আত্নশুদ্ধি

মৃত্যু, প্রত্যেক জীবের অপ্রতিরোধ্য সঙ্গী

মানুষের জন্য উচিত নয় যে, সবচেয়ে বড় উপদেশের স্মরণ হতে উদাসীন থাকা আর তা হল মৃত্যু তথা মৃত্যুর স্মরণ। দুনিয়ার ভোগবিলাসের সুখময় স্বাদ বিনষ্টকারী জিনিস হলো মৃত্যু। তাই মৃত্যুকে বেশী বেশী স্মরণ করা উচিৎ। কেননা মৃত্যু প্রত্যেক জীবের জীবনে একটি অপ্রতিরোধ্য বন্ধু। মৃত্যুকে রোধ করার মত কোন বস্তু দুনিয়াতে নেই। জন্মিলে মরিতে হবে, চিরন্তন সত্য এ ভূবনে, সময় থাকতে আখের গোছাও সুধারনা পোষণ করো মরণে। মু’মিন ব্যক্তি দুনিয়াতে অবস্থান করবে বিদেশীর অবস্থানের মতো। সুতরাং তার অন্তরকে সম্পর্ক রাখবে না দূরবর্তী দেশের কোন কিছুর সাথে বরং […]

মৃত্যু, প্রত্যেক জীবের অপ্রতিরোধ্য সঙ্গী বিস্তারিত পডুন »

স্বামীকে কষ্ট দিয়ো না

মুমিন স্বামীর অবাধ্য হওয়া কুফরী। স্বামী তার স্ত্রীর পরিচালক এবং অভিভাবক, সে যে কোনো কাজে তাকে আহবান করে সে আহবানে তাকে সাড়া দেয়া আবশ্যক, বিশেষ করে তার জৈবিক চাহিদা পূরণের আহবানে তাকে অবশ্যই সাড়া দিতে হবে। অত্র হাদীস সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। সে যদি চুলায় রুটি তৈরিতেও লিপ্ত থাকে আর সে ছাড়া বিকল্প কোনো লোক না থাকে তবু তা মূলতবী রেখে স্বামীর আহবানে সাড়া দিবে। ইবনুল মালিক বলেন, এ রুটি যদি স্বামীর হয় তবেই এ হুকুম। কারণ স্বামী জানছে যে, সে রুটি তৈরিতে ব্যস্ত, এ সময়

স্বামীকে কষ্ট দিয়ো না বিস্তারিত পডুন »

ধৈর্য মু’মিন বান্দার জন্য অপরিহার্য

বিপদে হতাশ বা অধৈর্য হয়ে পড়া একদিকে যেমন ঈমানের পরিপন্থী, অপরদিকে তা মানবীয় ব্যক্তিতেরব চরম পরাজয়। হতাশা, অস্থিরতা বা উৎকণ্ঠা বিপদ দূর করেনা, বিপদের কষ্ট কমায় না বা বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার পথ দেখায় না। সর্বোপরি হতাশা বা ধৈর্যহীনতা স্বয়ং একটি কঠিন বিপদ যা মানুষকে আরো অনেক কঠিন বিপদের মধ্যে নিপতিত করে। পক্ষান্তরে ধৈর্য বিপদ দূর না করলেও তা বিপদ নিয়ন্ত্রণ করে, বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য শান্তভাবে চিন্তা করার সুযোগ দেয় এবং অস্থিরতা জনিত অন্যান্য বিপদের পথরোধ করে। সর্বোপরি বিপদে কষ্টে ধৈর্যের মাধ্যমে মুমিন আল্লাহর

ধৈর্য মু’মিন বান্দার জন্য অপরিহার্য বিস্তারিত পডুন »

তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি

আল্লাহভীতি মানুষের জীবনের মূল ভিত্তি। অধিক কুরআন হাদীস জানাতে কোন বাহাদুরী নেই, বরং তাক্বওয়াশীল মানুষ হলো সর্বোত্তম মর্যাদাপূর্ণ। তাই সদা সকল কাজে আল্লাহকে ভয় করে চলতে হবে। আল্লাহর তাক্বওয়া অর্জনের হক্ক আদায় করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ তাকওয়ার ঐ স্তর অর্জন কর, যা তাক্বওয়ার হক। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, তাকওয়ার হক হল, প্রত্যেক কাজে আল্লাহর আনুগত্য করা, আনুগত্যের বিপরীতে কোন কাজ না করা, আল্লাহকে সর্বদা স্মরণে রাখা- কখনো বিস্মৃত না হওয়া এবং সর্বদা তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা- অকৃতজ্ঞ না হওয়া। [ইবন কাসীর] তাক্বওয়া অর্থ

তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি বিস্তারিত পডুন »

