সমাজিক ঐক্য ও সংহতি

ঈমান বর্ধক ঘটনা

ইরাকের সমৃদ্ধ নগরী ‘হীরা’ অবরোধকালে সেখানকার আরব খৃষ্টান নেতা ইবনু বাক্বীলাহ সেনাপতি খালেদের নিকট নীত হন। খালেদ তার থলির মধ্যে একটা বিশেষ কৌটা পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কেন? সে বলল, পরাজয়ের আশংকা দেখা দিলে ধূত হবার চাইতে আত্মহত্যা করাকেই আমি অধিক পসন্দ করি’। তখন খালেদ সেটি হাতে নিয়ে বললেন, নির্ধারিত সময়ের পূর্বে কোন প্রাণীই মরতে পারে না। অতঃপর তিনি বলেন, বিসমিল্লাহি খায়রিল আসমা, রবিবল আরযে ওয়াসসামা, আল্লাযী না ইযাযু’রু মা‘আ ইসমিহী দা-উন, আর রহমা-নুর রহীম’। একথা শুনে অন্য সেনাপতিরা তাঁকে বিরত রাখতে দ্রুত এগিয়ে আসেন। […]

ঈমান বর্ধক ঘটনা বিস্তারিত পডুন »

‘কুরায়েশ’ নামের পর্যালোচনা

এ বিষয়ে একবার মু‘আবিয়া (রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন‘একটি সামুদ্রিক প্রাণীর কারণে, যা সমুদ্রের সকল প্রাণীর চাইতে অধিক শক্তিশালী, যাকে ‘ক্বিরশ’ বলা হয়। যে অন্যকে ধরে খায়। কিন্তু তাকে কেউ খেতে পারে না। সে বিজয়ী হয়। কিন্তু পরাজিত হয় না’ (কুরতুবী)। উপমহাদেশের খ্যাতনামা জীবনীকার ও রাসূল (ছাঃ)-এর জীবনচরিত ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’-এর স্বনামধন্য লেখক ক্বাযী সুলায়মান বিন সালমান মানছূরপুরী (মৃ:১৩৪৯/১৯৩০ খৃ:) বলেন, ‘কুরায়েশ’ অর্থ সাগরের তিমি মাছ। ইয়ামনের বাদশাহ হাসসান একবার মক্কা আক্রমণ করে কা‘বা গৃহ উঠিয়ে নিজ দেশে নিয়ে যেতে চেয়েছিল।

‘কুরায়েশ’ নামের পর্যালোচনা বিস্তারিত পডুন »

কা‘বা চত্বরে শ্বেত পাথরের রহস্য

কা‘বাব চারপাশে তাওয়াফ করার সময় পায়ে গরম লাগেনা কেন, রহস্য কি? যারা হজ্জ বা উমরায় গেছেন তারা সবাই নিশ্চয়ই একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছেন চামড়া পোড়ানো সেই তীব্র গরমে ও খোলা আকাশে সূর্যের কশকশা রোদের নীচে, কাবার চারপাশে তাওয়াফ এর স্থান “মাতাফ” এ পায়ের নীচ পুড়ে যায়না বরং বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। এর পেছনে রহস্য কি ? মিশরীয় জিওলজিষ্ট ড.যাগলুল আল-নাজ্জার ইতিহাস থেকে প্রায় হারিয়ে যাওয়া এই মূল্যবান অংশ টি তুলে ধরেছেন। ড.যাগলুল আল- নাজ্জার এর ভাষায়—- ” যিনি এই মহান কাজের কারিগর ও উদ্যোক্তা -তিনি

কা‘বা চত্বরে শ্বেত পাথরের রহস্য বিস্তারিত পডুন »

জিহ্বার হেফাযত করুন !

❝জিহ্বা পরিস্কার রাখুন! মিথ্যা কথা বলা ও হারাম ভক্ষণ থেকে বিরত থেকে সর্বদা আল্লাহর ভয়ে যিকির ও ইস্তেগফার পাঠ করুন❞। জিহ্বা দ্বারা মানুষ নানা প্রকার পাপ করে থাকে। যেমন মিথ্যা কথা বলা, হারাম ভক্ষণ করা, গীবত করা, অপবাদ দেয়া, অশালীন বাক্য বলে, মানুষকে মুখের কথায় কষ্ট দেয় ইত্যাদি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا یَسۡخَرۡ قَوۡمٌ مِّنۡ قَوۡمٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُوۡنُوۡا خَیۡرًا مِّنۡهُمۡ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنۡ نِّسَآءٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُنَّ خَیۡرًا مِّنۡهُنَّ ۚ وَ لَا تَلۡمِزُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ وَ لَا تَنَابَزُوۡا بِالۡاَلۡقَابِ ؕ بِئۡسَ

