উপদেশ

হে যুবক, যৌবনকে হক্বে পথে পরিচালিত করুন!

মানুষের জীবনকে চারটি স্তরে বিভক্ত করা যায়। শৈশব, কৈশোর, যৌবন ও বার্ধক্য। তন্মধ্যে যৌবন হলো পূর্ণ মানব জীবনের মধ্যকাল এবং শ্রেষ্ঠ সময়। এটা যৌবনকাল মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মানব জীবনের চারটি কালের মধ্যে যৌবনকাল অন্যতম। মানুষের জীবনের সকল কল্যাণের সময়, আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় হবার সময়, নিজেকে পুণ্যের আসনে সমাসীন করার সময় এ যৌবনকাল। এসময় নিজের ইজ্জতকে হেফাযত করা অতিব জরুরী। কারণ এসময় মানুষ আবেগে পড়ে নানা প্রকার পাপে জড়িয়ে পড়ে। অথচ এ গরুত্বপূর্ণ সময় নিজেকে হেফাযত করা। আবু উমামা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, এক তরুণ […]

হে যুবক, যৌবনকে হক্বে পথে পরিচালিত করুন! বিস্তারিত পডুন »

গীবত থেকে নিজেকে রক্ষা করুন !

গীবত অর্থ হ’ল পরচর্চা, দোষচর্চা, পরনিন্দা এবং তোহমত অর্থ হ’ল মিথ্যা অপবাদ আরোপ করা। এ বিষয় দুটির কারণে সমাজে নানা বিশৃঙ্ক্ষলা সৃষ্টির হয়। অথচ উভয়টিই কবীরা গোনাহ ও বান্দার সাথে সংশ্লিষ্ট। বান্দা ক্ষমা না করলে আল্লাহ এ গোনাহ মাফ করবেন না। কারণ এর মাধ্যমে মানুষের ইয্যত-সম্মান নষ্ট হয়, তার হক্ব বিনষ্ট হয়। অনেকে দোষচর্চা করে মনে করেন তিনি সঠিক কথাইতো বলেছেন। সুতরাং তার দোষের হবে কেন? অথচ কারো মধ্যে থাকা দোষ-ত্রুটি তার অবর্তমানে আলোচনা করাই গীবত। গীবত বা দোষচর্চা থেকে আল্লাহ নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন,وَلَا

গীবত থেকে নিজেকে রক্ষা করুন ! বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : আল্লাহর সেবা

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন বলবেন, ১. হে বানী আদম! আমি অসুস্থ ছিলাম। তুমি আমাকে দেখতে আসোনি। সে বলবে, হে আমার রব! আমি তোমাকে কিভাবে দেখতে যাব? তুমি তো বিশ্বজাহানের রব! আল্লাহ বলবেন, أَمَّا عَلِمْتَ أَنَّ عَبْدِي فُلَانًا مَرِضَ فَلَمْ تَعُدْهُ؟ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّكَ لَوْ عُدْتَهُ لَوَجَدْتَنِي عِنْدَهُ؟ তুমি কি জানতে না যে, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ ছিল? তুমি তাকে দেখতে যাওনি। তুমি কি জানতে না যে, তুমি যদি তাকে দেখতে যেতে, আমাকে অবশ্যই তার

দরসে হাদীস : আল্লাহর সেবা বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : রাস্তার হক্ব আদায় করে রাস্তায় বসুন!

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, «إِيَّاكُمْ وَالْجُلُوسَ بِالطُّرُقَاتِ» .‘তোমরা রাস্তার উপর বসা হতে বিরত থাকো’। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের রাস্তায় বসা ছাড়া গত্যন্তর নেই। কারণ, আমরা তথায় বসে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা সমাধা করি। তিনি বললেন, «فَإِذَا أَبَيْتُمْ إِلَّا الْمَجْلِسَ فَأَعْطُوا الطَّرِيقَ حَقَّهُ» .‘যদি তোমরা তথায় বসতে বাধ্যই হও, তবে রাস্তার হক আদায় করবে’। সাহাবীগণ আবারও জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! রাস্তার হক কি? তিনি বললেন,  «غَضُّ الْبَصَرِ وَكَفُّ الْأَذَى وَرَدُّ السَّلَام والأمرُ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْي عَن الْمُنكر»

দরসে হাদীস : রাস্তার হক্ব আদায় করে রাস্তায় বসুন! বিস্তারিত পডুন »

