আত্নশুদ্ধি

দ্বীন ইসলামে পিতা-মাতা ও সন্তানের গুরুত্ব

সন্তানরা পিতা-মাতার খিদমত করবে। তাদেরকে কষ্ট দিবে না, তাদের জন্য দো‘আ করবে।  পিতা-মাতার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ফরয। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ حُسْناً ‘আমরা মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি তার পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে’ (আনকাবূত ২৯/৮)। অন্যত্র তিনি আরো বলেন, وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَاناً إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيْماً، وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُل رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِيْ صَغِيْراً-  ‘তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন তিনি ব্যতীত অন্য […]

দ্বীন ইসলামে পিতা-মাতা ও সন্তানের গুরুত্ব বিস্তারিত পডুন »

অভাবী গভর্ণরের অনুপম দানশীলতা

ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর খেলাফতকাল ছিল ইসলামের ইতিহাসের এক সোনালী অধ্যায়। এ সময় খলীফা ও জনসাধারণের মাঝে ছিল গভীর সম্পর্ক। খলীফা তাদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি খুব বেশী দৃষ্টি রাখতেন। জনসাধারণও তাদের অভাব-অনটন ও দুঃখ-দুর্দশার কথা খলীফাকে বলার সুযোগ পেত। এমনকি সাধারণ মানুষ খলীফার নিকটে তাদের স্থানীয় আমীরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেও কোন ভয় পেত না। ওমর (রাঃ)-এর খেলাফতকালে বিভিন্ন স্থান জয় লাভের ফলে ইসলামী রাষ্ট্রের পরিধি ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছিল।  বিজয়ী অঞ্চল সমূহে গভর্ণর নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতেন। আল­াহভীরু ও যোগ্যতা সম্পন্ন লোকদেরকেই

অভাবী গভর্ণরের অনুপম দানশীলতা বিস্তারিত পডুন »

উসমান ইব্নু আফ্ফান (রাঃ)-এর খলিফা নির্বাচন ও বায়‘আত

‘আমর ইবনু মায়মূন (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-কে আহত হবার কিছুদিন পূর্বে মদিনা্য় দেখেছি যে তিনি হুযায়ফাহ ইবনু ইয়ামান (রাঃ) ও ‘উসমান ইবনু হুনায়ফ (রহ.)-এর নিকট দাঁড়িয়ে তাঁদেরকে লক্ষ্য করে বলছেন, তোমরা এটা কী করলে? তোমরা এটা কী করলে? তোমরা কি আশঙ্কা করছ যে, তোমরা ইরাক ভূমির উপর যে কর ধার্য করেছ তা বহনে ঐ ভূখন্ড অক্ষম? তারা বললেন, আমরা যে পরিমাণ কর ধার্য করেছি, ঐ ভূ-খন্ড তা বহনে সক্ষম। এতে বাড়তি কোন বোঝা চাপান হয়নি। তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন,

উসমান ইব্নু আফ্ফান (রাঃ)-এর খলিফা নির্বাচন ও বায়‘আত বিস্তারিত পডুন »

মুসলিম ভাইয়ের গলা কেটে দিয়ো না

মানুষ নিজের নামে প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে। কিন্তু মন্দ শুনতে অপছন্দ করে। পক্ষান্তরে নিজের প্রশংসা শুনা উচিৎ নয়, বরং মন্দ বিষয়গুলো জানা আবশ্যক। কেননা মন্দ বিষয় জেনে নিজেকে শুধরিয়ে নিতে পারবে। আত্মশুদ্ধি ব্যতীত কোন মানুষ পরিপূর্ণ মুমিন বান্দা হতে পারে না। আত্ম সংশোধনের মাধ্যমে লোকমান (আঃ) নিজেকে একজন জ্ঞানী হিসেবে পরিচিত করেছিলেন। যা কুরআনুল কারীমে বর্ণিত হয়েছে। কোন ব্যক্তি যখন তার অপর ভাইয়ের নামে প্রশংসায় পঞ্চমূখ হয়, তখন সে নিরবে তার ভাইয়ের গলা কেটে দেয়। তবে হ্যা, মানুষের প্রশংসা করা যাবে যা সত্য তাই বলে।

মুসলিম ভাইয়ের গলা কেটে দিয়ো না বিস্তারিত পডুন »

