সমাজিক ঐক্য ও সংহতি

ফিৎরাত, ঈমানদার, মুত্তাক্বী ও মুসলিম

ফিৎরাত : ফিৎরাত দ্বারা স্বভাবগত দ্বীন ইসলামকে বোঝানো হয়েছে। উদ্দেশ্য হ’ল আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষকে প্রকৃতিগতভাবে মুসলিম ফিৎরাতের ওপর সৃষ্টি করেছেন। যদি পারিবারিক ও সামাজিক পরিবেশগত কোন কিছুর মন্দ প্রভাব না পড়ে,তবে প্রতিটি জন্মগ্রহণকারী শিশু ভবিষ্যতে মুমিন মুসলমান হবে। কিন্তু পারিবারিক অভ্যাসগতভাবেই পিতা-মাতা তাকে ইসলাম বিরোধী বিষয়াদি শিক্ষা দেয়। ফলে ফিৎরাতের স্বভাব পরিবর্তন হয় এবং সে ইসলামের উপর কায়েম হ’তে পারে না। হেদায়াত বা ইসলাম গ্রহণের স্বাভাবিক যোগ্যতা আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের মধ্যে দান করেছেন। যেমন তিনি বলেন, فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّيْنِ حَنِيفًا فِطْرَتَ اللهِ الَّتِي فَطَرَ […]

ফিৎরাত, ঈমানদার, মুত্তাক্বী ও মুসলিম বিস্তারিত পডুন »

মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী (রহঃ)-এর জীবনী ও কতিপয় শিক্ষণীয় ঘটনা

লেখক : ড. নূরুল ইসলাম, ভাইস প্রিন্সিপাল, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী। মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী (১৮৬৮-১৯৪৮) উপমহাদেশের একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ইসলামী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি গভীর জ্ঞানের অধিকারী আলেমে দ্বীন, অবিসংবাদিত ধর্মতাত্ত্বিক, অপ্রতিদ্বন্দ্বী মুনাযির, অনলবর্ষী বাগ্মী, মুহাদ্দিছ, মুফাস্সির, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সংগঠক, সম্পাদক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তবে মুনাযির বা তার্কিক হিসাবেই তাঁর খ্যাতি বিশ্বময়। ‘শেরে পাঞ্জাব’ (পাঞ্জাবের সিংহ) ও ‘ফাতিহে কাদিয়ান’ (কাদিয়ান বিজয়ী) মুনাযির খ্যাত মাওলানা অমৃতসরী বাহাছ-মুনাযারার ইমাম ও মুকুটহীন সম্রাট ছিলেন। এক হাযারের অধিক মুনাযারায় অংশগ্রহণ করে তিনি এক বিরল নযীর স্থাপন করেছিলেন। খ্রিষ্টান, কাদিয়ানী সহ যেকোন

মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী (রহঃ)-এর জীবনী ও কতিপয় শিক্ষণীয় ঘটনা বিস্তারিত পডুন »

মুমিন ও মুসলিমের পরিচয়

পৃথিবীতে মানুষে মানুষে পার্থক্যের মানদণ্ড হ’ল ঈমান। যারা আল্লাহতে বিশ্বাসী, তারা ইহকাল ও পরকালে সফল। পক্ষান্তরে যারা আল্লাহতে অবিশ্বাসী, তারা ইহকাল ও পরকালে বিফল। ঈমানদারের সকল কাজ হয় আখিরাতমুখী। পক্ষান্তরে অবিশ্বাসীদের সকল কাজ হয় প্রবৃত্তিমুখী। দু’জনের জীবনধারা হয় সম্পূর্ণ পৃথক। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা রাসূলদের পাঠিয়ে থাকি এজন্য যে, তারা মানুষকে জান্নাতের সুসংবাদ দিবে ও জাহান্নামের ভয় প্রদর্শন করবে। এক্ষণে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও নিজেকে সংশোধন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা কোনরূপ চিন্তান্বিত হবে না’। ‘পক্ষান্তরে যারা আমাদের আয়াতসমূহে মিথ্যারোপ করে, তাদের পাপাচারের

মুমিন ও মুসলিমের পরিচয় বিস্তারিত পডুন »

‘‘আহলেহাদীছ’’ সম্পর্কে ইমামগণের মতামত

মুসলমানদের অনেক গুণবাচক নাম রয়েছে। যেমন মুমিন, ইবাদুল্লাহ (আল্লাহর বান্দা), হিযবুল্লাহ (আল্লাহর দল)। তদ্রূপ ছাহাবা, তাবেঈন, তাবে তাবেঈন, মুহাজির, আনছার ইত্যাদি নামসমূহ। ঠিক তেমনিভাবে ঐসকল গুণবাচক নাম সমূহের মধ্যে ‘আহলেহাদীছ’ ও ‘আহলে সুন্নাত’ উপাধিদ্বয় ‘খায়রুল কুরূন’ বা সর্বশ্রেষ্ঠ যুগ হ’তে সাব্যস্ত রয়েছে। মুসলমানদের মাঝে উভয় গুণবাচক উপাধির ব্যবহার নির্দ্বিধায় প্রচলিত আছে। বরং এর বৈধতার পক্ষে মুসলিম উম্মাহর ইজমা রয়েছে। ‘আহলেহাদীছ’ এবং ‘আহলে সুন্নাত’ দু’টি সমার্থবোধক গুণবাচক নাম। যার দ্বারা ছহীহ আক্বীদা সম্পন্ন মুসলমানদের অর্থাৎ সাহায্য ও নাজাতপ্রাপ্ত দলের পরিচয় পাওয়া যায়। ‘আহলেহাদীছ’ এই গুণবাচক নাম

