আত্নশুদ্ধি

গুরুত্বপূর্ণ দু’টি দো‘আ

(এক) আল্লাহর নূর (আলো) কামনা করে দো‘আ : اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُورًا وَفِي بَصَرِي نُورًا وَفِي سَمْعِي نُورًا وَعَنْ يَمِينِي نُورًا وَعَنْ يَسَارِي نُورًا وَفَوْقِي نُورًا وَتَحْتِي نُورًا وَأَمَامِي نُورًا وَخَلْفِي نُورًا وَعَظِّمْ لِي نُورًا ‏”‏ উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মাজ আল ফী ক্বলবী নূরাওঁ ওয়া ফী বাসারী নূরাও, ওয়া ফী সামঈ নূরাও ওয়া আই ইয়ামীনী নুরাওঁ, ওয়া আই ইয়াসা-রী নূরাওঁ, ওয়া ফাওকী নূরাওঁ, ওয়া তাহতী নূরাওঁ, ওয়া আমামী নূরাওঁ, ওয়া খালফী নূরাওঁ,ওয়া আয্‌যিমলী নূরাওঁ। অর্থ : হে আল্লাহ! আমার কলবে নূর দান করুন, আমার দৃষ্টিতে […]

গুরুত্বপূর্ণ দু’টি দো‘আ বিস্তারিত পডুন »

দরিদ্রতা হতাশার কারণ নয়

দরিদ্রতার সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে গিয়ে সমাজতত্ববিদ গোডার্ড বলেছেন , দারিদ্রতা হল ব্যক্তির সেই অবস্থা – যার ফলে ব্যক্তি নিজের ও নিজের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয় অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে।  দরিদ্রতা বিষয়টি আপেক্ষিক। অর্থাৎ এটি কোনো নির্দিষ্ট সমাজের ব্যক্তিবর্গের জীবনযাত্রার উপর নির্ভরশীল। কেননা , সকল সমাজে জীবন যাত্রার মান একই ধরণের হয়না। ধরা যাক A নামক ব্যক্তি B নামক ব্যক্তির তুলনায় বেশি রোজগার করেন। সেক্ষেত্রে B ব্যক্তি A ব্যক্তির তুলনায় দরিদ্র। আবার C ব্যক্তি B ব্যক্তির তুলনায় কম রোজগার করেন। সেক্ষেত্রে C

দরিদ্রতা হতাশার কারণ নয় বিস্তারিত পডুন »

তাক্বদীর সম্পর্কে ধারনা

ভূমিকা : যে ব্যক্তি তাক্বদীর সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করেছে, সে কখনও হতাশ, নিরাশ ও অসন্তুষ্ট হবে না, আর জীবন নিয়ে আফসোসও করবে না। হিংসুক ব্যক্তির অন্তরে তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে। হিংসা না করে, তাক্বদীর বিষয়ে জ্ঞানার্জন করুন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ’’আমার উম্মাতের মধ্যে যারা তাক্বদীর অস্বীকারকারী তাদের মধ্যে ভূমি ধ্বস ও চেহারা বিকৃতি ঘটবে’’(মিশকাত হা/১০৬) । জীব সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাযার বছর পূর্বে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,كَتَبَ اللهُ

তাক্বদীর সম্পর্কে ধারনা বিস্তারিত পডুন »

‘কুরায়েশ’ নামের পর্যালোচনা

এ বিষয়ে একবার মু‘আবিয়া (রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন‘একটি সামুদ্রিক প্রাণীর কারণে, যা সমুদ্রের সকল প্রাণীর চাইতে অধিক শক্তিশালী, যাকে ‘ক্বিরশ’ বলা হয়। যে অন্যকে ধরে খায়। কিন্তু তাকে কেউ খেতে পারে না। সে বিজয়ী হয়। কিন্তু পরাজিত হয় না’ (কুরতুবী)। উপমহাদেশের খ্যাতনামা জীবনীকার ও রাসূল (ছাঃ)-এর জীবনচরিত ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’-এর স্বনামধন্য লেখক ক্বাযী সুলায়মান বিন সালমান মানছূরপুরী (মৃ:১৩৪৯/১৯৩০ খৃ:) বলেন, ‘কুরায়েশ’ অর্থ সাগরের তিমি মাছ। ইয়ামনের বাদশাহ হাসসান একবার মক্কা আক্রমণ করে কা‘বা গৃহ উঠিয়ে নিজ দেশে নিয়ে যেতে চেয়েছিল।

‘কুরায়েশ’ নামের পর্যালোচনা বিস্তারিত পডুন »

জিহ্বার হেফাযত করুন !

