ফিৎরাত, ঈমানদার, মুত্তাক্বী ও মুসলিম

ফিৎরাত : ফিৎরাত দ্বারা স্বভাবগত দ্বীন ইসলামকে বোঝানো হয়েছে। উদ্দেশ্য হ’ল আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষকে প্রকৃতিগতভাবে মুসলিম ফিৎরাতের ওপর সৃষ্টি করেছেন। যদি পারিবারিক ও সামাজিক পরিবেশগত কোন কিছুর মন্দ প্রভাব না পড়ে,তবে প্রতিটি জন্মগ্রহণকারী শিশু ভবিষ্যতে মুমিন মুসলমান হবে। কিন্তু পারিবারিক অভ্যাসগতভাবেই পিতা-মাতা তাকে ইসলাম বিরোধী বিষয়াদি শিক্ষা দেয়। ফলে ফিৎরাতের স্বভাব পরিবর্তন হয় এবং সে ইসলামের উপর কায়েম হ’তে পারে না। হেদায়াত বা ইসলাম গ্রহণের স্বাভাবিক যোগ্যতা আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের মধ্যে দান করেছেন। যেমন তিনি বলেন, فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّيْنِ حَنِيفًا فِطْرَتَ اللهِ الَّتِي فَطَرَ […]

ফিৎরাত, ঈমানদার, মুত্তাক্বী ও মুসলিম বিস্তারিত পডুন »

নাবীয পানীয়

নাবীয (نَبِيْذٌ) হ’ল খেজুর, আঙ্গুর, কিসমিস, মধু, গম ও যব ইত্যাদি ফল আলাদা ভাবে ভিন্ন ভিন্ন পাত্রে ভিজিয়ে যে মিঠা শরবত পানীয় প্রস্তুত করা হয় তাকে নাবীয বলে। এটা সিডার জাতীয় পানীয়। ইহা পানে অনেক উপকার রয়েছে। তন্মধ্যে অন্যতম হ’ল শক্তিবর্ধক ও পাকস্থলীকে উর্বর করে। নাবীয পান করা বৈধ। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنْتَبَذُ لَهُ أَوَّلَ اللَّيْلِ فَيَشْرَبُهُ إِذَا أَصْبَحَ يَوْمَهُ ذَلِكَ وَاللَّيْلَةَ الَّتِى تَجِىءُ وَالْغَدَ وَاللَّيْلَةَ الأُخْرَى وَالْغَدَ إِلَى الْعَصْرِ فَإِنْ بَقِىَ شَىْءٌ سَقَاهُ الْخَادِمَ أَوْ أَمَرَ

নাবীয পানীয় বিস্তারিত পডুন »

মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী (রহঃ)-এর জীবনী ও কতিপয় শিক্ষণীয় ঘটনা

লেখক : ড. নূরুল ইসলাম, ভাইস প্রিন্সিপাল, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী। মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী (১৮৬৮-১৯৪৮) উপমহাদেশের একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ইসলামী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি গভীর জ্ঞানের অধিকারী আলেমে দ্বীন, অবিসংবাদিত ধর্মতাত্ত্বিক, অপ্রতিদ্বন্দ্বী মুনাযির, অনলবর্ষী বাগ্মী, মুহাদ্দিছ, মুফাস্সির, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সংগঠক, সম্পাদক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তবে মুনাযির বা তার্কিক হিসাবেই তাঁর খ্যাতি বিশ্বময়। ‘শেরে পাঞ্জাব’ (পাঞ্জাবের সিংহ) ও ‘ফাতিহে কাদিয়ান’ (কাদিয়ান বিজয়ী) মুনাযির খ্যাত মাওলানা অমৃতসরী বাহাছ-মুনাযারার ইমাম ও মুকুটহীন সম্রাট ছিলেন। এক হাযারের অধিক মুনাযারায় অংশগ্রহণ করে তিনি এক বিরল নযীর স্থাপন করেছিলেন। খ্রিষ্টান, কাদিয়ানী সহ যেকোন

মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী (রহঃ)-এর জীবনী ও কতিপয় শিক্ষণীয় ঘটনা বিস্তারিত পডুন »

কুরআনের অপব্যাখ্যার জবাব

(সূরা আনআমের ৬/১১৫ নং আয়াতের অপব্যাখ্যার জবাব লিখিত ভাবে দিলাম) আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَتَمَّتْ كَلِمَتُ رَبِّكَ صِدْقًا وَعَدْلًا لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ  ‘‘আর সত্য ও ন্যায়ের দিক দিয়ে আপনার রব-এর বাণী পরিপূর্ণ। তাঁর বাক্যসমূহ পরিবর্তনকারী কেউ নেই’’ (আনআম ৬/১১৫)। (১) আল্লাহ বলেন, আর সত্য ও ন্যায়ের দিক দিয়ে আপনার রব-এর বাণী পরিপূর্ণ। এখানে যা বুঝানো হয়েছে…. আল্লাহর কথা বা বাণী বা কালাম সত্যতা, ইনসাফ ও সমতার দিক দিয়ে সম্পূর্ণ। এর মাঝে কোন প্রকার ফাঁক ফোকর নেই। বান্দা যেকোন ভাবে এর মাঝে অসত্য, বেইনসাফ, অন্যায়, যুলুম, অসঙ্গতি,

