আত্নশুদ্ধি

গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ আমল

(‘ফযীলতপূর্ণ দো‘আ ও যিকির’ বই থেকে নেয়া)১. ওযূ শেষে পঠিতব্য বিশেষ দো‘আ ও ফযীলত : سُبْحَانَكَ أللهمّ وَبِحَمْدِكَ ، أَشْهَدُ أَنْ لَّآ إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ.উচ্চারণ : ‘সুবাহা-নাকা আল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা’।অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র এবং তোমার প্রশংসা। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আমি তোমার নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তওবা করে তোমার দিকে ফিরে যাচ্ছি’(ছহীহ আত-তারগীব হা/২২৫)। ফযীলত : আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, […]

গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ আমল বিস্তারিত পডুন »

অযথা অন্যের দোষ-ত্রুটি তালাশকারী মুমিন নয়

মানুষের দোষ-ত্রুটি তালাশ করা গর্হিত কাজ। সর্বদা অন্যের নয়, নিজের দোষ-ত্রুটি তালাশ করা উচিৎ। রাসূল (ছাঃ) মানুষের দোষ ও ছিদ্রান্বেষণ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি মানুষকে স্ব-স্ব দোষত্রুটি সংশোধনে আত্মনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেছেন। আল্লাহ্র কাছে যেসব কথাবার্তা-ধ্যানধারণার মূল্য নেই তা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সর্বোপরি মুসলিম ভাইয়ের প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন ও তাদের ছিদ্রান্বেষণকারীর অন্তরে ঈমান থাকে না। আবূ বারযাহ আল-আসলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, يَا مَعْشَرَ مَنْ آمَنَ بِلِسَانِهِ وَلَمْ يَدْخُلِ الإِيمَانُ قَلْبَهُ لاَ تَغْتَابُوا الْمُسْلِمِينَ وَلاَ تَتَّبِعُوا عَوْرَاتِهِمْ فَإِنَّهُ مَنِ اتَّبَعَ عَوْرَاتِهِمْ

অযথা অন্যের দোষ-ত্রুটি তালাশকারী মুমিন নয় বিস্তারিত পডুন »

সালাত মুমিন বান্দা ও শিরকের মধ্যে পার্থক্যকারী

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছা.) বলেন, “‏ لَيْسَ بَيْنَ الْعَبْدِ وَالشِّرْكِ إِلاَّ تَرْكُ الصَّلاَةِ فَإِذَا تَرَكَهَا فَقَدْ أَشْرَكَ ‏” ‘(মুমিন) বান্দা ও শিরকের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত বর্জন করা। সুতরাং যে ব্যক্তি সালাত ত্যাগ করলো, সে অবশ্যই শিরক করলো’ (ইবনু মাজাহ হা/১০৮০)। অন্যত্র জাবির (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, بَيْنَ الْكُفْرِ وَالإِيمَانِ تَرْكُ الصَّلاَةِ  ‘কুফর ও ঈমানের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত ত্যাগ করা’ (তিরমিযী হা/২৬১৮, ইবনু মাজাহ হা/১০৭৮)। এখানে উল্লেখ্য যে, তাওহীদ তথা কালেমা পাঠের মাধ্যমে সাক্ষ্য দিয়ে মুমিন হয়। এটা

সালাত মুমিন বান্দা ও শিরকের মধ্যে পার্থক্যকারী বিস্তারিত পডুন »

যিলহজ্জ মাসের ১ম দশকে করণীয়

যিলহজ্জ মাসের ১ম দশকের ফযীলত :হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, مَا مِنْ أَيَّامٍ الْعَمَلُ الصَّالِحُ فِيْهِنَّ أَحَبُّ إِلَى اللهِ مِنْ هذِهِ الْاَيَّامِ الْعَشَرَةِ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ وَلاَ الْجِهَادُ فِى سَبِيْلِ اللهِ؟ قَالَ وَلاَ الْجِهَادُ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ إِلاَّ رَجُلٌ خَرَجَ بِنَفْسِهِ وَ مَالِهِ فَلَمْ يَرْجِعْ مِنْ ذَلِكَ بِشَيْئٍ، رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ- ‘যিলহজ্জ মাসের ১ম দশকের সৎকর্মের চাইতে প্রিয়তর কোন সৎকর্ম আল্লাহ্র নিকটে নেই। ছাহাবায়ে কেরাম বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদও কি নয়? তিনি বললেন, জিহাদও নয়। তবে

যিলহজ্জ মাসের ১ম দশকে করণীয় বিস্তারিত পডুন »

মুমিন ব্যক্তির মর্যাদার মানদণ্ড ‘তাক্বওয়া’

