় অসুস্থ রোগাক্রান্ত ব্যাধীযুক্ত। আর এসবের মাধ্যমে পার্থিব ভোগ-বিলাসী হয়ে পড়ে এবং মূর্খতার অন্ধকার ও নৈতিক অধঃপতনে জড়িয়ে পড়ে। কারণ মু’মিনের অন্তর উক্ত সকল প্রকার রোগ-ব্যাধী ও নিফাক্বীর অপবিত্রতা থেকে মুক্ত থাকেন। মুমিন

বিশুদ্ধ অন্তর দেহে স্থাপন করুন! বিস্তারিত পডুন »

বাহাঈ ধর্মের উৎপত্তি ও পরিচয়

উরোপীয় রেনেসাঁর অন্যতম মূল সুর ছিলো ইহজাগতিকতাবাদ। চার্চের অনাচার এবং ব্যক্তিজীবনে ধর্মগুরুর হস্তক্ষেপে অতিষ্ঠরা এই সুযোগে ছুড়ে ফেলে দেয় ধর্মকে। সেই ধারণায় প্রভাবিত হয় পূর্ব-পশ্চিম সর্বত্র। প্রচণ্ড ধার্মিকও ভাবতে থাকে নতুন করে। সত্যিই কি ফুরিয়ে গেছে ধর্মের প্রয়োজন? উত্তর দেবার জন্যই যেন আগমন ঘটলো নতুন এক বিশ্বাসের, বাহাই ধর্ম। প্রভুর একত্ববাদের পাশাপাশি যেখানে প্রাধান্য পেয়েছে মানবজাতির একত্ব ও ধর্মের সামঞ্জস্য। বাহাউল্লাহ বলেছেন- সকল মানুষ এবং সকল জাতি একটা মাত্র পরিবার। এক পিতার সন্তান। তাদের সেভাবেই থাকা উচিত, যেভাবে ভাইবোনেরা একে অপরের সাথে থাকে। বাহাই মতবাদ

বাহাঈ ধর্মের উৎপত্তি ও পরিচয় বিস্তারিত পডুন »

কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে যে যুদ্ধ

বনী ইসরাঈল চিরদিন লানত পাওয়ার হক্বদার। মুসলিম ঈমানে বলিয়ান হয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ালেই ভীতু জাতি তলপিতলপা ফেলে পালিয়ে যাবে। নাফি’ ইবনু ’উতবাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: তোমরা ’আরব উপদ্বীপে যুদ্ধ অভিযান চালাবে এবং আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে তাতে বিজয়ী করবেন। অতঃপর পারস্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, তাতেও আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে জয়যুক্ত করবেন। তারপর রূমকদের (রোমানদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, এটাতেও আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে জয়যুক্ত করবেন। অবশেষে তোমরা দাজ্জালের বিরুদ্ধে লড়াই করবে, তাতেও আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে বিজয়ী করবেন। (মুসলিম হা/২৯০০), মুসনাদে আহমাদ হা/১৫৪১, ছহীহুল জামি’

কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে যে যুদ্ধ বিস্তারিত পডুন »

যুলুম করা আমার (আল্লাহর) জন্য এবং তোমাদের জন্যও হারাম

আবূ যার গিফারী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহ তা’আলার নাম করে যেসব হাদীস বর্ণনা করেছেন তার অন্যতম একটি হলো আল্লাহ তাবারক ওয়াতা’আলা বলেন, অংশ-১. হে আমার বান্দাগণ! আমি আমার ওপর যুলম করাকে হারাম করে দিয়েছি। যুলম করা আমার জন্য যা, তোমাদের জন্যও তা। তাই আমি তোমাদের জন্যও যুলম করা হারাম করে দিয়েছি। অতঃপর পরস্পরের প্রতি যুলম করো না। ব্যাখ্যা:  (قَالَ: يَا عِبَادِىْ) ইমাম ত্বীবী বলেন, জিন্ এবং মানব উভয়কে সম্বোধন করা হয়েছে, তাদের মাঝে পাপ-পুণ্য পর্যায়ক্রম হওয়ার কারণে। অত্র সম্বোধনে ফেরেশতারাও সম্বোধিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। (حَرَّمْتُ الظُّلْمَ عَلٰى نَفْسِىْ) অর্থাৎ-