কুরআনের অপব্যাখ্যার জবাব বিস্তারিত পডুন »

ঈমানদার যুবক ও আছহাবুল উখদূদের কাহিনী

বহুকাল পূর্বে একজন রাজা ছিলেন। সেই রাজার ছিল একজন যাদুকর। ঐ যাদুকর বৃদ্ধ হ’লে একদিন সে রাজাকে বলল, ‘আমি তো বৃদ্ধ হয়ে গেছি। সুতরাং আমার নিকট একটি ছেলে পাঠান, যাকে আমি যাদুবিদ্যা শিক্ষা দিব’। বাদশাহ তার নিকট একটি বালককে পাঠিয়ে দিলেন। তিনি তাকে যাদুবিদ্যা শিক্ষা দিতে লাগলেন। বালকটি যাদুকরের নিকট যে পথ দিয়ে যাতায়াত করত, সে পথে ছিল এক সন্ন্যাসীর আস্তানা। বালকটি তার নিকট বসল এবং তার কথা শুনে মুগ্ধ হ’ল। বালকটি যাদুকরের নিকট যাওয়ার সময় ঐ সন্ন্যাসীর নিকট বসে তাঁর কথা শুনত। ফলে যাদুকরের

ঈমানদার যুবক ও আছহাবুল উখদূদের কাহিনী বিস্তারিত পডুন »

মুমিন ও মুসলিমের পরিচয়

পৃথিবীতে মানুষে মানুষে পার্থক্যের মানদণ্ড হ’ল ঈমান। যারা আল্লাহতে বিশ্বাসী, তারা ইহকাল ও পরকালে সফল। পক্ষান্তরে যারা আল্লাহতে অবিশ্বাসী, তারা ইহকাল ও পরকালে বিফল। ঈমানদারের সকল কাজ হয় আখিরাতমুখী। পক্ষান্তরে অবিশ্বাসীদের সকল কাজ হয় প্রবৃত্তিমুখী। দু’জনের জীবনধারা হয় সম্পূর্ণ পৃথক। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা রাসূলদের পাঠিয়ে থাকি এজন্য যে, তারা মানুষকে জান্নাতের সুসংবাদ দিবে ও জাহান্নামের ভয় প্রদর্শন করবে। এক্ষণে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও নিজেকে সংশোধন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা কোনরূপ চিন্তান্বিত হবে না’। ‘পক্ষান্তরে যারা আমাদের আয়াতসমূহে মিথ্যারোপ করে, তাদের পাপাচারের

মুমিন ও মুসলিমের পরিচয় বিস্তারিত পডুন »

দ্বীনের দাওয়াতে নীতিমালা : সহজপন্থা অবলম্বন করা

মানুষদেরকে আল্লাহ প্রদত্ত সাওয়াব যা তিনি সৎকর্মের জন্য দান করেন তা জানিয়ে দিতে হবে সহজ পন্থায়। আনাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,‌ يَسِّرُوا وَلَا تُعَسِّرُوا وَبَشِّرُوا وَلَا تُنَفِّرُوا ‌‌‘তোমরা সহজ পন্থা অবলম্বন কর, কঠিন পন্থা অবলম্বন করো না, মানুষকে সুসংবাদ দাও, বিরক্তি সৃষ্টি করো না’ (বুখারী হা/৬৯)। অপর বর্ণনায় এসেছে, আবূ মূসা আল আশ্’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই কোনো কাজে কোনো সাহাবীকে পাঠাতেন তখন বলতেন, ‘তোমরা জনগণকে আশার বাণী শুনাবে। হতাশাব্যঞ্জক কথা বলে তাদের জন্য অবহেলা-ঘৃণা

দ্বীনের দাওয়াতে নীতিমালা : সহজপন্থা অবলম্বন করা বিস্তারিত পডুন »

দরূদ পাঠের ফযীলত

(ফযীলতপূর্ণ দো‘আ ও যিকির’ বই থেকে নেয়া) বিদ্বানগণের মতে রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি ছালাতে (দরূদ) পাঠ কখনো ওয়াজিব আবার কখনো মুস্তাহাব। ইমাম শাফেঈ ও আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ)-এর মতে তাশাহহুদের পর দরূদ পাঠ করা ওয়াজিব। আর ইমাম আবূ হানীফা ও মালেক (রহঃ)-এর মতে সুন্নাত।(আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-বাসসাম, তায়সীরুল আল্লাম শরহে উমদাতুল আহকাম, (কুয়েত : জমঈয়াতু ইহয়াইত তুরাছ আল-ইসলামী, ১৯৯৪ খৃঃ), পৃঃ ১/২৬৮।)নবী করীম (ছাঃ) নিজের উপর তাশাহহুদ ও তাশাহহুদের পরে দরূদ পাঠ করতেন এবং উম্মতদেরকে পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন। (আলবানী, ছিফাতু ছালাতিন নাবী (ছাঃ), ‘দরূদ পাঠ’

দরূদ পাঠের ফযীলত বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top