আক্বীদাহ বা বিশ্বাস

যে দেহে ঈমান থাকে না

উপস্থাপনা : ঈমান হবে শিরক মুক্ত, ইবাদত হবে বিদ‘আত মুক্ত। আক্বীদা বিশ্বাসের মযবুতী না থাকায় মানুষ নানাভাবে ঈমানের স্বাদ থেকে বিমুখ হচ্ছে। ঈমান ব্যতীত কোন মানুষ মুমিন হিসেবে যেমন দাবী করতে পারে না। তেমনি মুমিন ব্যতীত ইবাদতের স্বাদ গ্রহণ করতে পারে না। মসজিদে মুছল্লীর সংখ্যা ক্রমে ক্রমে বাড়লেও প্রকৃত মুমিন মুছল্লীর সংখ্যা সে হারে বাড়েনি। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, ‘মানুষের কাছে এমন এক যুগ আসবে। লোকেরা মসজিদে একত্রিত হয়ে ছালাত আদায় করবে। কিন্তু তাদের মধ্যে একজনও ঈমানদার থাকবে না’।[1] মূলতঃ পাপ- পঙ্কিলতার ফলে ঈমানের হ্রাস হয় […]

যে দেহে ঈমান থাকে না বিস্তারিত পডুন »

আযানের ইতিহাস সার-সংক্ষেপ

আযান (আরবি: أَذَان আযান্‌) হচ্ছে মসজিদে জামাতে সালাত আদায়ের জন্য ইসলামি আহ্বান বা ডাকধ্বনি। দিনের নির্ধারিত সময়ে একজন মুয়াজ্জিন আযান পাঠ করেন।ʾআযান শব্দের মূল অর্থ দাড়ায় أَذِنَ ডাকা, আহবান করা। যার মূল উদ্দেশ্য হলো অবগত করানো। এই শব্দের আরেকটি ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল ʾআজুন। (أُذُن), যার অর্থ হলো “শোনা”। কুরআনে মোট পাঁচ স্থানে আজুন শব্দটি এসেছে। পারিভাষিক অর্থে, শরিয়ত নির্ধারিত আরবি বাক্যসমূহের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে উচ্চকণ্ঠে সালাতের আহবান করাকে আযান বলা হয়।মক্কায় অবস্থানকালে মহানবী (ﷺ) তথা মুসলিমগণ বিনা আযানে নামায পড়েছেন। অতঃপর মদ্বীনায় হিজরত করলে হিজরী

আযানের ইতিহাস সার-সংক্ষেপ বিস্তারিত পডুন »

কাফের-মুশরিক ব্যক্তির জন্য ক্ষমা নয়, হেদায়েত কামনা করা জায়েজ

একজন মুমিন কখনও কাফের মুশরেক বেদ্বীন সম্পর্কে ক্ষমা প্রার্থণা করতে পারবে না। বরং তাদের হেদায়েত কামনা করতে পারবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, مَا کَانَ لِلنَّبِیِّ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَنۡ یَّسۡتَغۡفِرُوۡا لِلۡمُشۡرِکِیۡنَ وَ لَوۡ کَانُوۡۤا اُولِیۡ قُرۡبٰی مِنۡۢ بَعۡدِ مَا تَبَیَّنَ لَهُمۡ اَنَّهُمۡ اَصۡحٰبُ الۡجَحِیۡمِ ‘নবী ও মুমিনদের জন্য উচিত নয় যে, তারা মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। যদিও তারা আত্মীয় হয়। তাদের নিকট এটা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর যে, নিশ্চয় তারা প্রজ্বলিত আগুনের অধিবাসী’ (তাওবাহ ৯/১১৩)।  আলী (রাঃ) বলেছেন, سَمِعْتُ رَجُلًا يَسْتَغْفِرُ لِأَبَوَيْهِ وَهُمَا مُشْرِكَانِ،

কাফের-মুশরিক ব্যক্তির জন্য ক্ষমা নয়, হেদায়েত কামনা করা জায়েজ বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : কা’ব ইবনু মালেক (রাঃ)-এর তাওবাহ

কা’ব ইবনু মালেকের পুত্র আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, এই আব্দুল্লাহ কা’ব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর ছেলেদের মধ্যে তাঁর পরিচালক ছিলেন, যখন তিনি অন্ধ হয়ে যান। তিনি (আব্দুল্লাহ) বলেন, আমি (আমার পিতা) কা’ব ইবনু মালেককে ঐ ঘটনা বর্ণনা করতে শুনেছি, যখন তিনি তাবূকের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে থেকে যান। তিনি বলেন, ’আমি তাবূক যুদ্ধ ছাড়া যে যুদ্ধই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছেন তাতে কখনোই তাঁর পিছনে থাকিনি। অবশ্য বদরের যুদ্ধ থেকে আমি পিছনে রয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু বদরের যুদ্ধে যে অংশগ্রহণ করেনি, তাকে ভৎর্সনা করা হয়নি। আসল ব্যাপার