আক্বীদার জিরক্স কপি নয়, মূলকপি চায়-২

তাওহীদে বিশ্বাসী সালাফী মুমিন সদা আল্লাহরই সাহায্য প্রার্থনা করেন। তাঁরই নিকটে আশ্রয় ভিক্ষা করেন। তাঁরই ‘তাক্বদীরের’ ভাল-মন্দের উপর বিশ্বাস রেখে যথাসাধ্য ‘তদবীর’ করে চলেন। পরকালীন মুক্তির জন্য তারা শিরক ও বিদ‘আতমুক্ত এবং শরী‘আত অনুমোদিত নেক আমলকেই একমাত্র ‘অসীলা’ হিসাবে মনে করেন। যে সকল কথায় ও কর্মে শিরক ও বিদ‘আতের সামান্যতম ছিটে-ফোঁটা থাকে, তা হ’তে তারা দূরে থাকেন। কোন মানুষকে ‘ইলমে গায়েব’ বা অদৃশ্য জ্ঞানের অধিকারী বলে তারা বিশ্বাস করেন না। নবী ব্যতীত অন্য কাউকে তারা মা‘ছূম বা নিষ্পাপ বলে মনে করেন না। শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে

আক্বীদার জিরক্স কপি নয়, মূলকপি চায়-২ বিস্তারিত পডুন »

আক্বীদার জিরক্স কপি নয়, মূলকপি চায়-১

আহলেহাদীস বা সালাফীদের আক্বীদার জিরক্স কপি তৈরী করা উচিৎ নয়। নানা ভাবে সালাফী আক্বীদাকে বিকৃত করে প্রকৃত দ্বীন থেকে সরে যাচ্ছেন হাজারো মুসলিম। এটা মোটেও কাম্য নয় একজন প্রকৃত ঈমানের দাবীদার বান্দার পক্ষে। মানুষ দ্বীনের হুকুমাত প্রতিষ্ঠার অর্থ তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করা। অথচ যারা এর অর্থ রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম করা বলে মনে করেন। এরা আক্বীদা থেকে বিচ্যুত হয়ে তথাকতিথ পশ্চিমাদের গণতন্ত্র রাজনীতিতে বিশ্বাসী। একজন বক্তা, আলোচক, লেখক কিংবা শিক্ষক যে ব্যক্তিই হোক না কেন, উনাদের কথা, লেখা গ্রহণের পূর্বে জেনে নিন তাদের আক্বীদা কী (?)আবূ জাহেলের

আক্বীদার জিরক্স কপি নয়, মূলকপি চায়-১ বিস্তারিত পডুন »

মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী (রহঃ)-এর জীবনী ও কতিপয় শিক্ষণীয় ঘটনা

লেখক : ড. নূরুল ইসলাম, ভাইস প্রিন্সিপাল, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী। মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী (১৮৬৮-১৯৪৮) উপমহাদেশের একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ইসলামী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি গভীর জ্ঞানের অধিকারী আলেমে দ্বীন, অবিসংবাদিত ধর্মতাত্ত্বিক, অপ্রতিদ্বন্দ্বী মুনাযির, অনলবর্ষী বাগ্মী, মুহাদ্দিছ, মুফাস্সির, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সংগঠক, সম্পাদক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তবে মুনাযির বা তার্কিক হিসাবেই তাঁর খ্যাতি বিশ্বময়। ‘শেরে পাঞ্জাব’ (পাঞ্জাবের সিংহ) ও ‘ফাতিহে কাদিয়ান’ (কাদিয়ান বিজয়ী) মুনাযির খ্যাত মাওলানা অমৃতসরী বাহাছ-মুনাযারার ইমাম ও মুকুটহীন সম্রাট ছিলেন। এক হাযারের অধিক মুনাযারায় অংশগ্রহণ করে তিনি এক বিরল নযীর স্থাপন করেছিলেন। খ্রিষ্টান, কাদিয়ানী সহ যেকোন

মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী (রহঃ)-এর জীবনী ও কতিপয় শিক্ষণীয় ঘটনা বিস্তারিত পডুন »

দ্বীনের দাওয়াতে নীতিমালা : সহজপন্থা অবলম্বন করা

মানুষদেরকে আল্লাহ প্রদত্ত সাওয়াব যা তিনি সৎকর্মের জন্য দান করেন তা জানিয়ে দিতে হবে সহজ পন্থায়। আনাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,‌ يَسِّرُوا وَلَا تُعَسِّرُوا وَبَشِّرُوا وَلَا تُنَفِّرُوا ‌‌‘তোমরা সহজ পন্থা অবলম্বন কর, কঠিন পন্থা অবলম্বন করো না, মানুষকে সুসংবাদ দাও, বিরক্তি সৃষ্টি করো না’ (বুখারী হা/৬৯)। অপর বর্ণনায় এসেছে, আবূ মূসা আল আশ্’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই কোনো কাজে কোনো সাহাবীকে পাঠাতেন তখন বলতেন, ‘তোমরা জনগণকে আশার বাণী শুনাবে। হতাশাব্যঞ্জক কথা বলে তাদের জন্য অবহেলা-ঘৃণা

দ্বীনের দাওয়াতে নীতিমালা : সহজপন্থা অবলম্বন করা বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top