উপলব্ধি (মানুষ হও)

মানুষের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি যারা

আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‏كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ ‘তোমরাই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি, তোমাদেরকে মানবজাতির কল্যাণের জন্য বের করা হয়েছে। (আলে ইমরান  ১১০) কিয়ামতের মাঠে মুমিন বান্দা তথা নাজি ফির্কার লোক প্রতি হাযারে একজন হবে এবং জান্নাতের একশত বিশ কাতারে আশি কাতার হবেন মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর জান্নাতি উম্মত। মুসলিম উম্মতকে ‘শ্রেষ্ঠতম সম্প্রদায়’ হওয়ার কারণ হলো যে, মানব জাতির উপকারার্থে সমুত্থিত হয়েছে। মানব জাতি তাদের নিজেদের আধ্যাত্মিক ও চারিত্রিক সংশোধনের চেষ্টা করাই প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। পূর্ববর্তী সম্প্রদায়সমূহের তুলনায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মাধ্যমে সৎকাজে আদেশ দান এবং অসৎকাজে নিষেধ করার দায়িত্ব […]

মানুষের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি যারা বিস্তারিত পডুন »

জ্ঞানীর জন্য ইশারা, সকলের জন্য উপদেশ

(১) মানুষ চুপ থাকলে অনেক সময় অনেক বড় ফেৎনা থেকে রক্ষা পেতে পারে। তাছাড়া সবখানে কথা বলাও জরুরী নয়। সুতরাং মাঝে মাঝে কথা বলা পূর্বে হেকমাত অবলম্বনে এড়িয়ে যাওয়াও উচিৎ। আর এটা জ্ঞানীদের জন্য অতিব ওয়াজিব।.(২) বর্তমান জামানা একটি ধোঁকাব্যঞ্জকের জামানা চলছে। আমানতদারকে খেয়ানতকারী আর খেয়ানতকারীকে আমানতদার মনে করা হচ্ছে। মানুষ প্রকৃত জ্ঞানীদের বাদ দিয়ে ইউটিউব সেলিব্রেটি বক্তাদের খুঁজছে। মানুষ পিওরিটির চেয়ে পপুলারিটিকে প্রাধান্য দিচ্ছে।.(৩) প্রকৃত জ্ঞানীদেরকে অসম্মান করার কোন সুযোগ নেই। সকল জ্ঞানীদেরকে যথাযথ সম্মান করা উচিৎ। যারা তা করতে অস্বীকৃতি জানাবেন ধরে নিবেন

জ্ঞানীর জন্য ইশারা, সকলের জন্য উপদেশ বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : অনুতপ্ত ব্যক্তির ক্ষমা অনিবার্য

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বনী ইসরাঈলের মধ্যে জনৈক ব্যক্তি নিরানব্বই জন মানুষ হত্যা করেছিল। তারপর সে শার’ঈ বিধান জানার জন্য একজন আল্লাহভীরুর কাছে জিজ্ঞেস করল, এ ধরনের মানুষের জন্য তাওবার কোন অবকাশ আছে কিনা? তিনি বললেন, নেই। তারপর সে তাকেও (’আলিমকেও) হত্যা করল। এভাবে সে লোকদেরকে অনবরত জিজ্ঞেস করতে থাকল। এক ব্যক্তি শুনে বলল, অমুক গ্রামে গিয়ে অমুককে জিজ্ঞেস করো। এমন সময়েই সে মৃত্যুমুখে পতিত হলো এবং মৃত্যুর সময় সে ওই গ্রামের দিকে নিজের সিনাকে বাড়িয়ে দিলো।

দরসে হাদীস : অনুতপ্ত ব্যক্তির ক্ষমা অনিবার্য বিস্তারিত পডুন »

সমকামিতা একটি অশ্লীলতা

সমকামী একটি শব্দ যা প্রাথমিকভাবে একজন সমকামী ব্যক্তি বা সমকামী হওয়ার বৈশিষ্ট্যকে বোঝায়। ১৯ শতকের শেষের দিকে সমকামী পুরুষ কথা উল্লেখ করে স্বল্প ব্যবহার হয়, অর্থটি ২০ শতকের মাঝামাঝি থেকে ক্রমশ সাধারণ হয়ে ওঠে এবং  সমকামী শব্দটি প্রধান স্টাইল গাইড দ্বারা সুপারিশ করা হয়েছিল একই লিঙ্গের সদস্যদের প্রতি আকৃষ্ট ব্যক্তিদের বর্ণনা করার জন্য এটি বিশেষভাবে পুরুষদের বোঝাতে বেশি ব্যবহৃত হয়। এই ব্যবহারগুলি এখনও সমকামিতার সংজ্ঞা ধরে রেখেছে তা নিয়ে বিতর্ক এবং কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। বিবাহ বহির্ভূত যৌনাচারের কারণে সিফিলিস, গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া, মোনিলিয়াসিস, ট্রাইকোমোনিয়াসিস, ব্যাকটেরিয়াল ভেজাইনোসিস, জেনিটাল হার্পিস, জেনিটাল ওয়ার্টস প্রভৃতি মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। আর ঘাতক ব্যাধি এইডস ও এ্যাবোলা