সততা ও ক্ষমাশীলতার বিরল দৃষ্টান্ত

আল্লাহ ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমাশীলতাকে পসন্দ করেন। পৃথিবীতে যারা ক্ষমাশীলতা ও উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। তাদেরই একজন হ’লেন আববাসীয় খলীফা  মুক্তাফী লি-আমরিল্লাহ ও তাঁর পুত্র মুস্তানজিদের সময়ের সফল মন্ত্রী ইবনু হুবায়রাহ। আলোচ্য নিবন্ধে তাঁর মন্ত্রীত্ব লাভের ইতিহাস এবং সততা ও ক্ষমাশীলতার কিছু নমুনা তুলে ধরা হ’ল।- তাঁর পুরো নাম আইনুদ্দীন আবুল মুযাফফর ইয়াহইয়া বিন মুহাম্মাদ বিন সাঈদ হুবায়রাহ আশ-শায়বানী। তিনি বাগদাদের নিকটবর্তী ‘আদ-দূর’ মতান্তরে ‘সাওয়াদ’ গ্রামে ৪৯৯ হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন। অত্যন্ত নিরীহ ও দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন তিনি। তাঁর

সততা ও ক্ষমাশীলতার বিরল দৃষ্টান্ত বিস্তারিত পডুন »

নেতৃত্বের চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়

অজ্ঞ, অক্ষম, যালেম, খেয়ানতকারী, অযোগ্য নেতার নেতৃত্বের চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়। নেতৃত্ব গ্রহণের পূর্বে আল্লাহ তা‘আলাকে যথাযথ ভয় করা উচিৎ। নেতা হয়ে যা ইচ্ছে তাই করার চেয়ে বা যথাযথ দায়িত্ব পালণে অক্ষম হলে এর চেয়ে মৃত্যু কাম্য। কেননা দায়িত্ব যেমন শ্রেষ্ঠ্যত্ব প্রকাশ করে, তেমনি দায়িত্ব সম্পর্কে ছোট বড় সকল হিসেব আল্লাহ বিচার দিবসে গ্রহণ করবেন। নিজের দায়িত্ব নেয়া সহজ, কিন্তু অন্যের দায়িত্ব নেয়া বেশ কঠিন। কেননা আল্লাহ তা‘আলা মানুষের হাতে নেতৃত্বের ক্ষমতা দিয়ে চেয়ে থাকেন বান্দা কী আমলটা করে। অতএব সাবধান! নেতৃত্ব পেয়ে দায়িত্ব যথাসাধ্য পালনে

নেতৃত্বের চেয়ে মৃত্যু শ্রেয় বিস্তারিত পডুন »

ইবনুল মুবারক (রহঃ)-এর জীবনী থেকে কতিপয় শিক্ষণীয় ঘটনা

আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক (১১৮-১৮১ হি.) খোরাসান তথা বর্তমান তুর্কমেনিস্তানের মার্ভ শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং এই শহরেই তিনি বেড়ে ওঠেন। তিনি ছিলেন একাধারে মুহাদ্দিছ, ফক্বীহ, আলেম, মুজতাহিদ, কবি, সাহিত্যিক, দানশীল এবং একজন সাহসী বীর মুজাহিদ। তিনি ‘আমীরুল মুমিনীন ফিল হাদীছ’ উপাধিতে ভূষিত হন। আবূ উসামা (রহঃ) বলেন,ما رأيت رجلًا أطلب للعلم من ابن المبارك، وهو في المحدِّثين مثلُ أمير المؤمنين في الناس، ‘আমি আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারকের চেয়ে অধিক ইলম অন্বেষী ব্যক্তি আর কাউকে দেখিনি। মানুষের মাঝে আমীরুল মুমিনীনের মর্যাদা যেমন, মুহাদ্দিছগণের মাঝে তিনি তেমন’।[1] ইবনু হিববান বলেন,

ইবনুল মুবারক (রহঃ)-এর জীবনী থেকে কতিপয় শিক্ষণীয় ঘটনা বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : পরিবার ও সমাজে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করুন!

’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর ইবনুল ’আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ «إِنَّ الْمُقْسِطِينَ عِنْدَ اللَّهِ عَلَى مَنَابِرَ مِنْ نُورٍ عَنْ يَمِينِ الرَّحْمَنِ وَكِلْتَا يَدَيْهِ يمينٌ الذينَ يعدِلُونَ فِي حُكمِهم وأهليهم وَمَا ولُوا»  নিশ্চয়ই সত্যনিষ্ঠ বিচারক আল্লাহ তা’আলার নিকট তাঁর ডানপাশে নূরের মিম্বারের উপর অবস্থান করবে। যদিও আল্লাহ তা’আলার উভয় হাতই ডান (কল্যাণকর)। তারা হলো সে সমস্ত বিচারক- যারা তাদের বিচারালয়ে, নিজেদের পরিবার-পরিজনদের মাঝে এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় ন্যায় ও ইনসাফ কায়িম করে।  (মুসলিম হা/১৮২৭, নাসায়ী হা/৫৩৭৯, মিশকাত হা/৩৬৯০ ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসে ন্যায় বিচারক গুণাবলী

দরসে হাদীস : পরিবার ও সমাজে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করুন! বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top