যুলুম করা আমার (আল্লাহর) জন্য এবং তোমাদের জন্যও হারাম বিস্তারিত পডুন »

যুলুম বা অত্যাচার

দুনিয়াতে যার যা প্রাপ্য তাকে সেই প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার নাম যুলুম। কারো অধিকার হরণ, বিনা অপরাধে নির্যাতন, আর্থিক, দৈহিক ও মর্যাদার ক্ষতিসাধন, মানহানিকর অপবাদ দেওয়া, দুর্বলের ওপর নৃশংসতা চালানো, নির্যাতন করা, অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ হরণ, উৎপীড়ন বা যন্ত্রণা ইত্যাদি কাজ যুলুমের অন্তর্ভুক্ত। কবীরা গুণাহর মধ্যে অন্যতম মহাপাপ যুলুম করা। এই মারাত্মক কবীরা গুনাহ। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৃথিবীজুড়ে চলছে যুলুমের ভয়ংকর প্রতিযোগিতা। চারদিকে প্রকাশ পাচ্ছে দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার। আর যে ব্যক্তি অত্যাচারিত ও উৎপীড়িত তাকে মযলুম বলা হয়। আল্লাহ কারো

যুলুম বা অত্যাচার বিস্তারিত পডুন »

একজন মুসলিম অপর মুসলিমের প্রতি প্রতিশোধ পরায়ণ হবে না

একজন মুসলমান অপর মুসলমানের প্রতি হত্যার উদ্দেশ্যে নিজো হাতকে সম্প্রসারিত করতে পারে না। প্রকৃত মুসলিম সদা নিজেকে নিবৃত রাখবে কবীরা গোণাহ থেকে।আল্লাহ তাআলা বলেন, لَئِنۡۢ بَسَطۡتَّ اِلَیَّ یَدَكَ لِتَقۡتُلَنِیۡ مَاۤ اَنَا بِبَاسِطٍ یَّدِیَ اِلَیۡكَ لِاَقۡتُلَكَ ۚ اِنِّیۡۤ اَخَافُ اللّٰهَ رَبَّ الۡعٰلَمِیۡنَ (হাবিল তার ভাই কাবিলকে বলেছিলেন) ‘আমাকে হত্যা করার জন্য তুমি আমার দিকে হাত বাড়ালেও আমি তোমাকে হত্যা করার জন্য তোমার দিকে হাত বাড়াব না, আমি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি’ (মায়েদা ৫/২৮)। আবু বাকরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যখন দু’জন মুসলিম তাদের হাতিয়ার

একজন মুসলিম অপর মুসলিমের প্রতি প্রতিশোধ পরায়ণ হবে না বিস্তারিত পডুন »

গণতন্ত্রপন্থী আহলেহাদীসদের সমীপে

আইয়্যামে জাহিলিয়্যাত দ্বারা তাওহীদ ও নুবুওয়্যাত সম্পর্কে অজ্ঞতাকে উদ্দিষ্ট করা হয়েছে। আইয়্যামে জাহিলিয়্যাতের পর নবী (সা.) -এর আগমনের বরকতে আল্লাহ তা’আলা অশেষ কল্যাণ প্রদান করেছেন এবং কুফর ও ভ্রষ্টতার ভিত্তি ধ্বংস করে দিয়েছেন। অতঃপর আবার অকল্যাণ সংঘটিত হবে এবং তারপর আবারো কল্যাণ আসবে, তবে তার সাথে আঁধারও থাকবে। এ সময় লোকজন দ্বীনের সাথে সুন্নতের পরিপন্থী বিষয়সমূহ দ্বীন হিসেবে পালন করবে এবং নবী  (সা.)-এর তরীকা ছেড়ে ভিন্ন তরীকা গ্রহণ করবে। শেষ যামানায় এমন কিছু দা’ঈ বা ‘আলিমের আবির্ভাব হবে যারা মানুষকে ভ্রষ্টতার দিকে আহ্বান করবে, সন্দেহ

গণতন্ত্রপন্থী আহলেহাদীসদের সমীপে বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top