জিহ্বার হেফাযত করুন ! বিস্তারিত পডুন »

লজ্জা হ’ল কল্যাণ

লজ্জা ঈমানের এক অপরিহার্য গুণ। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য এবং কল্যাণপ্রাপ্ত মানুষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গুণ হল লজ্জাশীলতা। এটা মানুষকে অন্যায় ও অপরাধমুক্ত থাকতে সহায়তা করে। যার লজ্জা-শরম কম, তার আল্লাহভীতি কম। আর যার আল্লাহভীতি কম তার অন্তর নিস্প্রাণ ফসলহীন বিরাণ মাঠের মত। সে কোন ভাল কাজ করার আগ্রহ পায় না ফলে সে কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়। অপরদিকে লজ্জাশীল ব্যক্তির কাছে কল্যাণ আগমন করে উপর থেকে পানির স্রোতধারা দ্রুত নিচে নেমে আসার মতো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, الْحَيَاءُ لاَ يَأْتِي إِلاَّ بِخَيْرٍ ’লজ্জশীলতা কল্যাণ বৈ

লজ্জা হ’ল কল্যাণ বিস্তারিত পডুন »

চুপ থাকা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য কল্যাণকর

যে ব্যক্তি চুপ থাকল, সে নাজাত পেল। বর্তমানে কিছু বক্তা বের হয়েছে যারা কথা বলতে বলতে এমন পর্যায়ে চলে গেছেন যে, এখন তার কথা শুনার রুচী কমে গেছে সাধারণের। কথা বললে সত্য, কল্যাণকর ও উত্তম কথা বলা উচিৎ। ভাইরাল হওয়ার জন্য মিথ্যে কথা বা আষাঢ়ে গল্প বলা মিথ্যুকের শামিল। আর মিথ্যুকের নিকট থেকে কোন ইলম গ্রহণ করা জায়েজ নয়। কেননা তারা সত্য গোপন করে মিথ্যে বলে ভুল শিখাতে পারে। তাছাড়া ভিডিও গুলোর থাম্বেলে বা শিরোনামে আকাশে তোলা অবিশ্বাস্য লেখা দেখে নিজেকেই লজ্জায় পড়তে হয়। তিনদিন

চুপ থাকা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য কল্যাণকর বিস্তারিত পডুন »

গল্পের মাধ্যমে জ্ঞান : দ্বিতীয় বিয়ে

প্রথম পর্ব -শুন, আমি দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাই! -কেন! আমি কি দেখতে যথেষ্ট খারাপ! আমি কি যথেষ্ট ভালো নই? -ব্যাপারটি তা নয়। যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছি সে সদ্য সদ্য-তালাকপ্রাপ্তা ২ সন্তানের মা। খুব দু:খ-কষ্টে নাকি দিন কাটছে তাদের। তাদের অবস্থা এতোটাই শোচনীয় যে দুপুর হলে তার বাচ্চাদের জন্য কোথা থেকে খাবার আসবে সেটাও নাকি তার জানা নেই। আমি বললাম, -কেন? ওদের বাবা কোথায়? সে কি নিজের বাচ্চাদের দেখাশোনা করতে পারছে না? -তাদের তালাক মানে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। -তাহলে বিয়ে করতে হবে কেন? নিশ্চয়ই উনাকে সাহায্য

গল্পের মাধ্যমে জ্ঞান : দ্বিতীয় বিয়ে বিস্তারিত পডুন »

আল্লাহর জন্য তাকবীর দেয়ার বিধান

তাকবীর দেয়া সওয়াবের কাজ। আমরা প্রত্যেক দলের শ্লোগান যখন বলি, তখন ইসলাম পন্থী দলগুলোও একটি শ্লোগান ঠিক করেছেন। কেহ নারায়ে তাকবীর, লিল্লাহে তাকবীর ইত্যাদি। নারায়ে (نعره) শব্দটি উর্দূ। অর্থ: ধ্বনী বা উচ্চ আওয়াজ। তাকবীর শব্দটি আরবী। যার অর্থ: আল্লাহর বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। আর লিল্লাহে আরবী শব্দ। যার অর্থ আল্লাহর জন্য। তবে জন সন্মুখে উচ্চস্বরে তাকবীর দেয়ার বিধান রয়েছে। তবে রাসূল (ছাঃ) এটাকে থামিয়েও দিয়ে ছিলেন। যেমন – আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খায়বার যুদ্ধের জন্য বের হলেন কিংবা

আল্লাহর জন্য তাকবীর দেয়ার বিধান বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top