দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত হোন!

দুনিয়া ভোগ বিলাসের স্থান নয়। এটা পরীক্ষাগার মাত্র। এখানে আমরা সবায় মুসাফীর। একজন মুসাফীরের জীবন যেমন হওয়া উচিৎ ঠিক তেমনি হতে হবে। আর দুনিয়ার কর্মফল ভোগ করব আখিরাতে। তাই সাবধান! দুনিয়া হলো একটি অভিশপ্ত স্থান। আবু হুরায়রাহ্ (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: সাবধান! নিশ্চয় দুনিয়া অভিশপ্ত, তন্মধ্যে আল্লাহর যিকির ও আল্লাহ যা কিছু ভালোবাসেন এবং জ্ঞানী ও জ্ঞান অনুসন্ধানকারী ব্যতীত সব কিছুই অভিশপ্ত। (হাসান : তিরমিযী ২৩২২)। .অন্যত্র এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘উদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী (সা.) একটি চাটাইয়ে ঘুমিয়েছিলেন, তা হতে উঠলে তাঁর […]

দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত হোন! বিস্তারিত পডুন »

কিয়ামতের পূর্বে ফিৎনা

’আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা নবী (সা.) -এর নিকট বসা ছিলাম। (১) তখন তিনি (সা.) নানাবিধ ফিতনাহ্ সম্পর্কে আলোচনা করলেন, এমনকি ’ফিতনায়ে আহলাস’-এরও উল্লেখ করলেন। জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, ’ফিতনায়ে আহলাস’ কি? তিনি (সা.) বললেন, তাতে পলায়নপর হবে (পরস্পরের মধ্যে শত্রুতার দরুন একে অন্য থেকে পলায়ন করবে) এবং ছিনতাই হবে। (২) অতঃপর দেখা দেবে ’ফিতনাতুস্ সারা’ (ধনের প্রাচুর্যের বিলাসিতায় লিপ্ত হয়ে হওয়ার ফিতনাহ্), উক্ত ফিতনার ধোঁয়া আমার পরিবারস্থ এক ব্যক্তির পায়ের নিচ হতে উৎপত্তি লাভ করবে। সে আমার বংশের লোক

কিয়ামতের পূর্বে ফিৎনা বিস্তারিত পডুন »

জান্নাত : জান্নাতী ব্যক্তি যারা

জান্নাত সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারনা : জান্নাতের ১০০টি স্তর রয়েছে। প্রতি স্তরের মধ্যবর্তী দূরত্ব আসমান ও যমীনের মধ্যকার দূরত্বের ন্যায়। সর্বোচ্চ হ’ল ফেরদৌস। তার উপরে হ’ল আল্লাহর আরশ। যেখান থেকে জান্নাতের নদীসমূহের উৎপত্তি হয়েছে। অতএব যখন তোমরা চাইবে, তখন ফেরদৌস চাইবে’ (বুখারী, ইবনু মাজাহ, হাকেম, ছহীহুল জামে‘ হা/৩১২১)। সূরা হিজরের উক্ত আয়াতে জাহান্নামের সাত দরজা দ্বারা দরজাই বুঝানো হয়েছে। ছহীহ হাদীছে জান্নাতের আটটি দরজা আর জাহান্নামের সাতটি দরজার কথা বর্ণিত হয়েছে (ছহীহুল জামে‘ হা/৩১১৯; ছহীহাহ হা/১৮১২)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, لَهُمْ مَا يَشَاءُوْنَ فِيْهَا وَلَدَيْنَا مَزِيْدٌ ‘এখানে

জান্নাত : জান্নাতী ব্যক্তি যারা বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীছ : আখিরাতে আল্লাহর বিচার ফয়সালা

আল্লাহ তা‘আলা যখন বিচারের মাঠে বান্দার আমলের বিচার করবেন, তখন তিনি এই নিয়াতের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিচার কার্য পরিচালনা করবেন। কেননা ইহা এমন একটি অদৃশ্য বিষয় যা কেবল কোন ব্যক্তির ক্বলব বা অন্তরের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে। মানুষ যেমন ইচ্ছা করবে তার প্রতিদানও অনুরূপ হবে। আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে কতিপয় সাহাবী তাঁকে বলেছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! কিয়ামত দিবসে আমরা কি আমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাব? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি আরো বললেনঃ দুপূরে মেঘমুক্ত

দরসে হাদীছ : আখিরাতে আল্লাহর বিচার ফয়সালা বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : সর্বশেষ জান্নাতি ব্যক্তি