দরসে হাদীস : কা’ব ইবনু মালেক (রাঃ)-এর তাওবাহ বিস্তারিত পডুন »

ছালাতে গুণাহ ক্ষমা হয়

সালাত আল্লাহর পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ্য ইবাদত। ছালাত আদায়ের সময় আল্লাহ তা‘আলা বান্দার গুণাহ ক্ষমা করে থাকেন। মূলত সারা ছালাতই দোআ। আর দোআর মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করে ক্ষমার প্রত্যাশা করে মুছল্লী। তিন স্থানে ক্ষমা হয় মূলত। যথা- আমীন বলার সময় : ইমাম, মুছল্লী ও ফেরেশতাদের আমীন একত্রে হলে বান্দার গুণাহ ক্ষমা করা হয়। আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, إِذَا أَمَّنَ الإِمَامُ فَأَمِّنُوا فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ. ‘ইমাম যখন আমীন বলেন, তখন তোমরাও আমীন বলো। কেননা

ছালাতে গুণাহ ক্ষমা হয় বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : ইবরাহীম (আঃ)-এর অনিন্দিত মিথ্যা

’’ইবরাহীম (আঃ) কেবল তিনটি মিথ্যা বলেছেন। দু’টি আল্লাহ তা’আলার সত্তার ক্ষেত্রে আর একটি তার স্ত্রী সারার ক্ষেত্রে”। এর অর্থ হলো, আলোচ্য মিথ্যা সম্বোধিত ব্যক্তি ও শ্রোতার বুঝার উপর নির্ভর করে। কেননা শ্রোতার কাছে এগুলো সাধারণত মিথ্যা। কিন্তু বাস্তবতার আলোকে এগুলো নিন্দিত মিথ্যার আওতায় পড়ে না। বরং এগুলো অনিন্দিত মিথ্যা। যা দ্বীনের বিশ্লেষণে হক্বের চিরন্তন দিক-নির্দেশনা বুঝানো হয়েছে। আবূ হুরায়রাহ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ইবরাহীম আলায়হিস সালাম তিনবার ছাড়া আর কখনো মিথ্যা বলেননি। এর মধ্যে দু’বার ছিল শুধু আল্লাহ তা’আলার (সত্তার ক্ষেত্রে)

দরসে হাদীস : ইবরাহীম (আঃ)-এর অনিন্দিত মিথ্যা বিস্তারিত পডুন »

দরসে কুরআন : খলীফা

সূরা আল-বাকারাহর ৩০ নং আয়াতে আল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা মানুষকে খলীফাহ বলে আখ্যায়িত করে বলছেন, وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً ۖ قَالُوا أَتَجْعَلُ فِيهَا مَنْ يُفْسِدُ فِيهَا وَيَسْفِكُ الدِّمَاءَ وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَ ۖ قَالَ إِنِّي أَعْلَمُ مَا لَا تَعْلَمُونَ “যখন তোমার রব্ব ফেরেশতাদেরকে বললেন: নিশ্চয়ই আমি পৃথিবীতে খলীফাহ সৃষ্টি করব; তারা বলল: আপনি কি যমীনে এমন কেহকে সৃষ্টি করবেন যারা তন্মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত করবে? এবং আমরাইতো আপনার গুণগান করছি এবং আপনারই পবিত্রতা বর্ণনা করে থাকি। তিনি

দরসে কুরআন : খলীফা বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : কিয়ামতের নিদর্শনাবলী 

নাওয়াস ইবনে সামআন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সকালে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তাতে তিনি একবার নিম্ন স্বরে এবং একবার উচ্চ স্বরে বাক ভঙ্গিমা অবলম্বন করলেন। শেষ পর্যন্ত আমরা [প্রভাবিত হয়ে] মনে মনে ভাবলাম যে, সে যেন সামনের এই খেজুর বাগানের মধ্যেই রয়েছে। তারপর আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলাম, তখন তিনি আমাদের উদ্বিগ্নতা দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, ’’তোমাদের কি হয়েছে?’’ আমরা বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আপনি আজ সকালে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে এমন নিম্ন ও উচ্চ কণ্ঠে বর্ণনা করলেন, যার

দরসে হাদীস : কিয়ামতের নিদর্শনাবলী  বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top