‘‘আহলেহাদীছ’’ সম্পর্কে ইমামগণের মতামত বিস্তারিত পডুন »

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান

মানুষ সামাজকি জীব। সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করা মানুষরে সহজাত প্রবৃত্ত।ি একে অন্যরে সহযোগতিা ছাড়া মানুষ একদনিও চলতে পারে না। তাই সামাজকি জীবনে পরস্পরকি সাহায্য-সহযোগতিা খুবই গুরুত্বর্পূণ। ইসলাম সমাজকল্যাণমূলক র্ধম। মানব কল্যাণ ও সমাজকল্যাণ ইসলামরে অন্যতম লক্ষ্য। ইসলাম ও সমাজকল্যাণ একটরি সাথে অন্যটি ওতপ্রোতভাবে জড়তি। সমাজকল্যাণ বলতে মানুষরে কল্যাণে র্কাযকর পদক্ষপে গ্রহণ বুঝায়। আর ইসলাম মানুষকে অন্যরে কল্যাণে পারস্পরকি সাহায্য-সহযোগতিা করতে অনুপ্রাণতি কর।ে মহান আল্লাহ বলনে, وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ، ‘তোমরা সৎর্কম ও আল্লাহভীতরি কাজে পরস্পরকে সহযোগতিা কর এবং পাপ ও

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান বিস্তারিত পডুন »

সালাফী দাওয়াতে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধের পদ্ধতি

সালাফীগণ মাঠে ময়দানে দাওয়াত দেয় তাদের দায়িত্ববোধ থেকে। আর সালাফী আলেম সমাজ সঠিক হক্বটা প্রচার করেন এবং যা সহীহ নয়, তা প্রচার থেকে বিরত থাকেন। কেননা এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, «بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً وَحَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا حَرَجَ وَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ» ‘আমার পক্ষ হতে (মানুষের কাছে) একটি বাক্য হলেও পৌঁছিয়ে দাও। বনী ইসরাঈল হতে শোনা কথা বলতে পারো, এতে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করবে, সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে প্রস্তুত করে নেয়

সালাফী দাওয়াতে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধের পদ্ধতি বিস্তারিত পডুন »

কিয়ামতের পূর্বের আলামত

✍️ শায়খ আব্দুল্লাহ শাহেদ আল মাদানী। কিয়ামতের পূর্বে অনেক ফিতনার আবির্ভাব হবে। কিন্তু বর্তমানে এসকল ফিতনা খুব দ্রুতই পেতে চলেছে। ফিতনা শব্দটি বিপদাপদ, বিশৃংখলা, পরীক্ষা করা ইত্যাদি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়ে থাকে। অতঃপর শব্দটি প্রত্যেক অপছন্দনীয় বস্তু ও বিষয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে।নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ‘‘এই উম্মতের প্রথম যুগের মুমিনদেরকে ফিতনা থেকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। আখেরী যামানায় এই উম্মতকে বিভিন্ন ধরণের ফিতনায় ও বিপদে ফেলে পরীক্ষা করা হবে। প্রবৃত্তির অনুসরণ ফির্কাবন্দী এবং দলাদলির কারণে ফিতনার সূচনা হবে। এতে সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্য করা

কিয়ামতের পূর্বের আলামত বিস্তারিত পডুন »

নারীর ফেৎনা

নারীর ফেৎনা মানুষকে বিবেকশূন্য, হিতাহিত জ্ঞান শূন্য, জ্ঞানীকে মূর্খ করে, জ্ঞানীর প্রজ্ঞা কেড়ে নেয়।  বনী ইসরাঈলদের আমলে নারীর ফেৎনার সূচনা হয় এবং এই নারীর ফেৎনার কারণে তাদের মধ্যে মহামারী ব্যাপকভাবে দেখা দেয়। বনী ইসরাঈলদের আমলে এক নারী জনৈক আলেমকে ডেকে যেনায় লিপ্ত হতে বলেন। কিন্তু তিনি তাতে রাজী হোন নাই। তখন নারীটি ছলনা করে ভয় দেখিয়ে বলে, তুমি মদ পান করো অথবা ঐ শিশুটিকে হত্যা করো অথবা আমার সাথে ব্যাভিচারে লিপ্ত হও। আলেম মদ পানে রাজি হলো এবং পান করার সাথে সাথে মতিভ্রম হয়ে শিশুটিকে

নারীর ফেৎনা বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top