❝জিহ্বা পরিস্কার রাখুন! মিথ্যা কথা বলা ও হারাম ভক্ষণ থেকে বিরত থেকে সর্বদা আল্লাহর ভয়ে যিকির ও ইস্তেগফার পাঠ করুন❞। জিহ্বা দ্বারা মানুষ নানা প্রকার পাপ করে থাকে। যেমন মিথ্যা কথা বলা, হারাম ভক্ষণ করা, গীবত করা, অপবাদ দেয়া, অশালীন বাক্য বলে, মানুষকে মুখের কথায় কষ্ট দেয় ইত্যাদি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا یَسۡخَرۡ قَوۡمٌ مِّنۡ قَوۡمٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُوۡنُوۡا خَیۡرًا مِّنۡهُمۡ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنۡ نِّسَآءٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُنَّ خَیۡرًا مِّنۡهُنَّ ۚ وَ لَا تَلۡمِزُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ وَ لَا تَنَابَزُوۡا بِالۡاَلۡقَابِ ؕ بِئۡسَ

জিহ্বার হেফাযত করুন ! বিস্তারিত পডুন »

লজ্জা হ’ল কল্যাণ

লজ্জা ঈমানের এক অপরিহার্য গুণ। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য এবং কল্যাণপ্রাপ্ত মানুষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গুণ হল লজ্জাশীলতা। এটা মানুষকে অন্যায় ও অপরাধমুক্ত থাকতে সহায়তা করে। যার লজ্জা-শরম কম, তার আল্লাহভীতি কম। আর যার আল্লাহভীতি কম তার অন্তর নিস্প্রাণ ফসলহীন বিরাণ মাঠের মত। সে কোন ভাল কাজ করার আগ্রহ পায় না ফলে সে কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়। অপরদিকে লজ্জাশীল ব্যক্তির কাছে কল্যাণ আগমন করে উপর থেকে পানির স্রোতধারা দ্রুত নিচে নেমে আসার মতো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, الْحَيَاءُ لاَ يَأْتِي إِلاَّ بِخَيْرٍ ’লজ্জশীলতা কল্যাণ বৈ

লজ্জা হ’ল কল্যাণ বিস্তারিত পডুন »

চুপ থাকা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য কল্যাণকর

যে ব্যক্তি চুপ থাকল, সে নাজাত পেল। বর্তমানে কিছু বক্তা বের হয়েছে যারা কথা বলতে বলতে এমন পর্যায়ে চলে গেছেন যে, এখন তার কথা শুনার রুচী কমে গেছে সাধারণের। কথা বললে সত্য, কল্যাণকর ও উত্তম কথা বলা উচিৎ। ভাইরাল হওয়ার জন্য মিথ্যে কথা বা আষাঢ়ে গল্প বলা মিথ্যুকের শামিল। আর মিথ্যুকের নিকট থেকে কোন ইলম গ্রহণ করা জায়েজ নয়। কেননা তারা সত্য গোপন করে মিথ্যে বলে ভুল শিখাতে পারে। তাছাড়া ভিডিও গুলোর থাম্বেলে বা শিরোনামে আকাশে তোলা অবিশ্বাস্য লেখা দেখে নিজেকেই লজ্জায় পড়তে হয়। তিনদিন

চুপ থাকা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য কল্যাণকর বিস্তারিত পডুন »

মুছীবতে মৃত্যু কামনা করার বিধান

মৃত্যু নিশ্চিত হবে। আর বান্দা যদি দু’টি শর্ত পূরণ করে তবেই জান্নাত অবধারিত হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘’প্রতিটি প্রাণ মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে, তারপর আমার কাছেই তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। আর যারা ঈমান আনে ও সৎ কর্ম করে, তাদেরকে অবশ্যই আমি জান্নাতে কক্ষ বানিয়ে দেব, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত হবে, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। কতইনা উত্তম আমলকারীদের প্রতিদান!’’ (আনকাবূত ২৯/৫৭-৫৮) বালা মুছীবত জীবনে আছে বলেই মানুষ সঠিক উপলব্ধি করতে শেখে। কিংবা মানুষ পথ ভুলে গেলে আল্লাহ তা‘আলা সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য বালা মুছীবত বান্দার

মুছীবতে মৃত্যু কামনা করার বিধান বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top