তাওহীদের ঘোষনাকারী ও সিজদাকারী ব্যক্তি যে আল্লাহ্র সন্মূখে নিজেই নিজের সুপারিশ করবে এবং সবার শেষে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, ছাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা কি ক্বিয়ামতের দিন আমাদের রবকে দেখতে পাব? তিনি বললেন, ‘মেঘমুক্ত পূর্ণিমার রাতের চাঁদকে দেখার ব্যাপারে তোমরা কি সন্দেহ পোষণ করো?’ তাঁরা বললেন, না ইয়া রাসূলুল্লাহ! তিনি বললেন, ‘মেঘমুক্ত আকাশে সূর্য দেখার ব্যাপারে কি তোমাদের কোন সন্দেহ আছে?’ সবাই বললেন, না। তখন তিনি বললেন, ‘নিঃসন্দেহে তোমাদেরকে আল্লাহ্ তা‘আলা বলবেন, যে যার উপাসনা করত সে যেন

দরসে হাদীস : সর্বশেষ জান্নাতি ব্যক্তি বিস্তারিত পডুন »

জান্নাতের হুর সম্পর্কে কিছু কথা

জান্নাতিদের বয়স হবে ৩০ অথবা ৩৩ বছর। সকলে হবেন যুবক-যুবতী। রাসূল (ছাঃ) বলেন, “‏ يَدْخُلُ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ جُرْدًا مُرْدًا مُكَحَّلِينَ أَبْنَاءَ ثَلاَثِينَ أَوْ ثَلاَثٍ وَثَلاَثِينَ سَنَةً ‏”‏ ‏ ‘জান্নাতীরা জান্নাতে প্রবেশের সময় তাদের শরীরে লোম থাকবে না, দাঁড়ি-গোফও থাকবে না এবং চোখে সুরমা লাগানো থাকবে। তারা হবে ত্রিশ অথবা তেত্রিশ বছরের যুবক’ (তিরমিযী হা/২৫৪৫)। হূর সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা পাওয়া যায় না। তবুও সংক্ষেপে আলোচনা করা হ’ল- প্রশ্ন : জান্নাতে পুরুষ পাবেন হুর, কিন্তু নারীরা কী পাবেন (?)‘হূর’ (حُوْرٌ) শব্দটি স্ত্রীলিঙ্গ। এটি জান্নাতী পুরুষদের জন্য

জান্নাতের হুর সম্পর্কে কিছু কথা বিস্তারিত পডুন »

আল্লাহর প্রিয় বান্দা হও, আল্লাহ তোমার হয়ে যাবে

 আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রিয় বান্দার সাথে কীরূপ ব্যবহার করেন সে সম্পর্কে বান্দার গুণাবলী ও তাঁর ভালবাসার রূপরেখা তুলে ধরেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোন প্রিয় বান্দার সাথে দুশমনী করল, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিলাম। আমি যেসব বিষয় ফরয করেছি, তার মাধ্যমে আমার নৈকট্য অনুসন্ধানের চাইতে প্রিয়তর অন্য কিছু আমার কাছে নেই। বান্দা বিভিন্ন নফল ইবাদতের মাধ্যমে সর্বদা আমার নৈকট্য হাছিলের চেষ্টায় থাকে, যতক্ষণ না আমি তাকে ভালবাসি। অতঃপর যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমিই তার কান হয়ে যাই

আল্লাহর প্রিয় বান্দা হও, আল্লাহ তোমার হয়ে যাবে বিস্তারিত পডুন »

একদা স্বপ্নের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাঁধে আল্লাহ স্বয়ং তাঁর হাত রাখেন

মু’আয ইবনু জাবাল (রাযিঃ) বলেন, একদিন প্রত্যুষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাথে ফজরের নামায আদায় করতে আসতে বাধাপ্রাপ্ত হন। এমনকি আমরা সূর্য উদিত হয়ে যাওয়ার আশংকা করলাম। তিনি তাড়াতাড়ি বের হয়ে এলে সালাতের জন্য ইকামাত দেয়া হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংক্ষেপে সালাত আদায় করলেন। তিনি সালাম ফিরানোর পর উচ্চস্বরে আমাদেরকে ডেকে বললেনঃ তোমরা যেভাবে সারিবদ্ধ অবস্থায় আছ সেভাবেই থাক। তারপর তিনি আমাদের দিকে ফিরে বসলেন অতঃপর বললেনঃ সকালে তোমাদের নিকট আসতে আমাকে কিসে বাধাগ্রস্ত করেছে তা এখনই তোমাদেরকে বলছি। আমি রাত্রে উঠে উযূ

একদা স্বপ্নের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাঁধে আল্লাহ স্বয়ং তাঁর হাত রাখেন বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top