বিশ্ব ভালবাসা দিবস: প্রগতির আড়ালে অশ্লীলতার বিজ্ঞাপন

এক নোংরা ও জঘন্য ইতিহাসের স্মৃতিচারণের নাম বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এই দিবস প্রগতির নামে নব আবিষ্কৃত পশ্চিমা অপসাংস্কৃতি। এই ইতিহাসটি অনেক পুরোনো। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যে, যিশু খ্রীষ্ট আগমণের পূর্বে পৌত্তলিকরা দেবতার পূজা করতো এবং দেবতার নামে নানা রকমের আচার অনুষ্টানাদি পালন করতো। অনুষ্টানের কর্মসূচির মধ্যে ছিল যুবতিদের নামে লটারী করা হত। অর্থ্যাৎ লটারিতে যে যুবতির নাম যে যুবকের ভাগ্যে পড়তো, সে যুবক আগামী এক বছর ঐ দিন আসার আগ পর্যন্ত তার সাথে লিভ দুগেদার করবে। ঐদিনকে যুবতি বন্টনের দিনও বলা হতো। ১০ ফেব্রুয়ারি

বিশ্ব ভালবাসা দিবস: প্রগতির আড়ালে অশ্লীলতার বিজ্ঞাপন বিস্তারিত পডুন »

প্রশিক্ষণের মাস : রামাযান

ভূমিকা : রামাযান প্রশিক্ষণের মাস। কালজয়ী ইসলাম জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রশিক্ষণ সম্বলিত পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থার নাম। রামাযান মাসে ছিয়াম পালনের মধ্য দিয়ে একজন মুসলমান তার সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকে তা বাকি এগার মাস ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্রীয় জীবনে কাজে লাগায়। নিম্নে এ বিষয়ে সবিস্তারে আলোকপাত করা হ’ল। রামাযান মাসের তাৎপর্য : রামাযান মাস হ’ল ইবাদতের মাধ্যমে তাক্বওয়া অর্জন, আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও নৈকট্য হাছিল এবং জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ ও জান্নাত লাভের সুযোগ। মানব জীবনে দু’টি ধারা প্রবাহিত হয় এক. সুপ্রবৃত্তি দুই.কুপ্রবৃত্তি।

প্রশিক্ষণের মাস : রামাযান বিস্তারিত পডুন »

সর্বোত্তম আমল হ’ল সালাত

হিজরতের পূর্বে মি’রাজ রজনীতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হয়েছে। এর পূর্বে দু’ ওয়াক্ত সালাত ফরয ছিল। সূর্যোদয়ের পূর্বে অর্থাৎ- ফজরের সালাত। আর সূর্যাস্তের পূর্বে অর্থাৎ- ’আসরের সালাত। আল্লাহ তা’আলা বলেন, وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ بِالْعَشِيِّ وَالْإِبْكَارِ ’’সকাল ও সন্ধ্যায় তোমার প্রভুর প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা বর্ণনা করো’’- (সূরাহ্ আল গাফির/মু’মিন ৪০: ৫৫)। সর্বোত্তম আমল সালাত : মানুষ সালাত-সিয়াম পালন করার সাথে সাথে যদি কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ হতে বাঁচতে পারে তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তার সগীরাহ্ গুনাহগুলো সালাত-সিয়ামের মাধ্যমে ক্ষমা করে দিবেন। আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণনা

সর্বোত্তম আমল হ’ল সালাত বিস্তারিত পডুন »

দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত হোন !

দুনিয়া ভোগ বিলাসের স্থান নয়। এটা পরীক্ষাগার মাত্র। এখানে আমরা সবায় মুসাফীর। একজন মুসাফীরের জীবন যেমন হওয়া উচিৎ ঠিক তেমনি হতে হবে। আর দুনিয়ার কর্মফল ভোগ করব আখিরাতে। তাই সাবধান! দুনিয়া হলো একটি অভিশপ্ত স্থান। আবু হুরায়রাহ্ (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: সাবধান! নিশ্চয় দুনিয়া অভিশপ্ত, তন্মধ্যে আল্লাহর যিকির ও আল্লাহ যা কিছু ভালোবাসেন এবং জ্ঞানী ও জ্ঞান অনুসন্ধানকারী ব্যতীত সব কিছুই অভিশপ্ত। (হাসান : তিরমিযী ২৩২২)। .অন্যত্র এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘উদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী (সা.) একটি চাটাইয়ে ঘুমিয়েছিলেন, তা হতে উঠলে তাঁর

দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত হোন ! বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top