সমকামিতা একটি অশ্লীলতা বিস্তারিত পডুন »

যথা সময়ে বিবাহের গুরুত্ব

ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহ ও পরিবার সম্পূর্ণ একটি চুক্তিনামা জীবন ও দায়িত্ববোধ। বিয়ের উপযুক্ত সকল নারীকে বিবাহের জন্য শরীয়াহ্ মোতাবেক উপস্থাপিত করা এবং সকল পুরুষের তা সাদরে গ্রহণ করা এই ‘ঈজাব’ ও ‘কবুল’ কর্তৃক বিবাহ সম্পন্ন হয়ে থাকে। আর এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের সঙ্গে মিলে-মিশে দাম্পত্য জীবন যাপন করার সুযোগ লাভ করে। তাছাড়া বিবাহিত জীবন যাপনে একটি বিশেষ উদ্দেশ্যও রয়েছে। পৃথিবীর যাবতীয় ক্রিয়াকর্ম স্পষ্ট বা অস্পষ্ট কোন উদ্দেশ্য ছাড়া সম্পাদিত হয়নি বা হয়ও না। কুরআন, হাদীছ ও বিজ্ঞানের আলোকে বিবাহের উদ্দেশ্য বহুবিধ। তন্মধ্যে, দ্বীনের আদেশ পালন,

যথা সময়ে বিবাহের গুরুত্ব বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : দেখতে মানুষ হলেও দেহে শয়তানের অন্তর

হুযায়ফাহ্ (রাঃ) বলেন, লোকেরা রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর নিকট কল্যাণ সম্পর্কে প্রশ্ন করত। আর আমি ক্ষতিকর বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করতাম এই ভয়ে যেন আমি তাতে লিপ্ত না হই। হুযায়ফাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমরা এক সময় মূর্খতা ও অকল্যাণের মাঝে নিমজ্জিত ছিলাম অতঃপর আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে এই কল্যাণ (দীন-ইসলাম) দান করেন। তবে কি এ কল্যাণের পর পুনরায় অকল্যাণ আসবে? তিনি (সা.) বললেন, হ্যা, আসবে। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম সেই অকল্যাণের পরে কি আবার কল্যাণ আসবে? তিনি (সা.) বললেন, হ্যা আসবে, তবে তা

দরসে হাদীস : দেখতে মানুষ হলেও দেহে শয়তানের অন্তর বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : মানব স্বভাবের অন্যতম চারটি বিষয় রক্ষা করুন !

আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : যখন তোমার মাঝে চারটি বস্তু বিদ্যমান থাকে, তখন দুনিয়ার যা কিছুই তোমার ছাড়া হয়ে যায় তোমার কোন ক্ষতি নেই। আমানত রক্ষা, সত্য কথা, উত্তম চরিত্র ও খানাপিনায় সাবধানতা অবলম্বন। (আহমাদ, মিশকাত হা/৫২২২) ব্যাখ্যা: মানব স্বভাব ও চরিত্রের কয়েকটি মৌলিক বৈশিষ্ট্যের কথা এখানে বলা হয়েছে, যেগুলো কোন মানুষের মধ্যে থাকলে পার্থিব সম্পদ বা অন্য কিছু না থাকলেও কিংবা নষ্ট হয়ে গেলেও কোন ক্ষতি নেই। ‘আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন : উল্লেখিত বাক্যে (مَا) হলো মাসদারিয়্যাহ্ এবং এখানে (الْوَقْت) উহ্য রয়েছে। অতএব

দরসে হাদীস : মানব স্বভাবের অন্যতম চারটি বিষয় রক্ষা করুন ! বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : মন্দ কাজে বাঁধা দানে বিরত থাকার পরিণাম

(১) নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক নির্ধারিত শাস্তি প্রদানের বিষয়ে অলসতা করাকে ঐ সম্প্রদায়ের সাথে তুলনা করা যায়, যারা নৌকায় স্থান পাওয়ার জন্য লটারি করেছে এবং লটারি অনুসারে তাদের কেউ নৌকার নিচে এবং কেউ উপরে বসেছে। নৌকার নিচের লোকেরা উপরের লোকেদের পাশ দিয়ে পানির জন্য গমনাগমন করত, ফলে উপরের লোকেদের কষ্ট হত। একদিন নিচের লোকেদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি কুঠার হাতে নিয়ে নৌকার তলায় কাঠ কোপাতে আরম্ভ করল। তখন উপরের লোকেরা তার কাছে এসে

দরসে হাদীস : মন্দ কাজে বাঁধা দানে বিরত থাকার পরিণাম বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top