তাক্বওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানুষ ও অমানুষের মর্যাদার মানদন্ড হ’ল তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ حَقَّ تُقَاتِهِ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো সত্যিকারের ভয়’ (আলে ইমরান ৩/১০২)। অন্যত্র তিনি বলেন, إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللهِ أَتْقَاكُمْ ‘তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই আল্লাহর নিকট অধিক মর্যাদাসম্পনণ যে অধিক মুত্তাক্বী’ (হুজুরাত ৪৯/১৩)। তাক্বওয়াই হ’ল প্রকৃত দ্বীন। হযরত আয়িশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলতে শুনেছি, وَمِلَاكُ الدِّينِ الْوَرَعُ ‘দ্বীনের মূল হ’ল তাক্বওয়া’।[ছহীহুল জামি‘ হা/১৭২৭; সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/২৫৫] তাক্বওয়া ব্যতীত অহির জ্ঞানেরও কোন মূল্য নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,إِنَّمَا يَخْشَى اللهَ

মুমিন ব্যক্তির মর্যাদার মানদণ্ড ‘তাক্বওয়া’ বিস্তারিত পডুন »

দরসে হাদীস : বিবাদে চুপ থাকা কল্যাণকর

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসেছিলেন, এমতাবস্থায় জনৈক ব্যক্তি আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ)-কে গালিগালাজ করতে লাগল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা শুনে আশ্চর্যান্বিত হলেন এবং মৃদু হাসতে লাগলেন। লোকটি যখন খুব বেশি মন্দ বকল, তখন আবূ বকর সিদ্দীক(রাঃ) তার কোন কথার প্রতি-উত্তর দিলেন। এতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব রাগান্বিত হলেন এবং উঠে গেলেন। আবূ বকর সিদ্দীক(রাঃ) তাঁর পিছন পিছন গেলেন এবং বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! লোকটি আমাকে মন্দ বলছিল আর আপনি বসেছিলেন। যখন আমি তার কোন কথার প্রতি-উত্তর করলাম,

দরসে হাদীস : বিবাদে চুপ থাকা কল্যাণকর বিস্তারিত পডুন »

ক্ষুধার্তকে না খাওয়ানোর শাস্তি

দুনিয়াতে জীবনোপকরণের স্বাচ্ছন্দ সৎ ও আল্লাহর প্ৰিয়পাত্র হওয়ার আলামত নয়। পক্ষান্তরে অভাব-অনটন ও দারিদ্রতা কারু জন্য প্রত্যাখ্যাত ও লাঞ্ছিত হওয়ার দলীল নয়। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যাপার সম্পূর্ণ উল্টো হয়ে থাকে। সীরাতুন নাবী অধ্যায়ন করলে অবগত হওয়া যায় যে, কোন কোন নবী-রাসূলগণ জীবন-যাপনে কঠিন ক্ষুধা ও দুঃখ-কষ্ট ভোগ করেছেন। আবার কোনও কোনও আল্লাহদ্রোহী আরাম-আয়েশে জীবন অতিবাহিত করে দিয়েছেন। [ইবন কাসীর] অতএব, ধন-সম্পদ যেমন বান্দার জন্য পরীক্ষা। অনুরূপ অভাব-অনটন ও দারিদ্রতাও বান্দার জন্য পরীক্ষা মাত্র। রাসূল (ছা.) পেট ভর্তি করে খেতেন না। অনাহার অর্ধাহারে জীভন-যাপন করতেন। আয়িশাহ্

ক্ষুধার্তকে না খাওয়ানোর শাস্তি বিস্তারিত পডুন »

ই‘তিক্বাফ

ই‘তিকাফ তাক্বওয়া অর্জনের একটি বড় মাধ্যম। এতে লায়লাতুল ক্বদর অনুসন্ধানের সুযোগ হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মসজিদে নববীতে রামাযানের শেষ দশকে নিয়মিত ই‘তিকাফ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর স্ত্রীগণও ই‘তিকাফ করেছেন’।[1] নারীদের জন্য বাড়ীর নিকটস্থ জুম‘আ মসজিদে ই‘তিকাফ করা উত্তম।[2] ই‘তিকাফের জন্য জুম‘আ মসজিদ হওয়াই উত্তম। তবে নিয়মিত জামা‘আত হয় এরূপ ওয়াক্তিয়া মসজিদে ই‘তিকাফ করাও জায়েয। কারণ এ মর্মে আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত হাদীছটি একটি বর্ণনায় ‘জামে মসজিদ ব্যতীত ই‘তিকাফ হবে না’[3] আসলেও অন্য বর্ণনায় ‘জামা‘আত হয় এরূপ মসজিদে ই‘তিকাফ হবে’ এসেছে।[4] এছাড়া আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস এবং হাসান

ই‘তিক্বাফ বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top